Home Blog Page 27

দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে নতুন করে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে নতুন করে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে  দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে নতুন করে শপথ নেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতা-সর্বস্ব না হয়।সুবর্ণজয়ন্তীর এই শুভক্ষণে আমাদের শপথ নিতে হবে কেউ যেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। দেশের গণতান্ত্রিক এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে।

মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে  দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে বসবাসকারী বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ২৬-এ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। এবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। আমরা উদযাপন করছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। একইসঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি- তিনি আমাদের এই সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের তৌফিক দান করেছেন। এই শুভদিন উপলক্ষে আমি কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি সেইসব বন্ধু রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিকে যাঁরা আমাদের চরম দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫-এ মার্চের রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইটে’র নামে নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানায় তৎকালীন ইপিআর হেডকোয়ার্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার ঘনবসতি এলাকাগুলোতে একযোগে হামলা চালায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। আগুন ধরিয়ে দেয় অসংখ্য ঘরবাড়িতে। দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়।
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের এবং তৎকালীন ইপিআর-এর বীর বাঙালি সদস্যরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় এবং পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে বেরিকেড তৈরি করে পাকিস্তানি সৈন্যদের চলাচলে বাধা দেয়। কিন্তু অত্যাধুনিক অস্ত্র, ট্যাংক আর অস্ত্রসজ্জিত যানবাহনের সামনে নিরস্ত্র প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। নিরস্ত্র বাঙালির উপর হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে বন্দি হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ২৬-মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সমগ্র জাতিকে নির্দেশ দেন প্রতিরোধ যুদ্ধের। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার। তাঁর ঘোষণা তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানি জান্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করে।
এর আগে, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়লাভের পর পাকিস্তানি শাসকেরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে নিপীড়ন-নির্যাতনের আশ্রয় নেয়, তখনই অসহযোগ আন্দোলনের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন: এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।
বীর বাঙালি তাঁর নির্দেশে ৯-মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে শত্রুমুক্ত করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।
২৫-এ মার্চের সেই কাল্রাতের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,  আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় চার-নেতা, ৩০-লাখ শহিদ এবং ২-লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার সালাম।
আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত আমার মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ জামাল ও দশ বছরের শেখ রাসেল, দুই ভ্রাতৃবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, চাচা শেখ আবু নাসের-সহ সেই রাতের সকল শহিদকে।
প্রিয় দেশবাসী,
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ২৪ বছরের নিরন্তর রাজনৈতিক সংগ্রামের ফসল। আর এই সংগ্রামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সৃষ্ট আন্দোলনে যে স্বাধিকারের বীজ বপন করেছিলেন, তাকেই সযত্নে লালন-পালন করে তিনি স্বাধীন মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পরিণত মহিরূহে রূপান্তরিত করেন। শেখ মুজিব থেকে পরিণত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮’র আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন, ৬৬’র ঐতিহাসিক ৬-দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন এবং ৭১’র রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পাই স্বাধীনতা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামের সেই মহাপুরুষের জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। তাঁর জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা নিজস্ব দেশ, ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি।
শেখ মুজিব একটি দেশ, একটি জাতি-রাষ্ট্রের ¯্রষ্টা। কাজেই তাঁর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা একযোগে উদযাপন করছি।
আমি বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে, জাতীয় জীবনের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপনকালে স্বাধীনতাযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে তাঁরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছেন।
সুধিবৃন্দ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একটি স্বাধীন-সার্বভৈৗম ভূ-খন্ডেরই স্বপ্ন দেখেননি, তিনি স্বপ্ন দেখতেন এ জনপদের সাধারণ মানুষ, যাঁরা শত শত বছর ধরে শোষণ-বঞ্চণা, নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, না-খেয়ে না-দেয়ে, রোগে-শোকে মারা গেছে, তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে। তাঁদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসার ব্যবস্থা করে উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে।
আমাদের দুর্ভাগ্য মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করে। তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে যেমন স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়।
১৯৭২ সালে ২৮-এ জুন সিলেটে এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেন: ‘‘… প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হবার জন্য আমি রাজনীতি করি নাই। আমি রাজনীতি করেছিলাম সাড়ে সাত কোটি মানুষের মুক্তির জন্য। এখন আমার রাজনীতির মুক্তি হয়েছে। আমার অর্থনীতির মুক্তি প্রয়োজন। এইটা না হলে স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে। যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়, যদি বাংলার মানুষ সুখে বাস না করে, বাংলার মানুষ যদি অত্যাচার, অবিচারের হাত থেকে বাঁচতে না পারে তো এই স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু স্বপ্ন দেখতেন না, কী করে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হয় তা তিনি জানতেন। স্ব¦াধীনতার পর একেবারে শূন্য হাতে মাত্র সাড়ে তিন বছরে ধ্বংস-প্রাপ্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন, পোর্ট সচল করে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেন। ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি ও ২৭টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশের কাতারভুক্ত করেন।
১৯৭৫-পরবর্তী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী অগণতান্ত্রিক শাসকেরা বাংলাদেশকে আদর্শচ্যূত করেছে।
দীর্ঘ একুশ বছর এদেশের মানুষকে ধোকা দিয়েছে। জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করে তাঁদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছে। বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে বহির্বিশ্বে পরিচিত করেছে।
প্রিয় দেশবাসী,
স্বাধীনতার অর্ধশত বছর অতিক্রম করা জাতীয় জীবনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জন্য এই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব আরও বর্ণময় হয়েছে এ জন্য যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সরকার পরিচালনা শুরু করে। আজ বাংলাদেশ সম্পর্কে সকল নেতিবাচক এবং নিরাশাবাচক ভবিষ্যদ্বাণী অসার প্রমাণিত করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে গর্বিত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
এক দশক আগেও বাংলাদেশকে যেখানে দারিদ্র্য আর অনুন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হতো, আজ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ সেই বাংলাদেশকেই দারিদ্র্য-জয় এবং উন্নয়নের আদর্শ মডেল হিসেবে তুলে ধরছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিগত ১২ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। গত মাসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। গড় আয়ু, লিঙ্গ সমতা, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, নারী শিক্ষা, নারীর রাজনৈতিক অধিকার, নারী ও শিশু মৃত্যুহার, স্যানিটেশন, খাদ্য প্রাপ্যতা-ইত্যাদি নানা সূচকে বাংলাদেশ শুধু তার প্রতিবেশি দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে যায়নি, অনেক ক্ষেত্রে অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে গেছে।
আজকের এই উত্তরণের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। দেশের ভিতরে-বাইরে স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছে। সে প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত আছে। কাজেই আমাদের সকলকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশবিরোধী সকল অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াতে হবে।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা। প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে ছাত্রছাত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে, শ্রমিক কারখানা ছেড়ে, কৃষক লাঙল ফেলে, কামার, কুমার, জেলে তাঁদের কাজ ফেলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সশস্ত্র বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে প্রতিরোধ সংগ্রামে সামিল হয়েছিলেন। জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সকলেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
একবার ভাবুন, আমরা আজ যে স্বাধীন দেশের মাটিতে আজ মুক্ত নিশ্বাস ফেলছি তা অর্জনে কত শত তরুণ অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন? কত মা তাঁদের সন্তান হারিয়েছেন, কত বাবা তাঁদের পুত্র হারিয়েছেন, কত ভাইবোন তাঁদের ভাই হারিয়েছেন, কত স্ত্রী তাঁদের স্বামী হারিয়েছেন, সন্তানেরা বাবা হারিয়েছেন? কতশত মুক্তিযোদ্ধা পঙ্গু হয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন?
তাঁদের একটাই প্রত্যাশা ছিল এ দেশ স্বাধীন হবে। এ দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। সকলে মৌলিক অধিকার ভোগ করবে। আজকে আমরা তাঁদের সেই প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরেছি।

