একই সঙ্গে আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানকে বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৪ বছরের দণ্ডিত আসামি আনিসুল ইসলামের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারসমাবেশের জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন। রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতের ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
আদালতে ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মোহাম্মদ শাহীন মৃধা এবং পলাতক আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন অমূল্য কুমার সরকার অংশ নেন। অন্য আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান, মোহাম্মদ আহাসান, ইমাদুল হক ও নাসির উদ্দিন অংশ নেন।