Home Blog Page 42

চব্বিশ ঘন্টায় দেশে করোনায় ৭ জনের মৃত্যু

চব্বিশ ঘন্টায় দেশে করোনায় ৭ জনের মৃত্যু

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ক্রমশ কমছে। শুক্রবার দুপুরে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ৭ জন মারা যাবার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন একই সময়ে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল সরকারি ওই দপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার দুপুরে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ১৮২ জন। নতুন করে ৪৩৫ জন শনাক্তসহ দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫০৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮২ হাজার ৪২৪ জন।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়।   ১৮ মার্চ মারা যান প্রথম করোনা রোগী। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েক ধাপ বাড়ানোর পর ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ছিল। সেই ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

১৮০ দিনের অভিজ্ঞতায় ভালকে গ্রহণ-মন্দকে পরিহার করেছি : সুজন

১৮০ দিনের অভিজ্ঞতায় ভালকে গ্রহণ-মন্দকে পরিহার করেছি : সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, এই শহরে আমার জম্ম, এই শহরে বেড়ে ওঠা, এই শহরেই আমার মৃত্যু হবে। ছাত্র জীবনে রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে রাজপথকে আমার ঠিকানা বানিয়েছি। এখান থেকে চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে আমার স্বপ্ন দেখা। ১৮০ দিনের অভিজ্ঞতায় ভালকে গ্রহণ করেছি-মন্দকে পরিহার করেছি। তিনি বলেন, বিদায় বলতে বুঝি শেষ বিদায়, তবে তা নয়। আমি কর্মে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। শুক্রবার সকালে আন্দরকিল্লাস্থ সিটি কর্পোরেশনের পুরোনো নগর ভবনের কে.বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া বিদায়ী শুভেচ্ছা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
১৮০ দিন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর গত ২ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেন খোরশেদ আলম সুজন। নব নির্বাচিত মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন।
কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা দিয়ে সুজন বলেন, আমি অনুধাবন করেছি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে অনেক মেধাবী কর্মকর্তা -কর্মচারী আছেন। তাঁদেরকে ঠিকমত ফিডব্যাক দিলে অনেক সফলতার দুয়ার তারাই খুলে দিতে পারেন এবং ইতোমধ্যে দিয়েছেনও। আমার দায়িত্ব অল্প সময়ে হলেও তারা নগরকে পরিচ্ছন্ন করেছেন যা দৃশ্যমান। এটাই তার ভাল প্রমান। তাদের স্যালুট জানাই।
তিনি আরো বলেন, চসিকের শিক্ষাখাত নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ভর্তুকির ভার কমাতে হবে। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা খাত রেখে বাড়তি বোঝা ছেড়ে দেয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন । তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন চাকরি করে অবসর নেয়ার পর আনুতোষিক না পাওয়া দু:খজনক। আমি দায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে কিছু আনুতোষিক পাওনা পরিশোধ করেছি। আশাকরি এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জ্যোৎস্না উৎসবের মত একটি ব্যাতিক্রম অনুষ্ঠান নগরবাসীর সামনে উপস্থাপন করে দেশে বিদেশে অনেকের সাড়া এবং উৎসাহ পেয়েছেন বলে মত ব্যক্ত করেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মীর্জা ফজলুল কাদের প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

