সম্মেলনের তের মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ। কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আস্থাভাজনরাই বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে যোগ্যতা সম্পন্ন ও ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে স্থান হয়েছে বলে মন্তব্য করে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, আমরা ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটির প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম সেটাই দলীয় হাই কমান্ড অনুমোদন দিয়েছে। এতে কোন ধরণের পরিবর্তন আনা হয়নি।
২০১৯ সালের ৭ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে এম এ সালাম সভাপতি ও শেখ আতাউর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁরা দু’জনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত।
কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ১১জনকে সহ-সভাপতি, তিনজনকে যুগ্ম সম্পাদক ও তিনজনকে সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে।
সম্মেলনের তিনমাস পর গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের কাছে পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাবনা পাঠায় নব নির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এর দশ মাস পর এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে হাটহাজারীর অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দিন, রাউজানের আবুল কালাম আজাদ, এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাঙ্গুনিয়ার আবুল কাশেম চিশতী, স্বজন কুমার তালুকদার, ফটিকছড়ির ইঞ্জিনিয়ার হারুন, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সীতাকুন্ডের এড. মো. ফখরুদ্দিন, সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, মিরসরাইয়ের মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদ ও জসীম উদ্দিন। যুগ্ম সম্পাদক পদে মিরসরাইয়ের নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, রাউজানের দেবাশিষ পালিত, হাটহাজারী জসীম উদ্দিন শাহ। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সংসদ সদস্য ফটিকছড়ির খদিজাতুল আনোয়ার সনি, সীতাকুন্ডের মহিউদ্দিন বাবলু, রাঙ্গুনিয়ার নজরুল ইসলাম তালুকদার।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা যেভাবেই কমিটি প্রস্তাবনা করেছিলাম সেভাবেই কমিটি অনুমোদন হয়েছে। আশা করছি এ কমিটির মাধ্যমে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।