
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, তার মেয়াদের পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম আদর্শ শহরের মডেল হিসেবে দাঁড়াবে। এ বিষয়ে কারও পরামর্শ নিতে সংকীর্ণতা নেই বলে উল্লেখ করেন মেয়র ।
আজ সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে চসিকের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,তার কথা ইশতেহারে বলে দিয়েছেন। অনেকে মনে করে, চট্টগ্রাম শুধু মেয়রের। তিনি সেই পুরনো ধারণা ভেঙে দিতে চান । এ চট্টগ্রামে অনেক জ্ঞানী, সাংবাদিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ আছেন। তাদের মেধা তিনি কাজে লাগাতে চান। রাস্তার যানজট থেকে বিভিন্ন সমস্যা মেয়রের ওপর এসে পড়ে। এ শহর আমার আপনার সবার। তাই সবার সঙ্গে পরামর্শ করতে চান, মেধা কাজে লাগাতে চান। চট্টগ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে চান। কারণ ব্যক্তির চিন্তা চেতনায় ভুল থাকতে পারে। সামষ্টিক চিন্তায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি শুধু মুখপাত্র, প্রতিনিধি। ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে গেছি ৷ আগামী পাঁচ বছরও সবার সঙ্গে পরামর্শ করে এগিয়ে যাবো। আমি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি পেশার সবার সহযোগিতা চাই। আমার পরিষ্কার কথা হচ্ছে, যে সেবা সংস্থা গাফিলতি করবে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। অনেক সমম্বয় সভা হয়েছে, কিন্তু কার্যকর সেবা পায়নি। মেয়রের নির্বাহী ক্ষমতা থাকা উচিত। জনভোগান্তি যেমন কমবে টাকারও অপচয় হবে না।
জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে চট্টগ্রামের উন্নয়নভার নিয়েছেন। টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে। আমি জননেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। জনগণ জননেত্রীর উন্নয়নের ওপর আস্থা রেখেছেন বলে নৌকাকে জয়ী করেছেন। চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। সফলতা আমাদের আসবে। চট্টগ্রাম আদর্শ শহরের মডেল হিসেবে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, প্রথমে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবো। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলায় আনবো। মানুষ শান্তি চায়। ১০০ দিনে সব রাস্তা হয়ে যাবে তা আবেগের কথা। যান চলাচলের উপযুক্ত করার চেষ্টা করবো। যেকোনো মূল্যে খাল উদ্ধার করবো। পাঁচ বছরে শহর জলাবদ্ধতামুক্ত হবে। আসুন চট্টগ্রামকে গড়ে তুলি।
অনুস্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, নগর মহিলা লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চুয়েট উপাচার্য ড. রফিকুল আলম, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কেএম ফজলুল্লাহ, নগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলররা।