Home Blog Page 18

শোক দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৬দিন ব্যাপী কর্মসূচী

শোক দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৬দিন ব্যাপী কর্মসূচী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ৬দিন ব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৩টায় খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। ঐদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান এমপি। প্রধান বক্তা থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান। ধারাবাহিকভাবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এ কর্মসূচী চলবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহাম্মদ ও জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু। উপস্থিত ছিলেন মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুর রাজ্জাক।

আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা জাওয়াহিরি নিহত

আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা জাওয়াহিরি নিহত

বিবিসি :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে একটি ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করেছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ঘোষণার মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালিত ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।

আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার খবর নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জাওয়াহিরির বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা ও সহিংসতার প্রমাণ রয়েছে।

“এখন ন্যায় বিচার হয়েছে এবং এই সন্ত্রাসী নেতা আর নেই,” বলেন জো বাইডেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, যখন আমেরিকার ড্রোন থেকে দুটি মিসাইল হামলা চালানো হয় তখন জাওয়াহির একটি সেফ হাইজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।

তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সে বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাদের কোন ক্ষতি হয়নি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, ৭১ বছর বয়সী জাওয়াহিরিকে হত্যার জন্য হামলা করতে তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। এজন্য কয়েকমাস পরিকল্পনা করা হয়।

জাওয়াহিরিকে হত্যার মধ্য দিয়ে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকায় হামলায় নিহতদের পরিবারের জন্য বিচারের বিষয়টি সুরাহা করবে।

” এর জন্য কতদিন সময় লেগেছে সেটা বড় বিষয় নয়, কোথায় লুকিয়ে ছিল সেটাও কোন ব্যাপার নয়। তুমি যদি আমেরিকার জনগণের জন্য হুমকি হও, তাহলে আমেরিকা তোমাকে খুঁজে বের করবে,” বলেন মি. বাইডেন।

আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন এবং আল-জাওয়াহিরি এক সাথে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের আক্রমণের আয়োজন করেন।

ওসামা বিন লাদেনের ডান হাত

একই সময়ে, তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেন যে, রবিবার কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় আমেরিকান ড্রোন হামলা হয়েছে।

তিনি এই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক নীতির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।

দুই হাজার এগার সালে পাকিস্তানে আমেরিকার এক অভিযানে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর আয়মান আল-জাওয়াহিরি আল-কায়েদার নেতৃত্ব নেন।

আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন এবং আল-জাওয়াহিরি এক সাথে আমেরিকার ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করেন, এবং ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের আক্রমণের আয়োজন করেন।বলে অভিহিত করেন।

আল-জাওয়াহিরি মিশরের ইসলামি জিহাদ নামক জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের মে মাসে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হবার পর আল-জাওয়াহিরি আল-কায়েদার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।

তার আগে আল-জাওয়াহিরিকে ওসামা বিন লাদেনের ডান হাত আর আল-কায়েদার মূল চিন্তাবিদ বলে গণ্য করা হত।

অনেকে মনে করেন আয়মান আল-জাওয়াহিরিই ছিলেন ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকায় হামলার মূল রূপকার।

ঠিকাদার জটিলতায় আটকা চায়না ইকোনোমিক জোনের কাজ

ঠিকাদার জটিলতায় আটকা চায়না ইকোনোমিক জোনের কাজ

বঙ্গবন্ধু টানেল রোডের লাগোয়া কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে ৭৮৩ একর জায়গায় ৩৭১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে পাঁচ বছর আগে চীন সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয় চট্টগ্রামের চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের। কিন্তু প্রকল্পের কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সাড়ে ৩ বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। বিশেষ এ অর্থনৈতিক জোনকে ঘিরে আড়াই লাখ মানুষের কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির যে স্বপ্ন দেখা গিয়েছিল তা ফিকে হয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) কর্মকর্তারা বলছেন, ‘চীন সরকারের সঙ্গে জি টু জি ভিত্তিতে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান পরিবর্তিত হয়েছে। তবে নতুন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি না হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। চুক্তি হলে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।’

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিসেসের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বেজার জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে চীনা কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নতুন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়োগে বিলম্বের কারণে প্রকল্পটি স্থবির হয়ে আছে।

