Home Blog Page 26

ভোটের ‘হট সিট’ নন্দীগ্রামে বাড়ছে উত্তাপ

ভোটের ‘হট সিট’ নন্দীগ্রামে বাড়ছে  উত্তাপ

থমথমে চারদিক। রাস্তাঘাটও প্রায় শুনশান। শুধু সূর্যের গনগনে রোদ নয়, ভোটের উত্তাপও বাড়ছে নন্দীগ্রামে। ভোটগ্রহণের অনেক আগে থেকেই নন্দীগ্রাম জুড়ে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রয়েছে মহিলা সিআরপিএফ-এর দল। বুধবারই নন্দীগ্রামে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিকেল থেকেই মাইকে ঘোষণা শুরু করে দেয় পুলিশ। নন্দীগ্রামে ঢোকা ও বেরনোর প্রতিটি সীমানায় শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। চলছে হেলিকপ্টারে নজরদারি। সব মিলিয়ে বাংলার ভোটের ‘হট সিট’ নন্দীগ্রাম চেহারা নিয়েছে দুর্গের।

শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রশাসন। বুধবার পুর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুমিতা পান্ডে জানিয়েছেন, কোনও রকম ঝামেলা বরদাস্ত নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে সুরক্ষায় কোনও খামতি থাকছে না বলে তিনি জানান। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও বুথ এলাকাতেই ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কিন্তু নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে শুধু এটুকুই নয়, গোটা বিধানসভা এলাকাতেই ১৪৪ ধারা বজায় থাকবে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘এ বার নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে, যা বুধ ও বৃহস্পতিবার বলবৎ থাকবে। পাশাপাশি অতি সংবেদনশীল বুথগুলিতে ৪ ধরনের নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি বুথে থাকবে লাইভ ওয়েবকাস্টিং, সিসিটিভি, ভিডিওগ্রাফি এবং অবজার্ভার। এ ছাড়াও নন্দীগ্রামের ৫০ শতাংশ বুথে লাইভ ক্যামেরায় নজরদারি চলবে, যা তদারক করা হবে তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে।’’

সুমিতা জানিয়েছেন, সব থেকে বেশি নজর রাখা হচ্ছে নাকা চেকিংয়ের দিকে। নন্দীগ্রামে ঢোকা ও বেরনোর প্রতিটি রাস্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে। নজরদারির আওতায় থাকছে জলপথগুলিও। যার মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রামের প্রবেশপথ তেরপেখিয়া, কেন্দেমারি প্রভৃতি এলাকা। বিশেষ ভাবে নজর থাকছে খেজুরি ও নন্দীগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায়। গোকুলনগরের তেখালি ব্রিজ, সোনাচূড়ার ভাঙাভেড়া ব্রিজে কেন্দ্রীয় বাহিনী নজরদারি চালাচ্ছে। তবে এই মুহুর্তে নন্দীগ্রামে কোনও ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি থাকছে না বলেই জেলাশাসক জানিয়েছেন।

শেষবার কবে এমন ছবি দেখেছেন, এই প্রশ্ন শুনেই সোনাচূড়ার এক ষাটোর্ধ্ব মহিলার সচকিত জবাব, ‘‘ঠিক যেন জমি আন্দোলনের সময়টা ফিরে এসেছে। চারদিকে কেমন থমথমে ভাব। জংলা পোশাকের প্রচুর পুলিশ কাঁধে বন্দুক নিয়ে ঘুরছে। ভোট মিটলেই বাঁচি।’’

তৃণমূল শিবিরের দাবি, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ায় দলীয় কোন্দল, বিভাজন সব মিটে গিয়েছে। যে কোনও মূল্যে দলনেত্রীকে জেতাতে মরিয়া তাঁরা। ভোটের দিন নন্দীগ্রামেই থাকবেন দলনেত্রী। রেয়াপাড়ায় বসেই নজর রাখবেন তিনি।

অন্যদিকে এ বার হলদিয়ার বদলে নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাত্ এ বার নন্দীগ্রামেই ভোট দেবেন শুভেন্দু। তিনিও সারাদিন এলাকাতেই থাকবেন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি যাতে কোনও ভাবেই হাতের বাইরে না যায় সে দিকে নজর রাখাটাই চ্যালেঞ্জ।

