
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়াকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ দলের নির্দেশনা অমান্য করে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য গঠনতন্ত্রের বিধান মোতাবেক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়াকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করেছেন।
এর আগে জোবরা এলাকাবাসীর উদ্দেশে দেওয়া সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়ার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে গ্রামবাসীর ওপর হামলার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে এলাকার জনগণ নিয়ে বিশ^বিদ্যালয় ঘেরাও করার হুমকি দেন তিনি। একই সঙ্গে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে উদ্ভুত সমস্যার সমাধান না হলে রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধের ঘোষণাও দেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
এদিকে বহিস্কারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে নিজের ফেসবুক আইডিকে সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া লিখেছেন- দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমি অনুগত। তবুও এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠিত হউক, মানুষের জান মাল নিরাপদ থাকুক।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থী দেরি করে ফেরার কারণে বাসার দারোয়ানের সাথে বাকবিতন্ডা এবং এক পর্যায়ে দারোয়ান কর্তৃক ওই শিক্ষার্থী প্রহৃত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে ও রবিবার দুপুর পর্যন্ত গ্রামবাসীর সাথে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি, প্রক্টরসহ অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাওয়ায় রোববার দুপুর দুইটা থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।