শেখ মুজিবের সুচিন্তা থেকে আজকের বাঙালিরও শেখার আছে

শেখ মুজিবের সুচিন্তা থেকে আজকের বাঙালিরও শেখার আছে
অমর্ত্য সেন :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে একটা কথা মনে হচ্ছে। তিনি শুধু বাংলার বন্ধু ছিলেন না, তাঁর ভূমিকা ছিল আরও অনেক বড়, এবং অতুলনীয়। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মহান রাজনৈতিক নায়ক, বাংলার সবচেয়ে সমাদৃত মানুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার। বাংলাদেশের জনজীবনে তাঁর প্রভাব আজও বিপুল। তাঁকে ‘বাংলাদেশের জনক’ বা বঙ্গবন্ধু বলাটা নিতান্তই কম বলা। তিনি যে এর চেয়ে বড় কোনও অভিধা চাননি, সেটা তাঁর সম্পর্কে আমাদের একটা সত্য জানায়— তিনি নাম কিনতে চাননি, মানুষ তাঁকে অন্তর থেকে ভালবাসত।
এক জন অতি চমৎকার মানুষ এবং এক মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে, তাঁর চিন্তাভাবনা কেন আজকের পক্ষেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সে-বিষয়ে কিছু কথা বলা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁর পরিচ্ছন্ন চিন্তা ও দৃষ্টির সম্পদ কেউ আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। তাঁর সেই চিন্তাভাবনা আজ আমাদের বড় রকমের সহায় হতে পারে। উপমহাদেশ আজ আদর্শগত বিভ্রান্তির শিকার হয়ে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে, এই দুর্দিনে পথনির্দেশ এবং প্রেরণার জন্য আমাদের বঙ্গবন্ধুর কাছে সাহায্য চাইবার যথেষ্ট কারণ আছে। শেখ মুজিবের চিন্তা এবং বিচার-বিশ্লেষণ যে সব দিক থেকে আজ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, এখানে তার কয়েকটির উল্লেখ করতে চাই।
প্রথমত, ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তা হিসেবে শেখ মুজিব ছিলেন অগ্রগণ্য। তাঁর দৃষ্টান্ত থেকে এই বিষয়ে সব দেশেরই শেখার আছে। বর্তমান ভারতের পক্ষে তো বটেই, বঙ্গবন্ধুর ধারণা ও চিন্তা উপমহাদেশের সব দেশের পক্ষেই শিক্ষণীয়। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে বাংলাদেশ অনেক উত্থানপতনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তিনি কেমন বাংলাদেশ চান, বঙ্গবন্ধু সে কথা পরিষ্কার করে বলেছিলেন। তাই আমরা খুব সহজেই ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারে তাঁর অবস্থানটা বুঝে নিতে পারি।
কথা জোর দিয়ে বলব যে, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং লোকেদের স্বক্ষমতা-র মধ্যে যোগসূত্রটি শেখ মুজিবকে প্রভূত অনুপ্রেরণা দিত (স্বক্ষমতা শব্দটি ইংরাজি ‘ফ্রিডম’-এর প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করছি)। ইউরোপে ধর্মনিরপেক্ষতার যে ধারণা বহুলপ্রচলিত, তাতে ধর্মের প্রতি সাধারণ ভাবে একটা বিরূপতা পোষণ করা হয়ে থাকে। এই ধারায় মনে করা হয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কখনও কোনও ধর্মীয় ক্রিয়াকর্মকে উৎসাহ দেবে না, বা সাহায্য করবে না। আমেরিকায় মাঝেমধ্যে এই গোত্রের ধর্মনিরপেক্ষতা অনুশীলনের চেষ্টা হয়েছে, তবে সে দেশের বেশির ভাগ মানুষের মনে ঈশ্বর এবং খ্রিস্টধর্মের আসন এতটাই পাকা যে, সেই উদ্যোগ কখনওই খুব একটা এগোতে পারেনি। যে কোনও রকমের ধর্মীয় আচার থেকে রাষ্ট্রকে দূরে রাখতে ফরাসিরা তুলনায় অনেক বেশি সফল, কিন্তু ধর্মকে সম্পূর্ণ বর্জন করে চলার চরম ধর্মনিরপেক্ষতার লক্ষ্য সে দেশেও দূরেই থেকে গেছে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা পরিষ্কার: ধর্মনিরপেক্ষতার এমন কোনও অর্থ কখনওই তাঁর চিন্তায় স্থান পায়নি, যা মানুষের ধর্মাচরণের স্বক্ষমতাকে অস্বীকার করবে। যাঁদের ধর্মবিশ্বাস গভীর, তাঁদের কাছে এই স্বক্ষমতা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই কারণেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধর্ম-বিরোধিতা হিসেবে দেখবার চিন্তাধারাকে মুজিবুর রহমান বিশেষ মূল্য দেননি। ধর্মীয় আচারকে এড়িয়ে চলার বা ‘ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার’ তাগিদে ধর্মাচরণের স্বক্ষমতাকে অস্বীকার করার কোনও প্রয়োজন তিনি বোধ করেননি। ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ অনুসরণ অর্থে শেখ মুজিব ঠিক কী বুঝতে চেয়েছিলেন? ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় বাংলাদেশের আইনসভায় সে-দিনের নবীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের সংবিধান গ্রহণের সময় তিনি বলেছিলেন:
