Home Blog Page 35

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষাও সংরক্ষণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষাও সংরক্ষণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
খাগড়াছড়ি জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরাকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক তুলে দিচ্ছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা করে, আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমাদের অন্যভাষা যেমন শিখতে হবে তেমনি মাতৃভাষাও শিখতে হবে। সেই সাথে আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষাটাও সংরক্ষণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ করা গেলে তারা সেই ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। সেজন্য আমরা যখন বিনামূল্যে বই দিচ্ছি তখন তাদের বইগুলো ছাপিয়ে বিনামূল্যে দিয়ে দিচ্ছি, যাতে তারাও নিজের ভাষা শিখতে এবং কথা বলতে পারে, সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউট আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি আজ বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউটে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষার অধিকার রক্ষা করা, ভাষাকে সম্মান দেয়া এবং পৃথিবীর হারিয়ে যাওয়া ভাষাগুলো সংরক্ষণের জন্যই আমি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউট গড়ে তুলেছি। ভাষা নিয়ে পড়াশোনা, ভাষার ইতিহাস সংগ্রহ করা এবং এ ব্যাপারে যারা শিক্ষা ও গবেষণা করবেন তাঁরা যেন সুযোগ পান সে ব্যবস্থা এখানে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের, আমরা রক্ত দিয়ে ভাষার কথা লিখে গিয়েছি। কাজেই অন্য ভাষাগুলো যাতে হারিয়ে না যায়, এর অস্তিত্ব যে আছে সেটা যেন প্রকাশ পায়, সেজন্য আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি। কাজেই এটা আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্য একটা সম্মানজনক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে উন্নীত করায় তিনি ইউনেস্কোকে ধন্যবাদও জানান।
ভাষা নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকার এ বছর থেকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক-২০২১’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক-২০২১’ প্রবর্তন করেছে। প্রতি দুই বছর অন্তর এই সম্মাননা প্রদান করা হবে।
জাতীয় অধ্যাপক বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক রফিকুল ইসলাম এবং খাগড়াছড়ি জাবরং ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বাংলাদেশে বিদ্যমান বিভিন্ন মাতৃভাষার কার্যক্রম ও বিকাশ প্রশস্ত করার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবারের মত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক-২০২১’ এ ভূষিত হন।
উজবেকিস্তানের ইসমাইলভ গুলম মির জায়ালিজ এবং বলিভিয়ার অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এ্যাক্টিভিজমো লিংগুয়ান বা ল্যাংগুয়েজ এ্যাকটিভিজম ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক-২০২১’ এ ভূষিত হন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা’র হাতে পদক তুলে দেন। উজবেক ইসমাইলভ গুলম মির জায়ালিজ-এর পক্ষে ঢাকায় উজবেকিস্তানের অনারারি কনস্যাল তাহের শাহ এবং বলিভিয়ার সংস্থার পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পুরস্কার গ্রহণ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ইউনেস্কোর হেড অব অফিস এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি বিটট্রেস কালডুন বক্তৃতা করেন। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহব্বু হোসেন স্বাগত ভাষণ দেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মিশন প্রধান এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ৬ জন নিহত

শেরপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ৬ জন নিহত

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি  : বগুড়ার শেরপুরে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার ভোর ৫টার দিকে শেরপুর উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে বগুড়া অভিমুখী এসআর পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে বগুড়ার দিকে যাওয়ার সময় বিপরীতমুখী পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে বাস ঘটনাস্থলেই বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৬ জন মারা যান। আহত হন আরও অন্তত ১০ জন।
আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আজ। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাত ১২টা ১ মিনিট থেকেই সারাদেশের শহীদ মিনারগুলোতে ফুল দিয়ে ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার জন্য আত্মোৎসর্গকারী মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে পুরো জাতি।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
একুশের প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পরপরই সর্বস্তরের জনতার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় শহীদ মিনার। স্বাস্থ্য বিধি মেনে অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে বিভিন্ন সংগঠন। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও আজ সকাল থেকে শহীদ মিনারমুখী মানুষের দীর্ঘ লাইন পড়েছে।
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ উপলক্ষে বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করছে সর্বস্তরের মানুষ। একুশে ফেব্রুয়ারি রোববার প্রথম প্রহরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। এর পরেই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হকচট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তা ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যে কোন জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।
১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।
মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র এবং বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো একুশের বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

আনোয়ারায় হাতির আক্রমনে ১জনের মৃত্যু

0
আনোয়ারায় হাতির আক্রমনে ১জনের মৃত্যু
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির আক্রমনে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শুক্রবার রাতের কোন একসময় বটতলী ইউনিয়নের ভোলা শাহ’র মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. আজিজ ফকির (৫০)। ওই ইউনিয়নের চাঁপাতলী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ ছৈয়দ আলীর ছেলে। মানসিক ভারসাম্যহীন আজিজ ফকির দীর্র্ঘদিন ধরে ভোলা শাহ্ মাজার এলাকায় থাকতেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.ইসমাঈল জানান,পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির পাল গত কয়েকদিন ধরে দেয়াঙ পাহাড় সংলগ্ন পশ্চিমচাল-চাঁপাতলীসহ আশপাশের গ্রামে ঘোরাফেরা করছিল। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় আজিজ ফকিরকে হাতি আক্রমণ করে। শনিবার ভোরে মাজার এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন ভোলা শাহ্ মসজিদের মুসল্লিরা। তার বুকে হাতির দাঁতের গুতোয় ছিদ্র হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রশাসনসহ বনবিভাগকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরী।

