Home Blog

সফল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নৌবাহিনীর বাৎসরিক মহড়া সমাপ্ত

সফল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নৌবাহিনীর বাৎসরিক মহড়া সমাপ্ত

বঙ্গোপসাগরে সফল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া-২০২৫’ রবিবার সমাপ্ত হয়েছে। নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান  এর আমন্ত্রণে অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের  উপদেষ্টা; বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা; এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত  মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ থেকে সমাপনী দিবসের মহড়াসমূহ প্রত্যক্ষ করেন। এছাড়াও নৌবাহিনীর এই মহড়ায় অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

৫ দিনব্যাপী আয়োজিত এ মহড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোলক্রাফ্ট, মিসাইল বোটসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজ এবং নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টার এবং বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস্ প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থাসমূহ এ মহড়ায় প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন ধাপে পরিচালিত এ মহড়ার উল্লেখযোগ্য দিকসমূহের মধ্যে নৌ বহরের বিভিন্ন রণকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ, লজিষ্টিক অপারেশন, উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত নৌ স্থাপনাসমূহের প্রতিরক্ষা মহড়া প্রভৃতি অন্তর্ভূক্ত ছিল। চূড়ান্ত দিনের মহড়ার উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ হতে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ, শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু এয়ার মিসাইল ফায়ারিং, এ্যান্টি এয়ার র‍্যাপিড ওপেন ফায়ারিং, রকেট ডেপথ্ চার্জ ফায়ারিং, নৌকমান্ডোদের মহড়া হেলিকপ্টার ভিজিট বোর্ড সার্চ এন্ড সিজার ও নৌ যুদ্ধের বিভিন্ন রণকৌশল।

নৌবাহিনীর এ বার্ষিক মহড়ার মূল লক্ষ্য সমুদ্র এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, সমুদ্র সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ, সমুদ্র পথের নিরাপত্তা বিধানসহ চোরাচালানরোধ, জলদস্যুতা দমন, উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সমুদ্র এলাকায় প্রহরা নিশ্চিতকরণ। মহড়ার সফল সমাপ্তিতে আগত সম্মানিত অতিথিগণ এ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী সকল কর্মকর্তা ও নাবিকদের অভিনন্দন জানান এবং নৌ সদস্যদের পেশাগত মান, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও উপস্থিত অতিথিগণ দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকারও প্রশংসা করেন।

 -প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর যাত্রা শুরু  ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে

 ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর যাত্রা শুরু  ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সমস্যাগ্রস্থ পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ এর যাত্রা শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বোর্ড সভায় নতুন এই ব্যাংকের অনুমোদন  দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথা জানা গেছে।

একীভূত হওয়া পাঁচটি ব্যাংক হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, রোববার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বোর্ড সভায় সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’কে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নতুন ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করতে আর কোনো বাধা থাকল না অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বর প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয় সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের। যেখানে আরজিএসসি থেকে কোম্পানি নাম ছাড়পত্র, ব্যাংকের চলতি হিসাব খোলাসহ ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধিবিধান পূরণের দায়িত্ব পড়ে সরকারের ওপর।

অনুমোদনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে। মতিঝিল অফিসে নতুন ব্যাংকের নির্ধারিত হিসাব খোলার কাজ ইতোমধ্যে চলছে। রাজধানীর মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

 

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চসিকে দোয়া মাহফিল

0
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চসিকে দোয়া মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের উদ্যোগে রোববার (৩০নভেম্বর) এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার (৩০ নভেম্বর) বাদে জোহর বাটালি হিল টাইগার পাসস্থ নগর ভবনের মসজিদে দোয়া মাহফিল শেষে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘ জীবন কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। মুনাজাতে দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।  লালদীঘি শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা গোলাম মোস্তফা মো. নুরুন্নবী আল কাদেরী দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন

দোয়া মাহফিলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজীবন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আপোষহীন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার এই কঠিন সময়ে আমরা সবাই আল্লাহর দরবারে তার দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একটি দলের নেত্রী নন, তিনি গোটা জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দোয়া মাহফিল থেকে আমরা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে বিশেষভাবে প্রার্থনা জানাই, তিনি যেন আমাদের নেত্রীকে সুস্থ করে দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। আমরা বিশ্বাস করি, লাখো কোটি মানুষের দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন ডিপটি, সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলম, চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান সোহেল, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

দেশের প্রথম ই-পারিবারিক আদালত চট্টগ্রামে

দেশের প্রথম ই-পারিবারিক আদালত চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের প্রথম ই-পারিবারিক আদালত চালু হয়েছে চট্টগ্রামে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা রোববার (৩০ নভেম্বর) এর উদ্বোধন করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এটি পেপারলেস আদালত। বিচারকার্যকে আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ঝামেলামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ই–পারিবারিক আদালত চালু হওয়ায় পারিবারিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। বছরের পর বছর আদালতে ঘুরতে হবে না।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ই–পারিবারিক আদালত চট্টগ্রম এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, ই–পারিবারিক আদালত দেশে বিচারপ্রার্থী মানুষের দুর্ভোগ কমানোর একটি বড় পদক্ষেপ। ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর এ আদালতে মামলার আবেদন থেকে প্রতিদিনের কার্যক্রম—সবই অনলাইনে সম্পন্ন হবে। থাকবে না কোনো কাগজের ব্যবহার। বিচারপ্রার্থীদের মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।

সচিব বলেন, চট্টগ্রামের এ পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে আইনি সেবা প্রদানে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। ডিজিটাল প্রযুক্তির পাশাপাশি ম্যানুয়ালি কার্যক্রমও থাকবে। তবে ই–পারিবারিক আদালতে নথি হারানোর শঙ্কা কম থাকবে। বিচারপ্রার্থীদের যে কোনো মামলার নথি অল্প সময়ের মধ্যে বের করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে হয়রানিও অনেকাংশে কমবে। ই–পারিবারিক আদালতে বিচারপ্রার্থীদের মামলার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি ও অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এতে বিচারকার্য স্বচ্ছ ও ঝামেলামুক্ত হবে।

তিনি বলেন, যেকোনো স্থান থেকেই বাদী ও বিবাদীরা অনলাইন হাজিরা দিতে পারবেন। নিজস্ব পোর্টালে আইনজীবীর পরিচালিত সব নথি থাকবে একসঙ্গে। ফলে ব্যবস্থাপনা হবে সহজ। এদিকে যেকোনো জায়গা থেকে লগইন করে নথির কাজ যেকোনো সময়ে খসড়া করে রাখতে পারবেন আইনজীবীরা। নথি জমা দেওয়া, কপি তোলা ও বারবার একই তথ্য প্রস্তুতের কাজ কমবে।

উদ্বো্ধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার।

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৬ জেলে উদ্ধার

2
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৬ জেলে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বঙ্গোপসাগরে  ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া একটি ট্রলারসহ ২৬জন জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। মঙ্গলবার কক্সবাজার বাতিঘরের ২৭ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,  গত মঙ্গলবার  নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ বঙ্গোপসাগরে টহল কার্যক্রমের সময় ‘এমভি তাজমিনুর রহমান’ নামক মাছধরা ট্রলারটিকে ইঞ্জিন বিকল অবস্থায় কক্সবাজার বাতিঘরের প্রায় ২৭ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে উদ্ধার করে । ট্রলারটির গতিবিধি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় নৌবাহিনীর জাহাজ ট্রলারটির কাছে অগ্রসর হলে নৌ-সদস্যগণ বিপদগ্রস্ত জেলেদের সংকেত দেখতে পায়। পরবর্তীতে, নৌ সদস্যগণ অতি দ্রুত অসহায় জেলেদের উদ্ধার করে। ক্ষুধার্ত জেলেদের উদ্ধারের পরপরই নৌবাহিনীর জাহাজের সদস্যগণ তাদের প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।

পরবর্তীতে নৌবাহিনীর জাহাজ উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের ও মাছ ধরার ট্রলারটিকে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসে ও তাদের পরিবার ও মালিক পক্ষের কাছে সকলকে হস্তান্তর করা হয়। জেলেদের তথ্যসূত্রে জানা যায়, ট্রলারটি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এ মাছ ধরার উদ্দেশ্য সমুদ্র গমন করে এবং ৩ অক্টোবর  তীরে ফেরার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে তারা মাঝ সমুদ্রে ভাসতে থাকে। উল্লেখ্য উদ্ধারকৃত সকল জেলে মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রামে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের

চট্টগ্রামে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় সীতাকুন্ড থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলায় আহত ‘এখন’ টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫জনের নামোল্লেখসহ মোট ২০-৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে। গত রোববার সকালে এই হামলার শিকার হন এখন টেলিভিশন এর বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো চিফ হোসাইন জিয়াদ ও ক্যামেরাপার্সন পারভেজ রহমান। ওই দিন স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে এবং সিএনজি টেক্সীতে তুলে অপহরণের চেষ্ঠা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা টেলিভিশনের ক্যামেরা ভাংচুর, মোবাইল সেট, টাকা, ব্যাংকের ডেবিট কার্ড, ক্যামেরার মেমোরি কার্ড ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, পুলিশ প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান সহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছে চট্টগ্রামের সাংবাদিক সংগঠনগুলো।