২৫ মার্চের সেই কালো রাত আজ

২৫ মার্চের সেই কালো রাত আজ

ভয়াল ২৫ মার্চ আজ । বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিনে এক বিভীষিকাময় রাত নেমে এসেছিল। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার হলো আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট লুট আর ধ্বংস তাদের নেশায় পরিণত হল যেন। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।’
পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তানি সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয় : ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’
১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।
এদিন সকালে পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি (পিপিপি) প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ৪৫ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। রংপুর, সৈয়দপুরও চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর গুলিতে ১১ জন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়।
বঙ্গবন্ধু ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে পাট ব্যবসা ও টেলিযোগাযোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি দেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সরকারের অতিরিক্ত কালক্ষেপণে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।
ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিন গানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিক-এর ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’
পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।
বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত আবাসনের ২৪নং বাড়িতে। ওই বাড়ির নিচে দুপায়ে গুলিবিদ্ধ দুই মা তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সিঁড়ি ভেসে যাচ্ছিল তাদের রক্তে। পাক হানাদাররা ভেবেছিল অন্য কোন দল হয়ত অপারেশন শেষ করে গেছে। তাই তারা আর ওই বাড়িতে ঢোকেনি। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তখন প্রাণে বেঁচে যান।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান।
সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

-বাসস

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শেরিং বেলা ১২ টা ২০ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এর আগে, সেখানে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে শেরিং দর্শকদের বইয়ে স্বাক্ষর করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দর্শকদের বইতে লিখেেেছন, বিদেশী শোষণের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে জনগণকে অভূতপূর্ব শান্তি সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথ করে দেয়ার জন্য “ভুটানের জনগণ এবং রাজ সরকারের পক্ষ থেকে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা জ্ঞাপন করছি।”
তিনি লিখেন, “তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা এখন বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’র’ স্বপ্ন পূরণ করছেন এবং প্রতিটি উত্তীর্ণ বছরে বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধ ও এর জনগণ আরো সুখি হয়ে উঠছে।” শেরিং আরো লিখেন,“ একজন সত্যিকারের নেতা হওয়ায় আপনাকে (বঙ্গবন্ধু) ধন্যবাদ। আমার দেশ, তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।)
এর আগে, সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বাসস জানায়, শেরিং আজ সকালে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে যোগদানের জন্য তিন দিনের সরকারি সফরে এখানে পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে অভিবাদন জানানো হয়।

কোটালীপাড়ার বোমা মামলায় ১৪জনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ

কোটালীপাড়ার বোমা মামলায় ১৪জনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় হেলিকপ্টার অবতরণের স্থানে বোমা পুঁতে রাখার অভিযোগে করা মামলার রায়ে আজ ১৪ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
বাসস জানায়, রায়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রকাশ্যে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আসামিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষের কোন অসুবিধা থাকলে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হল- মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন মিয়া, মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
রায়ের পর্যাবেক্ষণে বিচারক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করে গণতান্ত্রিক ও বৈধ সরকার উৎখাত করার উদ্দেশ্যে কোটালিপাড়ার সভা মঞ্চে বোমা পুঁতে রাখা হয়।
স্বাধীনতা বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের পর থেকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এমনকি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংস করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
হুজি, জেএমবি ও ইসলামি জঙ্গিরা যেন এই ধরনের ঘটনা পুরনাবৃত্তি করতে না পারে সেই জন্য তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে বলেও রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমা উদ্ধার হওয়ার পরদিন ওই স্থানেই শেখ হাসিনার বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন।
২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন সিআইডির এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মুফতি হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে আদালত ৫০ জনের মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান এই মামলায় মূল আসামি ছিলেন। অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় রায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, সারোয়ার হোসেন মোল্লা, আনিসুল ইসলাম,মাওলানা আমিরুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম কারাগারে রয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামি আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ শেখ মো. এনামুল হক ও মোছাহেব হাসান পলাতক রয়েছে।

-নিউজ মেট্রো ডেস্ক

শবে বরাতের ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ

শবে বরাতের ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

সরকার পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ছুটির নির্ধারিত তারিখ ২৯ মার্চ, ২০২১ এর পরিবর্তে ৩০ মার্চ, ২০২১ তারিখ পুনঃনির্ধারণ করেছে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছুটি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

