সংক্রমিত ব্যক্তি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হলেও, এখনও নিশ্চিত করা হয়নি! ভাইরাসের সর্বশেষ কেসটি ফেব্রুয়ারি মাসে রিপোর্ট করার পর এই কয়েক মাস কোনও রকম সংক্রমণ হয়নি বলেই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সরাসরি বন্দর থেকে পণ্য খালাস চান গার্মেন্টস মালিকরা
কভিড ও লকডাউন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে জট এড়াতে আমদানি পণ্য বেসরকারি আইসিডি থেকে ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে তিন সপ্তাহ ধরে। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয়ের কারণে সরাসরি বন্দর থেকেই পণ্য খালাস চান পোশাক ব্যবসায়ীরা। এদিকে অনুমোদিত ৩৭ পণ্যের অতিরিক্ত আমদানি পণ্য আইসিডিতে না পাঠিয়ে আগের মতো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি খালাসের নির্দেশনা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। আমদানি পণ্য ডেলিভারি হ্রাস পাওয়ায় বন্দরে কন্টেইনার জট দেখা দেয়।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জট এড়াতে সব ধরনের আমদানি পণ্য সরাসরি বেসরকারি আইসিডি থেকে খালাস নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ২৫ মার্চ জরুরি অফিস আদেশ জারি করে এনবিআর। এরপর থেকে নির্দিষ্ট ৩৮ আইটেমসহ সব আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার সরাসরি বেসরকারি ডিপো থেকে ডেলিভারি হয়ে আসছে।
বন্দর সূত্র জানায়, এনবিআরের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম বন্দর বড় ধরনের জট থেকে রক্ষা পায়। এরপর থেকে সব ধরনের আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ডিপোতে চলে যাওয়ার কারণে বন্দরে কন্টেইনারের সংখ্যা কমে আসে। ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউস ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে বর্তমানে বন্দরে কন্টেইনারের পরিমাণ নেমে এসেছে ৩৬ হাজার টিইইউসে।
পোশাক রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, বেসরকারি ডিপো থেকে পণ্য খালাসে সময় ও অর্থ দুটোই বেশি গুনতে হচ্ছে। বন্দর থেকে দুই দিনে পণ্য ডেলিভারি নেওয়া যায়। সেখানে ডিপো থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে ৬-৮ দিন সময় লাগে। আমদানি পণ্য ডেলিভারি পেতে দেরি হওয়ায় অনেক সময় পোশাক কারখানাগুলোকে কাঁচামাল সংকটে পড়তে হয়।
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে সব পণ্য অফডক থেকে খালাসের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আমরাও তা মেনে নিয়েছি। সেই সংকট এখন কেটে গেছে। বন্দর থেকে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কন্টেইনার ডেলিভারি হচ্ছে। অন্যদিকে বেসরকারি ডিপো থেকে পণ্য খালাস করতে গিয়ে রপ্তানি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীর ‘কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস’ বেড়ে যাচ্ছে। করোনার এই বৈশি^ক প্রতিকূল বাণিজ্যিক পরিস্থিতিতে তা ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে সরাসরি বন্দর থেকে পণ্য খালাসের সুযোগ চেয়ে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছি।
এদিকে অনুমোদিত পণ্যের অতিরিক্ত পণ্য বেসরকারি আইসিডির পরিবর্তে বন্দর থেকে খালাসে রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল সোমবার এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে চিঠিতে এ আহ্বান জানান তিনি।
চিঠিতে চেম্বার প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায় গত ২৫ জুলাই থেকে বেসরকারি আইসিডি থেকে ৩৭টি অনুমোদিত পণ্যের অতিরিক্ত সব ধরনের পণ্য খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে বর্তমানে প্রতিটি আইসিডিতে ধারণক্ষমতার কাছাকাছি কন্টেইনার রয়েছে। কিন্তু, এসব আইসিডিতে পর্যাপ্ত স্থান, ইকুইপমেন্ট ও শ্রমিক স্বল্পতার কারণে মালামাল খালাসে দীর্ঘসূত্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র দুই দিনে পণ্য খালাস করা গেলেও আইসিডিতে ক্ষেত্র বিশেষে ৭-৮ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় বেসরকারি আইসিডির চার্জগুলোও তুলনামূলক বেশি। ফলে আইসিডি থেকে মালামাল খালাসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের ব্যয় অনেকগুণ বেড়ে যায়। কাজেই বাড়তি ব্যয় ও পণ্য খালাসে বিলম্বের কারণে সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়, যা বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতে কাম্য হতে পারে না। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি খালাসের নির্দেশনা নিতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে বিশেষ অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি।
সূত্র : দেশ রূপান্তর
আফগানদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
কয়েক হাজার আফগান নাগরিককে বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। সোমবার ( ১৬ আগস্ট) রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রথমে ওয়াশিংটনে আমাদের রাষ্ট্রদূতের কাছে এবং পরে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিছু আফগান নাগরিককে সাময়িকভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ জানায়। যুক্তরাষ্ট্র এ সময় জানায় তারা বাংলাদেশসহ কিছু বন্ধু দেশকে এ অনুরোধ জানিয়েছে। এরপর আমরা জানতে চেয়েছিলাম কোন কোন দেশকে তারা এ অনুরোধ জানিয়েছে। কত আফগান নাগরিককে কত দিনের জন্য রাখতে হবে। এ বিষয়ে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
তালেবানদের উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন দেশে সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে। এরই অংশ হিসাবে কিছু লোককে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এসব শুনে বলে দিয়েছি রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের দেশ বড় না। আমাদের লোকসংখ্যা বেশি। নতুন করে কাউকে আশ্রয় দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা অপারগতা জানিয়ে দিয়েছি।’
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আফগানিস্তানে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশ তার প্রতি সমর্থন দেবে।
হাইতিতে ভূমিকম্পে নিহত ১২৯৭
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
ক্যারিবিয়া অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯৭ জনে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচ হাজার ৭০০ জন। খবর বিবিসির।
হাইতির স্থানীয় সময় গত শনিবার সকালে (১৪ আগস্ট) এই ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ২।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্মীয় উপাসনালয় ও হোটেল রয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এই ভূমিকম্পকে ‘ব্যাপক ক্ষতি’ বলে আখ্যায়িত করে এক মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এ জায়গাটি রাজধানী পোর্ট–অ–প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট–অ–প্রিন্সেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
সোমবার পদত্যাগ করবেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