মেয়র রেজাউলের প্রথম ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কার্যক্রম শুরু

0
মেয়র রেজাউলের প্রথম ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কার্যক্রম শুরু
মশক নিধন ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রম শুরু করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী। আজ শনিবার সকালে চান্দগাঁও ওয়ার্ডের নতুন থানা চত্বরে এ কার্যক্রম সূচনা করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, নগরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে মেয়র পদে ৫ বছরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও এই সময়ের মধ্যে সকলের শতভাগ আকাঙ্খা ও চাহিদা পূরণ কখনও সম্ভব নয়। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ১০০ দিনের মধ্যে সেগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করে জনদুর্ভোগ লাঘব ও নাগরিক স্বস্তি প্রদানে আমার সামর্থ্য ও সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা উজার করে দিতে দৃঢ় প্রত্যয়ী। এই কার্যক্রমে মশকনিধন ও পরিচ্ছন্নতাকে প্রথম অগ্রাধিকার দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণা দিয়ে বলেন, মশার বিস্তার নাগরিক দুর্ভোগ ও অস্বস্তির বড় অসহনীয় উপসর্গ। তাই তা নিরসনে প্রথম ২০ দিনের মধ্যে সময় বেধে দিয়ে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হবে। তিনি এই অভিযানে স্বপ্রণোদিত হয়ে নগরবাসীদের সম্পৃক্ত হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিটি কর্পোরেশন মশক নিধনের ওষুধ ছিটাবে এবং প্রকাশ্য স্থান ও নালা-নর্দমার স্তুপকৃত আবর্জনা, বর্জ্য পরিস্কার করবে। কিন্তু শুধু এভাবেই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা। নিজ গরজেই বাসা-বাড়িতে মশক প্রজনন ও উৎপত্তিস্থল বিনাশ এবং বর্জ্য-আবর্জনা সরিয়ে ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেরতে হবে।
মেয়র বলেন, মনে রাখতে হবে সিটি কর্পোরেশন শুধু মেয়রের একার নয়, প্রত্যেক নগরবাসীর। তিনি উল্লেখ করেন, মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশনগুলো যে ওষুধ ছিটায়,সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মশার এই ওষুধের মান নির্ণয়ে তা ঢাকায় ল্যাবে পাঠিয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোন সমস্যার সমাধান রাতারাতি হবে না। তবে সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগী এবং সচেষ্ট। যে কোন নাগরিক সমস্যা বা দুর্ভোগ থাকলে তা আমাকে অবগত করা হলে তা নিরসন ও লাঘবে তাৎক্ষণিক কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এসময় স্থানীয় কাউন্সিলর এসারুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, এম আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা, যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তুতি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তুতি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কাল। ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে প্রস্তুত ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে দেয়ালে শিল্পীর তুলির আঁচড়
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবো : প্রধানমন্ত্রী

নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবো : প্রধানমন্ত্রী
ভাষা ও সাহিত্যে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে একুশে পদক গ্রহণ করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রোজী
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের দেশ। এই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সাথে চলবে, কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবো। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের আন্দোলন কেবলমাত্র ভাষাভিত্তিক আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, এ আন্দোলন ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এই ভাষার পথ ধরেই এসেছে আমাদের স্বাধীনতা। সেধে আমাদের কেউ কিছু দেয়নি, সবকিছু বহুমূল্যেই বাঙালিকে অর্জন করতে হয়েছে।
আজ সকালে একুশে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসামানী স্মৃৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২১ জন বিজয়ী বরেণ্য ব্যক্তির হাতে এ পদক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা ও অর্থনীতিতে একজন করে মোট ২১ জনকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এবার মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন- মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক, অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ।
শিল্পকলায় পদক পেয়েছেন- কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যয় (আবৃত্তি), ও পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।
মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) পদক পেয়েছেন।
সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ পদক পেয়েছেন।
পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং চার লাখ টাকার নগদ অর্থের চেক প্রদান করা হয়। এবারের ২১ জনসহ এযাবত মোট ৫২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। আর ২০১৮ সাল থেকে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২১-এ উন্নীত করা হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শেখ হাসিনা একুশে পদক প্রাপ্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকে অমর ভাষা দিবসের যে স্বীকৃতি আপনারা পেয়েছেন তা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্যই পেয়েছেন। কাজেই আপনাদের কাছ থেকেই আগামী প্রজন্ম অনেক শিক্ষা নিতে পারবে।
তিনি বলেন, পুরস্কার দেশের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, গবেষণা, সংস্কৃতি চর্চা ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন কাজে অবদানের জন্যই এই সম্মাননা। সেজন্য আমি মনে করি এটা শুধু আপনাদের সম্মাননা নয়, গোটা জাতির জন্য সম্মাননা। দেশের মানুষের জন্য সম্মাননা।

মন্ত্রি পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন এবং পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.বদরুল আরেফীন স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং সংসদ সদস্য, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, কবি, সহিত্যিক,লেখকসহ বুদ্ধিজীবী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের চিরবিদায়

কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের চিরবিদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক :
লাখো ভক্ত অনুরক্তদের চোখের জলে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিলেন কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান।দু’দফা জানাযা শেষে আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল নয়টার দিকে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের এই খ্যাতিমান অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 80 বছর।
রাষ্ট্রপ্রতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপ্রতি তাঁর শোক বার্তায় বলেন, এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে তার অবদান দেশের জনগণ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। রাষ্ট্রপতি হামিদ মরহুম শামসুজ্জামানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর শোকবার্তায় বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পে অসাধারণ নৈপূণ্য প্রদর্শনের জন্য মরহুম শামছ্জ্জুামান দেশের জনগণের অন্তরে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বরণ্যে অভিনেতা এটিএম শামছুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এক শোক বার্তায় তথ্যমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বজননন্দিত শিল্পী এটিএম শামছুজ্জামান তার অনন্য অভিনয় শিল্পের মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এটিএম শামসুজ্জামান । তাঁর পুরো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছিলেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিলেন আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে। তারপর জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।
এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। এছাড়াও খান আতাউর রহমান, কাজী জহির, সুভাষ দত্তদের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি (১৯৭১) চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক।
তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে যাদুর বাঁশি, রামের সুমতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৭ সালে তার নিজের লেখা কাহিনিতে আফতাব খান টুলুর দায়ী কে? চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[৬]
২০০৯ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটির এবাদত ছবি দিয়ে তার চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে। তিনি রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

কারিনা হাসপাতালে- আসছে নতুন অতিথি

0
কারিনা হাসপাতালে- আসছে নতুন অতিথি

বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর ও সাইফ আলি খানের ঘরে আসছে নতুন অতিথি। ইতিমধ্যে কারিনাকে ভর্তি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। এদিকে সন্তান আসার আগেই কারিনার বাড়িতে রীতিমত উপহারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।

উপহার পেয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ধন্যবাদ জানালেন কারিনা। দেখা গেল, অনেক ধরনের উপহার এবং নানা রঙের ফুল পাঠানো হয়েছে হবু মা-কে। সদ্য বিবাহিত দিয়া মির্জা এবং বৈভব রেখিও উপহারস্বরূপ একটি চারাগাছ পাঠিয়েছেন কারিনাকে। তার ছবি শেয়ার করে জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কারিনা।

কারিনার বাবা রণধীর কাপূর জানিয়েছিলেন ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম নিতে পারে করিনার দিত্বীয় সন্তান। তবে দেখা যাচ্ছে, নতুন অতিথির জন্য আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। সে আসার প্রাক্কালে দাদু দিদা অর্থাৎ রণধীর কাপূর এবং ববিতা কাপূরকে প্রার্থনার জন্য দেখা গিয়েছিল মুম্বইয়ের মাউন্ট মেরি চার্চে। শুক্রবার সকালে অ্যানিম্যাল প্রিন্টের কাফতান পরে তৈমুরকে নিয়ে দেখা গেল কারিনাকে। বিকেলেই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আপাতত সুখবরের আশায় দিন গুনছেন সাইফ-কারিনা।

সূত্র : আনন্দবাজার

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক রফিক, মথুরা ও ইসমাইলভ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক রফিক, মথুরা ও ইসমাইলভ
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা ও ইসমাইলভ গুলম মিরজায়েভিচ
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে  ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ পাচ্ছেন তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এরা হলেন- জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জাবারাং সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা ও উজবেকিস্তানের গবেষক ইসমাইলভ গুলম মিরজায়েভিচ। একই সঙ্গে লাতিন আমেরিকার আদি ভাষাগুলো নিয়ে কাজ করা বলিভিয়ার অনলাইন উদ্যোগ অ্যাক্টিভিজমো লেংকুয়াস পাচ্ছেন এই পদক । রোববার বিকেলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক প্রদান করবেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এদের মধ্যে,  জাতীয় পর্যায়ে মাতৃভাষার সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও বিকাশে অবদানের জন্য ২০২১ সালে জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ পুরস্কার পাচ্ছেন।আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে অবদানের জন্য খাগড়াছড়ির জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক। এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উজবেকিস্তানের গবেষক ইসমাইলভ গুলম মিরজায়েভিচ এবং লাতিন আমেরিকার আদি ভাষাগুলো নিয়ে কাজ করা বলিভিয়ার অনলাইন উদ্যোগ অ্যাক্টিভিজমো লেংকুয়াস এ বছর বাংলাদেশ সরকারের এ সম্মাননা পাচ্ছেন।