Home Blog Page 32

কারাগারে মুশতাক হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

0
কারাগারে মুশতাক হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশ জুড়ে আলোচিত কারাগারে লেখক মুশতাক হত্যার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্র্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তরুণ কান্তি শিকদারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসাবে রয়েছেন, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম, কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর জেলা কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. কামরুন নাহার। এছাড়া সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব আরিফ আহমদ কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটিকে আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম, কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর জেলা কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. কামরুন নাহার। এছাড়া সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব আরিফ আহমদ কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বন্দী ছিলেন লেখক মুশতাক আহমেদ। গত বৃহস্পতিবার তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে কারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রাত ৮ টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা বারের সভাপতি আবুল বাতেন সম্পাদক হযরত আলী

0
ঢাকা বারের সভাপতি আবুল বাতেন সম্পাদক হযরত আলী

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী আবুল বাতেন সভাপতি ও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের হযরত আলী সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার সকালে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে  নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়। ঢাকা আইনজীবী সমিতির মোট ১৭ হাজার ৭৫৬ জন ভোটারের মধ্যে ৮ হাজার ৭০৬ জন ভোট দেন।  শুক্রবার দুপুরের পর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। গণনা শেষে শনিবার সকালে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল সভাপতিসহ ১৫টি পদে এবং বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল সম্পাদকসহ ৮টি পদে বিজয়ী হয়।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আবুল বাতেন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে এ কে এম সালাহউদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে এস এম মনিরুজ্জামান (তারেক), কোষাধ্যক্ষ পদে একেএম আরিফুল ইসলাম কাওছার, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে শারমিন সুলতানা হ্যাপী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শায়লা পারভীন পিয়া, দপ্তর সম্পাদক পদে জাকির হোসাইন (লিঙ্কন), ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. রফিকুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক এ এস ইমরুল কায়েশ, সদস্য পদে – এ বি এম ফয়সাল সারোয়ার, বাহারুল ইসলাম (বাহার), মো. মহিন উদ্দিন (মহিন), জুয়েল চন্দ্র মাদক, সুলতানা রাজিয়া রুমা ও মো. আহসান হাবিব।

অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে বিজয়ীরা হলেন- সাধারণ সম্পাদক পদে খোন্দকার মো. হযরত আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আলহাজ কামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি পদে মো. আনিসুর রহমান (আনিস), সদস্য পদে – বাবুল আক্তার (বাবু), এম আর কে রাসেল, মো. হোসনী মোবারক (রকি), মো. সোহাগ হাসান রনি ও মোসা. তাসলিমা আক্তার।

চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণাংশের জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছবে ওয়াসার পানি

0
চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণাংশের জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছবে ওয়াসার পানি
ওয়াসার পতেঙ্গা বুস্টার স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাড়ে চার কোটি লিটার পানি সরবরাহের সক্ষমতা সম্পন্ন চট্টগ্রাম ওয়াসার ‘পতেঙ্গা বুস্টার পাম্প স্টেশন’ চালু হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম শনিবার এর উদ্বোধন করেন।

ওয়াসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,  পতেঙ্গা বুস্টার পাম্প স্টেশনটির মাধ্যমে নগরের দক্ষিণাংশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠির কাছে পানি পৌঁছানো সম্ভব হবে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর-ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনার বিশাল জনগোষ্ঠির চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে।

বুস্টার স্টেশনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে হোটেল রেডিসন ব্লু-তে শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।এসময় বোয়ালখালীর সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ,  চন্দনাইশের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা নদভী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, কিন্তু চট্টগ্রামের উন্নয়ন হবে না তা প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন না। চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকার সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কিন্তু এই অগ্রাধিকারের সুযোগ আপনাদের কাজে লাগাতে হবে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গেটওয়ে। নদীর আশপাশে আবর্জনা পড়ে থাকছে, জায়গা ইজারা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি করে দখল করা হচ্ছে, যা কখনোই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, সব কাজের জন্য শুধু একজন মেয়র নির্বাচন করে তার ওপর সব বোঝা উঠিয়ে দিলে হবে না। সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। আর তা করতে হলে মেয়রকে এগিয়ে আসতে হবে। আবার চট্টগ্রামে যারা বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরও সহযোগিতা করতে হবে। নিজেদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলে চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমিও সহযোগিতা করতে পারবো।

