
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে বির্তর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ফলাফল পাল্টিয়ে ভোট লুটের মহৌৎসব আখ্যায়িত করে এ নির্বাচন বাতিল ও নতুন নির্বাচনের দাবি জােিনয়ছেন পরাজিত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। একই সঙ্গে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশ^াস দিয়ে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে প্রতারণা, নির্বাচনী ফলাফলের ইভিএম এর প্রিন্ট কপি পরিবর্তে সাদা কাগজে ইচ্ছেমত ফলাফল লিখে অস্বাভাবিক ভোট দেখানোর অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইভিএমে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন বিকেল চারটায় হলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করেন রাত পৌনে ২টায়। ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, এই নির্বাচনে মাত্র সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রকৃতপক্ষে ভোট পড়েছে সাড়ে ৭শতাংশ। তিনি বলেন, ভোটের ফলাফল পেতে সেই সনাতন পদ্ধতির চেয়েও বেশি সময় কেন লাগল তা সকল সচেতন মানুষের কাছে এক বড় রহস্য। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল ইভিএম পদ্ধতিতে একটি নগর ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে সময় লাগলো সেখানে ১০ঘণ্টা, কিন্ত কেন? সে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন আমি বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ। কিন্ত ভোট দেখানো হয়েছে ২২.৫২%। আমার প্রশ্ন হল দুই ঘন্টার মধ্যে এতো ভোট কোত্থেকে এলো? এতে বুঝা যাচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসারের ১৫% ভোট দানের ক্ষমতা নৌকার পক্ষে কাজে লাগিয়েছে।
ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রাম ও ঢাকার সংবাদ পত্র ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সদ্য সমাপ্ত চসিক নির্বাচনে সংঘর্ষ, গুলি বিনিময় প্রাণহানির ঘটনা, ককটেল বিস্ফোরণসহ পুরো নির্বাচনের যে খন্ডিত চিত্র উঠে এসেছে, সেই সব সংবাদের আলোকে আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি কিছু দিন আগে ৪০জন বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য কমিশনের প্রতি যে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এবং বিচার দাবি করে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকপত্র দিয়েছেন তার যৌক্তিতা বর্তমান নির্বাচন কমিশন আবারো নিজেরাই প্রমান করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম প্রমুখ।