Home অর্থনীতি খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ভোট হচ্ছেনা এবারও

খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ভোট হচ্ছেনা এবারও

0
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ভোট হচ্ছেনা এবারও

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নেতৃত্ব বাছাইয়ে পুরোনো পথেই হাঁটছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত আর তা হচ্ছেনা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে ৪১টি পদের সবক’টিতেই একক প্রার্থী থাকায় ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেনা সেখানকার ব্যবসায়ীরা। আগামী ২৪ ফেব্রæয়ারি এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
সহকারি নির্বাচন কমিশনার জামাল হোসেন দেশ রূপান্তরকে জানান, সোমবার (১০ ফেব্রæয়ারি) ছিল খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন বিভিন্ন পদ থেকে মোট পাঁচ জন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে মোট একচল্লিশটি পদে ৪১জনই প্রার্থী থাকে। কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় আর নির্বাচন করার প্রয়োজন হচ্ছেনা।
মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে বিভিন্ন পদে যারা প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, তারা হলেন- সভাপতি পদে মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে আহমদ রশিদ আমু, সহ সভাপতি (দুইটি পদ) পদে অনিল চন্দ্র পাল ও মোঃ আবসার উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আমিনুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আলমগীর পারভেজ, সহ সাধারণ সম্পাদক (দুইটি পদ) পদে মো. আবদুর রাজ্জাক ও মো. রেজাউল করিম আজাদ, অর্থ সম্পাদক পদে নুরুল আলম, সহ অর্থ সম্পাদক পদে মীর মো. সাজ্জাদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আবু বক্কর, সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক পদে মো. খোরশেদ আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মহিউদ্দিন, প্রচার-প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ফরিদুল আলম, বন্দর-কাস্টমস ও ভ্যাট বিষয়ক সম্পাদক পদে রাইসুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক পদে মো. আকবর আলী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। এছাড়া নির্বাহী সদস্যের পঁচিশটি পদে ২৫জন প্রার্থী রয়েছেন।
খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ী এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিতে বিনা ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের যে ধারা চলে আসছিল এবার তা ভাঙ্গবে বলে আশা করেছিল ব্যবসায়ীরা। দেড় যুগ ধরে নির্বাচন না থাকায় সংগঠনবিমুখ থাকা সদস্যদের অনেকে এবার সদস্যপদ নবায়ন করে ভোটার হয়েছিলেন। কিন্তু আবারও গোপন সমঝোতার কারণে ব্যবসায়ীরা ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে মীর গ্রæপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালামের নেতৃত্বাধীন একক প্যানেল মনোনয়ন পত্র জমা দেয়। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদ্য মনোনীত আহŸায়ক ইদ্রিস মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্যানেল দেওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা নির্বাচনে আসেননি। অবশ্য ইদ্রিস মিয়া ও তাঁর সমর্থিত বেশ কিছু ব্যবসায়ী নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া এবং নতুন করে তফসিল ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন তা আমলে নেয়নি।
এদিকে, প্যানেলের বাইরে গিয়ে পাঁচজন ব্যবসায়ী বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরাও সমঝোতার মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠা হলেও ইতিপূর্বে কখনো সেখানে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়নি। একক সিন্ডিকেটের কবলে থাকা এই ব্যবসায়ী সংগঠনে ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিই নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সেখানে নির্বাচনের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন গঠন ও সদস্য নবায়ন করে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। নির্বাচন কমিশন মোট ৪১টি পদে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র দাখিল, বাছাই ও প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here