
নিউজ মেট্রো রিপোর্ট
সব ধরণের জল্পনা কল্পনা শেষে সারাদেশে আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে করোনা ভাইরাস টিকাদান কর্মসূচী। এ কর্মসূচী সফল করতে প্রস্তুত ১হাজার ৫টি কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা। সকাল ১০টায় টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে এক যোগে এ টিকা দেয়া শুরু হবে। সবগুলো কেন্দ্রকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মোট ২ হাজার ৪০০টি দল এ কাজে নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি দলে দুজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং দুজন স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে প্রতিটি দলে চারজন সদস্য থাকবেন।
ঢাকায় ৬৫টি স্থানে টিকাদান হবে। সেখানে কাজ করবে স্বাস্থ্যকর্মীদের ২০৬টি দল। চট্টগ্রামে প্রথম দিন টিকা দেয়া হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে। পরবর্তীতে নির্ধারিত ১৫টি কেন্দ্রে এ টিকাদান কর্মসূচী চলবে।
চট্টগ্রামে প্রথম চমেক হাসপাতালে করোনা টিকাদান শুরু হবে। সেখানে প্রথম টিকা নিবেন চট্টগ্রাম ৯ সংসদীয় আসনের এমপি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। রবিবার চমেক হাসপাতালের চারটি বুথে চারজনের সেরাম ইনস্টিউটের ‘কভিডশিল্ড’ এই টিকা দেয়া হবে। তবে প্রথম দিন সেখানে ১০০ জনকে টিকাদান হবে। এজন্য হাসপাতালে করা হয়েছে টিকাদান বুথ, অবজারভেশন কক্ষ, থাকবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নেতৃত্বে টিম। নগরীর চমেক হাসপাতালের চতুর্থ তলায় আইসিইউ এর পাশে চারটি বুথে টিকাদান হবে। সেখানে টিকাদান কার্যক্রমে ১০ টিম কাজ করবে। তাদের দেয়া হয়েছে সকল ধরনের প্রশিক্ষণ।এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্ততি সম্পন্ন। রবিবার সকাল ৯ টায় থেকে আমরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবো।
গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। ওইদিন টিকা নেন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। প্রথম দফায় কয়েকশ’ জনকে পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়। এর ১০দিন পর রোববার থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।