নির্ভুল পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে: মেয়র শাহাদাত

নির্ভুল পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে: মেয়র শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম সিটি কর্পেোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও নির্ভুল পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর মুরাদপুরের বিবিরহাট এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ফুড ল্যাবরেটরি পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।
পরিদর্শনকালে মেয়র ল্যাবের কার্যক্রম, যন্ত্রপাতির কার্যক্ষমতা, স্যাম্পল সংরক্ষণ ও পরীক্ষার প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করেন। তিনি ল্যাব কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম, মেশিন ব্যবহারের অবস্থা, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য পরিচালনাগত বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এ সময় তিনি বলেন, এই ল্যাবের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরবাসীর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও এর পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। ফরমালিনসহ ক্ষতিকর উপাদান শনাক্তে এই ল্যাবে নিয়মিত পরীক্ষা চালু রাখা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ফুড ল্যাব যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে এটি রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎসে পরিণত হবে। এজন্য ল্যাবের সরঞ্জামগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
ল্যাবের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশে মেয়র নির্দেশ দেন, যন্ত্রপাতি ও কেমিক্যাল ব্যবহারের মেয়াদ যাচাই করতে হবে এবং পুরনো বা মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ দ্রুত অপসারণ করতে হবে। তিনি ল্যাবের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও ইনভেন্টরি হালনাগাদ রাখার নির্দেশও দেন।
মেয়র আরও জানান, খুব শিগগিরই ফুড ল্যাবটিকে ঢেলে সাজিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে এবং খাদ্য পরীক্ষার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জিল্লুর রহমান, প্রকৌশলী সাফকাত আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আর ইউ চৌধুরী শাহিন, আহবায়ক কমিটির সদস্য এসকান্দর মির্জা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মন্জুর আলম মন্জু, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সি প্রমুখ।

সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের কোন ছাড় নেই : পুলিশ সুপার

সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের কোন ছাড় নেই : পুলিশ সুপার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীরা যত প্রভাবশালীই হোক তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু। মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম টেলিভিশন রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক এর পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন।

গত ৫ অক্টোবর জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন এখন টেলিভিশন এর ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও ক্যামেরাপার্সন পারভেজ রহমান।

পুলিশ সুপার বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর এলাকাটি এখন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে, যা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও পাহাড়ের আঞ্চলিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরের সন্ত্রাসীদের যোগসূত্র তৈরি হয়েছে যা দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

এ সময় তিনি সন্ত্রাসীদের মুখোশ উন্মোচনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, এখন টিভির ব্যুরো প্রধান ও চট্টগ্রাম টেলিভিশন রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (সিটিআরএন)-এর আহ্বায়ক হোসাইন জিয়াদ, সিটিআরএন- এর যুগ্ম আহ্বায়ক একে আজাদ, নির্বাহী সদস্য আরিচ আহমেদ শাহ ও সৈয়দ তাম্মিম মাহামুদসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ।

সভায় হামলার শিকার সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ জঙ্গল সলিমপুরে সংঘটিত হামলার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, এ ধরনের ঘটনা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।

স্মারকলিপিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলায় জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

 

মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সাবের আহমদ আসগারীর ইন্তেকাল

মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সাবের আহমদ আসগারীর ইন্তেকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবের আহমদ আসগারী মঙ্গলবার (৭অক্টোবর) বিকেল চারটা দশ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম নগরীর রয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। বুধবার বাদে যোহর নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
সাবের আহমদ আসগারী ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন এবং অবিভক্ত চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন এবং শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। চট্টগ্রামের আরেক মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী জানান, মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে সাবের আহমদ আসগারী চট্টগ্রামের সাত সদস্যের আঞ্চলিক কমান্ডের একজন কমান্ডার হিসেবে মিরসরাই, সীতাকুন্ড ও সন্দ্বীপের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

 

চট্টগ্রামে ব্রাশ ফায়ারে ব্যবসায়ী খুন: প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামে ব্রাশ ফায়ারে ব্যবসায়ী খুন:  প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় আবদুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রাইভেট কারের মধ্যে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল হাকিম  রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের বাসিন্দা এবং হামিম এগ্রো নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারি। তিনি রাউজানের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী  বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রাউজানে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক অবরোধ করেছে বিএনপি ও যুবদল কর্মীরা।

জানা যায়, বাগোয়ানের পাঁচখাইন গ্রামের বাড়ি থেকে আবদুল হাকিম প্রাইভেট কারে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছিলেন। তাকে বহনকারী কারটি মদুনাঘাট ব্রীজের পশ্চিম পাশে হাটহাজারী অংশে পৌঁছলে  পেছন থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে আসা দুর্বৃত্তরা কারটির গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি ব্রাশ ফায়ার করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সড়ে পড়ে। এ সময় কারের ভেতরে থাকা  হামিম এগ্রোর সত্ত্বাধিকারি আবদুল হাকিম সহ অপর তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়।  স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শিকারপুর ইউনিয়নের কুয়াইশ এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আবদুল হাকিম মারা যান।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ- সভাপতি সাবের সুলতান কাজল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় আহত অপর তিনজন বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে  জানান, আমরা ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। তবে এখনো ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়নি।

এদিকে, আবদুল হাকিমের নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাউজানে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে গিয়াস কাদেরের অনুসারী বিএনপি ও যুবদলকর্মিরা। তাঁরা সড়কের টায়ার জ্বালিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করতে থাকে।

প্রসঙ্গত, রাউজানে বিএনপির গিয়াস কাদের গ্রুপ ও গোলাম আকবর খোন্দকার গ্রুপের দ্বন্দ্বে গত এক বছরে অন্তত দশ জনের বেশি নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। এ হত্যাকান্ডের নেপথ্য কারণ জানা না গেলেও দলীয় অন্তর্কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।