যে সকল অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অথবা যে সকল অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক চাকরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুয়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি পুনঃনির্ধারণ করবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বিএসএএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের ১১ দফা ইশতেহার ঘোষণা

বিএসএএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের ১১ দফা ইশতেহার ঘোষণা
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন নির্বাচনে সম্মিলিতি পরিষদে প্যানেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন (বিএসএএ) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১১দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে ‘সম্মিলিত পরিষদ’। সোমবার রাতে চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে প্যানেল পরিচিতি সভায় এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। এসময় পরিষদের আহŸায়ক মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী বলেছেন, এসোসিয়েশনের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত পরিষদ ঐক্যমতের ভিত্তিতে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চায়। ব্যক্তিগত স্বার্থে এসোসিয়েশনকে ব্যবহার করবে না পরিষদ।
আগামী ৪এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ও শাহেদ সরওয়ারের নেতৃত্বাধীন ‘শাহেদ সরওয়ার প্যানেল’ সরাসরি প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে।
গম্মিলিত পরিষদ ঘোষিত ১১দফা ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে- ঐক্যমতের ভিত্তিতে সবাইকে নিয়ে কাজ করা, সাব-কমিটিগুলোকে কার্যকর করার জন্য কন্টেইনার, বাল্ক, ট্যাংকার ইত্যাদির জন্য অভিজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন, প্রতি তিন মাস অন্তর সব সদস্যকে নিয়ে সভা করে সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখা, সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
ঐক্যমতের ভিত্তিতে সবাইকে নিয়ে কাজ করা, সাবকমিটিগুলোকে কার্যকর করার জন্য কন্টেইনার, বাল্ক, ট্যাংকার ইত্যাদির জন্য অভিজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন, প্রতি তিন মাস অন্তর সব সদস্যদের নিয়ে সভা করে সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখা, সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদি। সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিষদের আহŸায়ক মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী, প্রবীণ শিপিং ব্যক্তিত্ব আতাউল করিম চৌধুরী, কাজি এম ডি চৌধুরী, মোহাম্মদী শিপিংয়ের পরিচালক নাইম, লিটমন্ড শিপিংয়ের পরিচালক মো. বেলায়েত হোসেন, রেডিয়েন্ট শিপিং এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শফিকুল আলম জুয়েল প্রমুখ।
সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর উৎসব মূখর পরিবেশে এই সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন না হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সভায় এসোসিয়েশনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্মিলিত পরিষদ সবসময় সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে এসেছে। আগামী দিনেও সদস্যদের পাশে সবসময় থাকার অঙ্গীকার করছি।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদী শিপিংয়ের পরিচালক কাজি এম ডি আবু নাইম বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি বন্দর ও কাস্টমসসহ বিভিন্ন সংস্থায় অনেকে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধিতে ব্যস্ত ছিলো। এর বড় প্রমাণ হলো গভীর সাগরে পাইলটিং দায়িত্ব পাচ প্রতিষ্ঠান বাগিয়ে নেওয়া, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিজেদের জাহাজ ভিড়ানোর জন্য তদবির ইত্যাদি। এরা কারা-তা সাধারণ সদস্যরা সবাই জানেন। সাধারণ সদস্যদের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে যারা যুক্ত তাদেরকে হঠাতে হলে সম্মিলিত পরিষদের বিকল্প নেই।
সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা হলেন- এসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে- মোহাম্মদ শফিকুল আলম জুয়েল, মো. রেয়াজ উদ্দিন খান, শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (মিনার), খায়রুল আলম (সুজন), প্রবীর সিনহা, ওয়াহিদ আল নাজমুল হক এবং নজরুল ইসলাম। অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে- সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল, ওসমান গনি চৌধুরী, মো. আজফার আলী, ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত, মো. সাজ্জাদুর রহমান, মামুনুর রশিদ, মুনতাসির রুবাইয়াত, আবু খালেদ মোহাম্মদ শাকিল আহসান, মোহাম্মদ আসিফ ইফতেখার হোসেন, মোহাম্মদ জিয়াউল কাদের, এস এম মাহবুবুর রহমান, এসএম এনামুল হক, এটিএম শহিদুল্লাহ, তানজিল আহমেদ রুহুল্লাহ এবং শহিদুল মোস্তাফা চৌধুরী।

