
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১০দিন ব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচী নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্যে ক্ষুদে মুজিবদের ৭মার্চের ভাষণ, এলইডি স্ক্রিনে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর উপর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তথ্য চিত্র প্রদর্শন, শিশু সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচী রয়েছে। বৃহস্পতিবার কর্পোরেশনের এক সভায় এসব কর্মসূচী চুড়ান্ত করা হয়েছে।
চসিক সূত্র জানায়, জাতীয় কর্মসূচীর আলোকে যথাযোগ্য মর্যাদায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যেগে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী ২০২১ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়ে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত দশ দিনের কর্মসূচী চুড়ান্ত করা হয়েছে। গৃহীত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ১৭ মার্চ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চসিকের প্রধান ভবন সহ আঞ্চলিক কার্যালয়, ওয়ার্ড অফিস ও কর্পোরেশন আওতাভূক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহে জাতীয় পতাকা ও কর্পোরেশনের পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৮ টায় বাটালিহিলস্থ নগর ভবন কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পূষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, সকাল ৯ টায় ওয়ার্ডস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমূহে দিনব্যাপি বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, সকাল ১০ টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ জিমনেশিয়াম চত্বরে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ পূর্বক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মুজিবকোট পরিহিত ক্ষুধে মুজিবদের ৭ই মার্চের ভাষণ, শিশু সমাবেশ ও কেক কাটা এবং টাইগারপাস এলাকায় ১০১টি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী। ১৭ মার্চ বাদ জোহর কর্পোরেশন ভুক্ত মসজিদ মাদ্রাসায় মিলাদ ও বিশেষ মুনাজাত এবং সুবিধাজনক সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান।
এছাড়া ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ১০ দিন ব্যাপি কর্মসূচী পালন করা হবে। এসময় টাইগারপাসস্থ প্রধান নগর ভবন, আন্দরকিল্লায় পুরাতন নগর ভবনের আঞ্চলিক অফিস, নিউ মার্কেট মোড়, কাজির দেউড়ি চেরাগী পাহাড় মোড়, আন্দরকিল্লা চত্বর সমূহ ও এক্সেস রোড বড় পোলে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এবং টাইগারপাস-লালখান বাজার থেকে কাজির দেউড়ি , বহদ্দার হাট মোড় মসজিদ সম্মুখস্থ আইল্যান্ডে আলোকসজ্জা এবং ফোয়ারা সমূহ সচল রাখা। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্প্রচার দেশাত্ত¡বোধক গান, উদ্দীপনামুলক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নগরীর ওয়ার্ড সমূহে বিশেষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান রাখা, জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত ড্রপওয়াল প্রদর্শন, গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি স্থানে বঙ্গবন্ধুর ছবি দৃশ্যমান করা, ৫ টি স্থানে এলইডি স্ক্রিনে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর উপরে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র ও তথ্য চিত্র প্রদর্শন। ১৭ মার্চ দুপুর ১ টায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এতিম ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ। কর্পোরেশন ভূক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহে অনুষ্ঠান পালন। ৪১টি ওয়ার্ডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। পুষ্পস্তবক অর্পন সম্ভাব্য অন্যান্য কর্মসূচী পালন ও আলোকায়ন। এছাড়া ১৭ মার্চ জিমনেশিয়াম চত্বরে বিভিন্ন স্কুলের অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্র্থীদের মধ্যে শিক্ষা সহায়ক প্রণোদনা প্রদান করা হবে। মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী লে কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া,মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানার ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী,আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, শিক্ষা কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস,রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবু ছিদ্দীকি, বিপ্লব দাশ, মীর্জা ফজলুল কাদের, শেখ আশিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, প্রকৌশলী আব্দুলাহ আল ওমর, প্রোগ্রামার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এস্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।