“আমরা ধর্মাচরণ বন্ধ করব না… মুসলমানরা তাঁদের ধর্ম পালন করবেন… হিন্দুরা তাঁদের ধর্ম পালন করবেন… বৌদ্ধরা তাঁদের ধর্ম পালন করবেন… খ্রিস্টানরা তাঁদের ধর্ম পালন করবেন… আমাদের আপত্তি শুধু ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারে।”
ধর্মাচরণের স্বক্ষমতাকে এখানে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যাকে বর্জন করতে বলা হচ্ছে তা হল ধর্মকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা, তাকে রাজনীতির উপকরণ বানানো। এটি এক ধরনের স্বক্ষমতা-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা রাষ্ট্রকে লোকের নিজের নিজের ধর্মাচরণে হস্তক্ষেপ করতে বারণ করে। বস্তুত, আমরা আরও এক পা এগিয়ে গিয়ে বলতে পারি: মানুষকে স্ব-ইচ্ছা অনুযায়ী ধর্মাচরণের স্বক্ষমতা ভোগ করতে সাহায্য করা উচিত, কেউ যাতে কারও ধর্মাচরণে বাধা দিতে না পারে সে জন্য যা করণীয় করা উচিত। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের ভূমিকা আছে।
দুঃখের কথা হল, ইদানীং ভারতে এই নীতি ও আদর্শ বেশ বড় রকমের বাধার সম্মুখীন। বিভিন্ন ধর্মের প্রতি আচরণে প্রায়শই বৈষম্য করা হচ্ছে, হিন্দুত্বের প্রতি পক্ষপাতিত্ব সম্পন্ন কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে, এমনকি নাগরিকত্বের প্রশ্নেও, তাদের পছন্দসই ধর্মগোষ্ঠীর মানুষকে বিশেষ সুযোগসুবিধা দিচ্ছে। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিশেষ সম্প্রদায়ের (যেমন, মুসলমান, বা নিম্নবর্ণের হিন্দু বা আদিবাসী) বিশেষ বিশেষ খাদ্য (যেমন, গোমাংস) নিষিদ্ধ করার ফরমান জারি হয়েছে, যে হেতু এ ব্যাপারে অন্য ধর্মের কিছু লোকের (বিশেষত গোঁড়া হিন্দুদের) আপত্তি আছে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বিবাহে নিয়ন্ত্রণ, কখনও বা নিষেধাজ্ঞা, জারি করা হচ্ছে— সংশ্লিষ্ট ধর্মমতে এমন বিবাহ নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও। এবং, বিবাহের উদ্দেশ্যে জোর করে মেয়েদের ধর্মান্তর করানোর নানা কাহিনি প্রচার করা হচ্ছে, অথচ বিভিন্ন মামলার সূত্রে প্রায়শই ধরা পড়েছে যে এ-সব গল্প একেবারেই ভুয়ো।
ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে মোগল সম্রাট আকবর যথেষ্ট পরিষ্কার ধারণা নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল এই যে, লোকে নিজে যে ভাবে যে ধর্ম পালন করতে চায় তাতে কোনও বাধা দেওয়া উচিত নয়। রাষ্ট্র এই স্বক্ষমতা রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে, কিন্তু কোনও ধর্মকে বিশেষ সুবিধা দেবে না।
দেখা যাচ্ছে, এখানে ধর্মনিরপেক্ষতার দু’টি নীতি কাজ করছে: (১) বিভিন্ন ধর্মের প্রতি রাষ্ট্রের আচরণে কোনও ‘অ-সমতা’ থাকবে না (আকবর এই ব্যাপারটিতে জোর দিয়েছিলেন) এবং (২) ‘ধর্মকে রাজনৈতিক কারণে বা প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে না’ (বঙ্গবন্ধুর কাছে যা গুরুত্ব পেয়েছিল)। এ-দুটো ঠিক এক নয়। কিন্তু দুই আদর্শের যে কোনওটি লঙ্ঘিত হলে লোকের ধর্মীয় স্বক্ষমতা একই ধরনের বাধার সম্মুখীন হবে, কারণ সাধারণত এক ধর্মের তুলনায় অন্য ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্বের কারণেই ধর্মীয় স্বক্ষমতা খর্ব করা হয়ে থাকে। ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা লঙ্ঘনের ঘটনাগুলিতেও এর অনেক প্রমাণ মেলে।
শেখ মুজিব, এবং আকবর, ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি যে ভাবে পরিষ্কার করেছিলেন, তা থেকে শিক্ষা নেওয়া কেবল ভারতে নয়, অনেক দেশেই গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকায় বা ইউরোপে অনুরূপ নানা বৈষম্য, যেমন জাতিগত বা নৃগোষ্ঠীগত অসাম্য বিষয়ক রাজনৈতিক আলোচনাতেও এই ধারণা প্রাসঙ্গিক। উপমহাদেশে, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মতো দেশে সমকালীন নানা বিতর্কে ও বিক্ষোভে জড়িত বিভিন্ন প্রশ্নেও তা আলো ফেলতে পারে।
ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে দেখলে বোঝা যায়, ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিটা বিশেষ উদ্বেগজনক, কারণ অনেকগুলো দশক ধরে এ-দেশে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের চর্চা এই সে-দিন অবধি অনেক দেশের তুলনায় বেশ সবল ছিল। দেশের কিছু রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্নটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেমন, পশ্চিমবঙ্গে আগামী এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ধর্মনিরপেক্ষতার মূল প্রশ্নগুলি নিয়ে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু তার যে মৌলিক শর্তাবলির কথা বলেছিলেন সেই সব বিষয়ে এখন বড় রকমের আলোচনার প্রয়োজন। তার কারণ, ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ মেনে চলার— এবং লঙ্ঘন করার— ব্যাপারে নানা রাজনৈতিক দলের আচরণ কিছু রাজ্যের ভোটের লড়াইয়ে বিশেষ প্রাসঙ্গিক। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার না করার যে নীতিতে বঙ্গবন্ধু জোর দিয়েছিলেন, এই প্রসঙ্গে তা অতি গুরুত্বপূর্ণ— শুধু বাংলা নয়, গোটা বিশ্বের পক্ষেই। বঙ্গবন্ধুকে তাই ‘বিশ্ববন্ধু’ হিসেবেও আমরা সম্মান জানাতে পারি।
ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিটা বিশেষ উদ্বেগজনক, কারণ এ-দেশে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের চর্চা এই সে-দিন অবধি অনেক দেশের তুলনায় বেশ সবল ছিল।
শেখ মুজিব যে কেবল ধর্মনিরপেক্ষতাকে স্বক্ষমতা প্রসারের জায়গা থেকে দেখেছিলেন তা নয়, সাধারণ ভাবেই স্বক্ষমতার গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁর প্রবল আগ্রহ ছিল। বস্তুত, যে মাতৃভাষার দাবি আদায়ের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, স্বক্ষমতার প্রশ্নটি ছিল তার একেবারে কেন্দ্রে, মাতৃভাষা ব্যবহারের স্বক্ষমতার দাবির সঙ্গে বাঙালি জাতির ধারণাটিও ওই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সম্পৃক্ত হয়ে যায়।
এটা একটা প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় উপমহাদেশের বিভিন্ন বিষয়েই, যেমন শ্রীলঙ্কায় সিংহলি ও তামিল ভাষার আপেক্ষিক গুরুত্বের ব্যাপারে। শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক নেতারা শেখ মুজিবের ভাষা বিষয়ক চিন্তাভাবনার প্রতি মনোযোগী হলে এবং মাতৃভাষার প্রতি লোকের মমতা ও শ্রদ্ধাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন স্বীকার করলে হয়তো সে দেশের যুদ্ধ এবং বিপুল রক্তক্ষয় অনেকটাই কম হতে পারত। ভাষা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সামাজিক বিশ্লেষণের যে প্রজ্ঞা, তার গুরুত্ব বাংলার সীমা ছাড়িয়ে বহু দূরে প্রসারিত।
ভারতের স্বাধীনতার অল্প কালের মধ্যেই সমস্ত প্রধান ভাষাকে দেশের সংবিধানে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়ার ফলে অনেক গুরুতর সমস্যা এড়ানো গিয়েছিল। সেটা শেখ মুজিব স্বদেশের বড় নেতা হয়ে ওঠার অনেক আগেকার কথা বটে, কিন্তু তাঁর চিন্তাধারার কিছু কিছু দিক ভারতের এই ভাষা-নীতির ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিক। জাতীয় ভাষার সাংবিধানিক মর্যাদা প্রধান ভাষাগুলিকে গুরুত্ব দিয়েছিল বটে, কিন্তু হিন্দি ও ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যবহারের ফলে অন্য প্রধান ভারতীয় ভাষাগুলির সঙ্গে তাদের একটা অসমতা তৈরি হয়, যার কিছুটা হয়তো অনিবার্য ছিল। যাঁদের মাতৃভাষা হিন্দি (বা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ইংরেজি), অন্যদের তুলনায় তাঁরা কিছু বাড়তি সুবিধা পেয়ে যান। সরকারি কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাষার মধ্যে সমতা বিধানের প্রশ্নটি বাস্তবের সাপেক্ষেই বিচার করতে হবে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে অসাম্যের ব্যাপারটাকে হয়তো আরও বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখার দরকার আছে।
এ-সমস্যাটা হয়তো পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও কিছুটা প্রাসঙ্গিক, কিন্তু দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রশ্নটি আরও অনেক বড়। সেখানকার ভাষাগুলি সংস্কৃত থেকে আসেনি, এসেছে প্রধানত প্রাচীন তামিল থেকে। একটু অতিসরলীকরণের ঝুঁকি নিয়ে বলা যায়, শেখ মুজিব বরাবর স্বক্ষমতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, এবং মর্যাদা, স্বীকৃতি, সরকারি কাজে বা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের মতো বিষয়গুলিকে এই বৃহত্তর প্রেক্ষাপটেই দেখা দরকার।
শেষ করার আগে সমতার প্রসার বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাভাবনা নিয়ে দু’একটা কথা বলা যেতে পারে। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অবিভক্ত পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার ও স্বাধীনতার যে দাবি তোলে, তার পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল সমতা প্রসারের প্রশ্ন। ১৯৭০-এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের প্রচারপর্বে বিভিন্ন ভাষণে দেশের নানা বর্গের মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সমতার প্রশ্নটিকে পেশ করতে দ্বিধাবোধ করেননি। হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে সমতার প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দিয়ে তার ভিত্তিতে তিনি এই নীতির উপর জোর দেন যে, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অন্য সমস্ত নাগরিকের সমান অধিকার এবং সুযোগ ভোগ করার স্বত্ব থাকা চাই।’
পূর্ব পাকিস্তানে মুসলমানদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল, কিন্তু সমতার আদর্শ থেকে সংখ্যালঘুদের ন্যায্য অধিকারের এই দাবি ঘোষণা আওয়ামী লীগের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি, তার একটা বড় কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর নীতিনিষ্ঠ সওয়াল (জাতীয় আইনসভায় পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ)। ন্যায্য লক্ষ্য পূরণের জন্য সুষ্ঠু যুক্তিপ্রয়োগ যে কার্যকর হতে পারে, বঙ্গবন্ধুর জীবনের ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নানা কাহিনিতে তার প্রমাণ আছে। সেটাও কম শিক্ষণীয় নয়।
ইতিহাসের একটি ব্যাপার উল্লেখ করে কথা শেষ করব। বঙ্গবন্ধু তাঁর নৈতিক আদর্শগুলির সঙ্গে বাংলার পুরনো মূল্যবোধের সম্পর্কের কথা অনেক বারই বলেছেন। সমতার প্রতি তাঁর আগ্রহের তেমন কোনও ঐতিহাসিক যোগসূত্র আছে কি? উত্তরে বলা যায়: হ্যাঁ, আছে। যেমন, অনেক কাল আগে থেকেই বাংলার সমাজসচেতন কবি ও চারণদের কবিতায় সমতার ধারণাটি গুরুত্ব পেয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের মতো বিদ্রোহী কবির লেখায় তো বটেই, একেবারে প্রথম যুগের বাংলা কবিতাতেও এমন সূত্রের সন্ধান আছে।
একটা দৃষ্টান্ত দেওয়া যাক। দশম শতাব্দীর বাংলা ভাষায় লেখা চর্যাপদ-এ আমরা পড়ি, বৌদ্ধ কবি সিদ্ধাচার্য ভুসুকু তাঁর নদীপথে পূর্ববঙ্গে যাওয়ার কথা লিখছেন। পূর্বগামী সেই যাত্রাপথে তাঁর নানা অভিজ্ঞতা হয়, যেমন, জলদস্যুরা তাঁর সব কিছু লুণ্ঠন করে নিয়ে যায় (ভুসুকু বলেন তিনি সে জন্য বিলাপ করবেন না), আবার সমাজের সবচেয়ে নিম্নবর্গের এক জন নারীর— এক চণ্ডালিকার— সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয় (তিনি এই বিবাহে পুলকিত হন)। এবং, সিদ্ধাচার্য— আজ থেকে হাজার বছর আগে— সমতার বন্দনা করে লেখেন:
বাজ ণাব পাড়ী পঁউয়া খালেঁ বাহিউ।
অদঅ বঙ্গালে দেশ লুড়ি।।
আজি ভুসুকু বঙ্গালী ভইলী।
নিঅ ঘরিণী চণ্ডালী লেলী।।
(পেড়ে এনে বজ্রনাও পদ্মখালে বাওয়া/ লুট করে নিল দেশ অদ্বয় বঙ্গাল/ আজকে ভুসুকু হল (জাতিতে) বঙ্গালি/ চণ্ডালীকে (ভুসুকুর) পত্নীরূপে পাওয়া।)
দেখা যাচ্ছে, হাজার বছর আগেও এক জন ‘যথার্থ বাঙালি’র মূল্যবোধগুলি কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হত। মনে রাখা দরকার, এই মূল্যবোধগুলোর অন্যতম ছিল সমতার সমাদর। এখানে ইতিহাসের ধারাবাহিকতার কিছু প্রমাণ আছে। সিদ্ধাচার্য যাঁদের ‘যথার্থ বাঙালি’ বলেছেন, তাঁরা যে আদর্শগুলির সমাদর করতেন, সেই ঐতিহ্যবাহিত মূল্যবোধের সঙ্গে আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের সংযোগ সাধন করা যায়, যে ধর্মনিরপেক্ষতা আজ আমাদের পক্ষে বিশেষ দরকারি। এই বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর উজ্জ্বল চিন্তাভাবনা আমাদের প্রেরণা দিতে পারে।
(২৭ জানুয়ারি ২০২১ লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স আয়োজিত সভায় প্রদত্ত বক্তৃতা অবলম্বনে লেখা)
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এবার একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক

এবার একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ২১ বিশিষ্ট নাগরিককে এ বছর একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের  স্মারকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এবছর একুশে পদক প্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে মরহুম মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার) (মরণোত্তর), মরহুম শামছুল হক (মরণোত্তর) এবং মরহুম আফসার উদ্দিন (মরণোত্তর)। শিল্পকলা বিভাগে (সঙ্গীত) বেগম পাপিয়া সরোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আলোকচিত্রে পাভেল রহমান।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুল রহমান খান ফারুক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)। সাংবাদিকতায় অজয় দাসগুপ্ত, গবেষণায় ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান।

ভাষা এবং সাহিত্যে এই সম্মাননা পেয়েছেন কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী এবং গোলাম মুরশিদ।

বিকেএমইএ সদস্যদের সহযোগিতার আশ্বাস বন্ড কমিশনারের

0
বিকেএমইএ সদস্যদের সহযোগিতার আশ্বাস বন্ড কমিশনারের

নিউজ মে্ট্রো ডেস্ক

বন্ড কাস্টমস কমিশনরাট চট্রগ্রাম এর কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে তৈরী পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে, আর সে লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বন্ড কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বিকেএমইএর সদস্যদের কে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথা বলেন তিনি।

বুধবার বন্ড অফিসে তাঁর সঙ্গে  সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক  মোঃ হাসান, মির্জা মোঃ আকবর আলী চৌধুরী, আহমেদ নুর ফয়সাল, বিকেএমইএর সাবেক পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের, বিকেএমইএর সদস্য সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার।

বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দ কমিশনারকে দায়িত্বভার গ্রহণ করায় আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, বন্ড কমিশনারেট পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করে গার্মেন্টস্ সেক্টরের আমদানি ও রপ্তানি সংক্রান্ত বিরাজমান সমস্যা সমূহ নিরসনে সচেষ্ট হবেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার মাহফুজুল হক ভুঁইয়া, বিকেএমইএর সিনিয়র যুগ্ম সচিব মোঃ আলতাফ উদ্দিন, সহকারী সচিব হিমেল বডুয়া প্রমুখ।

সুবিধাভোগী সংস্থাগুলো ১% সার্ভিস চার্জ দিলে স্বনির্ভর হবে চসিক

0
সুবিধাভোগী সংস্থাগুলো ১% সার্ভিস চার্জ দিলে স্বনির্ভর হবে চসিক

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরীর সুবিধাভোগী সংস্থাগুলো যদি তাদের আয়ের এক শতাংশ সার্ভিজ চার্জ দেয় তাহলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আত্মনির্ভরশীল হবে এবং আশে-পাশে শহর ও উপশহরগুলোও চালাতে পারবে। বৃহস্পতিবার সকালে চিটাগাং সিনিয়রস্ ক্লাব লিঃ এর অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সুবিধাভোগী এই সংস্থাগুলো হলো চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস্ ও ইপিজেড। এই ইপিজেডে এক হাজার ছয়শতটি প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের মাঝে মাত্র ১২ টির ট্রেড লাইসেন্স আছে। ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোন কর দিতে হয় না। অথচ তারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বেশী পরিমান সুবিধা ভোগী। তিনি আরো বলেন, আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দশ হাজারের বেশী জনবল আছে। কিন্তু এর মধ্যে এক হাজার জনও দক্ষ নেই। এই দক্ষ জনবল নিয়োগে সিটি কর্পোরেশনকে অগ্রানোগ্রাম অনুযায়ী ক্ষমতা দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, পরিচ্ছন্ন বিভাগে অতিরিক্ত জনবল আছে। তবে তারা অধিকাংশই কাজে নেই, হাজিরায় আছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী করদাতাদের দেয়া অর্থে চলেন। তাই কর দাতাদের সম্মান করতে হবে। এ লক্ষ্যে কর আদায় পদ্ধতি সহজ করতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাখাতকে গুরুত্বপ‚র্ণ হিসেবে অবহিত করে বলেন, সাবেক সিটি মেয়র জননেতা এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এই দুটি খাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই এই দুটি খাত দেশে বিদেশে প্রসংশিত। তবে এই দুটি খাতে সিটি কর্পোরেশনকে বিপুল পরিমাণ ভ‚র্তুকি দিতে হয়। এই ভ‚তুর্কি সিটি কর্পোরেশনের জন্য বোঝা। শিক্ষা খাতে প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চসিকের আওতায় থাকতে পারে। আমি এমনও জানি যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে স্বয়ং সম্প‚র্ণ সেগুলোকেও সিটি কর্পোরেশনের অধিনে আনা হয়েছে, এটা কোন প্রয়োজন ছিল না। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে পরিচালিত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এসবের পরিচালনা ব্যবস্থায় ত্রæটি আছে। এই খাতে বিদেশী বিনিয়োগ করার জন্য আমি নির্বাচিত পরিষদকে আহবান জানাতে অনুরোধ করছি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রাম বন্দর অফিসিয়াল হিসেব অনুযায়ী বার্ষিক ৩৬ কোটি টাকা কর দেয় কিন্তু ন্যায্য হিসেব করলে সিটি কর্পোরেশন পাবে ২১৬ কোটি টাকা। আমি আশা প্রকাশ করবো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত পরিষদ এ ব্যাপারে প্রাপ্য হিস্যা আদায় করে নেবেন।