ক্ষমতাসীন জোটের অন্তর্দ্বন্দ্বে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল সোমবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। তিনি এদিন মালয়েশিয়ার রাজা আল সুলতান আবদুল্লাহ’র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘মালয়েশিয়াকিনি’।
মালয়েশিয়াকিনি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকটি দলের সমর্থন পেয়ে গত বছর মার্চে ন্যূনতম সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বসেন মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। কিন্তু জোটের বৃহত্তর শরিক দল ইউনাইটেড মালয়’স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যরা সম্প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। এ অবস্থায় তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা প্রচার হবার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন- তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। করোনা মহামারীর মধ্যে এই মুহূর্তে সেখানে নতুন করে নির্বাচন হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। পরবর্তীকালে মালয়েশিয়ায় ঠিক কী হবে, তা নির্ভর করছে রাজা আল–সুলতান আবদুল্লাহর সিদ্ধান্তের ওপর। এক্ষেত্রে তিনি কাউকে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও দিতে পারেন বলে ধারণা করা হ্চ্ছে।
জাতীয় শোক দিবসে সিইউজে ও প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব। আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর পলাকত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে ফাঁসি কার্যকর করার দাবির জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)’র যৌথ উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে সকালে অর্ধনমিতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল এগারটায় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সকাল সাড়ে এগারটায় ক্লাবের এস রহমান হলে কোরআন খানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন নিউ মনসুরাবাদ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ ছদর উদ্দিন ফারুকী।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে গিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ¦ আলী আব্বাস বলেন, ৭৫ এর পনেরো আগস্টের পরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবেই বঙ্গবন্ধুর স্মরণে ১৫ আগস্ট দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। সেই ধারাবাহিকতা আজও আছে। ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আজকের প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সাংবাদিক সমাজকে আরো অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে হবে। যেহেতু বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি বাঙালি জাতির জনক এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
বক্তারা বলেন, জাতির জনকের যে সকল খুনিরা এখনো পলাতক তাদের দেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। একইসাথে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে যারা ছিলেন এবং পরবর্তীতে লাভবান (বেনিফিশিয়ারি) হয়েছেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।
এ সময় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম. নাসিরুল হক, মোসতাক আহমদ, শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সহসভাপতি স ম ইব্রাহীম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী সিইউজের সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়–য়া দেবু, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দেবদুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজুসহ সাংবাদিক সংগঠনসমূহের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি আফগান প্রেসিডেন্ট গণি
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
আফগানিস্তানের চব্বিশটি প্রদেশের মধ্যে ২৩টির রাজধানী নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবানরা। এখন কাবুল অভিমুখে যাত্রা করেছে তাঁরা। এ পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে পড়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। ২৩টি প্রদেশ হারিয়েও তিনি কি কাবুল রক্ষায় লড়াই করবেন নাকি আত্মসমর্পণ করবেন-এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।
শনিবার দেশটির উত্তরের শহর মাজার-ই-শরীফ দখল করে তালেবানরা। এরপর আজ রবিবার সকালে আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের শহর জালালাবাদ বিনা যুদ্ধে দখলে নেয় তারা। এখন শুধুমাত্র কাবুল শহরটিই সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে।
সরকারি বাহিনীগুলোর এমন বিপর্যয়ের পর আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছে। কাবুলে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে লড়াই করবে নাকি আত্মসমর্পণ করবে এই কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি এখন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
এদিকে বিপর্যস্ত দেশটি থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ৫০০০ সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, “অন্য দেশের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব মেটাতে অনন্তকাল ধরে কোন দেশে আমেরিকার অবস্থান জানান দেয়ার সমর্থন করা যায় না।”
রবিবার সকালে জালালাবাদ দখলে নেয়ার মানে, তালেবানরা দেশটির সাথে পাকিস্তানের সংযোগকারী সড়কগুলোও নিজেদের করে নিয়েছে।
আফগানিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর এবং বলখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরীফ দখল করে নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই জালালাবাদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবানরা, মাজার-ই-শরীফ আয়ত্বে নিতেও কোন সংঘাতের প্রয়োজন হয়নি।
শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক বাড়িতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আজ ভোরে সেখানে যান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগেলে করুন সুর বাজানো হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল জাতির পিতাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে এ সময় বিশেষ মোনাজাতও অনুষ্ঠিত হয়।
পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডী ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটিতে প্রবেশ করে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। যেখানে ৪৬ বছর আগে ইতিহাসের এক বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ সাধিত হয় এবং পরে বাড়িটিকে জাদুঘওে রূপান্তরিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে বনানী কবরস্থানে যান। যেখানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, তাঁর ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহিদরা শায়িত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কবরে গোলাপের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দেন। সেখানে তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও দোয়া করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও নাতী সুকান্তবাবু। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
সূত্র-বাসস