বদলে গেছে বাংলাদেশ

বদলে গেছে বাংলাদেশ

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :

বদলে গেছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে নাম লিখিয়েছে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাতারে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার সব কৃতিত্ব জনগণকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণের সুখবর দিতে আজ শনিবার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। আর সাংবাদিকরা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবন প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সভা পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি বাংলাদেশের একটি মহৎ এবং গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের সুসংবাদ দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ গতকাল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি; আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৭ গুণ। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদণ্ড ৬৬-এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫.৪। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে উত্তরণের জন্য মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ বা তার কম। কিন্তু ওই সময়ে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭। সিডিপির প্রবিধান অনুযায়ী, উত্তরণের সুপারিশ পাওয়ার পর একটি দেশ তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রস্তুতিকালীন সময় ভোগ করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, একটা প্রদেশের প্রশাসনকে তিনি (বঙ্গবন্ধু) অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে একটা স্বাধীন দেশের উপযোগী করে একেবারে শূন্য হাতে দেশের পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। ভারত থেকে ফিরে আসা এক কোটি শরণার্থীসহ দেশের অভ্যন্তরে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষকে পুনর্বাসন করেন। শহীদ পরিবার, নির্যাতিত পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা, ঘরবাড়ি হারানো সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৭ শতাংশ অতিক্রম করে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের উল্টো পথে যাত্রা এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর আবার উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।

নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফেরার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর আমি ব্যাপকভাবে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা সফর করি। আমি সে সময়ই প্রতিজ্ঞা করি যদি কোনোদিন আল্লাহ আমাকে সুযোগ দেন দেশ পরিচালনার, তাহলে গ্রামোন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। গ্রামের মানুষের উন্নয়নে কিছু করব। তখন ৭০-৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করতো। আমার মনে হয়েছিল এদের যদি দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারি, তাহলেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। ১৯৯৬ সালে জনগণের রায় নিয়ে আমি প্রথমবার সরকার গঠন করে আমার চিন্তা-চেতনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

কারাগারে মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

কারাগারে মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের বন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম এ খবর নিশ্চিত করেন।
কমিটির সদস্যরা হলেন—গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।
কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
রাত ৮টার দিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনাকে অস্বাভাবিক আখ্যায়িত করে এর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শনিবার

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শনিবার
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
আগামীকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করার বিষয়ে কথা বলতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
বিকাল চারটায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করা উপলক্ষে গণভবন হতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে শনিবার বিকাল ৪টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিওর মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সরকারকে অস্থিতিশীল করতেই বিডিআর হত্যাকান্ড : তথ্যমন্ত্রী

