
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্থাপনা জেএমসেন এর বাড়িটি ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা জাদুঘর’ হিসাবে গড়ে তোলা হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কওে ভবনটি জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে চট্টগ্রামের নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান একথা বলেন।
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে চট্টগ্রামেও একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর জন্য স্থান নির্ধারণের কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। আগামীতে কর্ণফুলী নদীসহ সরকারি জায়গায় যেসকল অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর প্রচেষ্টা চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ¦ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম সভা সঞ্চালনা করেন।
এ সময় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি স ম ইব্রাহীম, সিইউজের সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, মনজুর কাদের মনজু সহ চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে যোগদানের পর বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চসিক নির্বাচন। জেলা প্রশাসন কার্যালয়েও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। মানবিক দুর্নীতিমুক্ত জেলা প্রশাসন করতে ৩ জনকে বরখাস্ত এবং ৭ জন সহকর্মীকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেছি। জেলা প্রশাসনের ভ‚মি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ইতোমধ্যে দুইজন দালালকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে আশা করছি। একইসঙ্গে আগামী একশ বছর পর কেমন বাংলাদেশ হবে তার ডেল্টা প্ল্যানও করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়নে আমি সাধ্যমতো কাজ করে যাবো।