সূত্র : আনন্দবাজার

নাশকতা সৃষ্টিকারীরা জনগণের মূল্যবান দলিলপত্র নষ্ট করেছে : ভূমিমন্ত্রী

নাশকতা সৃষ্টিকারীরা জনগণের মূল্যবান দলিলপত্র নষ্ট করেছে : ভূমিমন্ত্রী
ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনসম্পৃক্ততা শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তব্য রাখছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে নাশকতা সৃষ্টিকারীরা রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদ মূল্যবান দলিলপত্র নষ্ট করেছে। রেকর্ডপত্র নষ্ট করে তারা উক্ত ভূমি অফিসের আওতাভুক্ত এলাকার সাধারণ জনগণকে দীর্ঘমেয়াদী হয়রানির ও ক্ষতির সম্মুখীন করেছে।
 মন্ত্রী আজ বুধবার ঢাকার তেজগাঁওস্থ এফডিসির মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনসম্পৃক্ততা’ বিষয়ে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি অফিসের নিরাপত্তা জোরদারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নজরদারি বৃদ্ধি করার জন্য ‘আইপি ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরা’ ও দলিলাদির নিরাপত্তায় অগ্নিনিরোধী আলমারি স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, জনভোগান্তি কমাতে দ্রুত ছায়া রেকর্ডপত্র তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 মন্ত্রী বলেন, ভূমি সেক্টরে এমনভাবে ‘সিস্টেমের’ টেকসই পরিবর্তন করা হয়েছে যেন দুর্নীতি করার সুযোগই না থাকে। তিনি আরো জানান, পটুয়াখালী ও বরগুনায় দ্রুত বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) শুরু হবে যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী পরিচালনা করা হবে। সরকারি জমি অবৈধ দখলকে দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শীগগিরই আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আলাদা ‘ল্যান্ড ক্রাইম অ্যাক্ট’ করার বিষয়টিও বিবেচনাধীন আছে বলে ভূমিমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।
 বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ও বিরোধী দল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)-এর বিতার্কিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিজয়ী দলের মাঝে ট্রফিসহ সনদপত্র বিতরণ করেন মন্ত্রী।

সারাদেশে ৫০০ ট্রাকে ১এপ্রিল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি

সারাদেশে ৫০০ ট্রাকে ১এপ্রিল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সারাদেশে ৫০০ ভ্রাম্যমান ট্রাকে ১ থেকে বিভিন্ন ধরণের ভোগ্য পণ্য বিক্রয় করবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামী ৬মে পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ১০০টি ও চট্টগ্রাম শহরে ২০টি ট্রাক থাকবে। টিসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব ট্রাকে প্রতিদিন ৮০০-১২০০ কেজি চিনি, ৬০০ থেকে ৭৫০ কেজি মসুর ডাল, ১২০০-১৫০০ লিটার সয়াবিন তেল, ৩০০-১০০০ কেজি পেঁয়াজ, ৪০০-১০০০কেজি ছোলা এবং ১০০ কেজি করে খেজুর বরাদ্দ দেয়া হবে।
টিসিবি দায়িত্বপ্রা্প্ত তথ্য কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৫৫টাকা, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০টাকা, ছোলা ৫৫ টাকা ও খেজুর ৮০টাকায় বিক্রি করা হবে।
একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল, তিন কেজি ছোলা ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।
এর আগে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকা, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫ টাকা ও প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৯০ টাকা দরে বিক্রি করে আসছিল টিসিবি।বাজারে পণ্য মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে টিসিবির ভ্রাম্যমান ট্রাক থেকে কম দামে পণ্য কিনতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্পটে ক্রেতাদের লম্বা লাইন পড়ছে।

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ৪০ নেতা

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ৪০ নেতা
২০১৪'র জাতিসংঘ শান্তি সম্মেলনের দুই কো-চেয়ার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ডানে) এবং তৎকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ৪০ নেতাকে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্লাদিমির পুতিনসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
আগামী ২২ এবং ২৩ এপ্রিল ভার্চুয়ালি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।  বিভিন্ন টেলিভিশনে তা সরাসরি সম্প্রচার হবে।
এ বিষয়ে শুক্রবার হোয়াইট হাউজের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কনফারেন্সের পথে এটি হবে গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন।’ এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র নানাবিধ পরিকল্পনার কথা জানাবে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে বিশ্বকে আর্থিকভাবে লাভবান করা যায়, পরিবেশ ঠিক রাখা যায় সেই আলোচনায় বসবেন বিশ্বনেতারা।
দেশগুলো কীভাবে শক্তিশালী জলবায়ু প্রত্যাশায় অবদান রাখতে পারে এই সম্মেলনে সেই বিষয়গুলো ঠিক করার একটা সুযোগ রাখতে বিশ্বনেতাদের বাইডেন গুরুত্ব দিতে বলেছেন তার আমন্ত্রণপত্রে।