সরকারকে অস্থিতিশীল করতেই বিডিআর হত্যাকান্ড : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সরকারকে অস্থিতিশীল করতেই বিডিআর হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তখন সদ্য সরকার গঠন করেছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমাদের সরকারের তখনো দুইমাস পূর্তি হয়নি, প্রায় দেড় মাসের মাথায় এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছিল। এই হত্যাকান্ড সংগঠনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অস্থিতিশীল করা।
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, দেশের ইতিহাসে নয় শুধু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নিরিখেও এতবড় একটি হত্যাকান্ডের এতগুলো আসামীর বিচার কম হয়েছে। আমাদের দেশের ইতিহাসে এতজন আসামীর বিচার আর হয়নি। বিশ^ পেক্ষাপটেও এতগুলো আসামীর বিচার কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
শুক্রবার  বিকেলে তথ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর পাড়স্থ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার করবেন দলটির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের আগে বেগম খালেদা জিয়া কেন প্রত্যুষে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে চলে গিয়েছিল ? অথচ তিনি দিনের বারোটার আগে ঘুম থেকে উঠেননা। তিনি কেন এদিন তারেক রহমানের সাথে ৩০ থেকে ৪০ বার কথা বললেন ? এই রহস্যগুলো বের হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তাহলেই মুখোশ উম্মেচিত হবে কারা এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিল।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে মামলা যে কেউ করতে পারে, মামলা করার অধিকার সবারই আছে, তবে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে বিএনপিকে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডা. শাহাদাতকে আমি অনুরোধ জানাবো তার দলের কেন্দ্রিয় নেতাদের প্রশ্ন রাখার জন্য, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ সবল থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে কেন্দ্রিয় নেতারা কেউ চট্টগ্রামে আসলেননা কেন। এমনকি চট্টগ্রামে যে সমস্ত কেন্দ্রিয় নেতা আছেন তারাও কিন্তু নির্বাচনের সময় তার পক্ষে নামেননি। আমির খসরু মাহমুদকে দুয়েকবার দেখা গেলেও তা প্রেস কনফারেন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তার দলের স্থানীয় নেতারাও প্রথমে কিছুটা সরব থাকলেও পরবর্তীতে তারা ঘরের মধ্যে চলে যান। এজন্য ডা. শাহাদাতকে বলবো এই প্রশ্নগুলো তার দলের নেতাদের কাছে করে তাদের বিরুদ্ধেও যাতে একটা মামলা করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে বাংলাদেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। ডিজিটাল বিষয়টা আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে ছিলনা, সুতরাং ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টিও ছিলনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে যখন একজন সাংবাদিকের চরিত্র হনন করা হয়, একজন গৃহিনীকে যখন অপবাদ দেয়া হয়, একজন সাধারন মানুষ যখন ডিজিটাল আক্রমণের শিকার হন, তিনি কোন আইনে প্রতিকার পাবেন, তখন কোন আইনের বলে সে নিরাপত্তা পাবে, সেজন্য একটা আইনের দরকার। এই জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যুটা সত্যিই অনভিপ্রেত জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমিও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি, সেখানে কারা কর্তৃপক্ষের কোন গাফেলতি ছিল কিনা সেটা খুঁজে দেখা যেতে পারে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার যাতে নাহয় সেটির জন্য আমরা সচেতন আছি, বিশেষত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাতে এই আইনের অপব্যবহার নাহয়, সেজন্য তথ্যমন্ত্রণালয় ও আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবসময় সচেতন আছি এবং কোনখানে এধরণের ঘটনা ঘটলে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়, বলেন- তথ্যমন্ত্রী।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৭

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৭
  • নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
    ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রশিদপুর এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ২০ জন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমা থানাধীন রশিদপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সিলেটমুখী লন্ডন এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ঢাকামুখী এনা পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৬জন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরো ১জনের মৃত্যু হয়।আহত হয়েছে আরো অন্তত ২০ জন।
    দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করে এবং হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
    সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ‍দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মেরিন গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মেরিন গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
সততা, দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মেরিন গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশ মেরিন একডেমিতে ৫৫ ব্যাচের ক্যাডেটদের মুজিবর্ষ গ্রাজুয়েশন প্যারেডে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী পাসিং আউট ক্যাডেটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সমুদ্রচারণ বিষয়টা বেশ চ্যালেঞ্জিং, খুব কঠিন একটা দায়িত্ব। কিন্তু দায়িত্বটা পালন করার মত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তোমরা কর্মক্ষেত্রে যোগ দেবে।’
তিনি বলেন, জাতির পিতা হাতেগড়া এই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় মুমূর্ষু আবস্থায় তাঁর সরকার পেয়েছিল। কাজেই, তা উন্নত করবার জন্য ব্যাপক কর্মসূচিও তাঁর সরকার বাস্তবায়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি’-সরকারি ৫টি ও বেসরকারি ৬টিসহ সমুদ্র-বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী, আমরা আরও চারটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছি। যা এবছরেই চালু হচ্ছে। তিনি বলেন, তাঁর সরকার জাহাজ চলাচলে উচ্চতর শিক্ষার প্রবর্তনের জন্য ২০১৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠা করেছে। দায়িত্ব গ্রহনের পর ছেলে-মেয়েদের জন্য শিক্ষার বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আওতায়, তোমাদের বিদ্যমান তিন বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সাইন্স পাস ডিগ্রি কোর্সকে, চার বছর মেয়াদী অনার্স কোর্সে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রবর্তন করা হয়েছে ‘মাস্টার অব মেরিটাইম সায়েন্স’ ডিগ্রী কোর্স। শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশে^ও সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে সর্বোচ্চ শিক্ষাটা গ্রহণ করা দরকার, সেভাবেই প্রশিক্ষিতও হবে হবে। তাই, সে সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।’
বিগত ১০ বছরে এই একাডেমির শিক্ষাদান ট্র্যাডিশনাল থেকে ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য মার্চেন্ট নেভি ট্রেনিং বোর্ডের স্বীকৃতিসহ অর্জিত হয়েছে নানাবিধ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
তিনি বলেন, একাডেমির নটিক্যাল প্রশিক্ষণকে উন্নততর করার লক্ষ্যে, ২০১৯ সনে একাডেমিতে স্থাপন করা হয়েছে ‘নেভিগেশন সিমুলেটর’। পাশাপাশি, এবছরই উন্নততর মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশিক্ষণের স্বার্থে চলমান রয়েছে ‘ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিমুলেটর’ স্থাপনের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ এই একাডেমিকে পুর্ণাঙ্গ রূপ আমরা দিতে যাচ্ছি যাতে আমাদের ক্যাডেটরা দেশে এবং বিদেশে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী ৫৫ ব্যাচের ক্যাডেটদের মনমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। অনুষ্ঠান থেকে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পাসিং আউট ক্যাডেটদের মাঝে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণ পদক এবং বাংলাদেশ শিপিং করের্পারেশন পদক প্রদান করেন।
চিফ ক্যাডেট ক্যাপ্টেন আবির মোহাম্মদ সালমান নূর সার্বিক বিবেচনায় সফল চৌকষ ক্যাডেট হিসবে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে ক্যাডেটদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রতিষ্ঠানের কমান্ড্যান্ট মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ড. সাজ্জাদ হুসেইন।
এবারের ৫৫ ব্যাচে ১৯২জনসহ এই মেরিন একাডেমি থেকে এ পর্যন্ত পাসিং আউট ক্যাডেটের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মেরিন একাডেমির লেকে দু’টি প্রশিক্ষণ বোটের কমিশনিং এবং পোস্ট-সি ক্যাডেট বন্টকের (১২০ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন) নবায়ন করেন।

