ছাত্রসেনা নেতা রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে ৫মে’র অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রসেনা। সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বিকেল চারটায় কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য এম সোলায়মান ফরিদ বলেছেন, ছাত্রসেনার ৪৫ বছরের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের কোন রেকর্ড নেই। কিন্তু সোমবার মুরাদপুর বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচীতে সন্ত্রাসী হামলার পর সেখান থেকে আটক সেনাকর্মীদের বিরূদ্ধে নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত জঘন্য ও দুঃখজনক। তিনি অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির আহŸান জানান। একই সঙ্গে ছাত্রসেনা নেতা রইস উদ্দিনের খুনিদের দ্রæত গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি।
মুহাম্মদ ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল আলম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগের সকারের সময়ে পুলিশের সাথে যেমন হেলমেট বাহিনী থাকত – ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও সেই বাহিনীর মত উগ্রগোষ্ঠী গতকাল পুলিশের ছত্রছায়ায় নিরীহ, নিরস্ত্র ছাত্রসেনা কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে।
সমাবেশ থেকে মাওলানা রইস উদ্দিনের খুনিদের গ্রেফতার ও চট্টগ্রামে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী শুক্রবার বাদে জুমা আহলে সুন্নত ও ছাত্রসেনার ব্যানারে প্রত্যেক উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা করা হয়। পরে তারা কালো পতাকা মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুন নবী আলকাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা এনাম রেজা, শাহজাদা নিজামুল করিম সুজন, মুহাম্মদ আলমগীর বঈদী, এইচ এম শহীদুল্লাহ, এনামুল হক সিদ্দিকী, মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলীল, আমান উল্লাহ, মঈনুদ্দীন কাদেরী, মুহাম্মদ নুরুদ্দীন কাদেরী, মুহাম্মদ বাহাউদ্দীন কাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ তারেক, শফিউল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক হোসাইন, মোজাম্মেল হক শাহেদ, এনামুল হক মুন্না, মফিজুল আলম প্রমুখ।