 

ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য ভূমিমন্ত্রীর ৫ কোটি টাকা অনুদান

ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য ভূমিমন্ত্রীর ৫ কোটি টাকা অনুদান

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের একটি প্রকল্প ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিসার্স  ইনষ্টিটিউটের জন্য ৫ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি । বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে এ ঘোষনা দেন তিনি।

ক্যান্সার হাসপাতাল  ও রিচার্স ইনইস্টিটিউট বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি সাবিহা মুসা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী , চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন দাতা সদস্যবৃন্দ, নির্বাহী সদস্য, ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালের চত্বরে ক্যান্সার হাসপাতাল  ও রিচার্স ইনইস্টিটিউট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ হাসপাতাল ইতিহাস হয়ে থাকবে। করোনাকালীন মা ও শিশু হাসপাতালের অবদান অবিস্মরণীয়। অন্য হাসপাতালের ডাক্তার চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন । অপরদিকে মা ও শিশু হাসপাতালের করোনা মোকাবেলায় অগ্রনী ভূমিকা রাখছে। এ হাসপাতালের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকেও  অর্থিক অনুদান দিবেন বলে আশ্বাস দেন।

তিন পয়েন্ট এগুলো বাংলাদেশ

0
তিন পয়েন্ট এগুলো বাংলাদেশ

হুয়াওয়ের ‘গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স ২০২০ অনুযায়ী অনুযায়ী কোভিড ১৯-এর ক্রান্তিকালেও আইসিটি খাতে নিজের অগ্রগতি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। গত বছরের তুলনায় এবছর ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং আটির্ফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ক্ষেত্রে এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর এর ফলে সার্বিকভাবে এবছর আরও তিন পয়েন্ট যোগ হয়েছে বাংলাদেশের খাতায়।

স¤প্রতি ৭৯ টি দেশের ডিজিটাল ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য হলো দেশ এবং শিল্পকে ডিজিটাল রূপান্তর সম্পর্কিত অনুমোদন, দিক নির্দেশনা দেয়া, এবং দেশগুলোর ডিজিটাল অগ্রগতির সঠিক মাত্রা  তুলে ধরা। ২০১৫ সাল থেকে দেশগুলোতে সরবরাহ, চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনা; এই চার ক্ষেত্রের ৪০টি সূচকের ভিত্তিতে এই জিসিআই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে।

এখানে দেশগুলোকে  ফ্রন্টরানার, এডোপটার ও স্টার্টার, এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই তালিকায় স্টার্টার গ্রুপে আছে। গত বছর এই স্টার্টার গ্রুপের দেশগুলোর গড় মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের  পরিমাণ আড়াই গুণ বেশি বেড়েছে, তাদের ৪জি সাবস্ক্রিপশন বেড়েছে, এবং তাদের মোবাইল ব্রডব্যান্ড ২৫% বেশি সাশ্রয়ী হয়েছে । এই অর্জনগুলি স্টার্টার দেশগুলোকে আরও ভাল ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ করতে এবং অর্থনৈতিক বিকাশে নতুন সুযোগগুলি গ্রহণ করতে সক্ষম করেছে। পাশাপাশি, ই-কমার্সে তাদের ব্যয় ২০১৪ সাল থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে । জিসিআই ২০১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী এই স্টার্টার দেশগুলোর মধ্যে মোবাইল ফিনান্সিয়াল ক্ষেত্রে টপ মুভার হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।

