Home Blog Page 11

জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ আজ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পাটি(এনসিপি)আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে আজ শুক্রবার। বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এনসিপি’র মূল উদ্যোক্তা জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এ উপলক্ষ্যে বিকেলে বড় ধরণের শোডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দলের শীর্ষ পদে কারা কারা আসছেন তা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এনসিপি’র আহ্বায়ক হচ্ছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা থেকে সদ্য পদত্যাগকারী নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব পদে থাকছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এছাড়া নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান সমন্বয়কারী, সামান্তা শারমিনকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, আবদুল হান্নান মাসউদকে যুগ্ম সমন্বয়ক ও সালেহ উদ্দিন সিফাতকে দপ্তর সম্পাদক পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নামের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, ইংরেজিতে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)ঠিক করা হয়েছে বলে নাগরিক কমিটির শীর্ষ পদে থাকা একাধিক ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এই দল। প্রয়োজনে তারা নির্বাচনি জোটও করতে পারে।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে  পদত্যাগ করলেন রাবি’র দুই সমন্বয়ক

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে  পদত্যাগ করলেন রাবি’র দুই সমন্বয়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদ্য আত্মপ্রকাশ করা ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আরও দুই নেতা পদত্যাগ করেছেন। এরা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী সজীব ও যুগ্ম সদস্য সচিব সালাহউদ্দিন আম্মার। দুইজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাঁদের নামও ঘোষণা করেন আহ্বায়ক আবদুল বাকের মজুমদার।
নতুন সংগঠন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে দু’জনই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
মেহেদী সজীব তাঁর পোস্টে লেখেন,  আজ ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আমার নাম বলা হয়েছে।  আমার ইচ্ছা ব্যতীত এই দলে আমাকে সম্পৃক্ত করার জন্য নিন্দা জানাচ্ছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যই আমি আজ মেহেদী সজীব হিসেবে গড়ে উঠতে পেরেছি। কিন্তু শত চেষ্টা করেও নয়া বন্দোবস্তের নাম নেওয়া কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে আমাদের মৌলিক কিছু দাবিও পূরণ করতে পারি নাই। পিএসসি-ইউজিসিসহ নানান জায়গায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে সাইড করে রাখার প্রবণতা এখনো লক্ষ্য করছি।
আমার স্পষ্ট বার্তা হলো– ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাব থেকে যতদিন না এই দলের অংশীজনরা বেরিয়ে আসতে পারবে, বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোনিবেশ করবে, ততদিন অবধি আমি তাদের সাথে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যাবো না। আর তাই আমি উক্ত পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
অন্যদিকে সালাহউদ্দিন আম্মার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ফেসবুক পোস্টে সালাহউদ্দিন লেখেন, ‘আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পাল্সটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাবি শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে না এই ঢাবি আধিপত্যের পক্ষে থাকতে, তাই আমরাও চাচ্ছি না। শিক্ষার্থীরা না চাইলে আমরা কিছুই না।’
প্রসঙ্গত, নতুন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত রশিদ ও এর আগে পদত্যাগের বার্তা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে রিফাত রশিদেের পদত্যাগ

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে রিফাত রশিদেের পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদ্য ঘোষিত রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশীদ।  সংগঠনটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এ কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কমিটিতে রিফাত রশীদ আর নেই। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে রিফাত রশিদ লিখেছেন, নতুন ছাত্রসংগঠন “গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ” এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কমিটিতে আমার নাম ঘোষণা করার আগে আমার থেকে কনফার্মেশন নেয়া হয়নি। দফায় দফায় আলোচনা হয়েছিলো কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। ফলত অনুমতি ব্যতীত আমার নাম কমিটিতে রাখায় আমি এই পদ থেকে সরে এসেছি।
নতুন ছাত্র সংগঠন এ প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিলো আমি সদস্য সচিব হবো। এরপর আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে মুখ্য সংগঠক, পরবর্তীতে সেখান থেকেও সরিয়ে মুখপাত্র করার প্রস্তাবনা করে। সবশেষে সেখান থেকেও মাইনাস করে আমাকে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব পদে আসার প্রস্তাব করে। মুখপাত্র পোস্ট পর্যন্ত প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমি কালেক্টিভ স্বার্থের কথা ভেবে মেনে নিয়েছি। যখন যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয় তখন আমি স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেই, এই ছাত্র সংগঠনে আমি থাকবো না। এইটা জানিয়ে দেয়ার পর আর কোনো মিটিং, সংগঠন গঠনের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি এবং লিটারেচার টিমের কোনো কাজের সাথেই যুক্ত ছিলাম না। আমি পুরোপুরি এই সংগঠন গঠনের সমস্ত প্রসেস থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম।

সংবাদ সম্মেলনে ২০৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে বলে জানান আহ্বায়ক আবদুল বাকের মজুমদার।
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক বেশ কিছু সমন্বয়কের নেতৃত্বে  গত বুধবার বিকেলে নতুন এই সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে।

আবদুল্লাহ আল নোমানের মরদেহ এখন চট্টগ্রামে : কাল জানাযা

আবদুল্লাহ আল নোমানের মরদেহ এখন চট্টগ্রামে : কাল জানাযা

চট্টগ্রাম ব্যুরো :
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমানের মরদেহ জন্মস্থান চট্টগ্রাম আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হেলিকপ্টার যোগে তাঁর মরদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আনা হয়।
বিকল সাড়ে তিনটায় নোমানের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। তার আগে থেকেই স্টেডিয়াম এলাকায় তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী, অনুসারী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষের ভিড় জমে। হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে আবদুল্লাহ আল নোমানের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স যোগে কাজির দেউড়ি ভিআইপি টাওয়ারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাসার পার্কিং প্যালেসে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়।  এ-সময় সেখানে দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
আবদুল্লাহ আল নোমানের একান্ত সচিব নুরুল আজিম হিরু দেশ রূপান্তরকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টায় ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, সকাল নয়টায় ইস্ট ডেলটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সকাল ১১টায় নুর আহমদ সড়কের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে রাখা হবে।
তিনি জানান, শুক্রবার বাদে জুমা জামিয়াতুল ফালাহ ময়দানে এবং বাদে আসর রাউজানের গহিরা হাইস্কুল মাঠে আবদুল্লাহ আল নোমানের জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
আবদুল্লাহ আল নোমানের পুত্র সাঈদ আল নোমান তুর্য এসব কর্মসূচিতো অংশগ্রহণের জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।##২৭.০২.২০২৫
##শামসুল ইসলাম/ চট্টগ্রাম।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

তথ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেও এতদিন তাকে কোন দপ্তর দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন মো. নাহিদ ইসলাম। বুধবার ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাহফুজ আলমকে।

বুধবার মন্ত্রিপরিষদের দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করেছেন। এতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মাহফুজ আলম গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। তবে সে সময় তাঁকে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন মাহফুজ আলম। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। অভ্যুত্থানের পর ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।

নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ এর আত্মপ্রকাশ

নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ এর আত্মপ্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের নিয়ে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ নামে নতুন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন ছাত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। তবে, আত্মপ্রকাশের ঘোষণার আগে পদবঞ্চিত একটি গ্রুপ সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

নতুন এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক করা হয়েছে আবদুল বাকের মজুমদারকে।  চব্বিশের জুলাই-আগষ্ট গণ অভ্যুত্থানে সামনের সারির নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে জাহিদ আহসান, মুখ্য সংগঠক হিসেবে তাহমীদ আল মুদাসসির দায়িত্ব পেয়েছেন। আর সংগঠনের মুখপাত্র করা হয়েছে আশরেফা খাতুনকে।

একই সঙ্গে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের কমিটিও ঘোষণা করা হয়। সেখানে আহ্বায়ক করা হয়েছে আবদুল কাদেরকে। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে মহির আলম, মুখ্য সংগঠক হিসেবে হাসিব আল ইসলান ও মুখপাত্র হিসেবে রাফিয়া রেহনুমা হৃদি দায়িত্ব পেয়েছেন।

 

‘অজানা’ রোগ, কঙ্গোয় মৃত ৫৩

‘অজানা’ রোগ, কঙ্গোয় মৃত ৫৩

উত্তর-পশ্চিম কঙ্গোয় অজানা রোগে ৫৩ জন মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ‘হু’-র দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ প্রকাশের পর থেকে মৃত্যুর সময় মাত্র ৪৮ ঘণ্টা, যা উদ্বেগজনক।

সূত্রের খবর, গত ২১ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৪১৯ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ‘হু’-এর আফ্রিকা দফতর জানিয়েছে, প্রথম ঘটনায় বলোকো শহরে তিন শিশু বাদুড়ের মাংস খাওয়ার পরে তাদের মধ্যে রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের লক্ষণ দেখা দেয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে জীবাণু সংক্রমণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞেরা। ‘হু’ জানিয়েছে, ২০২২ সাল থেকে আফ্রিকায় এ ধরনের রোগ দ্রুত বাড়ছে।
– আনন্দবাজার পত্রিকা

আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া

আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ছাত্র রাজনীতি, শ্রমিক রাজনীতির দীর্ঘ পথ পেরিয়ে সত্যিকারের একজন জননেতা হয়ে জনগণের মাঝে স্থান করে নিয়েছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান। জীবন সায়াহ্নে এসেও আঁকড়ে রেখেছিলেন রাজনীতিকে। চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মানুষকে প্রচন্ড ভালবাসতেন এই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। অন্যদিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দব করে মানুষের ভালবাসা নিয়ে একাধিকবার গিয়েছেন জাতীয় সংসদে। মন্ত্রী হিসেবে সরকারের একাধিক দপ্তরের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিস্থ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান। তাঁর মৃত্যুতে দেওয়া শোকবার্তায় আবদুল্লাহ আল নোমানকে একজন গুণী রাজনীতিবিদ অভিহিত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ঘরানার বাইরেও চট্টগ্রামে সব দলমতের মানুষের কাছে শ্রদ্ধার আসনে ছিলেন তিনি।’
জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন নোমান। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির একটি সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তাঁর।
১৯৪৫ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্ম গ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান। ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন নোমান।
ছাত্রজীবন শেষ করার পর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। দায়িত্ব পালন করেন পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে। ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন তিনি। ১৯৭০ সালে স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় ইয়াহিয়ার সামরিক আদালতে আবদুল্লাহ আল নোমানকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১৪ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন।
১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির  ১৫ বছর যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। একসময় চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতির দুই কান্ডারি হিসেবে পরিচিত ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান ও কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম। চট্টগ্রাম মহানগর ও  উত্তর জেলার রাজনীতিতে একক প্রভাব ছিল নোমানের। আর দক্ষিণে ছিল অলির প্রভাব।
চট্টগ্রামের রাউজান ও কোতোয়ালি আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি সরকারের মন্ত্রিসভায় খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
আমির খসরুর শোক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এক শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন দল অন্তঃপ্রাণ নেতা। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতীয়তাবাদী দল এক ত্যাগী, সাহসী, সংগ্রামী সজ্জন ও বর্ণাঢ্য রাজনীতিবিদকে হারালো। তার মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি নেতা কর্মীদের কাছে অমর হয়ে থাকবেন।
সিটি মেয়রের শোক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর সংবাদ আমার জন্য ভীষণ কষ্টের। তার হাত ধরেই আমরা রাজনীতি শুরু করেছি। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার একদফার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মহানগর বিএনপির শোক কর্মসূচী : দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক কর্মসূচী ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- কালো ব্যাজ ধারণ, মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে খতমে কুরআন ও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন।
কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বাদে যোহর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন মসজিদে  দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার জানাযা : আবদুল্লাহ আল নোমানের জানাযা শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদে জুমা চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে এবং বাদে আসর রাউজান গহিরা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে রাউজান গহিরাস্থ পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ আল নোমানের একান্ত সচিব নুরুল আজিম হিরু।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা থেকে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা থেকে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মো. নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পদত্যাগ করেন তিনি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে সামনে রেখে সরকার থেকে বের হয়ে আসলেন নাহিদ। আগামী  ২৮ ফেব্রুয়ারি দলটির আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে নতুন এই দলের নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। আর এ কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
এদিকেে ফেসবুকে নাহিদ ইসলামকে ট্যাগ করে দেয়া এক পোস্টে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম লিখেছেন,
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।
রাজপথে স্বাগতম, সহযোদ্ধা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই। আজ মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৯৪৫ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্ম গ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান। ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন নোমান। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

ছাত্রজীবন শেষ করার পর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন তিনি। ১৯৭০ সালে স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় ইয়াহিয়ার সামরিক আদালতে নোমানকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১৪ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন।

১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির  ১৫ বছর যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রামের রাউজান ও কোতোয়ালি আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি সরকারের মন্ত্রিসভায় খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান।