প্রচলিত এইচ এস কোডে ডালের শুল্কায়ন চায় চট্টগ্রাম চেম্বার
নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য হিসাবে ডালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানিকৃত মটর ডালের শুল্কায়ন প্রচলিত এইচ এস কোডের আওতায় করার আহŸান জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া না হলে শুল্কায়নের জটিলতায় চাটার্ড জাহাজ অতিরিক্ত অবস্থানের কারণে পোর্ট ডেমারেজ চার্জ, ব্যাংক ঋণসহ অন্যান্য চার্জ বৃদ্ধি পেয়ে আমদানিকৃত ডালের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাভাবিক চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটবে। অধিকন্তু, সাধারণতঃ পবিত্র রমজান মাসে এই ডালের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পায় বিধায় আসন্ন রমজানে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে বলে চেম্বার সভাপতি আশংকা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম-এর কাছে এ চিঠি পাঠান চেম্বার সভাপতি।
চিঠিতে তিনি বলেন- বাংলাদেশে অনেক খাদ্যশস্য আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করা হয় যার মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ডাল অন্যতম। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সকলের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত এই ডাল বিগত ২০ থেকে ২৫ বৎসর যাবৎ ০৭.১৩.১০.৯০ এইচএস কোডে আমদানি এবং শুল্কায়ন হয়ে আসছে। হঠাৎ করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ০৭.১৩.৯০.৯০ এই এইচএস কোডের আওতায় শুল্কায়ন করার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন যা যথাযথ নয়, কেননা ০৭.১৩.৯০.৯০ এইচএস কোডের আওতায় শুল্ক হার ১০%। অপরদিকে ডাল জাতীয় পণ্যের উপর আমদানি পর্যায়ে কোন শুল্ক নেই। বিশেষতঃ গত জাতীয় বাজেটে মাননীয় অর্থমন্ত্রী অতীব প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য হিসেবে বরাবরের ন্যায় সকল প্রকার ডালকে শুল্কমুক্ত রাখেন যা তিনি তাঁর বক্তব্যে উপস্থাপন করেন।
চেম্বার সভাপতি বলেন, যদি ভুল ব্যাখ্যার কারণে এই এইচএস কোড অনুসরণ করে মটর ডালের শুল্কায়ন করা হয় তাতে একদিকে ডালের দাম বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে এর সুরাহা না হলে শুল্কায়নের জটিলতায় চাটার্ড জাহাজ অতিরিক্ত অবস্থানের কারণে পোর্ট ডেমারেজ চার্জ, ব্যাংক ঋণসহ অন্যান্য চার্জ বৃদ্ধি পেয়ে আমদানিকৃত ডালের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাভাবিক চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটবে। অধিকন্তু, সাধারণতঃ পবিত্র রমজান মাসে এই ডালের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পায় বিধায় আসন্ন রমজানে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে বলে চেম্বার সভাপতি আশংকা প্রকাশ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি