
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাস্ক না পারলে পুলিশও যাতে জরিমানা করতে পারে, সেই বিধান চালু করতে যাচ্ছে সরকার। অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সুযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মূলত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই জরিমানা করে থাকেন।
করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে চলমান বিধিনিষেধ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ১১ আগস্ট থেকে গণপরিবহন, দোকানপাট, অফিসসহ সবকিছু সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে ৭ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বয়স্ক মানুষ অগ্রাধিকার পাবেন। একই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষ, দোকানদার, গণপরিবহনের কর্মীদের নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে টিকা নিতে হবে। টিকা না নিয়ে কেউ কোনো কর্মস্থলে আসতে পারবেনা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যদি এটিকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে পুলিশকেও ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
যারা মাস্ক পরবে না, যাতে তাদের কিছুটা হলেও জরিমানা করতে পারে। এ বিষয়ে অধ্যাদেশ লাগবে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। হয়তো বা আমরা সেদিকেও যাব। ’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের হাতে এখন প্রায় সোয়া কোটি টিকা আছে। তা ছাড়া এ মাসে আরও প্রায় এক কোটি টিকা হাতে এসে পৌঁছাবে। স্থানীয়ভাবেও টিকা উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। ইতিমধ্যে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কোম্পানি মিলে স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের কাজও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিও পাওয়া গেছে।