সাতক্ষীরা যশোরেশ্বরী কালিমন্দিরে পূজা ও প্রার্থনায় মোদী

সাতক্ষীরা যশোরেশ্বরী কালিমন্দিরে পূজা ও প্রার্থনায় মোদী
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যশোরেশ্বরী মন্দিরে ধর্মীয় রীতিতে স্বাগত জানানো হয়।

নিউজমেট্রো প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী কালিমন্দিরে পূজা ও প্রার্থনায় অংশ নিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর এ সফরকে ঘিরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সাতক্ষীরায়।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার আজ শনিবার সকাল টা ৫৫ মিনিট শ্যামনগরে সোবাহান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের হ্যালিপ্যাড অবতরণ করে। এরপর তিনি যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে যান। সেখানে পূজা প্রার্থনায় অংশ নেন।

মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বিপুলসংখ্যক পোশাকধারী পুলিশসহ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলাসহ জেলা জুড়ে সাদা পোশাকে পৃথক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পিজিআর (প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট), এসএসএফের (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) কর্মকর্তা/সদস্যরাও রয়েছেন সেখানে। চিকিৎসকসহ ২৪ ঘণ্টা লাইফ সিকিউরিটি সিস্টেমসহ উন্নতমানের অ্যাম্বুলেন্স অস্থায়ী হাসপাতালও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে গোটা সাতক্ষীরা। নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে এসএসএফ। তাদের সঙ্গে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।

দুই দিনের সফরে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদী

দুই দিনের সফরে  ঢাকায় নরেন্দ্র মোদী
হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসময় সেখানে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান নরেন্দ্র মোদী। সেখানে পুস্পস্তবক অর্পন করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।

আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

প্রসঙ্গত, করোনা পরবর্তী সময়ে এটি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
রাষ্ট্রপ্রতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন্

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এরপর প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তারা মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও তিন বাহিনী প্রধান। পরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দেন।

এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদেনের পর সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আজ

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ । ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল একটি ভূখন্ড, যার নাম বাংলাদেশ। আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরও এটি। এবার তাই উদযাপনেও যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এর সাথে আর একটি নতুন পালক যোগ হয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চুড়ান্ত সুপারিশ।
মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা যোগ্যতা নির্ধারণের তিনটি সূচকের ২০১৮ ও ২০২১ সালের মূল্যায়নে মান অর্জন করায় এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ পায় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) সম্প্রতি এ সুপারিশ করেছে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ দেশ আখ্যা দেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবার জাতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতা লাভের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে। এই মহান উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে, আমরা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত এবং একটি মর্যাদা সম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই যাতে কেউ আমাদেরকে দরিদ্র ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে অবহেলা করতে না পারে।’
অনেক প্রাপ্তি নিয়েও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়šন্তী এবার উদযাপিত হবে অন্যরকম ভাবে। এমন একটি সময়ে উদযাপন হবে, যখন বাংলাদেশসহ চারদিকে বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) থাবা। এর মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্্যাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে দশদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এ অনুষ্ঠান। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশী অতিথিরা অংশগ্রহণ করেছেন। ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্, ১৯ মার্চ অনুষ্ঠানে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ অনুষ্ঠানে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভা-ারি, ২৪ মার্চ অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং উপস্থিত ছিলেন। আজ সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধ ও ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিনের কর্মসূচি। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারি দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেন।
একাত্তরের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালীদের উপর অতর্কিত হামলা চালালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।
সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

স্কুল-কলেজ খুলবে ২৩ মে

স্কুল-কলেজ খুলবে ২৩ মে

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৩ মে খোলা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমনের উর্ধগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্হ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেনীকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদ উল ফিতরের পর ২৩ মে শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩০ মার্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ছিল।

দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ঢাকা আসছেন মোদী

দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে  শুক্রবার ঢাকা আসছেন মোদী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই দিনের সফরে আগামীকাল সকালে ঢাকা আসছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর  পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে মোদীর এ সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।

২৬ মার্চ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানাবেন। বিমানবন্দরে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

পরে তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। এর পরে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন। এদিন বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাঁর সাথে হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাক্ষাৎ করবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার দশম দিনের অনুষ্ঠানে গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর’।  সেখানেই তাঁর সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় তিনি যোগ দিবেন।

সফরের দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ সকালে নরেন্দ্র মোদী গোপালগঞ্জের টুংগীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবি মন্দির পরিদর্শন এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির পরিদর্শন করবেন।

এদিন বিকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। এসময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।