Home Blog Page 16

১৩ বছরেও শেষ হয়নি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত

১৩ বছরেও শেষ হয়নি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকান্ডের তেরো বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ১১ফেব্রুয়ারি। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়নি এই তেরো বছরেও। ফলে জট খুলেনি খুনের রহস্যের। সনাক্ত হয়নি ঘাতকরা।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘ।
সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের  গোয়েন্দা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে  তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় র্যাবকে।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের ধরা হবে বলে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে একযুগ পার হলেও খুনিদের ধরা তো দূরের কথা, মামলার  কোন তদন্ত প্রতিবেদনও দাখিল করতে পারেন নি তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ১১৫ বার সময় নেয়া হয়েছে।
গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বহুল আলোচিত সাগর রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চেয়ে আনা রিটের আদেশ মডিফিকেশন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত। বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেয়া এবারের ছয় মাস মানে ছয় মাস।’ এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য রয়েছে হাইকোর্টে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ২১ সেপ্টেম্বর সারাদেশের বিচারকদের উদ্দেশে দেয়া তার অভিভাষণে বলেন, ‘আমরা দেখেছি চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে শতাধিকবার সময় নেয়া হয়েছে। এটা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। তদন্ত কাজেই যদি একাধিক বছর সময়লেগে যায়, সে মামলার বিচারকাজ পরিচালনা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা সময়ের আবর্তে মামলার অনেক সাক্ষী ও সাক্ষ্য হারিয়ে যায়।’

হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সাথে চুক্তি ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই

0
হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সাথে চুক্তি ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সাথে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সকল চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। সৌদি সরকারের পক্ষ হতে চুক্তির এই সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না। বাংলাদেশ হতে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি এজেন্সির অবহেলায় হজব্রত পালন করতে না পারলে তার দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি)  মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন,  হজ ও উমরাহ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়া করার লক্ষ্যে ধর্ম সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে।  এ বছর এ কমিটিতে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দুইজন ও জেদ্দা কনস্যুলেটের দুইজন প্রতিনিধি কো-অপ্ট করা হয়। এই কমিটি বাড়িভাড়ার জন্য প্রাপ্ত কোটেশনের আলোকে বাড়িগুলোর মান, আনুষঙ্গিক সুবিধা, হারাম শরীফ হতে দূরত্ব, হজ প্যাকেজে প্রতিশ্রুত সেবা ও  বাড়িভাড়া বাবদ বরাদ্দ প্রভৃতি বিষয় চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সর্বোত্তম বাড়িগুলো ভাড়া করেছে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন,  এ বছর সরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এ নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য মক্কায় হারাম শরিফের বহির্চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়িভাড়া করা হয়েছে। এজন্য এই প্যাকেজের বাড়িভাড়া ও পরিবহন সেবা খাতের টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। অন্যদিকে, সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের জন্য মক্কায় যে সকল হোটেল ভাড়া করেছি সেগুলোর সর্বোচ্চ দূরত্ব হবে ১ দশমিক ২ কিলোমিটার। এছাড়া মদিনায় হজ প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং হজ প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের জন্য  ৩০০-৬০০ মিটারের মধ্যে হোটেল ভাড়া করা হয়েছে।

ড. খালিদ বলেন, হজ প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীরা মিনায় জোন-৫ এর তাঁবুতে অবস্থান করবেন এবং হজ প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীরা মিনায় জোন-২ এর তাঁবুতে অবস্থান করবেন। তিনি আরো বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্বস্ত হজ সেবা প্রদানকারী কোম্পানিসমূহের সাথে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। এ বছর সরকারি মাধ্যমে হাজিগণ সন্তোষজনক সেবা পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন,  হজ সার্ভিস কোম্পানির সাথে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় হতে জানানো হয়। পরবর্তীতে আরো কয়েকবার পত্র মারফত আমাদেরকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং সে মোতাবেক ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছে। তিনি সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সকল হজ এজেন্সিকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সাথে সব ধরনের চুক্তি সম্পাদন করার অনুরোধ জানান।

এসময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জুরুল হক,  উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

#

রমজানে সারাদেশে ৮০টি টিম বাজার মনিটর করবে

0
রমজানে সারাদেশে ৮০টি টিম বাজার মনিটর করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রমজানে অবৈধ মজুতদারি প্রতিরোধ ও ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ৮০টি টিম বাজার মনিটর করবে। দেশব্যাপী ঢাকা মহানগরে কমপক্ষে ১০টি, বিভাগীয় শহরে ২টি এবং দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জেলায় ১টি করে টিম জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করবে।

রমজান মাস উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ব্যবহার্য সামগ্রী মজুত ও সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি রাজধানীতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় ব্র্যাণ্ড শপ আড়ং, দেশিদশ, ইলনিয়ন, অ্যাপেক্স, ইয়েলো, সাজগোজ, ইনফিনিটি, সুপারশপ স্বপ্ন, মিনাবাজার, আগোরা, ইউনিমার্ট, ডেইলি শপিং এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানের সংখ্যা ও জরিমানা আদায়ের তথ্যাবলী প্রকাশ করা হয়েছে। সারাদেশে ৭ হাজার ৫৫৩টি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ১৫ হাজার ৭১৩টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন দণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

চট্টগ্রাম নগরীর ২০ স্পটে টিসিবির ট্রাক সেল

0
চট্টগ্রাম নগরীর ২০ স্পটে টিসিবির ট্রাক সেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
রমজানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সোমবার (১০ ফেব্রæয়ারি) হতে খোলা ট্রাক থেকে ন্যায্য মূল্যে নির্ধারিত পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। শবে কদরের আগের দিন পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন টিসিবি কর্মকর্তারা।
টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক শফিকুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডের মোট ৬০টি পয়েন্টে পর্যায়ক্রমে খোলা ট্রাক থেকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে প্রতিদিন ২০টি স্পটে ট্রাক সেল চলবে।
টিসিবি সূত্র জানায়, ট্রাক থেকে প্রতি প্যাকেজে মোট ৫৮৭ টাকায় ২কেজি মসুর ডাল, ১কেজি চিনি, ২লিটার সয়াবিন তেল, ২কেজি ছোলা ও ৫০০ গ্রাম খেজুর পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি ট্রাকে দিনে ২০০ প্যাকেজ পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করা হবে।
প্রসঙ্গত, আগে স্মার্ট ফ্যামলি কার্ডের মাধ্যমে কার্ডধারীদের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হতো। কিন্তু এবার সারা দেশে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড অ্যাক্টিভ না হওয়ায় খোলা ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

 

খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ভোট হচ্ছেনা এবারও

খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ভোট হচ্ছেনা এবারও

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নেতৃত্ব বাছাইয়ে পুরোনো পথেই হাঁটছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত আর তা হচ্ছেনা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে ৪১টি পদের সবক’টিতেই একক প্রার্থী থাকায় ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেনা সেখানকার ব্যবসায়ীরা। আগামী ২৪ ফেব্রæয়ারি এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
সহকারি নির্বাচন কমিশনার জামাল হোসেন দেশ রূপান্তরকে জানান, সোমবার (১০ ফেব্রæয়ারি) ছিল খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন বিভিন্ন পদ থেকে মোট পাঁচ জন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে মোট একচল্লিশটি পদে ৪১জনই প্রার্থী থাকে। কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় আর নির্বাচন করার প্রয়োজন হচ্ছেনা।
মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে বিভিন্ন পদে যারা প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, তারা হলেন- সভাপতি পদে মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে আহমদ রশিদ আমু, সহ সভাপতি (দুইটি পদ) পদে অনিল চন্দ্র পাল ও মোঃ আবসার উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আমিনুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আলমগীর পারভেজ, সহ সাধারণ সম্পাদক (দুইটি পদ) পদে মো. আবদুর রাজ্জাক ও মো. রেজাউল করিম আজাদ, অর্থ সম্পাদক পদে নুরুল আলম, সহ অর্থ সম্পাদক পদে মীর মো. সাজ্জাদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আবু বক্কর, সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক পদে মো. খোরশেদ আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মহিউদ্দিন, প্রচার-প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ফরিদুল আলম, বন্দর-কাস্টমস ও ভ্যাট বিষয়ক সম্পাদক পদে রাইসুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক পদে মো. আকবর আলী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। এছাড়া নির্বাহী সদস্যের পঁচিশটি পদে ২৫জন প্রার্থী রয়েছেন।
খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ী এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিতে বিনা ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের যে ধারা চলে আসছিল এবার তা ভাঙ্গবে বলে আশা করেছিল ব্যবসায়ীরা। দেড় যুগ ধরে নির্বাচন না থাকায় সংগঠনবিমুখ থাকা সদস্যদের অনেকে এবার সদস্যপদ নবায়ন করে ভোটার হয়েছিলেন। কিন্তু আবারও গোপন সমঝোতার কারণে ব্যবসায়ীরা ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে মীর গ্রæপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালামের নেতৃত্বাধীন একক প্যানেল মনোনয়ন পত্র জমা দেয়। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদ্য মনোনীত আহŸায়ক ইদ্রিস মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্যানেল দেওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা নির্বাচনে আসেননি। অবশ্য ইদ্রিস মিয়া ও তাঁর সমর্থিত বেশ কিছু ব্যবসায়ী নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া এবং নতুন করে তফসিল ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন তা আমলে নেয়নি।
এদিকে, প্যানেলের বাইরে গিয়ে পাঁচজন ব্যবসায়ী বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরাও সমঝোতার মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠা হলেও ইতিপূর্বে কখনো সেখানে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়নি। একক সিন্ডিকেটের কবলে থাকা এই ব্যবসায়ী সংগঠনে ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিই নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সেখানে নির্বাচনের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন গঠন ও সদস্য নবায়ন করে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। নির্বাচন কমিশন মোট ৪১টি পদে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র দাখিল, বাছাই ও প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়।

চট্টগ্রামে নতুন এসপি রায়হান উদ্দিন খান

চট্টগ্রামে নতুন এসপি রায়হান উদ্দিন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম জেলার নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) রায়হান উদ্দিন খান। এর আগে তিনি ঢাকার এন্টি টেরোরিজম ইউনিটে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। তাকে পদোন্নতি দিয়ে এসপি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে রায়হানকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬ লাখ মানুষ, মৃত্যু ২৭ : দুর্যোগ উপদেষ্টা

0
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬ লাখ মানুষ, মৃত্যু ২৭ : দুর্যোগ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বন্যা শুরুর পর হতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় অত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যকলাপ সমন্বিতভাবে চলমান রয়েছে। বন্যার ভয়াবহতা বিবেচনায় দেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী-সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও ছাত্র-জনতা বন্যার্তদের উদ্ধার, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিরলস কাজ করছেন।

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলীমুল আলীম, বৈষম্যবিরোধী ছাএ আন্দোলনের প্রতিনিধি হাসিবুল ইসলাম ও লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ফারুক ই আজম বলেন, দেশে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশে চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৭ জন। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১০ জন, ফেনীতে ১ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, নোয়াখালীতে ৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ জন, লক্ষীপুরে ১ জন ও কক্সবাজারে ৩ জন।

উপদেষ্টা জানান, এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত ১১ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন। পানিবন্দি পরিবার ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি। ৭৪ উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/ পৌরসভা ৫৪১টি।

ত্রাণ উপদেষ্টা আারো জানান, এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৮৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ লাখ ৯ হাজার ৭২৮ জন এবং ৩৪ হাজার ৪২১টি গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৬২০টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।

ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়ানো যাবে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

0
ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়ানো যাবে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভোজ্যতেল ও চিনির এলসি খোলা ও এলসি মার্জিন কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনোভাবেই পণ্যের দাম বাড়ানো যাবে না। ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যাড (খারাপ) প্রাক্টিস কমাতে হবে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনে বাংলাদেশের বৃহৎ ছয় ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধনকারী ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে নিত্যপণ্যের মধ্যে তেল ও চিনির ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। এগুলোর সরবরাহ চেইন সচল রাখা এবং জনগণের কাছে যৌক্তিক মূল্যে পৌঁছে দেওয়া বর্তমান সরকারের চাওয়া। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রতি কেজি চিনিতে ব্যবসায়ীদের ৪২ টাকা ভ্যাট ও অন্যান্য ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। এটা অন্যায্য উল্লেখ করে ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধনকারী ব্যবসায়ীগণ বলেন, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এরকম নাই। বিদ্যমান ভ্যাট ও ট্যাক্স পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়ে তাঁরা দেশে নিত্যপণ্যের চাহিদা ও মজুত পরিস্থিতি সম্পর্কে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

মতবিনিময় সভায় দেশবন্ধু গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, টি কে গ্রুপ ও সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি অংশ নেন।

ড. ইউনূস দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা রাখেন : সৌদি রাষ্ট্রদূত

ড. ইউনূস দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা রাখেন : সৌদি রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখেন।
রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ড. ইউনূসের প্রশংসা করে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সৌদি আরবকে  ‘বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন।  তিনি গত বছর ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিটে সৌদি আরব সফরের কথা স্মরণ করেন যেখানে তিনি সৌদি মহিলা ফুটবল দলের উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং বিশ্ব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে খেলাধুলার অসাধারণ ক্ষমতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছেন যারা তার দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তিনি জানান, সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা বছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বৈধ  চ্যানেলে পাঠান এবং আরও ৫ বিলিয়ন ডলার অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের অর্থ বৈধ পথে পাঠানো সম্ভব হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘তারা কঠোর পরিশ্রমী এবং অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ।’
১৯৭০ সাল থেকে সৌদি আরবে বসবাসরত ৬৯ হাজার অনিবন্ধিত বাংলাদেশীর পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়টি তিনি উত্থাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে লজিস্টিকস, পরিষেবা খাত এবং আরএসজিটি ইন্টারন্যাশনাল ও আকওয়া পাওয়ারের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, হজ ও উমরাহ পালনের সুবিধার্থে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য মক্কা রোড ইনিশিয়েটিভ চালু করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন যে, গত বছর প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশী উমরাহ পালন করেছেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য সৌদি নেতৃত্বের প্রশংসা করে ড. ইউনূস সৌদি আরবের চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

-বাসস

facebook sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button

গুম হওয়া ব্যক্তির সন্ধানে ৫সদস্যের কমিশন

গুম হওয়া ব্যক্তির সন্ধানে ৫সদস্যের কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিগত সতের বছরে আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে ৫ সদস্যের কমিশন গঠন করেছে সরকার। হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে কমিশনের সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আজ মঙ্গলবার একথা জানানো হয়েছে।

কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ অনুযায়ী গঠিত এ কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬-অনুযায়ী তদন্তকার্য সম্পন্ন করে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে কমিশনকে। কমিশনের কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে- এই কমিশন বিগত ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে। জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনাসমূহের বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল এবং এ বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে এ কমিশন। জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে কমিশন তাদের আত্মীয়-স্বজনকে অবহিত করবে। একইসঙ্গে কমিশন জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করবে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে এবং কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করবে এবং কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যেকোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে পারবে।