বেজা সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে চীনা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে তাদের শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার আগ্রহ ব্যক্ত করে। তখন চীন সরকার তাদের বিনিয়োগকারীদের সমুদ্রবন্দর-সংলগ্ন চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) ও শিল্পাঞ্চল গড়ার পরামর্শ দেয়। অতঃপর চীন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বেজার মধ্যে ‘চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন’ স্থাপনের জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ৪২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৮৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ ও আনোয়ারায় চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন প্রতিষ্ঠার চুক্তি সই করেন। পরে চীন সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজের জন্য ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান হিসেবে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে মনোনীত করে। ২০১৭ সালের জুন মাসে চায়না হারবারের সঙ্গে বেজা’র চুক্তি হয়।

চুক্তি সইয়ের পর প্রায় ৫ বছর পার হলেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে প্রস্তাবিত ইকোনমিক জোন। কাছেই রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড। ইকোনমিক জোন ঘেঁষে চলে গেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের মূল সড়ক। পিচঢালা সড়ক থেকে নেমে ইটবিছানো রাস্তা দিয়ে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার যেতে হয়। প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেল, ইকোনমিক জোনের গেট বন্ধ। গেটের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে ভেতরে গিয়ে দেখা গেল, টিলার ওপর তৈরি করা হয়েছে একটি ছোট ভবন। চারদিক খাঁ খাঁ করছে। বিস্তীর্ণ পাহাড়ী এলাকা। ভবনের ভেতরে ইকোনমিক জোনের প্রস্তাবিত শিল্পাঞ্চলের সুদৃশ্য নকশা। প্রকল্পের কোথায় কী ধরনের শিল্প স্থাপন করা হবে তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নকশায়।

ভবনটিতে থাকেন চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিসেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় বাড়ৈ। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে ২০১৯ সাল থেকে কার্যত প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। কবে আবার কাজ শুরু হবে জানেন না জানিয়ে তিনি বলেন, মাঝেমাঝে মিরসরাই ইকোনমিক জোন থেকে একজন কর্মকর্তা এসে ঘুরে যান। তিনিও এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি।

চায়না হারবারের নিয়োজিত এ কর্মকর্তা জানান, কাজ বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ২০০ একর পাহাড়ী এলাকা সমান করা হয়েছে। পিএবি সড়ক থেকে ইকোনমিক জোন পর্যন্ত ৪০ ফুট চওড়া এক কিলোমিটার এবং বৈরাগ এলাকা থেকে ইকোনমিক জোন পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক তৈরি করা হয়েছে। বৈরাগ অংশে প্রায় এক কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।

জানা যায়, বিশেষায়িত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কেবল চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য শিল্প স্থাপনের সুযোগ রাখা হয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল, গার্মেন্ট, আইটি, রাসায়নিক, টেলিযোগাযোগ, কৃষিনির্ভর শিল্প, প্লাস্টিক পণ্য প্রভৃতি ৩৭১ ধরনের শিল্প স্থাপনের কথা রয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কখন হবে তা রয়েছে অনিশ্চয়তায়।

বেজার মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) দয়ানন্দ দেবনাথ বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করায় ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের কাজ বন্ধ রয়েছে। নতুন ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। চুক্তি হলেই নতুন করে কাজ শুরু হবে। কবে নাগাদ এ চুক্তি হতে পারে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চায়না ইকোনমিক জোন ঘিরে চট্টগ্রামে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকা এবং বিস্তীর্ণ জায়গা অব্যবহৃত পড়ে থাকা দুঃখজনক। তিনি বলেন, একই সঙ্গে চুক্তি হলেও যেখানে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে সেখানে চায়না ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু করতে না পারা দুঃখজনক। যদি কোনো জটিলতা থেকে থাকে তা নিরসন করে দ্রুত প্রকল্পের কাজ দরকার।

-দেশ রূপান্তর

বিস্ফোরণের দায় ডিপো কর্তৃপক্ষের

বিস্ফোরণের দায় ডিপো কর্তৃপক্ষের

শামসুল ইসলাম :

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গঠিত তদন্ত কমিটি। একই সঙ্গে ডিপোগুলোর কার্যক্রম তদারকিতে নিয়োজিত ২৫ সংস্থার সমন্বয়হীনতার বিষয় উঠে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ডিপোগুলোতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ২০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে কমিটি।