২৫ মার্চ রাতে সারাদেশে ১ মিনিট ব্ল্যাকআউট

২৫ মার্চ রাতে সারাদেশে ১ মিনিট ব্ল্যাকআউট

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত  সারাদেশে  প্রতীকী  ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

২৫ মার্চ রাতে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবেনা। তবে ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা সর্বসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

-তথ্য বিবরণী

জে এম সেনের বাড়ি হবে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা জাদুঘর’

জে এম সেনের বাড়ি হবে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা জাদুঘর’
সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করছেন চট্টগ্রাম নতুন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্থাপনা জেএমসেন এর বাড়িটি ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা জাদুঘর’ হিসাবে গড়ে তোলা হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কওে ভবনটি জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে চট্টগ্রামের নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান একথা বলেন।
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে চট্টগ্রামেও একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর জন্য স্থান নির্ধারণের কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। আগামীতে কর্ণফুলী নদীসহ সরকারি জায়গায় যেসকল অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর প্রচেষ্টা চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ¦ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম সভা সঞ্চালনা করেন।
এ সময় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি স ম ইব্রাহীম, সিইউজের সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, মনজুর কাদের মনজু সহ চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে যোগদানের পর বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চসিক নির্বাচন। জেলা প্রশাসন কার্যালয়েও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। মানবিক দুর্নীতিমুক্ত জেলা প্রশাসন করতে ৩ জনকে বরখাস্ত এবং ৭ জন সহকর্মীকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেছি। জেলা প্রশাসনের ভ‚মি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ইতোমধ্যে দুইজন দালালকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে আশা করছি। একইসঙ্গে আগামী একশ বছর পর কেমন বাংলাদেশ হবে তার ডেল্টা প্ল্যানও করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়নে আমি সাধ্যমতো কাজ করে যাবো।

মশা মারতে ঢাকার জলাশয়ে ছাড়া হচ্ছে ব্যাঙ

মশা মারতে ঢাকার জলাশয়ে ছাড়া হচ্ছে ব্যাঙ
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
মশা মারতে এবার ঢাকার জলাশয়ে ব্যাঙ ছাড়তে শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে দশটি জলাশয়ে হাজার দশেক ব্যাঙাচি অর্থাৎ ব্যাঙের পোনা ছাড়া হয়েছে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী জানান, ব্যাঙের পোনাগুলোকে জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে,  আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই পোনা পূর্ণাঙ্গ ব্যাঙে রূপান্তরিত হবে তখন তারা মশার লার্ভা খেয়ে ফেলতে শুরু করবে বলে আমরা আশা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে এই ব্যাঙাচি পূর্ণাঙ্গ ব্যাঙ হবে এবং তারা বংশবিস্তার করবে, এবং মশার লার্ভা খেয়ে ক্রমে তারা মশার বিস্তার ঠেকাতে সক্ষম হবে।

মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে এর আগেও নানা কর্মসূচী নিতে দেখা গেছে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে। জলাশয়ে গাপ্পি মাছ, হাঁস, তেলাপিয়া মাছ ইত্যাদি ছেড়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে মশার উৎপাত মারাত্মক হারে বেড়ে গেছে। বাজারের মশার কয়েল দিয়েও এসব মশা তাড়ানো যাচ্ছেনা।

সূত্র : বিবিসি

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৮ এপ্রিল থেকে

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৮ এপ্রিল থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আজ রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএসএমডি) নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে করোনা বেড়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। কারণ মানুষজন বেড়াতে যাচ্ছেন। কক্সবাজার, বান্দরবান যাচ্ছেন। বিয়ে, পিকনিক ও ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে। গত ১৫ দিনে কক্সবাজার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ ভ্রমণের জন্য গেছেন। এদের কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, মাস্ক ব্যবহার পড়েনি। এসব কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, জনগণ সরকারকে সহযোগিতা না করলে দেশ থেকে করোনামুক্ত হবে না। তাই দেশের জনগণকে দেশ থেকে করোনামুক্ত করতে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএসএমডি) পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।