ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশীসহ ৩৯৪ অভিভাসন প্রত্যাশী উদ্ধার
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া সমুদ্র এলাকা থেকে রবিবার ৩৯৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ জার্মানি ও ফ্রান্সের বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত উদ্ধারকারী জাহাজ সি-ওয়াচ ৩ ও ওশান ভাইকিং নৌকায় ভাসতে থাকা এসব মানুষকে উদ্ধার করে৷ উদ্ধারকৃতরা বাংলাদেশ, মরক্কো, মিশর ও সিরিয়ার নাগরিক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় মানুষগুলো একটি কাঠের নৌকায় করে তারা সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছিলেন৷ ইঞ্জিন বিকল হয়ে নৌকাটি সমুদ্রে ভাসছিল বলে জানা গেছে৷ অভিবাসনের প্রত্যাশায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা বাড়ছে৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচএসিআর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৪২৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রবিবার ভূমধ্যসাগর থেকে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের অনেকেই নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়ে সি-ওয়াচ ৩ এর নৌকায় ওঠার চেষ্টা করেছেন।
আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় সম্প্রতি লিবিয়া এবং তিউনিশিয়া থেকে ইতালি এবং ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগরে ছোট ছোট নৌকায় চেপে প্রায়ই ইউরোপের উদ্দেশ্যে তাদের যাত্রা শুরু করেন।
চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে মারা গেছেন ১১, নতুন আক্রান্ত ৯২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে মারা গেছেন ১১জন। সেই সঙ্গে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২৭ জন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শনিবার সকালে পূর্ববর্তী চব্বিশ ঘন্টায় চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এতে দেখা যায়, চট্টগ্রামের আটটি ল্যাবে মোট ৩ হাজার ১৯৩জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে মোট ৯২৭ জন করোনা পজিটিভ হিসাবে সনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে মহানগর এলাকা ৫৩২ জন ও উপজেলা এলাকার ৩৯৫ জন রোগী রয়েছেন। সনাক্তের হার ২৯ দশমিক শূণ্য তিন শতাংশ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নগরীর বাইরে উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে হাটহাজারীতে। সেখানে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০৩ জন। এছাড়া রাউজানে ৬৪ জন, পটিয়া ৪৯ জন, চন্দনাইশে ৪৫ জন, সাতকানিয়ায় ৩০ জন, স›দ্বীপে ২৪ জন, ফটিকছড়িতে ২২জন, বোয়ালখালিতে ১৭ জন, বাঁশখালীতে ১০ জন, মিরসরাইতে ১০ জন, সীতাকুন্ডে ৯জন, লোহাগাড়ায় ৮জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩জন ও আনোয়ারায় ১জন করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল একদিন বের হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার জন্য জিয়াউর রহমানকে পুনরায় অভিযুক্ত করে বলেছেন, ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল সেটা একদিন বের হবে।
তিনি বলেন, ‘হত্যার বিচার হয়েছে। তবে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল, একদিন সেটাও আবিষ্কার হবে। কিন্তু, আমাদের কাজ একটা ছিল- প্রত্যক্ষভাবে যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা। আর সব থেকে বড় কাজ এই দেশ এবং দেশের মানুষ নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন- দেশের মানুষের উন্নয়ন করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন করাটাকেই আমি সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। তাই, পেছনে কে ষড়যন্ত্র করেছে, কি করেছে সেদিকে না গিয়ে আমার প্রথম কাজ হচ্ছে এই ক্ষুধার্ত দরিদ্র মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করে তাঁদের জীবন মান উন্নত করা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে শোকের মাসের প্রথম দিনে আসন্ন শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ধানমন্ডী ৩২ নম্বরের জাতির পিতা ম্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভেনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্তও অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিল।
জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ’ উদ্ধৃতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রক্ত জাতির পিতাও দিয়ে গেছেন। কারণ, যখন এদেশের মানুষকে তিনি মুক্ত করেছেন তখন যারা স্বাধীনতা বিরোধী বা যারা বিজয় চায়নি তারা তাঁকে হত্যা করেছে।’
এই সময় প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্রকারি হিসেবে আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক-রশিদের স্বেচ্ছায় বিবিসিকে দেয়া ইন্টারভিউ অনুযায়ী সাবেক সেনা শাসক জিয়াউর রহমানকে নেপথ্য শক্তি হিসেবে উল্লেখের তথ্য এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে খুনীদের পুরস্কৃত করায় জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর (জাতির পিতার) রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।’