 বুধবার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে ১৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার প্রতিবেদন বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা সম্পর্কে সরকারের সর্বোচ্চ মহল অবগত। আমরা এই তদন্ত প্রতিবেদক সরকারের উচ্চপর্যায়ে জমা দেব।’

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনাকালে কমিটির সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থল বিএম কন্টেইনার ডিপো ও ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আল রাজী কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা বিএম কন্টেইনার ডিপো ও আল রাজী  কেমিক্যালসের দুই মালিক মোস্তাফিজুর রহমান ও মুজিবুর রহমানসহ মোট ২৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে বিএম কন্টেইনার ডিপোর দুই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জিয়াউল হায়দার ও জিএম মার্কেটিং নাজমুল আকতার খানের কাছে তদন্ত কমিটি নোটিস পাঠালেও তারা দুজন কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কোনো বক্তব্য দেননি। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জিয়াউল হায়দার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ৩১ মে সর্বশেষ তিনি ডিপোতে যান। আর নাজমুল আকতার খান দুর্ঘটনার পর পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি।

বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলোর কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা কাস্টমস, চট্টগ্রাম বন্দর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার তদারকি কার্যক্রম এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ডিপো কর্তৃপক্ষের কমপ্লায়েন্স কার্যক্রমের প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি।

ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানের মালিকানার বিষয়টি গৌণ করে দেখানোর চেষ্টা করা হলেও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মুজিবুর রহমান ও তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমানকে বিএম ডিপোর ৫১ শতাংশের ও আল রাজী কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের শতভাগ মালিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

১১৮টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হতো পুরো কন্টেইনার ডিপো। সাতটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিনে এসব তথ্য সংরক্ষণ করা হলেও মেশিনগুলো পুড়ে যাওয়ায় সিসিটিভির কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তদন্তকালে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজের কোনো ব্যাকআপও পাওয়া যায়নি। যে কারণে অগ্নিকা-ের সূত্রপাতসহ তদন্ত-সংশ্লিষ্ট অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। একটি বিদেশি অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে প্রযুক্তিগতভাবে সংরক্ষিত তথ্যের কোনো ব্যাকআপ না থাকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ভিডিও ফুটেজ না পেলেও ডিপোতে থাকা রাসায়নিক থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে মন্তব্য করেছে তদন্ত কমিটি।

প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ‘মূলত তিনটি বিষয়কে সামনে রেখেই আমরা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এগুলো হলো বিস্ফোরণ ও অগ্নিকা-ের কারণ, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন।’ তিনি বলেন ‘আমরা সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, ডিপোর মালিকপক্ষ, দায়িত্বশীল কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়েছি। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও সেখানকার দায়িত্বশীলদের বক্তব্য গ্রহণ করেছি। তদারকি সংস্থাগুলোর তদারকি কার্যক্রম ও ডিপোর কমপ্লায়েন্স কার্যক্রমও পর্যালোচনা করেছি। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় এনে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এতে আমরা ভবিষ্যতে ডিপোগুলোর সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা এড়াতে ২০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছি। তবে এটাই যে চূড়ান্ত তা নয়, এ ঘটনায় আরও বৃহত্তর তদন্তও হতে পারে।’

গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে প্রথমে আগুন ও পরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আগুন নেভাতে যাওয়া ৯ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫০ জন মারা যান। আহত হন দুই শতাধিক।

ঘটনা তদন্তে ৫ জুন ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন খান, কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ডা. আবু নুর রাশেদ আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মুফিদুল আলম, সেনাবাহিনীর মেজর আবু হেনা মো. কাউসার জাহান, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আকতার।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গঠিত তদন্ত কমিটি। একই সঙ্গে ডিপোগুলোর কার্যক্রম তদারকিতে নিয়োজিত ২৫ সংস্থার সমন্বয়হীনতার বিষয় উঠে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ডিপোগুলোতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ২০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে কমিটি।

গতকাল বুধবার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে ১৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার প্রতিবেদন বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা সম্পর্কে সরকারের সর্বোচ্চ মহল অবগত। আমরা এই তদন্ত প্রতিবেদক সরকারের উচ্চপর্যায়ে জমা দেব।’

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনাকালে কমিটির সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থল বিএম কন্টেইনার ডিপো ও ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আল রাজী কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা বিএম কন্টেইনার ডিপো ও আল রাজী  কেমিক্যালসের দুই মালিক মোস্তাফিজুর রহমান ও মুজিবুর রহমানসহ মোট ২৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে বিএম কন্টেইনার ডিপোর দুই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জিয়াউল হায়দার ও জিএম মার্কেটিং নাজমুল আকতার খানের কাছে তদন্ত কমিটি নোটিস পাঠালেও তারা দুজন কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কোনো বক্তব্য দেননি। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জিয়াউল হায়দার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ৩১ মে সর্বশেষ তিনি ডিপোতে যান। আর নাজমুল আকতার খান দুর্ঘটনার পর পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি।

বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলোর কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা কাস্টমস, চট্টগ্রাম বন্দর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার তদারকি কার্যক্রম এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ডিপো কর্তৃপক্ষের কমপ্লায়েন্স কার্যক্রমের প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি।

ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানের মালিকানার বিষয়টি গৌণ করে দেখানোর চেষ্টা করা হলেও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মুজিবুর রহমান ও তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমানকে বিএম ডিপোর ৫১ শতাংশের ও আল রাজী কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের শতভাগ মালিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

১১৮টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হতো পুরো কন্টেইনার ডিপো। সাতটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিনে এসব তথ্য সংরক্ষণ করা হলেও মেশিনগুলো পুড়ে যাওয়ায় সিসিটিভির কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তদন্তকালে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজের কোনো ব্যাকআপও পাওয়া যায়নি। যে কারণে অগ্নিকা-ের সূত্রপাতসহ তদন্ত-সংশ্লিষ্ট অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। একটি বিদেশি অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে প্রযুক্তিগতভাবে সংরক্ষিত তথ্যের কোনো ব্যাকআপ না থাকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ভিডিও ফুটেজ না পেলেও ডিপোতে থাকা রাসায়নিক থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে মন্তব্য করেছে তদন্ত কমিটি।

প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ‘মূলত তিনটি বিষয়কে সামনে রেখেই আমরা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এগুলো হলো বিস্ফোরণ ও অগ্নিকা-ের কারণ, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন।’ তিনি বলেন ‘আমরা সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, ডিপোর মালিকপক্ষ, দায়িত্বশীল কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়েছি। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও সেখানকার দায়িত্বশীলদের বক্তব্য গ্রহণ করেছি। তদারকি সংস্থাগুলোর তদারকি কার্যক্রম ও ডিপোর কমপ্লায়েন্স কার্যক্রমও পর্যালোচনা করেছি। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় এনে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এতে আমরা ভবিষ্যতে ডিপোগুলোর সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা এড়াতে ২০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছি। তবে এটাই যে চূড়ান্ত তা নয়, এ ঘটনায় আরও বৃহত্তর তদন্তও হতে পারে।’

গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে প্রথমে আগুন ও পরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আগুন নেভাতে যাওয়া ৯ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫০ জন মারা যান। আহত হন দুই শতাধিক।

ঘটনা তদন্তে ৫ জুন ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন খান, কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ডা. আবু নুর রাশেদ আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মুফিদুল আলম, সেনাবাহিনীর মেজর আবু হেনা মো. কাউসার জাহান, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আকতার।

-দেশ রূপান্তর

পদ্মা সেতুর আদলে হবে কালুরঘাট রেল-সড়ক সেতু

পদ্মা সেতুর আদলে হবে কালুরঘাট রেল-সড়ক সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর আদলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর ওপর হবে কালুরঘাট রেল-সড়ক সেতু। দ্বিতল বিশিষ্ট এই সেতুতে উপরে যানবাহন ও নিচে রেল চলাচল করবে। সেতুর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা রেলওয়ে বুধবার বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে দাতা সংস্থা কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর সেতুর কাজ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ‘কালুরঘাট সেতু নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। পদ্মা সেতুর আদলে আগামী বছরের শুরুতে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। সেতুটির ৭৮০ মিটারের উপরে চলবে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। দুটিই হবে ডাবল লাইনের। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে ৭৮০ মিটার, বায়াডাক্ট ৫ দশমিক ৬২ মিটার। স্প্যান হবে ১০০ মিটার। ব্রিজের উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার।’

