
নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘প্রিভেন্টিভ ডিটেনশনে’ কারাগারে থাকা মডেল মেঘনা আলমকে প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে আদালত। সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় বৃহস্পতিবার আদালত তাঁকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেয়। একই মামলায় তার কথিত সহযোগী সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৫দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী মেঘনাকে গ্রেফতার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন এবং তার কাছ থেকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরপর আদালত মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরের বক্তব্য শোনেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে ওই মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে দেওয়ান সমিরকে গ্রেফতার দেখানোর পাশাপাশি ওই মামলা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৯ এপ্রিল রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেয়া হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।