তিনি রক্তদান কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে বলেন, এই রক্তদানের মাধ্যমে আমরা একজন মুমূর্ষু রোগীকেও যদি বাঁচাতে পারি, সেটাই হবে সব থেকে বড় কথা। কেননা, মানবকল্যাণে আপনি দান করছেন।
তিনি বলেন, বাবা, মা, ভাই সব হারিয়েছি কিন্তু একটা আদর্শকে নিয়েই পথ চলি, যে কথাগুলো ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে শুনেছি, সেই স্বপ্নটাকে আমার বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশ^ দরবারে বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে।
অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়–ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, এমপি বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বেগম মতিয়া চৌধুরী দুঃস্থ কৃষকদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন।
-বাসস
করোনাকালেও এগিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর
কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুর, কলম্বোসহ বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোয় কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়লেও এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। অপারেশনাল কার্যক্রম চলছে পুরোদমে। করোনার মধ্যেও চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে বেড়েছে কন্টেইনার, কার্গো ও শিপ হ্যান্ডলিং। পাশাপাশি এই সাত মাস চট্টগ্রাম বন্দরের সমুদ্রসীমাও ছিল পুরোপুরি দস্যুতামুক্ত।বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, মূলত কন্টেইনার হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং ও শিপ হ্যান্ডলিং এ তিন ক্ষেত্রের পারফরমেন্স নিয়েই বন্দরের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। তিনটি ক্ষেত্রেই গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।বন্দরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ। ২০২০ সালের একই সময় কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ১২৩ টিইইউস। আর চলতি বছর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ১৮ লাখ ১৫ হাজার ২৮৫ টিইইউস। ২০২০ সালের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৭ টন। আর ২০২১ সালের প্রথম ৭ মাসে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৬ কোটি ৪৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৩ টন। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশ। ২০২১ সালের একই সময় হ্যান্ডলিং হয়েছে ২ হাজার ৪৬৮টি।
২০২০ সালে ২ হাজার ৯৪টি। এক্ষেত্রে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান দেশ রূপান্তরকে বলেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পৃথিবীর অধিকাংশ বন্দরে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। লকডাউনের আওতায় পড়ে অনেক বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এ কঠিন পরিস্থিতিতেও চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম একদিনের জন্য বন্ধ ছিল না। করোনার মধ্যে কাজ করতে গিয়ে বন্দরের অনেকেই আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। কভিড পরিস্থিতিতে শিল্পকারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে সরকারের চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্তের কারণে আমদানি-রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সচল ছিল। এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সহযোগিতায় আমরা বন্দর চালু রাখতে পেরেছি।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের পারফরম্যান্স শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, ইউরোপ আমেরিকার অনেক বন্দরের চেয়ে ভালো, মন্তব্য বন্দর চেয়ারম্যানের। বলেন, এখন চট্টগ্রামে জাহাজজট নেই। কনটেইনার ও স্থান সংকট নেই। আমাদের ‘বার্থিং ডিলে’ ৩ থেকে ৪ দিন। কিন্তু চীনের বন্দরগুলোর বার্থিং ডিলে দশদিন। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বন্দরে তা ২০ দিন পর্যন্ত পৌঁছেছে।
চলতি বছর বন্দরে প্রচুর চাল হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। গত তিন বছরে সেখানে চাল হ্যান্ডলিং হয়নি। বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম দেশ রূপান্তরকে জানান, সরকারি নীতি সমর্থন করে বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে এ বছর বন্দরের ৪ জেটিতে চাল হ্যান্ডলিং করেছি। জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ৫০ জাহাজ থেকে চার লাখ ৬৮ হাজার টন চাল হ্যান্ডলিং হয়েছে। চালের জাহাজগুলো হ্যান্ডলিং করতে না হলে আমরা অন্য ৫০টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করতে পারতাম।
