চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্ঠার নতুন ধারা সৃষ্টি করতে চাই। সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, প্রকৌশলী, ডাক্তার সকলের পরামর্শে এবং নগরবাসির কল্যাণে যা প্রযোজ্য হবে তাই গ্রহন করবো।
তিনি বলেন, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি চট্টগ্রাম। আমাদের অবহেলায় ধ্বংস হয়েছে চট্টগ্রাম। নগর রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার আমার সবার। প্রত্যেকের মতামত গ্রহন করে পরিকল্পিত মহানগর গড়ে তোলার জন্য কাজ করবো। রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
নব নির্বাচিত মেয়র বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। গত ২৭ জানুযারি শেখ হাসিনার উন্নয়নে আস্থা রেখে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি সেই আস্থার প্রতিদান দিব।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করতে হলে অতীতে যে প্রাকৃতিক জলাধার ছিল তা আবার সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষজ্ঞের মতামত ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে জলাধার সৃষ্টি করার চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে জননেত্রী শেখ হাসিনা ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছেন। অনেক প্রভাবশালী খাল দখল করেছেন। আমি শতভাগ দায়িত্ব পালন করবো নিরপেক্ষভাবে। আমি সবজান্তা নই, সবার পরামর্শ চাই। সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ভুল হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমি মেয়র হওয়া বড় কথা নয়, জনপ্রত্যাশা পূরণে সবার সহযোগিতা দরকার। ভুল হলে সাংবাদিকদের দেখিয়ে দিতে হবে। সমালোচনা অবশ্যই করবেন। পাশাপাশি সঠিক প্রতিকারও তুলে ধরতে হবে। আমরা সুন্দরভাবে শহরকে সাজাতে চাই।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ক্লাব সভাপতি আলহাজ¦ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে এ মত বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা উপ মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিনিয়র সহ সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরঢ ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম প্রমুখ।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল তাঁর বক্তব্যে বলেন, নাগরিক হিসেবে বলতে চাই, চসিক স্থায়ী প্রতিষ্ঠান। গণমাধ্যমের সংবাদে প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা হওয়া উচিৎ, ব্যক্তির নয়। প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা মানে মেয়রের সমালোচনা নয়। সঠিক তথ্য তুলে ধরবেন সৎ সাহস নিয়ে। অন্যতায় প্রতিষ্ঠান নির্জীব হয়ে যাবে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ দেখি। এতে কাজের সুবিধা হয়। আমরা গ্রামগঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক খবর পাই সংবাদপত্রে। তা মার্ক করে দি সমস্যা সমাধানের জন্য। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকবে আমাদের মধ্যে। সমন্বয় ছোট্ট শব্দ, বাস্তবায়ন বড় কঠিন।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ আলী আব্বাস বলেন, অতীতের সকল চসিক মেয়র চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। নতুন নির্বাচিত মেয়রও সেই ধারা অব্যাহত রাখবেন।