তিনি জানান, প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে কাজ শুরুর সময় থেকে চার বছর। আর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একনেকে অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তারা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেতুটি নির্মাণ শেষ হতে বর্তমান সময় থেকে পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফাসহ রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নূতন চন্দ্র সিংহ-বিনোদ বিহারীর নামে বৃত্তি ইডিইউতে

নূতন চন্দ্র সিংহ-বিনোদ বিহারীর নামে বৃত্তি ইডিইউতে

মুক্তিযুদ্ধে শহিদ নূতন চন্দ্র সিংহ ও বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন দুটো বৃত্তি চালু করেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া ডেটা এনালিটিক্স এন্ড ডিজাইন থিংকিং ফর বিজনেস এবং আধুনিকতম কারিকুলামে সাজানো এমএ ইন ইংলিশে ভর্তি হলেই শিক্ষার্থীরা এ দুই বৃত্তির অধীনে টিউশন ফি’তে ৭০ শতাংশ ছাড়। বাংলাদেশের অন্যতম দুই কৃতি ব্যক্তিত্বকে সম্মান জানিয়ে গৃহিত এ উদ্যোগের জন্য ইডিইউকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. রাণা দাশগুপ্ত তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, নিখাদ দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের সংকটের এ ক্রান্তিকালে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোদ্ধা বিনোদ বিহারী চৌধুরী এবং নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক সমাজসেবী শহিদ নূতন চন্দ্র সিংহের অমর স্মৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে চিরজাগরুক রাখার জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা শুধু প্রশংসনীয় নয়, অনন্যও বটে। কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগের সার্বিক সফলতা আন্তরিকতার সাথে কামনা করছি।
ইডিইউর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে ইডিইউ। সম্প্রতি দেশের কৃতি ব্যক্তিত্বদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার যে উদ্যোগ তারা নিয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আমাদের পূর্বসুরীদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে এবং ভালো কাজের অনুপ্রেরণা পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, বাংলার সুদীর্ঘ ইতিহাসের নানা সময়ে সমাজ ও দেশের প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছেন, নেতৃত্বের ভার তুলে নিয়েছেন বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিত্বরা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাদের অনেকেরই কৃতিত্বের কথা যথার্থভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন। দেশ-জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে ইডিইউ এমন কৃতি ব্যক্তিত্বদের নামে বিশেষ বৃত্তি এনেছে। নূতন চন্দ্র সিংহ ও বিনোদ বিহারীর সঙ্গে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা ছিলো আমার বাবা, ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের। তারই অনুপ্রেরণায় এ দুই কৃতি ব্যক্তিত্বের নামে বৃত্তির প্রস্তাব রাখি আমি। কেননা আমি মনে করি, প্রকৃত গুণীকে তার প্রাপ্য সম্মান না জানালে পরবর্তী প্রজন্মে এমন ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার ধারাবাহিতা ও অনুপ্রেরণা তৈরি হয় না।
ডেটা অ্যানালিটিক্স এন্ড ডিজাইন থিংকিং ফর বিজনেস শীর্ষক বাংলাদেশের একমাত্র মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হলেই শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে ‘নূতন চন্দ্র সিংহ স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এর অধীনে টিউশন ফি’তে ৭০ শতাংশ ছাড়। মুক্তিযুদ্ধে শহিদ নূতন চন্দ্র সিংহ চট্টগ্রামের রাউজানে সাধারণের সাহায্যার্থে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দাতব্য চিকিৎসালয়, স্কুল-কলেজ, যার সুবিধা এখনো পাচ্ছে জনসাধারণ। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে রেখেছিলেন অতুলনীয় ও সাহসী ভূমিকা। তার এ অবদান বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে এ বৃত্তির উদ্যোগ নিয়েছে ইডিইউ কর্তৃপক্ষ।
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মাস্টারদা সূর্য সেনের বিপ্লবী বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন বিনোদ বিহারী চৌধুরী। চট্টগ্রামের জালালাবাদ যুদ্ধে বৃটিশ সৈনিকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন বিনোদ বিহারী। এছাড়াও আজীবন, এমনকি বৃদ্ধ বয়সেও নানান রাজনৈতিক সংকটে, আন্দোলনে অংশ নিয়ে তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি। তার সম্মানার্থে চালু হওয়া ‘বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এর অধীনে এমএ ইন ইংলিশে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে টিউশন ফি’তে ৭০ শতাংশ ছাড়।
এ মহতি উদ্যোাগের জন্য সাঈদ আল নোমান ও ইডিইউ পরিবারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন শহিদ নূতন চন্দ্র সিংহের দৌহিত্র রাজীব সিংহ। তিনি বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমরা নূতন চন্দ্র সিংহের স্মৃতি রক্ষার্থে নানা উদ্যোগ নিলেও, কোন প্রতিষ্ঠান এবারই প্রথম এমন উদ্যোগ। জাতির কৃতি ব্যক্তিদের আদর্শকে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার এ অনন্য প্রচেষ্টার সার্থকতা কামনা করি। সাঈদ আল নোমানের সুনেতৃত্বে পরিচালিত ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি অন্যদের জন্য এক অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সমন্বয়ে গঠিত ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। তারা দেশপ্রেম ও স্বদেশের মঙ্গল কামনায় নানা রকম সুযোগ-সুবিধায় সমৃদ্ধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়কে। ইডিইউ কর্তৃপক্ষের বাংলার ইতিহাসের কৃতি ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করার উদ্যোগ এবারই প্রথম নয়। এর আগে বাংলাদেশে প্রথমবারের শুরু হওয়া মাস্টার অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড লিডারশিপ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে ইডিইউ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সরকার বিদ্যুৎ খাতে ২৮হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

