Home অপরাধ কারামুক্ত হয়েই পুলিশের বিরূদ্ধে বিএনপির বহিস্কৃত নেতার মামলা

কারামুক্ত হয়েই পুলিশের বিরূদ্ধে বিএনপির বহিস্কৃত নেতার মামলা

0
কারামুক্ত হয়েই পুলিশের বিরূদ্ধে বিএনপির বহিস্কৃত নেতার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রায় তিন মাস কারাবাসের পর জামিনে এসে এক ওসি, তিন এসআইসহ আটজনের বিরূদ্ধে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এক বহিস্কৃত নেতা। আদালত মামলা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বাদী মামুন আলী ওরফে কিং আলী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা। প্রায় তিন মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি তিনি আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন। আসামীরা হলেন- সিএমপির পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক ঘোষ, বন্দর থানার এসআই আসাদুল হক, কিশোর মজুমদার, এসএস ট্রেডিংয়ের মালিক সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্যবস্থাপক আরিফ মঈনুদ্দিন, উপ ব্যবস্থাপক মো. আমান ও সুপারভাইজার দিদার হোসেন সজিব।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, নগরের বন্দর এলাকার জিএইচ এন্টারপ্রাইজ থেকে গত বছরের ১০ অক্টোবর ২০ হাজার টন পাথর কেনেন মামুন আলী। পাথরের দামের ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করে। নগরের পাহাড়তলীর টোল রোডের কিং আলী গ্রুপের ডিপোতে পাথরগুলো এনে রাখেন। একই বছরের ১৭ অক্টোবর অভিযুক্তরা ডিপোর কার্যক্রমে বাধা দেন। প্রতিবাদ করলে পাহাড়তলী থানার এসআই মানিক ঘোষ ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সন্ধ্যায় বাদী ওসির কাছে গেলে পাথর কেনার রশিদ ও তার সব জায়গার মূল্য ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে ১ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ওইদিন রাত ১০টার দিকে এসআই মানিক ঘোষ তাকে দ্রুত থানায় গিয়ে চাঁদার টাকা দিতে বলেন। একইসাথে বাদীর করা আগের একটি মামলা থেকে হালিশহর থানার সাবেক ওসি প্রণব চৌধুরীর নাম বাদ দিতে বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে থানায় আটক রেখে তিন পুলিশ সদস্য মারধর করেন। পরদিন তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৩০টি ট্রাক নিয়ে গিয়ে গত ২৪ অক্টোবর ডিপোর কেয়ারটেকারকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার পাথর, মাটি, ১০ লাখ টাকার স্কেলসহ ডিপোতে রাখা বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেন অভিযুক্তরা।

বাদীর আইনজীবী আশরাফুর রহমান জানান, এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পুলিশের তিন উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) আটজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here