এদিকে সমুদ্রপথে দস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছর চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পাইরেসির রেকর্ড নেই। আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য রিজিওনাল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট অন কমব্যাটিং পাইরেসি অ্যান্ড আর্মড রবারি এগেইনস্ট শিপস ইন এশিয়ার (রিক্যাপ) অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর বাংলাদেশের জলসীমা ছিল দস্যুতাশূন্য। ২০২০ সালের এই সময়ে এদেশের জলসীমায় ৩টি পাইরেসির ঘটনা উল্লেখ করেছিল রিক্যাপ।
চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা দস্যুতামুক্ত রাখার কৃতিত্ব কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর, মন্তব্য করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বন্দরে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (ভিটিএমইএস) এরিয়া বাড়িয়েছি। আমাদের জলসীমার কোথাও অসংগতি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে কোস্টগার্ডকে জানানো হয়। তারাও সবসময় তৎপর থাকে। এছাড়া নৌবাহিনীও সমুদ্রসীমায় কাজ করছে। ফলে দস্যুতামুক্ত বন্দরের তকমা পেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
-দেশ রূপান্তর
শোকাবহ আগস্ট শুরু
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
শুরু হল বাঙালি জাতির শোকের মাস আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
আগস্টের কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।
সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানীর নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।
ভারত বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ শ্রী চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।
‘দ্য টাইমস অব লন্ডন’ এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।
একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’
শোকাবহ আগস্টে সমগ্র জাতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক- রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভাবগম্ভীর আর বেদনাবিধূঁর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করবে।
তবে, এবার জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি সীমিত পরিসরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ওবায়দুল কাদের জানান, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে শোকাবহ, মর্মান্তিক হত্যার স্মৃতিবিজড়িত আগস্ট মাস আমাদের দুয়ারে সমাগত। প্রতিবছর আগস্ট মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করা হয় কিন্তু এবারও করোনার ভয়াবহতায় লকডাউনের কারণে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে আগস্টের কর্মসূচি সীমিত পরিসরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাসব্যাপী আগস্টের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮ টায় আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন। ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ৯ টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন।
সকাল ১১ টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের শ্রদ্ধা নিবেদন। এদিন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ১৬ আগস্ট বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিটে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতহবে আলোচনা সভা।
নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস ২১ আগস্ট উপলক্ষে সকাল ৯ টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন। বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিটে ঘরোয়া ভাবে আলোচনা সভা।
চসিকের মশা নিধন অভিযান শীঘ্রই
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি মশা নিধনে অচিরেই ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা এখনো অপেক্ষা করছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদের প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য। প্রতিবেদন পেলেই মশা নিধনে অভিযান শুরু হবে। নগরীর যেকোন জায়গা থেকে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবন চত্বর, কাজির দেউড়ী ভিআইপি টাওয়ার হল ও মুনসুরাবাদস্থ কর্ণফুলী কমিউনিটি সেন্টারে পৃথক তিনটি অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানসমূহে মেয়র চট্টগ্রাম বাবুর্চি সমিতি, ভিআইপি টাওয়ার কর্মচারী ও উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে করোনাকালে কর্মচ্যুতদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী’র দেয়া ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
মেয়র বলেন, করোনার উর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবন জীবিকা এখন সংকটাপন্ন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব অসহায়দের মাঝে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি টিকা কার্যক্রমকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে দেশের মানুষ কোনভাবে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবার সংকটে বিপদাপন্ন না হয়।