উচ্ছেদের আগে লালদিয়ার চরের মানুষের পুনর্বাসন চাই : শাহাদাত

0
উচ্ছেদের আগে লালদিয়ার চরের মানুষের পুনর্বাসন চাই : শাহাদাত
লালদিয়ার চর বাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন ডা. শাহাদাত হোসেন
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
পতেঙ্গার লালদিয়ার চরের মানুষকে উচ্ছেদের আগে তাঁদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন- রোহিঙ্গারা দেশের নাগরিক না হয় যদি সরকার তাদের পুনর্বাসন করতে পারে, তাহলে কেন লালদিয়ার জনসাধারণ এই দেশের নাগরিক হয়েও পুনর্বাসন হবে না?
বৃহস্পতিবার বিকেলে পতেঙ্গা ওয়ার্ডে লালদিয়ার চর এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি।
ডা. শাহাদাত বলেন, লালদিয়ার চর এলাকার মানুষ দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এখানে বসতি করে আসছে। তাদেরকে যদি বন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ করতে হয় তাহলে তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে সরকার ও বন্দরের কর্তৃপক্ষকে।  দেশের ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণকে উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসন করা এটা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। দেশের একজন নাগরিকের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। তাই এদেশের নাগরিক হিসেবে লালদিয়ার চরের জনসাধারণ এর বাসস্থানের অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দরের মাফিয়ারা বন্দর ব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এছাড়াও বন্দরের টাকা দিয়ে দেশের উন্নয়ন হতে পারলে কেন বন্দর কর্তৃপক্ষ যাদের উচ্ছেদ করে তাদের পুনর্বাসন করবে না-আজ সাধারণ জনগণ তা জানতে চায়। অবিলম্বে লালদিয়ার চর এলাকার জনসাধারণ পুনর্বাসন করে বাসস্থানের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
এসময়  উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা,ডাঃ নুরুল আবচার, মোঃশাহাবুদ্দিন, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ ইলিয়াস, মোঃ হারুন কোম্পানি, শফি মেম্বার, পতেঙ্গা থানা বিএনপি নেতা লোকমান হোসেন, আতিকুর রহমান, হান্নান, জসিম উদ্দিন মিল্কি, জিয়াউর রহমান, যুবদল নেতা খুরশিদ আলম, হোসেন রানা, জাহেদ ইউছুপ, মোঃ শামিল, মৎসজিবী দলের সালাউদ্দিন, জালাল উদ্দীন, সোহাগ খান, জাহাঙ্গীর, আলম, সালাউদ্দিন, নিজাম, কায়ছার, হামিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।