বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর আদলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর ওপর হবে কালুরঘাট রেল-সড়ক সেতু। দ্বিতল বিশিষ্ট এই সেতুতে উপরে যানবাহন ও নিচে রেল চলাচল করবে। সেতুর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা রেলওয়ে বুধবার বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে দাতা সংস্থা কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর সেতুর কাজ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ‘কালুরঘাট সেতু নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। পদ্মা সেতুর আদলে আগামী বছরের শুরুতে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। সেতুটির ৭৮০ মিটারের উপরে চলবে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। দুটিই হবে ডাবল লাইনের। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে ৭৮০ মিটার, বায়াডাক্ট ৫ দশমিক ৬২ মিটার। স্প্যান হবে ১০০ মিটার। ব্রিজের উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার।’
তিনি জানান, প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে কাজ শুরুর সময় থেকে চার বছর। আর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একনেকে অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তারা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেতুটি নির্মাণ শেষ হতে বর্তমান সময় থেকে পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফাসহ রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।