
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
সাড়ে চার লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এসেছে চট্টগ্রাম। রোববার সকাল ৭টায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ফ্রিজার ভ্যানে করে এসব ভ্যাকসিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবিরকে সাথে নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন ও ভ্যাকসিন গ্রহন কমিটির সভাপতি ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, মোট ৩৮ কার্টনে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এসেছে। প্রতি কার্টুনে রয়েছে ১২০০ ভায়াল কোভিড ভ্যাকসিন। প্রতি ভায়াল ১০জনকে প্রয়োগ করা হবে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এসব ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ও ভ্যাকসিন গ্রহন কমিটির সভাপতি ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মহানগর এলাকায় সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও’র তত্ত্বাবধানে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রেজিস্ট্রেশনের হিসাব মতে চাহিদা অনুযায়ী ইপিআই স্টোর থেকে সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। ১৮ বছরের উর্ধে যাদের বয়স তাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগে নিজ নিজ উদ্যোগে অনলাইনে “সুরক্ষা ওয়েবসাইট”এ রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। আশাকরি ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে অগ্রধিকার ভিত্তিতে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সবাই এ ভ্যাকসিনের আওতায়
তিনি আরো বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সকল স্বাস্থ্যকর্মী, সকল অনুমোদিত বেসরকারী ও প্রাইভেট স্বাস্থ্যকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্মুখ সারির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক-বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী, রাষ্ট্রপরিচালনায় অপরিহার্য কার্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী, সম্মুখ সারির গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ৭৭ বছর থেকে অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠী, জাতীয় দলের খেলোয়ার, বাফার, ইমার্জেন্সী ও আউটব্রেকারদের মাঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ভ্যাকসিন (মাংসপেশীতে) প্রয়োগ করা হবে। তবে ১৮ বছরের নীচে বয়সী ও গর্ভবতী কোন মহিলা এ ভ্যাকসিন পাবেনা। যারা ইতোমধ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে তারা ১ মাস পর এ ভ্যাকসিন নিতে পারবে ।
সিভিল সার্জন আরো জানান, তালিকাভূক্ত জনগোষ্ঠীকে ৮ সপ্তাহ ব্যবধানে (১ম ডোজের ৮ সপ্তাহ পর ২য় ডোজ) ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিকদেরও এ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।