তিনি মহামারি ও ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি নিজের বাড়ির আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান। মেয়র বলেন, আমাদের নাগরিক সচেতনতাই পারে এ দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে।
পৃথক পৃথক এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ইব্রাহিম, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রূমকী সেন গুপ্ত, জাহেদা বেগম পপি, চট্টগ্রাম ডেকোরেটার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল আলম চৌধুরী মিল্টন, ভিআইপি টাওয়ার দোকান কর্মচারী সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন প্রমূখ।
১ আগস্ট থেকে খুলছে শিল্প কারখানা
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আগামী রবিবার থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের কারখানা খুলে দিতে অনুরোধ করে আসছিলেন শিল্পমালিকরা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, ঢাকা চেম্বার ও এফবিসিসিআইয়ের নেতারা কারখানা খুলে দিতে অনুরোধ করেন।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, চলমান লকডাউন থেকে সব ধরনের শিল্পকে বাদ দিয়ে কাজ করার সুযোগ চেয়ে অনুরোধ করতে এসেছিলাম।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে এই অনুরোধটা আমরা করেছি। তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তটা দেবেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, সংক্রমণ, মৃত্যু সবকিছু মাথায় নিয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকার এটা বিবেচনা করবে বলে আমরা আশা করি। পোশাক শিল্প শুধু না, সমস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান পক্ষে আমরা এসেছি। সমস্ত শিল্পের সঙ্গে অনেক কিছু ইনভলভড। সে কারণে আমরা এটা আবারও অনুরোধ করেছি। যেন এটাকে লকডাউনের বাইরে রাখা হয়, যেন বিষয়টা বিবেচনা করা হয়।
নিয়মনীতিহীন আইপি টিভি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : তথ্যমন্ত্রী
নিয়মনীতিহীন আইপি টিভি’র বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ। আজ মন্ত্রী ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু আইপি টিভি অনেক সময় গুজব রটানোতে যুক্ত হয়, অসত্য তথ্য পরিবেশন ও ভাঁড়ামোতে লিপ্ত হয়। আবার দেখা যায় অনুমোদন পাবার আগেই কেউ কেউ টেলিভিশন চ্যানেলের মতো অফিস খুলে বসেছে, জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছে। এ সকল বিষয়কে একটা নিয়মনীতির মধ্যে আনা প্রয়োজন।’
দেশব্যাপী ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি খুলে যার যেমন ইচ্ছে তেমন করবে সেটা কখনো আইনসম্মত বা বাঞ্ছনীয় নয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ভালো মানের আইপি টিভি অনুমোদন পাবে এবং যেগুলোর বিষয়ে নানা অভিযোগ আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে সহসাই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয় আইপি টিভিগুলোর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিল। প্রায় পাঁচশতাধিক দরখাস্ত জমা পড়েছে এবং সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজও আমরা গুছিয়ে এনেছি। যেগুলোর মান ভালো, সেগুলোকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে।
এসময় জয়যাত্রা নামের আইপি টিভি পরিচালনাকারী হেলেনা জাহাঙ্গীর সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ফাঁকফোকর দিয়ে দলের উপকমিটিতে এধরনের কারো ঢোকা সমীচীন হয়নি, এদের কমিটিতে রাখার বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল। যারা সুপারিশ করেছেন, তাদেরও আরো জানাশোনার দরকার ছিল। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং তার আইপি টিভির বিষয়ে অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখবো, সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তথ্যমন্ত্রী এরপর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারের সাথে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেন।
-তথ্য বিবরণী
প্রাথমিকে ছুটি বাড়ল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আগামী ৩১ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত সকল ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এসময় নিজেদের ও অন্যদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীগণ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞতিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্থঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনসমূহ শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকবৃন্দ নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ তাঁদের শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে, নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।