সরকার বিদ্যুৎ খাতে ২৮হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ মেট্রো ডেক্স :

সরকার বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে মোট ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখার জন্য গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানিতে আমাদেরকে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে লোড-শেডিং দিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন তিনি ।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ নামে দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসভিত্তিক আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধনকালে প্রধান আজ বুধবার এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসময় প্রধানমন্ত্রী চুয়েট শেখ জামাল ডরমিটরি এবং রোজী জামাল ডরমিটরি’র ও উদ্বোধন করেন।


প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংরক্ষণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট সময় ভিত্তিক লোড-শেডিংয়ের জন্য একটি রুটিন তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘কোন এলাকায় কত সময় লোড-শেডিং দেওয়া হবে তার একটি রুটিন তৈরি করুন। কারণ, জনগণ যেন সেজন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং তাদের দুর্ভোগ কমানো যায়।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী তেল, এলএনজি, ডিজেলসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে এবং আমেরিকা ও ইউরোপের রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে পরিস্থিতির যে অবনতি ঘটছে তা উপলব্ধি করে দেশবাসী সরকারকে এ লক্ষে সহায়তা করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ভর্তুকি ছাড়াও তাঁর সরকার দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য প্রণোদণা  প্যাকেজ দিয়েছে, ভর্তুকি মূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে এক কোটি রেশন কার্ড দিয়েছে এবং বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে, যা অনেক ধনী দেশ ও করেনি। সরকার প্রধান সারাদেশে ২৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দেন। যার মধ্যে ২০৫১টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে এবং ৬৬৫টি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।  আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপর আমেরিকা ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামালের অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধি ঘটেছে এবং সরকারকে কী পরিমাণ ভর্তুকি বাড়াতে হয়েছে তারও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, যে ফার্নেস অয়েলের মূল্য ছিল মাত্র ৭০৮ টাকা। সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের পর হয়ে গেছে ১ হাজার ৮০ টাকা, অর্থাৎ ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এলএনজি যেটা মাত্র ১০ মার্কিন ডলারে ক্রয় করা হতো, যুদ্ধের ফলে সেটা এখন ৩৮ মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ২৮০ শতাংশ দাম বেড়ে গেছে। আমাদের কয়লাও ১৮৭ মার্কিন ডলার ছিল, এখন ২৭৮ মার্কিন ডলার। বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬১ শতাংশ। ডিজেলের লিটার ৮০ মার্কিন ডলার ছিল তা এখন ১৩০ এ চলে আসছে। শোনা যাচ্ছে ৩০০ ডলার পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে। ভোজ্য তেলেরও দাম বাড়ছে। প্রত্যেকটা জিনিষ যে গুলো কিনে আনতে হয় তাঁর দাম অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  প্রতি কিউবিক মিটার এলএনজি ক্রয়ে সরকারের ব্যয় ৫৯ দশমিক ৬০ টাকা। কিন্তু আমরা সেটা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছিলাম মাত্র ৯ দশমিক ৬৯ টাকায়। যেটা সম্প্রতি ১১ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তারপরও বিশাল অংকের ভুতর্কি রয়ে গেছে সেখানে। নবায়নযোগ্য জ¦ালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রতি ইউনিটে উৎপাদন ব্যয় ১২ দশমিক ৮৪ টাকা কিলোওয়াট ঘন্টা, কিন্তু একক প্রতি পাইকারি মূল্যে আমরা দিচ্ছি ৫ দশমিক ০৮ টাকায়, ফার্নেস ওয়েলের প্রতি একক ইউনিটের উৎপাদন ব্যয় হচ্ছে ১৭ দশমিক ৪১ টাকা, সেটাও আমরা ৫ দশমিক ০৮ টাকায় দিচ্ছি। ডিজেলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ৩৬ দশমিক ৮৫ টাকা সেখানেও আমরা ৫ দশমিক ০৮ টাকা দরে বিদ্যুৎ বিক্রি করছি। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ১২ দশমিক ৩৭ টাকা,কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৫ দশমিক ০৮ টাকায়। অর্থাৎ সারা বিশ্ব এখন একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।
সরকার পরিবর্তন হলেই উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হওয়ার যে রীতি দেশে প্রচলিত রয়েছে তা যেন আর না হয় সেটাও দেখার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার বিনা অর্থ ব্যয়ে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-উই’ এ সংযুক্ত হওয়ার প্রস্তাব রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অজুহাতে ফিরিয়ে দিয়ে দেশের বিরাট ক্ষতি করে।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে তিনি তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং পৃত্র ও তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে সঙ্গে নিয়ে মালয়েশিয়া সফরকালে মালয়েশিয়ার ‘সাইবারজায়া টেকনোলজি পার্ক’ পরিদর্শনের পর জয় একই আদলে বাংলাদেশেও হাই-টেক পার্ক নির্মাণের প্রস্তাব দেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর তদানিন্তন সরকার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেরও উদ্যোগ নেয়। কিন্তু, দুঃখজনক হল ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামাত জোট হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ফলে, বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেমন- ভারত, মালয়েশিয়া হাই-টেক পার্ক/ সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হলেও পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সেই সময়কার আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ছোট বোন রেহানার মেয়ে টিউলিপের নামের সাথে কম্পিউটার কোম্পানীর নামের মিল থাকায় এটা তাঁর (বর্তমানে লেবার পার্টির নির্বাচিত এমপি এবং শ্যাডো মিনিস্টার টিউলিপের ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানী) কোম্পানী বিবেচনায় দেশের ১০ হাজার স্কুলে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় অর্ধেক দামে নেদারল্যান্ড থেকে কম্পিউটার আমদানির যে চুক্তি করেছিলাম তাও বিএনপি সরকার বাতিল করে দেয়। এজন্য রাষ্ট্রীয়  কোষাগার থেকে  ৩২ কোটি টাকা জরিমানাও গুণতে হয় সরকারকে।
তাঁর সরকার যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছে তার ফলাফলটা এ দেশের নতুন প্রজন্ম পাবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আজকের উদ্যোক্ত তৈরীতে শেখ কামাল বিজনেস ইউকিউবেটর স্থাপনকেও তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মোবাইল এবং ল্যাপটপ উৎপাদনে সহায়ক ১৫৬ টিরও বেশি যন্ত্রাংশের উপর ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক হ্রাস করে দিচ্ছি। ফলে, বিশ্বের খ্যাতনামা ব্রান্ডের ১৫টি কোম্পানির মোবাইল ফোন সেট আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে এবং ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামীতে গার্মেন্টস পণ্যের সাথে আমাদের ডিজিটাল ডিভাইসও সমানতালে বাংলাদেশে উৎপাদন এবং রপ্তানী হবে। আর রপ্তানী খাতে আগামীতে এটাই হবে একটি উল্লেখযোগ্য পণ্য যেটা রপ্তানী করে আমরা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো। আর সে লক্ষ্য নিয়েই তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং সমগ্র বাংলাদেশেরই সেভাবে প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কোনভাবেই যেন আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে পিছিয়ে না থাকে সেভাবেই আমরা তাদের প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যবস্থাট করছি।
তিনি বলেন, যে সমস্ত অবকাঠামো আমরা তৈরী করছি তা হবে আগামী প্রজন্মের মেধা, বুদ্ধি, জ্ঞানের বিকাশ কেন্দ্র এবং তাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও দেশপ্রেমের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠবে জাতির স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। জাতির পিতা সেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখে যেতে না পারলেও তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণই আমাদের দায়িত্ব।

