Home Blog Page 28

ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছতে পারবেনা : প্রধানমন্ত্রী

ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছতে পারবেনা : প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ’৭৫ এর পরে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নামটি পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নাম আর আজকে কেউ মুছতে পারবে না। যেখানে মিথ্যা ঘোষক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল আজ আন্তর্জাতিকভাবেও আপনারা দেখেন সেই ঘোষকের আর কোন ঠিকানা থাকবে না । কারণ, আজকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ নিজেরাই প্রচার করছেন এবং অনেক জায়গায় রেজ্যুলুশন ও হচ্ছে যে, ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজ বিকেলে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলীয় কার্যালয় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি এখন প্রমাণিত হয়েছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত উন্নয়নের পথেই দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেলেও তিনি এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করে গেছেন শুধু সেগুলোকে অনুসরণ করলেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
তিনি বলেন, আজকে তা প্রমাণিত সত্য, কারণ, আমরা যা-ই করছি, যে পথ জাতির পিতা দেখিয়ে গেছেন, সেই পথ ধরেই আমরা এগোচ্ছি। তিনি যা যা করতে চেয়েছিলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সেই কাজগুলোকেই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে। আর তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হোত তাহলে আমরা বাঙালিরা জাতি হিসেবে কখনও বিশ্বে মর্যাদা পেতাম না। সম্মান পেতাম না, একটা রাষ্ট্রও পেতাম না। তিনি যে সংগ্রাম চালিয়েছেন তাতে অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে ধীরে ধীরে এদেশে মানুষকে ঐকবদ্ধ করে তাঁদের স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভার প্রারম্ভিক বক্তৃতা প্রদান করেন।
আরো বক্তৃতা করেন- দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম এমপি ও আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি এবং এ সময় এটুকুই বলবো জাতির পিতা এই দেশটিকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন এবং তাঁর লক্ষ্য ছিল এদেশের দারিদ্রপীড়িত মানুষের ভাগ্য তিনি পরিবর্তন করবেন। কেননা এ মাটির সন্তান এর আগে কখনই এদেশের শাসন ক্ষমতায় আসতে পারেনি।

-বাসস

জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি মেনে চলার আহ্বান

0
জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি মেনে চলার আহ্বান

আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন এবং কনস্যুলার অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(১) অনুযায়ী ‘প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা সবুজ ক্ষেত্রের ওপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত’। পতাকা বিধিতে বলা হয়েছে, পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং সবুজের ভিতরে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। জাতীয় পতাকার মাপ হবে ১০ ফুট x ৬ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝে লাল বৃত্ত। বৃত্তটি দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। ভবনের আয়তন অনুযায়ী পতাকা ব্যবহারের তিন ধরনের মাপ হচ্ছে ১০ ফুট x ৬ফুট , ৫ ফুট x ৩ফুট এবং ২.৫ ফুট x ১.৫ফুট ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ পতাকার সঠিক মর্যাদা রক্ষায় বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)’ এ বর্ণিত পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সঠিক মাপের মানসম্মত পতাকা উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে অনুরোধ করা হয়েছে।

-তথ্য বিবরণী

ক্যাসিনো খালেদের বিরূদ্ধে দুই মামলায় চার্জ গঠন

ক্যাসিনো খালেদের বিরূদ্ধে দুই মামলায় চার্জ গঠন
ক্যাসিনো খালেদ : ফাইল ছবি

বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুই মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ দুই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। রোববার ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
বাসস জানায়, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করে সিআইডি। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায়। ওই বাসা থেকে ছয়টি দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের ১০ হাজার ৫০ ডলার, থাইল্যান্ডের ১০ হাজার ৪৯০ বাথ, ভারতীয় সাড়ে তিন হাজার রুপি, সৌদি আরবের দুই হাজার ৩২১ রিয়াল, মালয়েশিয়ান ৬৫৬ রিঙ্গিত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ দিরহাম ছিল।
অপর দিকে চলতি বছরের শুরুতে মতিঝিল থানায় মাদক আইন ও গুলশান থানার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ‘ক্যাসিনো’ চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। এ সময় তার বাসা থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ২০১৭ সালের পর নবায়ন না করা একটি শটগান ও ৫৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পরদিন দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। একই দিন র‌্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন।
অন্যদিকে মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন র‌্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার চাইলা প্রু মার্মা।

 

বিএসএএ নির্বাচনকে ঘিরে জমজমাট শিপিং সেক্টর

বিএসএএ নির্বাচনকে ঘিরে জমজমাট শিপিং সেক্টর

নিউজ মেট্রো রিপোর্ট :
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের (বিএসএএ) নির্বাচনকে ঘিরে এখন জমজমাট চট্টগ্রামের শিপিং অফিসগুলো। ভোট চাইতে প্রতিদিন দলবল নিয়ে অফিসে অফিসে ঘুরছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন নিজেদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথা। নানা কৌশলে চেষ্ঠা করছেন নিজেদের পক্ষে ভোটের পাল্লা ভারি করতে।
আগামী ৪ এপ্রিল এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এসোসিয়েট ও অর্ডিনারি দুই ক্যাটাগরি থেকে মোট ২৪জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। এবারের নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফের নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও শাহেদ সরওয়ারের নেতৃত্বাধীন ‘শাহেদ সরওয়ার প্যানেল’।
বিএসএসএ’র একাধিক প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় পুরো শিপিং সেক্টরকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, বিএসএসএ’র গৌরব ফিরিয়ে আনা ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকান্ড পরিচালনায় ভূমিকা রাখার বিষয়কে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
ইতিমধ্যে প্যানেল ঘোষণা করে প্রচারণার মাঠে নেমে গেছেন দুই প্যানেলের প্রার্থীরাই। সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা হলেন- এসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে- মোহাম্মদ শফিকুল আলম জুয়েল, মো. রেয়াজ উদ্দিন খান, শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (মিনার), খায়রুল আলম (সুজন), প্রবীর সিনহা, ওয়াহিদ আল নাজমুল হক এবং নজরুল ইসলাম। অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে- সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল, ওসমান গনি চৌধুরী, মো. আজফার আলী, ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত, মো. সাজ্জাদুর রহমান, মামুনুর রশিদ, মুনতাসির রুবাইয়াত, আবু খালেদ মোহাম্মদ শাকিল আহসান, মোহাম্মদ আসিফ ইফতেখার হোসেন, মোহাম্মদ জিয়াউল কাদেও, এস এম মাহবুবুর রহমান, এসএম এনামুল হক, এটিএম শহিদুল্লাহ, তানজিল আহমেদ রুহুল্লাহ এবং শহিদুল মোস্তাফা চৌধুরী।

অন্যদিকে ‘শাহেদ সরওয়ার প্যানেল’র প্রার্থীরা হলেন, অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ শাহেদ সরওয়ার, আজিম রহিম চৌধুরী জিয়া, আনিস উদ দৌলা, এ এস এম সালাহউদ্দিন, কামরুজ্জামান লিটন, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির, মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, এনামুল হক, দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য, মো. আজমির হোসেন চৌধুরী, এ কে এম আতিকুর রহমান, এম আলী আশরাফ আহমদ খান, কপিল উদ্দিন আহমেদ, সরতাজ মো. ইমরান, মো. দিদারুর আলম চৌধুরী এবং মোহাম্মদ শাহীন।
এসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. জহিরউদ্দিন জুয়েল, ক্যাপ্টেন মুনতাসের মোহাম্মদ ইকবাল, মোহাম্মদ মোরশেদ হারুন,কাজি মনসুর উদ্দিন, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং মোহাম্মদ সাইফুল কাদের।

উভয় প্যানেলই ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের এ নাম ঘোষণা করেছে। সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী খায়রুল আলম সুজন নিউজ মেট্রোকে বলেন, শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং শিপিং এজেন্টদের স্বার্থ ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে সম্মিলিত পরিষদ আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে গমনাগনকারী জাহাজকে ঘিরেই দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। তাই বন্দরে জাহাজের গমনাগমন ব্যবস্থা যাতে মসৃণ থাকে- সে বিষয়ে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিতে চাই।
শাহেদ সরওয়ার প্যানেল’র নেতৃত্বদানকারী মোহাম্মদ শাহেদ সরওয়ার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে র্সবস্তরের শিপিং এজেন্টদের স্বার্থ রক্ষা। অর্থাৎ যেসব পয়েন্টে শিপিং এজেন্টরা কাজ করেন সকলের স্বার্থকে সমান দৃষ্টিতে দেখা। তিনি বলেন, গত ৫-৭ বছরে সংগঠন অনেক পিছিয়ে গেছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগঠনের হারানো গৌরব আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই।

মিয়ানমারে বিবিসির সাংবাদিক আটক

মিয়ানমারে বিবিসির সাংবাদিক আটক

মিয়ানমারে বিবিসির বার্মিজ ভাষা বিভাগের এক রিপোর্টারকে আটক করা হয়েছে। গত মাসে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অব্যাহত বিক্ষোভ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘাতের মধ্যে এই সাংবাদিক আটক হলেন।

বিবিসির বার্মিজ বিভাগের রিপোর্টার অং থুরা রাজধানী নেপিডতে কোর্ট ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে যখন কাজ করছিলেন, তখন সেখান থেকে তাকে সাধারণ পোশাকধারী লোকজন তুলে নিয়ে যায়।

বিবিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, অং থুরার ব্যাপারে তারা উদ্বিগ্ন এবং তিনি কোথায় আছেন তা জানতে সাহায্য করার জন্য বার্মিজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

মিয়ানমারে শুক্রবারের সর্বশেষ বিক্ষোভে আরও অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিবিসির অং থুরা ছাড়াও স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টাল মিজিমার একজন সাংবাদিক থান টিকে অংকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এমাসের শুরুতে এই সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করে বার্মিজ কর্তৃপক্ষ।

বিবিসির সাংবাদিককে যারা তুলে নিয়ে যান, তারা এসেছিলেন দুপুরবেলা একটি অচিহ্নিত গাড়িতে। তারা অং থুরাকে দেখতে চান বলে জানান। এর পর থেকে বিবিসি আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।

এক বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, “মিয়ানমারে সব কর্মীর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবিসি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখে এবং অং থুরাকে খুঁজে পেতে আমরা সবরকম চেষ্টা করছি। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি তার অবস্থান জানতে সহায়তা করতে এবং তিনি যে নিরাপদ আছেন তা নিশ্চিত করতে। অং থুরা বিবিসির একজন সাংবাদিক এবং নেপিডতে বিভিন্ন ঘটনাবলীর সংবাদ সংগ্রহের বহুদিনের অভিজ্ঞতা তার রয়েছে।”

সূত্র : বিবিসি

শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে

শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান।

দু’দিনের সরকারি সফরে সকালে ঢাকা এসে পৌঁছালে  তাঁকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অন্যান্যের মধ্যে বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধানগণ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১১টায় তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এসময় তিনি পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং সেখানে গাছের চারা রোপণ করেন।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী ২২ মার্চ দু’দিনের সফরে ঢাকা আসবেন এবং ভূটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ ও ২৫ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ এখানে পৌঁছে ২৭ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করবেন।

শাল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ : তথ্যমন্ত্রী

0
শাল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ : তথ্যমন্ত্রী
সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্ণনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বিএনপি’র উচিত অপরাজনীতির পথ থেকে সরে আসা। আজ শুক্রবার  জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ৮ম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী একথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র বিশ্ব যখন বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান যখন সফরে আসছেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে বক্তব্য রাখছেন, তখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে এবং সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা, এটি ষড়যন্ত্রেরই অংশ’ বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব এ বিষয়ে তড়িঘড়ি বিবৃতিতে নানা কথা বলেছেন। আমি মির্জা ফখরুলকে পেছনে তাকাতে এবং আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখতে বলব। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর কোটালীপাড়া, আগৈলঝড়া, সিরাজগঞ্জ, ভোলাসহ সারা দেশের নানা জায়গায় পুরো গ্রাম ঘেরাও করে সংখ্যালঘুদের ওপর এতো নির্যাতন হয়েছিল যে আমাদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কার্যালয়ে লঙ্গরখানা খুলতে হয়েছিল।’

তাদের ক্ষোভ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং তা করে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য, জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা মনে করি আমাদের প্রথম পরিচয় বাঙালি, তারপর হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা ধর্মীয় পরিচয়। আর তারা মনে করে প্রথমে ধর্মীয় পরিচয়, আর তারপর বাঙালি না বাংলাদেশি তাও তারা বলতে পারে না। ষড়যন্ত্র-অপরাজনীতির পথ থেকে সরে না আসলে বিএনপিকে আগেও জনগণ ক্ষমা করে নাই, এখনো করবে না, বলেন ড. হাছান।

এ সময় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ভদ্রতা আর সদাচরণের প্রতীক জিল্লুর রহমান রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিলে তিনি কাউন্সিলর ছিলেন। সেই থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে বুকে ধারণ করে নেতার প্রতি অবিচল আস্থায় তিনি কাজ করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ায় বঙ্গবন্ধু তাকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন এমনকি বাকশাল গঠনের পর জিল্লুর রহমানকে এক নম্বর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন, স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাথেও সেই অবিচল আস্থার সাথে তিনি কাজ করেছেন এবং বারবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দলের দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে সুসংহত রাখতে জিল্লুর রহমানের ভূমিকা ছিল অনন্য।

আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান খোকার সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, মোহাম্মদ সেলিম রেজা সভায় বক্তব্য রাখেন।

সামিয়া সুলুহু হাসান তাঞ্জানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট

সামিয়া সুলুহু হাসান তাঞ্জানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির আকস্মিক মৃত্যুর পর শুক্রবার তিনি প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
দেশটির জাতীয় দৈনিক ‘ডেইলী নিউজ’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সকাল ১০টায় শপথ শেষে তিনি বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি যত শপথ নিয়েছি সেসবের চেয়ে আজকের এই শপথ ব্যতিক্রম। শোকাবহ এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমি আজ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব নিলাম।’
প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেয়ার পর সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করছেন সামিয়া সুলুহু হাসান
শপথ নেয়ার পর  তিনি সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান তাকে। এ সময় সততার সঙ্গে তানজানিয়ার সংবিধান সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন সামিয়া। শপথ নেওয়ার পর প্রথম ভাষণে ৬১ বছর বয়সী সামিয়া হাসান প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মাগুফুলির মৃত্যুতে ২১ দিনের শোক ঘোষণা করেন। সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন আগামী ২২ ও ২৫ মার্চ। ওইদিন মাগুফুলির শেষকৃত্য হওয়ার কথা রয়েছে।
গুরুতর অসুস্থতার কারণে গত ৬ মার্চ মাগুফুলিকে জাকায়া কিকওয়েট কার্ডিয়াক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তবে সে সময় তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। পরে অসুস্থ বোধ করলে ১৪ মার্চ তিনি পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ১৮ মার্চ তিনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
তানজানিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রয়াত মাগুফুলির দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাই সেই সময় পর্যন্ত এখন দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন সামিয়া।
সামিয়া সুলুহু হাসান ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ২০০০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি তাঞ্জানিয়া সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত দেশটির সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সিসিএম পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মাগফুলির রানিং মেট হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেন এবং দলটি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। এরপর থেকে তিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সিইউজে ও প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন

সিইউজে ও প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কেক কাটছেন প্রেস ক্লাব সভিাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস।

নিজস্ব প্রতিবেদক : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালন করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব।

কর্মসূচীর মধ্যে ছিল দিনব্যাপী জাতির পিতার ভাষণ প্রচার, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ফুল দিয়ে সজ্জিতকরণ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবদিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে প্রেস ক্লাব প্রাঙণে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কেক কাটা অনুষ্ঠান।

প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন  সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম ও মোস্তাক আহমদ, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি দিদারুল আলম, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি স ম ইব্রাহীম, সিইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দেবদুলাল ভৌমিক, সিইউজে’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক  ইফতেখার ফয়সাল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সিইউজে নেতৃবৃন্দ

প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস বলেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী নামধারী বিভিন্ন গণমাধ্যমে সুকৌশলে বঙ্গবন্ধুর মাহাত্মকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। যেটা কিছুতেই হতে দেয়া যায় না। আওয়ামী লীগ যখন এদেশের ক্ষমতায় ছিল না তখনও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নিয়মিত বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এই ধারাবাহিকতা আগামীতে অব্যাহত থাকবে। জাতির জনকের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা দিন দিন আরো বাড়তে থাকবে বলে প্রেস ক্লাব সভাপতি উল্লেখ করেন।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ

এ সময় ক্লাবের সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, সিইউজে’র সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো, টিভি জার্নালিস্ট এসোশিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা, প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সদস্য মনজুর কাদের মনজু, স্থায়ী সদস্য দেব প্রসাদ দাস দেবু, তপন দাশ বর্মন, গোলাম সরওয়ার, এস এম আফজল রহিম সিদ্দিকী, সান্টু কুমার দাশ, মোহাম্মদ ফারুক, রাজেশ চক্রবর্তী, সোহেল সরওয়ার, ফরিদ উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, সুবল বড়ুয়া, সরওয়ার কামাল, ইমরান এমি, এম এ হান্নান কাজল, বাচ্চু বড়ুয়া, নুর মোহাম্মদ রুবেল, কমল দাশ, শ্যামল নন্দী সহ প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফইউজে এবং চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে বুধবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিনটিকে দেশব্যাপী ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার ভোর ৬ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল, জাতির পিতার সমাধী ও প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসা, পুরস্কার বিতরণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ইত্যাদি। এই সকল কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ করেন এবং মুনাজাতে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময়ে দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্যেও দোয়া করা হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি ধামনন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে এসে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় সেখানে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময়ে
আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা ত্যাগ করার পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব বঙ্গবন্ধুর সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড-অব-অনার প্রদান করে।
আজ ছিল সরকারি ছুটির দিন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়।
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুননেছা ইন্দিরা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। দ্বিতীয় শ্রেনীর ছোট্ট ছাত্র স্বপ্নীল বিশ^াস বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি পরিবেশন করে এবং অপর শিশু ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী আনুসুয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। দেশের সকল শিশুদের পক্ষে তৃতীয় শ্রেনীর শিশু সাফওয়ান এবং চতুর্থ শ্রেনীর রুবাবা জামান বক্তৃতা করেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক সমাবেশ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং দরিদ্র কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরা বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউড প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতাল রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আজিমপুরে এতিমখানায় শিশুদের মাঝে বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।