
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বন্যা শুরুর পর হতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় অত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যকলাপ সমন্বিতভাবে চলমান রয়েছে। বন্যার ভয়াবহতা বিবেচনায় দেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী-সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও ছাত্র-জনতা বন্যার্তদের উদ্ধার, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিরলস কাজ করছেন।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলীমুল আলীম, বৈষম্যবিরোধী ছাএ আন্দোলনের প্রতিনিধি হাসিবুল ইসলাম ও লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক ই আজম বলেন, দেশে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশে চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৭ জন। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১০ জন, ফেনীতে ১ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, নোয়াখালীতে ৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ জন, লক্ষীপুরে ১ জন ও কক্সবাজারে ৩ জন।
উপদেষ্টা জানান, এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত ১১ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন। পানিবন্দি পরিবার ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি। ৭৪ উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/ পৌরসভা ৫৪১টি।
ত্রাণ উপদেষ্টা আারো জানান, এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৮৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ লাখ ৯ হাজার ৭২৮ জন এবং ৩৪ হাজার ৪২১টি গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৬২০টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।