
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার চালকের আসনে রয়েছে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জটিলতা বাড়ছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের ফেরত পাঠানোর সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের পাল্লা ভারি হচ্ছে।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলামের দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রসেফর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে বলে আশা প্রকাশ করে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানোর বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক ফোরামেও নিয়েছি। ইতোমধ্যে ১৩২টি দেশ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সম্প্রতি জাপানও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। মিয়ানমারের অনেক শ্রমিক জাপানে আছে। তারাও উদ্যোগ নিয়েছে, মিয়ানমারকে বোঝানোর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা কখনও বলেনি, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে না। কিন্তু আজ প্রায় সাড়ে ৩ বছরে একজন রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। অথচ ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে দেখেছি, তখন অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল আবার নিয়েও গেছে। ১৯৯২ সালে প্রায় ২ লাখ ৫৩ হাজার রোহিঙ্গা আমাদের দেশে আসে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে তারা ২ লাখ ৩০ হাজার জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়ে যায়।
মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামের লেখা বই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলতে হলে রেফারেন্সের প্রয়োজন হয়। কারণ অনেকে মনে করে রোহিঙ্গারা চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়া। তাই মেজর (অব.) এমদাদের এই বই দু’টিকে আমরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারবো। এখানে বারশ বছর আগের ইতিহাসও লিপিবদ্ধ হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এসময় ‘রোহিঙ্গা-নিঃসঙ্গ নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠী ও শেষ সীমান্তের পর কোথায় যাব আমরা’ শীর্ষক বই দু’টির মোড়ক উন্মোচন করেন।