
নন্দীগ্রামে আহত তৃণমূল নেত্রী। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রিন করিডর করে আনা হল কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আগে থেকেই তৈরি ছিল SSKM হাসপাতালের কেবিন। তৃণমূলনেত্রীর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে উডবার্নের ১২.৫ নম্বর কেবিন। এছাড়াও তৈরি কার্ডিওলজি, জেনারেল মেডিসিন, অর্থোপেডিক, এনড্রোক্রাইনোলজি এবং সার্জারি বিশেষজ্ঞ ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড । আপাতত পোর্টেবল মেশিন এনে এক্স-রে করে দেখা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট কতটা গুরুতর।
তৃণমূল নেত্রীর আহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস। নেত্রীর আহত হওয়ার খবর পেয়ে উৎকণ্ঠায় হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমান কর্মী-সমর্থক ও অনুগামীরা। মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছনোর খবর পেয়ে তাঁকে সেখানে দেখতে আসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এসএসকেএম চত্বরে থাকা তৃণমূলকর্মীরা রাজ্যপালকে দেখেই গো-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন।
জানা গিয়েছে, এদিন মনোনয়ন পেশের পর নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সেসময় প্রচুর লোক তাঁকে ঘিরে ছিলেন। আচমকা কয়েকজন ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। ধাক্কায় গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েন তিনি। বাঁ পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে তাঁর। মুখ থুবড়ে পড়ায় হাতে মাথাতেও চোট পেয়েছেন তিনি। যন্ত্রণা এতটাই বাড়ে যে সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। বেশ কিছুটা রাস্তা আসার পর যন্ত্রণায় এতটাই ছটফট করতে থাকেন নেত্রী, যে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে পাঁজাকোলা করে তুলে গাড়ির পিছনের সিটে নিয়ে আসেন। নেত্রীর পা সাংঘাতিক ফুলে গিয়েছে খবর।
এর পিছনে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর অভিযোগ, ‘চার-পাঁচজন মিলে চক্রান্ত করে ধাক্কা দিয়েছে। আশপাশে ছিল না কোনও পুলিশ।’ চাঞ্চল্যকর অভিযোগে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান তিনি।
-এইসময়