
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক বাড়িতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আজ ভোরে সেখানে যান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগেলে করুন সুর বাজানো হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল জাতির পিতাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে এ সময় বিশেষ মোনাজাতও অনুষ্ঠিত হয়।
পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডী ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটিতে প্রবেশ করে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। যেখানে ৪৬ বছর আগে ইতিহাসের এক বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ সাধিত হয় এবং পরে বাড়িটিকে জাদুঘওে রূপান্তরিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে বনানী কবরস্থানে যান। যেখানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, তাঁর ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহিদরা শায়িত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কবরে গোলাপের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দেন। সেখানে তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও দোয়া করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও নাতী সুকান্তবাবু। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
সূত্র-বাসস