
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই। আজ মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৪৫ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্ম গ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান। ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন নোমান। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রজীবন শেষ করার পর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন তিনি। ১৯৭০ সালে স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় ইয়াহিয়ার সামরিক আদালতে নোমানকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১৪ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন।
১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ১৫ বছর যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রামের রাউজান ও কোতোয়ালি আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি সরকারের মন্ত্রিসভায় খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান।