
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সারাদেশে বড় পরিসরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের সভায় এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বৃহস্পতিবার ঢাকায় ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি)’ নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ, বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা ও নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।
দেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার। ২০১৬ সালে ২২ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ৬ ধাপে এসব ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সিইসি বলেন, রমজানে নির্বাচন হবে না। মার্চ মাসেও কোন নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের ভোটার তালিকা তৈরি করা, সেটা চূড়ান্ত করা, তালিকার সিডি করে প্রার্থীদের দিতে হবে; এ সকল কাজে এক মাস সময় চলে যাবে। তিনি বলেন, এপ্রিলের ৭ তারিখে আরেক দফা পৌরসভা নির্বাচন হবে। একইসঙ্গে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে। কয়টি পৌরসভা ও ইউপিতে ভোট করা যায় তা পর্যালোচনা করে ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
২০১৬ সালে মোট ছয় ধাপে ৪ হাজারের বেশি ইউনিয়নে ভোট আয়োজন করে কমিশন। প্রথম ধাপে ৭৫২ ইউপির ভোট হয় ২২ মার্চ। এরপর ৩১ মার্চ, ২৩ এপ্রিল, ৭ মে, ২৮ মে ও ৪ জুন ভোট হয়। তবে এবার ইউপি সংখ্যা কিছু বেড়েছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ ইসি সচিবালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।