Home Blog Page 19

১৬১ ইউপি ও ৯ পৌরসভায় ভোট ২০ সেপ্টেম্বর

১৬১ ইউপি ও ৯ পৌরসভায় ভোট ২০ সেপ্টেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্থগিত থাকা দেশের ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ৯ পৌরসভায় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত  নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদের কুমিল্লা-৭ শূণ্য আসনে আগামী ৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সচিব জানান, ‘প্রথম ধাপে ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৬১ ইউপিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। পাঁচটি ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মারা গেছেন। এছাড়া কক্সবাজারের একটি ইউপিতে আপাতত ভোট বন্ধ রাখার জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছে। এ জন্য আপাতত ১৬১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি জানান, স্থগিত থাকা ৯টি পৌরসভায়ও একই দিন ভোটগ্রহণ করা হবে।
২০ সেপ্টেম্বর যেসব ইউনিয়ন পরিষদের ভোট অনুষ্টিত হবে সেগুলো  হলো—খুলনার কয়রার আমাদি, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা, উত্তর বেকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী। দাকোপের পানখালী, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, বাজুয়া ও বানিশান্তা। বটিয়াঘাটার গংগারামপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও আমিরপুর। দীঘলিয়ার গাজীরহাট, বারাকপুর, দীঘলিয়া, সেনহাটা, আড়ংঘাটা, যোগীপুল। পাইকগাছার সোলাদানা, রাড়ুলী, গড়ইখালী, চাঁদখালী, দেলুটি, লতা ও কপিলমুনি। বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটের বেতাগা, লখপুর, পিলজংগ, ফকিরহাট, বাহির দিয়ামানসা, নলধা মৌভোগ ও শুভদিয়া। মোল্লাহাটের উদয়পুর, চুনখোলা, কোদালিয়া, আটজুড়ি, গাওলা ও কুলিয়া। চিতলমারীর বড়বাড়িয়া, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী, চরবানিয়ারী, কলাতলা ও সন্তোষপুর। কচুয়ার গজালিয়া, ধোপাখালী, মঘিয়া, গোপালপুর, রাঢ়ীপাড়া ও বাধাল। রামপালের গৌরম্ভা, বাইনতলা, হুড়কা, মল্লিকের বেড়, বাঁশতলী, উজলপুর, রামপাল, পেড়িখালী ও ভোজপাতিয়া। মোংলার চাঁদপাই, বুড়িরডাঙ্গা, চিলা, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও সুন্দরবন। মোরেলগঞ্জের পঞ্চকরণ, দৈবজ্ঞহাটী, চিংড়াখালী, হোগলাপাশা, বনগ্রাম, বলইবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, বহরবুনিয়া, নিশানবাড়িয়া, মোরেলগঞ্জ, তেলিগাতী, পুঁটিখালী, রামচন্দ্রপুর, জিউধরা, বারইখালী। শরণখোলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা, সাউথখালী। বাগেরহাট সদরের বারুইপাড়া, বেমরতা, বিষ্ণুপুর, ডেমা, কাড়াপাড়া, খানপুর ও রাখালগাছি। সাতক্ষীরার কলারোয়ার কয়লা, হেলাতলা, যুগীখালী, জয়নগর, জালালাবাদ, লাঙ্গলঝাড়া, কেঁড়গাছি, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর ও দেয়াড়া। তালার ধানদিয়া, তেঁতুলিয়া, তালা, ইসলামকাটি, মাগুরা, খেসরা, জালালপুর, খলিলনগর, নগরঘাটা, সরুলিয়া ও খলিষখালী। নোয়াখালী সুবর্ণচরের চরবাটা, চরক্লার্ক, চরওয়াপদা, চর আমানউল্যাহ, পূর্ব চরবাটা ও মোহাম্মদপুর। হাতিয়ার মুছাপুর, চরহাজারী। হাতিয়ার চর ঈশ্বর, চরকিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়িরচর, জাহাজমারা ও নিঝুমদ্বীপ। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাউরিয়া, গাছুয়া, সন্তোষপুর, আমানউল্লা, হরিশপুর, রহমতপুর, আজিমপুর, মুছাপুর, মাইটভাঙ্গা, সারিকাইত, মগধরা ও হারামিয়া। কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক, মাতারবাড়ী ও কুতুবজোম। কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল, বড়ঘোপ, দক্ষিণধুরং, কৈয়ারবিল, লেমশীখালী ও উত্তরধুরুং। পেকুয়ার টেটং। টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাং, টেকনাফ ও হোয়াইক্যং।
যে ৯টি পৌরসভায় ভোট হবে: এদিকে ২০ সেপ্টেম্বর যে ৯টি পৌরসভা নির্বাচন হবে সেগুলো হলো—কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর কবিরহাট, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে যশোরের নওয়াপাড়া এবং চট্টগ্রামের বোয়ালখালী।

প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর নেই

প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ আর নেই

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
করোনাকে জয় করলেও করোনা পরবর্তী জটিলতার কাছে হার মানলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গূহ। রবিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বুদ্ধদেব গুহ ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেনপশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ এই সাহিত্যিক ৷ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি ৷

কলকাতার নিউজ ১৮ বাংলার খবরে বলা হয়, এ বছরই এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ ৷ একমাসের বেশি সময় হাসপাতালে ভর্তি থেকে করোনাকে জয় করলেও এবার আর পারলেন না।  হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বুদ্ধদেব গুহর।
এর আগে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরও মূলত শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্যই ফের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় বুদ্ধদেব গুহকে। বুদ্ধদেববাবুর মূত্রনালীতে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। চার সদস্যের চিকিৎসকের প্রতিনিধিদল হাসপাতালে তাঁর দেখাশোনা করছিলেন। তবে এবার আর শেষরক্ষা হল না ৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত এই স্বনামধন্য সাহিত্যিক ৷
এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হন বুদ্ধদেব গুহ। এক মাসের বেশি সময় তাঁকে লড়াই করতে হয়েছিল হাসপাতালের বেডে। আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর মেয়ে এবং ড্রাইভারও। সুস্থ হওয়ার পর বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে ফিরে তিনি নিজে যদিও জানিয়েছিলেন, এখনই আমি ফুরব না।
দুই বাংলা জুড়ে বুদ্ধদেব গুহর অগণিত ভক্ত রয়েছেন ৷ তাঁদের প্রিয় সাহিত্যিকের প্রয়াণে বাংলার সাহিত্য জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ৷
১৯৩৬ সালে ২৯ জুন কলকাতায় জন্ম নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ ৷ পেশাগত জীবনে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হলেও তাঁর ছোটগল্প ও উপন্যাসে পাঠক পান এক স্বপ্নালু বিমূর্ততা ও রোম্যান্টিক আবেদন ৷

ধেয়ে আসছে হারিকেন ‘ইদা’

ধেয়ে আসছে হারিকেন ‘ইদা’

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

আমেরিকার গালফ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন ‘ইদা’।

ষোলো বছর আগে এই অঞ্চলেই আছড়ে পড়েছিল ‘কাটরিনা’। আজ রবিবার নাগাদ আমেরিকার নিউ অরলিয়েন্সে ঝড়টি আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

১৬ বছর আগের ‘কাটরিনা’য় (Hurricane Katrina) ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল। এ বারও আসন্ন প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (President Joe Biden) জানিয়েছেন, হারিকেন ইদা ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে।
জানা গিয়েছে। এটি একটি ক্যাটাগরি-২ হারিকেন, যার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ মাইল বা ১৬০ কিলোমিটার। ১৮৫০ সালের পর সম্ভবত এমন ভয়ঙ্কর ঝড় আগে আসেনি। যে কোনও সময়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলেই প্রশাসনের তরফে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান। বহু মানুষ নিউ অরলিয়েন্স (New Orleans) ছেড়ে চলেও যাচ্ছেন। আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ইদা ভয়ঙ্কর হারিকেনের আকার নিতে পারে।’ রবিবার বিকেল নাগাদ ১৪০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে উপকূলে এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র  : জি ২৪ঘন্টা

সম্পূর্ণ অসত্যের ওপর বিএনপির রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

সম্পূর্ণ অসত্যের ওপর বিএনপির রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপিকে অসত্য এবং মিথ্যাচারের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অসত্যের ওপর বিএনপির রাজনীতিটা দাঁড়িয়ে আছে। মিথ্যা আর অসত্যের ওপর রাজনীতি করে বেশিদিন ঠিকে থাকা যায়না, এটিই হচ্ছে ইতিহাসের শিক্ষা। তাহলে হয়তো বিএনপির আজকের যে অবস্থা সেটা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একটি সত্য কথা বলেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে আসলে জিয়াউর রহমানের কোন লাশ নাই। সেটি যখন প্রধানমন্ত্রী বললেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটা বক্তব্য দিয়েছেন, অবশ্য সেটা নাদিলে তার মহাসচিব পদ থাকে কিনা সেটাও একটা ব্যাপার আছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমিতো চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার মানুষ, রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নে নাকি জিয়াউর রহমানকে প্রথম কবর দেয়া হয়েছিল। সেখানেও জিয়াউর রহমানকে কবর দিতে কেউ দেখেনি, একটা বাক্স দেখেছিল। সেদিনকার প্রত্যক্ষদর্শী বর্তমানে সেই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন, তিনিও আমাকে জানিয়েছেন আমরা জিয়াকে দেখি নাই। সেসময়ের আরো অনেকেই জীবিত আছে, তথাকথিত প্রথম কবরেও আসলে জিয়াউর রহমানের লাশটা কেউ দেখে নাই। এমনকি খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, বিচারপতি সাত্তারও দেখে নাই। জি¦ন কিংবা ভুতে দেখেছে কিনা আমি জানিনা।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ১৫ ও ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারন সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, দেবাশীষ পালিত, জসিম উদ্দিন শাহ, শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, গিয়াস উদ্দিন, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খাঁন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতারা ক্রমাগতভাবে বঙ্গবন্ধুর ভুমিকাকে অস্বিকার করে আসছে। তারা একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্ঠা চালান। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবরে যান তারা, কোন সময় কারো বিয়ে ও কর্ণছেদন অনুষ্ঠান উপলক্ষেও তারা জিয়াউর রহমানের কবরে যান সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। সেখানে গিয়ে আবার তারা মারামারি করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অনেক অপচেষ্ঠা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের পাতা থেকে নির্বাসিত করার অপচেষ্ঠা হয়েছে। রেডিও টেলিভিশন রাষ্ট্রিয় প্রচার যন্ত্র থেকে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসিত করা হয়েছে। স্বাধীনতার খলনায়ক পাকিস্তানিদের দোসর জিয়াউর রহমানকে নায়ক বানানোর চেষ্ঠা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাওেন্ডর সাথে ওঁৎপ্রোতভাবে যুক্ত ছিল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বহু আগেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৪৮ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের প্রথম স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে বঙ্গবন্ধু বিবৃতি দিয়েছিলেন, যেটি তখনকার ইত্তেহাদ পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল, লিপলেট আকারেও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, গত এক বছরে প্রমাণ হয়েছে পাকিস্তান কেন্দ্রিয় সরকার জনগণের সত্যিকার মুক্তির জন্য কিছুই করতে পারেনি। তাই ১৪ আগস্ট আনন্দ উল্লাসের দিন নয়, বরং নিগ্রহের হাত থেকে মুক্তি পাবার শপথ নেওয়ার দিন হিসেবে পালন করার আহবান জানিয়েছিলেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫১ সালে কমরেড মণিসিংকে চিঠি লিখেছিলেন আমি পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার পরিকল্পনা করছি, আপনারা আমার সাথে থাকবেন কিনা। এনিয়ে তিনি কারাগারে বৈঠকও করেছেন। এটি কমরেড মণিসিংয়ের বক্তব্য। যেটি তৎসময়ে দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখতে পায় অনেক বাঙালি নেতা বাঙালির স্বাধীনতার জন্য চেষ্ঠা করেছেন। ১৮৩০ সালে তিতুমীর বাঁশের কেল্লা তৈরী করে বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বাঙালির জন্য স্বাধীনতার প্রচেষ্ঠা চালিয়েছিলেন। এর এক’শ বছর পর ১৯৩০ সালে মাষ্টারদা সূর্যসেন চট্টগ্রামে বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে চট্টগ্রামকে ১১দিন স্বাধীন রেখেছিলেন। ১৯৪৪ সালে নেতাজি সুবাস বসু মায়ানমারে ইন্ডিয়ান লিবারেশন আর্মির সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন তোরা রক্ত দে, আমি স্বাধীনতা দিব। বাঙালি রক্তও দেয়নি স্বাধীনতাও আসেনি। বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার মুলমন্ত্রে উজ্জিবীত করেছিলেন। ত্রিশ লক্ষ মানুষ রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছে বঙ্গবন্ধুর আহবানে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ এমনভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানিরা তাকে বিদ্রোহী বলে আখ্যায়িত ও অভিযোগ গঠন করতে পারেনি। তখন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডি হেডকোয়ার্টারে রিপোর্ট দিয়েছিল চতুর শেখ মুজিব কার্যত পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেখে দেখে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোন কিছুই করার ছিলনা।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজনীতির পাশাপাশি লেখাপড়াটা সঠিকভাবে চালিয়ে যাবার আহবান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা লেখাপড়াকে গুরুত্ব দেন। রাজনীতি হচ্ছে একটি ব্রত, দেশ এবং সমাজ পরিবর্তনের জন্য, সেটি মাথায় রাখতে হবে। যেকোন ত্যাগ স্বীকারে সবসময় প্রস্তুত থাকবে। রাজনীতি করতে গিয়ে যাতে পড়াশোনার ক্ষতি নাহয়। #

ইউক্রেনের বিমান অপহরণকান্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়

ইউক্রেনের বিমান অপহরণকান্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
কাবুল বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের উদ্ধারকারী বিমান অপহরণ-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। প্রথমে দাবি করা হয়েছিল, বিমানটি ছিনতাই করে ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ইরানের অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা হাইজ্যাকের অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়ে দেয়, ইরানের বিমানবন্দর থেকে জ্বালানি ভরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ফিরে গিয়েছে বিমান।
এর আগে ইউক্রেনের উপ বিদেশমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, রবিবার কাবুল বিমানবন্দরে উড়ানের দখল নেয় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা। মঙ্গলবার সেই বিমান নিয়ে ইরানের দিকে উড়ে যায় তারা। কিন্তু মন্ত্রীর এই দাবির তীব্র বিরোধিতা আসে তেহরান থেকে। সে দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা জানায়, অপহরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তেহরানের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৫০ নাগাদ বিমানটি মাসাদ বিমানবন্দর থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ফিরে গিয়েছে। এমনকি, কিয়েভ-এ বিমানের অবতরণের রিপোর্টও তাদের কাছে আছে বলে দাবি।
পরে অবশ্য ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রক অপহরণের খবর অসত্য বলে জানায়। ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে ইরানের প্রেস টিভির জানিয়েছে, কাবুলে ইউক্রেনের বিমান ছিনতাইয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। অপহরণের ‘গল্প’ সংবাদমাধ্যমের তৈরি করা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

বিচারপতি আমির হোসেন আর নেই

বিচারপতি আমির হোসেন আর নেই
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (সিএমএইচ) তিনি মারা যান।
সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিচারপতি আমির হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি বাসস’কে জানান।
বিচারপতি আমির হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
আজ এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আমির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বিচারপতি আমির হোসেন ১৯৫৭ সালের ৩০ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের নিকলীতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি ও এল.এল.এম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৯ সলের ৬ মে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
গাজীপুর জেলা জজ থাকা অবস্থায় তিনি ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জীবদ্দশায় এ বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, চীন, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, তুরস্ক, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নেদারল্যান্ডস সফর করেন।
আজ বাদ জোহর সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে মরহমের  জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
-বাসস

করোনা সনাক্ত : বন্দরে বিদেশি জাহাজ ও নাবিক কোয়ারান্টাইনে

করোনা সনাক্ত : বন্দরে বিদেশি জাহাজ ও নাবিক কোয়ারান্টাইনে
চীন থেকে সার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি বিদেশি জাহাজের ৭ নাবিকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাহাজটি থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রাখার পাশাপাশি জাহাজের সব নাবিককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
রবিবার রাতে এদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়েছে বন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ।
নাবিকদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির শিপিং এজেন্টের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, বাহামাস পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি সেরেন জুনিপার চীন থেকে ডিএপি (ডায়ামোনিয়াম ফসফেট) সারের চালান নিয়ে গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পণ্য খালাস শুরু করে।
গত ২১ আগস্ট জাহাজটির ক্যাপ্টেন স্থানীয় শিপিং এজেন্টের কাছে পাঠানো এক মেইল বার্তার মাধ্যমে জাহাজের ৭ জন নাবিকের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার কথা জানায়।
বিষয়টি শিপিং এজেন্ট বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ পণ্য খালাস বন্ধ রাখা ও নাবিকদের সম্পূর্ণ কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা দেয়। এরপর থেকে ওই জাহাজের পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জাবেদ দেশ রূপান্তরকে জানান, শনিবার বন্দরের নিজস্ব স্বাস্থ্যকর্মীরা বহির্নোঙরে অবস্থানরত এমভি সেরেন জুনিপার জাহাজে গিয়ে সেখানে থাকা ২১ জন নাবিকের নমুনা সংগ্রহ করে। এরপর নমুনাগুলো কভিড পরীক্ষার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।
রবিবার রাতে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের হাতে আসে। এতে দেখা যায়, ৭ জন নাবিকের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
বাকি ১৪ জনের ফল নেগেটিভ আসে। এ অবস্থায় জাহাজটির সব নাবিককে কোয়ারেন্টাইনে রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মাল্টিপোর্ট শিপিং লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, চীন থেকে ৪৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ডিএপি সারের চালান নিয়ে সিঙ্গাপুর বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে বাহামাস পতাকাবাহী জাহাজ এমভি সেরেন জুনিপার। চালানের একটি অংশ চট্টগ্রামে এবং অপর অংশ মোংলায় খালাস হওয়ার কথা। চট্টগ্রামের অংশ ইতিমধ্যে খালাস হয়ে গেছে।
শিপিং এজেন্ট মাল্টিপোর্ট শিপিং লিমিটেড এর পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, জাহাজটিতে আসা পণ্যের যে অংশ চট্টগ্রামে খালাস হওয়ার কথা ছিল তা খালাস হয়ে গেছে। যা বাকি রয়েছে সেগুলো মোংলা বন্দরে খালাস হওয়ার কথা। বন্দরের নির্দেশনা অনুসারে নাবিকদের কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে তা মোংলায় খালাস করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির অবস্থা বিবেচনায় রেখে বন্দরের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে বন্দরে আগত জাহাজের নাবিকদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি পালনসহ অন্যান্য নির্দেশনা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে করোনা চিকিৎসারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
সূত্র- দেশ রূপান্তর

চাঞ্চল্যকর সিনহা হত্যা মামলার বিচার শুরু : বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ

চাঞ্চল্যকর সিনহা হত্যা মামলার বিচার শুরু : বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মামলার বাদী ও নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সোমবার এ বিচার কাজ শুরু হয়।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বাদী শারমিন এ হত্যাকান্ডকে পূর্ব পরিকল্পিত দাবি করে বলেছেন টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশে পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন তাঁর ভাই সিনহা মো. রাশেদ। মামলায় অভিযুক্ত ১৫ আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত প্রথম দফা সাক্ষ্য গ্রহণ চলার পর আদালত এক ঘন্টার বিরতি দেয়া হয়। বিকেল সাড়ে তিনটায় পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাড়ে চারটায় সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবী করেন আদালত। তার আগে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের বেশ ক’জন বাদীকে বিভিন্ন বিষয়ে জেরা করেন। মামলার প্রধান তিন আসামি ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী এএসআই লিটন মিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা সময়ের অভাবে সোমবার বাদীকে জেরা করতে পারেননি। মঙ্গলবার তাঁরা জেরা করবেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন পিপি ফরিদুল আলম, অতিরিক্ত পিপি মোজাফফর আহমদ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন আহমদ।
অন্যদিকে আসামীদের পক্ষে এডভোকেট রানা দাশ গুপ্তসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আদালতে মামলা পরিচালনায় অংশ নেন। বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ অন্যান্য আসামীরা এসময় কাটগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পিপি ফরিদুল আলম এ প্রতিবেদককে বলেন, সোমবার মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল। এদের মধ্যে বাদীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। তাঁর জেরা অসমাপ্ত রয়েছে। মঙ্গলবারও জেরা অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ ২৫ আগস্ট আরও দুই দিন সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে বলে জানান তিনি।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গাড়ি থামিয়ে মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

হেফাজতের নতুন আমির নিয়ে শফিপন্থীদের অসন্তোষ

হেফাজতের নতুন আমির নিয়ে শফিপন্থীদের অসন্তোষ

আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমির ঘোষণার পর বিতর্ক ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম শূরা কমিটির সভা ছাড়া মৌখিক পরামর্শে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনকে অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিক আখ্যায়িত করছেন অনেকেই। বিশেষ করে আহমদ শফীপন্থি হিসেবে পরিচিতদের মধ্যে এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুর পর গত ১৯ আগস্ট তার জানাজার আগে নতুন আমির হিসেবে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর নাম ঘোষণা করা হয়।

কোনো ধরনের সাংগঠনিক সভা ছাড়া এভাবে সংগঠনের আমির নির্বাচন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। নেতাকর্মীদের অনেকে বলছেন, হেফাজতে ইসলাম বড় একটি সংগঠন। এর সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো আছে। আমিরের শূন্যতা পূরণে শূরা কমিটি বসে পরামর্শ করে কাউন্সিলের মাধ্যমে আমির নির্বাচন করবে এটাই নিয়ম। কিন্তু তা না করে যে প্রক্রিয়ায় শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে তা পুরোপুরি অগঠনতান্ত্রিক।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী এ প্রসঙ্গে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নতুন আমির নির্বাচন নিয়ে যা করা হয়েছে তা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না। এটা অসাংগঠনিক ও অগঠনতান্ত্রিক। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ’ তিনি বলেন, ‘মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী একটি সম্মানিত আলেম।

২০১৫ সালে তিনি হেফাজত ইসলাম থেকে পদত্যাগ করেন। সংগঠন থেকে পদত্যাগী একজন ব্যক্তিকে টেনে এনে একবার প্রধান উপদেষ্টা আবার আমির নির্বাচন করা এমন অনিয়মের মধ্য দিয়ে কোনোভাবেই একটি সংগঠন চলতে পারে না। একধরনের স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর। সংগঠনের আমির মারা গেছেন। কাউন্সিল ডেকে আমির নির্বাচন করতে হবে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে আমরা হেফাজতের কমিটির বিষয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছি। আমাদের মাঝে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আমরা ঘুরে দাঁড়াব। ’

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা রুহী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এভাবে আমির নির্বাচন কোনোভাবেই সাংগঠনিক নিয়মের মধ্যে পড়ে না। আমির হবেন নায়েবে আমিরদের মধ্য থেকে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। তাও হতে হবে কাউন্সিলের মাধ্যমে। কিন্তু এখানে মহাসচিবের ইচ্ছায় সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টাকে এনে আমির করা হয়েছে। মূলত সংগঠনে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য মহাসচিব এ কাজ করেছেন। ’

তবে সাংগঠনিক সভা ছাড়া আমির নির্বাচনের পদ্ধতিকে অসাংগঠনিক মানতে নারাজ হেফাজতে ইসলামের বর্তমান মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী। দেশ রূপান্তরকে তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে মৌখিকভাবে পরামর্শ করেই মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে নতুন আমির নির্বাচন করা হয়েছে এবং উপস্থিত বিপুলসংখ্যক জনগণ তা অনুমোদন দিয়েছে। কাজেই এখানে নতুন করে নতুন নেতৃত্ব অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এ নিয়ে যারা বিতর্ক করতে চায়, তারা করুক। ’ তিনি বলেন, ‘সার্বিক বিষয় নিয়ে সুবিধাজনক সময়ে সভা ডাকব। তবে এখনো সভার সময় নির্ধারণ করা হয়নি। ’

হেফাজতের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্র আন্দোলন, হামলা-মামলা, সংগঠনের আমির আহমদ শফীর মৃত্যু, জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠন, শফীপন্থি হিসেবে পরিচিতদের কমিটি থেকে বাদ পড়া এসব নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কওমিপন্থি এ সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ নানা বিশৃঙ্খলা চলে আসছে। আহমদ শফীর মৃত্যুর পর থেকে সংগঠনে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তার ছেলে আনাস মাদানীসহ তার অনুসারীরা। শফীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে করা হত্যা মামলার কারণে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিরোধ আরও তীব্র ধারণ করেছে।

গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফী। এরপর ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নুর হোসেন কাসেমীকে মহাসচিব করে ঘোষণা করা হয় ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি। শফীপন্থি হিসেবে পরিচিত নেতাদের অধিকাংশই এ কমিটি থেকে বাদ পড়েন। কমিটি গঠনের এক মাসের মাথায় মারা যান মহাসচিব নুর হোসেন কাসেমী। এরপর নুরুল ইসলাম জেহাদীকে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। গত ১৯ আগস্ট মারা যান সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।

২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হয় হেফাজতে ইসলাম নামে অরাজনৈতিক সংগঠন। পরবর্তী সময়ে এ সংগঠনে সারা দেশের কওমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যুক্ত হওয়ার পর এটি দেশে বৃহৎ একটি সংগঠনে রূপ নেয়। শাহ আহমদ শফী আমৃত্যু সংগঠনটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন।

-দেশ রূপান্তর

বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পী ব্যবহারে দিতে হবে ফি

বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পী ব্যবহারে দিতে হবে ফি

নিজস্ব প্রতিবেদক :  

বিদেশি শিল্পী দিয়ে দেশি বিজ্ঞাপন নির্মাণে নির্মাতাকে প্রতি বিদেশি শিল্পীর জন্য দুই লাখ টাকা ফি এবং এধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় টিভি চ্যানেলকে বিজ্ঞাপন প্রতি এককালীন বিশ হাজার টাকা সরকারি ফি প্রদানের বিধানটি কার্যকর করা হচ্ছে।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদের সভাপতিত্বে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপের কথা জানানো হয়। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এবং তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তথ্যমন্ত্রী জানান, গত ৩১ শে মে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণ সংক্রান্ত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনের মাধ্যমে সরকারের অনুমতি নিয়ে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পী অংশগ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে নির্মাতাকে প্রতি বিদেশি শিল্পীর জন্য দুই লাখ টাকা এবং সে ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় টিভি চ্যানেলকে বিজ্ঞাপন প্রতি এককালীন বিশ হাজার টাকা ফি হিসেবে সরকারি কোষাগারে দেবার বিধান রয়েছে। সকল অংশীজনের সহযোগিতায় এ বিধান দেশ এবং দেশের শিল্পী ও বিজ্ঞাপন শিল্পের জন্য কল্যাণ ও উন্নয়ন বয়ে আনবে।
এশিয়াটিকের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নূর এমপি, ডিজিটাল এক্সপ্রেশানসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আহসানুল আপন, ইউনিট্রেন্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনির আহমেদ খান, মাত্রার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সানাউল আরেফিন, এনিথিংক ভিজ্যুয়ালের পরিচালক ওয়াহিদ তারেক, ট্রিপল নাইন গ্লোবালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোমান রবিন, র‌্যাপচার এন্টারটেইমেন্টের কো-ফাউন্ডার মোঃ রেদওয়ান রহমান রিয়াদ প্রমুখ সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং তাদের পূর্ণ সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজান-উল-আলম এবং খাদিজা বেগম, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালাক স ম গোলাম কিবরিয়া, মন্ত্রণালয়ের আইন কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান গাজী প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।