-বাসস

চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৬ কলেজে শতভাগ পাস, ২টিতে শূণ্য

চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৬ কলেজে শতভাগ পাস, ২টিতে শূণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :

এবারের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ১৬টি কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। আর শতভাগ ফেল করেছে ২টি কলেজের পরীক্ষার্থী।

রোববার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এবার এইচএসসিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩হাজার ৭২০ জন। এবারের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডের অধিনে মোট ২৬৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এর মধ্যে ১৬টি কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। কলেজগুলো হলো- চট্টগ্রাম কলেজ, ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ, হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, সেন্ট প্লাসিড’স স্কুল এন্ড কলেজ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, বান্দরবানের লামার কোয়ান্টাম কসমো হাই স্কুল, সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, সেন্ট স্কলাসস্টিকা গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজ, আনোয়ারার কাফকো স্কুল এন্ড কলেজ সাউথপয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, কক্সবাজারের বিআইএম ল্যাবরেটরি (ইংলিশ মিডিয়াম) স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রামের মেরন সান কলেজ, বোয়ালখালীর পশ্চিম কদুরখীল স্কুল এন্ড কলেজ ও  চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরি কলেজ।

অন্যদিকে পাসের হার শূন্য এমন কলেজের সংখ্যা দুটি। তারমধ্যে চট্টগ্রাম আইডিয়াল কলেজের ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয় এবং মহালছড়ির বৌদ্ধ শিশুঘর হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫.২৬

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫.২৬

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফল আজ প্রকাশ করা হয়েছে। মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ সকল বোর্ডের পরীক্ষার গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এ বছরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের এই পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়।
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯ টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করেন। পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তন থেকে এই ফলাফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি।
এ বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৪ জন। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন। এরমধ্যে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, উর্ত্তীণের মোট সংখ্যার ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
২০২০ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। এরমধ্যে অংশগ্রহণ করেছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। পাসের হার ছিল শতভাগ।
এবার ৯ হাজার ১১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯৩৪ টি। কেন্দ্র সংখ্যা ২ হাজার ৬২১ টি। উত্তীর্ণ হয়নি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ টি।
আগের বছরের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ২৭ হাজার ৩৬২ জন। ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মোট ৪৭ হাজার ২৮৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ -৫ পেয়েছিল।
ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে উচ্চমাধ্যমিক,আলিম,উচ্চমাধ্যমিক ভোকেশনাল,উচ্চমাধ্যমিক ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা শুরু হয় এবং মুল্যায়ন শেষে জুলাই মাসে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন,এ বছর কোভিড-১৯ জনিত অতিমারীর কারণে সময়মত পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয় পত্রে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস,সংক্ষিপ্ত সময় এবং নম্বর বন্টনে পরিবর্তন এনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

-বাসস

ময়মনসিংহে র‌্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময় শেষে ৪ জঙ্গী আটক

ময়মনসিংহে র‌্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময় শেষে ৪ জঙ্গী আটক

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি  :

ব্রহ্মপুত্র নদী তীরে ময়মনসিংহের খাগডহর এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পর আটক হয়েছে চার জঙ্গী। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি রিভলবারসহ বেশ কিছু দেশী অস্ত্র। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

র‍্যাব-১৪-এর অধিনায়ক মো. রোকনুজ্জামান জানান, জঙ্গিদের তৎপরতা ও অবস্থানের গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাব-১৪ এর একটি দল খাগডহর এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেরে জঙ্গিরা গুলি ছুড়লে র‍্যাব সদস্যরাওও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে জঙ্গীরা পিছু হটতে থাকেল র‌্যাব সদস্যরা  চারজনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি বিদেশি রিভলভার, তিনটি চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের নাম-পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।