জিসিআই ২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে এই পর্যন্ত ‘গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স’ বা বৈশ্বিক সূচকে আট পয়েন্ট এগিয়েছে বাংলাদেশ।  আর সেই ৪০ টি সুচকের মধ্যে গত বছরের তুলনায়,২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ, ৪জি সংযোগ বেড়েছে। পাশাপাশি এআই এবং আইওটি ক্ষেত্রে সম্ভাবনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

গবেষণায় এসেছে,  যে দেশগুলো উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটিকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে পারে তারা অপেক্ষাকৃত বেশি সুফল পেয়ে থাকে। এবং এটি সরাসরি মাথাপিছু আয়কে প্রভাবিত করে। যে সমস্ত দেশ ডিজিটাল অবকাঠামোর দিকে এগিয়ে আছে সেই দেশগুলো কোভিড সৃষ্ট  অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম। সার্বিকভাবে, অন্যান্য দেশগুলোকে এই মন্দা কাটিয়ে উঠতে দ্রুত লকডাউন শেষ করে আগের মতো অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করতে হবে।

#প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

দেশের ৮ বিভাগে হবে ক্যান্সার হাসপাতাল

দেশের ৮ বিভাগে হবে ক্যান্সার হাসপাতাল

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :

দেশের আট বিভাগে ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করা হবে। ক্যানসারসহ  হার্ট ও কিডনির চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। মহাখালীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব ক্যানসার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। আটটি হাসপাতালে প্রায় ১০০০ বেড থাকবে।হাসপাতালগুলো তৈরি হয়ে গেলে অন্য বিভাগের লোকদের কষ্ট করে ঢাকায় আসতে হবে না। এতে অনেকাংশে এ রোগের চিকিৎসা পেতে মানুষের কষ্ট দূর হবে। সেজন্য আমাদের চেষ্টা চলছে।
হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।

 

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান

মিয়ানমারে সোমবারের সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস।

তিনি বলেন, নির্বাচনের ফল উল্টে দেয়াটা “অগ্রহণযোগ্য” এবং সেনা অভ্যুত্থানের নেতাদের বোঝাতে হবে যে, একটি দেশকে শাসন করার এটা কোন পদ্ধতি নয়।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সম্ভাব্য একটি বিবৃতির বিষয়ে আলোচনা করছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করা হয় এমন যেকোনো বিবৃতি আটকে দেবে চীন।

সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিকে গ্রেফতার করা হয়।  মিয়ানমারের পুলিশ পরে মিস সু চি-র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে। আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি রিমান্ডে রয়েছেন। আটক হওয়ার পর থেকে মিস সু চি কিংবা পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সেনা অভ্যুত্থানের নেতা ও সেনাপ্রধান মিন অং লাইংকে দেখা গেছে যে তিনি ১১ সদস্যের জান্তা গঠন করেছেন।

সামরিক বাহিনী এক বছর দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং তাদের নেয়া পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই হিসেবে গত নভেম্বরের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। ওই নির্বাচনে জয় পায় সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি।

খবর পাওয়া যাচ্ছে যে সামরিক সরকার দেশটিতে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ তাদের মতে, সামাজিক যোগাযোগের এই প্ল্যাটফর্মটি “স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা” সৃষ্টি করছে।

বৃহস্পতিবার ব্যবহারকারীরা জানিয়েছে যে তারা ফেসবুকে ঢুকতে পারছে না। সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতার জন্য খোলা একটি পেইজে লাখ লাখ লাইক রয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব মিয়ানমারে সাংবিধানিক নীতি পুনঃ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি আশা করছেন যে নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে একটি মতৈক্য হবে।

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সব সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবো আমরা। যাতে করে মিয়ানমারের উপর পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ করে এই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করা যায়।”

“নির্বাচনের ফল এবং জনগণের ইচ্ছা উল্টে দেয়াটা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।”

“আমার মনে হয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে বোঝানো সম্ভব হবে যে, এটি একটি দেশকে শাসন করার কোন পদ্ধতি হতে পারে না এবং এভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”

পশ্চিমা দেশগুলো এরইমধ্যে শক্তভাবেই সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে কিন্তু চীনের বিরোধিতার কারণে নিরাপত্তা পরিষদে এনিয়ে কোন একক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চীন একটি যার ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

বরাবরই আন্তর্জাতিক রোষের মুখ থেকে মিয়ানমারকে রক্ষায় ভূমিকা পালন করে আসছে বেইজিং এবং সাথে সতর্কও করেছে যে, অভ্যুত্থানের কারণে দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা বা আন্তর্জাতিক চাপ পরিস্থিতিকে শুধু আরো খারাপের দিকেই নিয়ে যাবে।

মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর নির্যাতনের ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার পাশাপাশি চীনও মিয়ানমারকে সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা করেছে।

সূত্র : বিবিসি