Home Blog Page 14

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘যদি তাদের অপরাধের বিচার না করা হয়, তাহলে দেশের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমা করবে না।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য ন্যাশনাল’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেছেন। দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটের (ডব্লিউজিএস) এক ফাঁকে অধ্যাপক ইউনূস এই সাক্ষাৎকার দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমরা তাকে (হাসিনা) বিচারের আওতায় আনবো। এটি অবশ্যই করা হবে, অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’ তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের মুখোমুখি করা হবে।’
গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং দেশত্যাগ করেন। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের একদলীয় শাসনের অবসান হয়। এরপর গতবছর ৮ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে পুলিশ ও শেখ হাসিনার দলের লোকজন প্রায় ১,৪০০ জনকে হত্যা করে এবং আহত হয় ১১ হাজার।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং এখনো তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।
হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে ভারতকে নোটিশ :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ‘দ্য ন্যাশনাল’ পত্রিকার ওই সাক্ষাৎকারে আরো বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কাছে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার বিপুল পরিমাণ প্রমাণ আছে। যার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত। জাতিসংঘ এটিকে নথিভুক্ত করেছে এবং আমাদের কাছে শেখ হাসিনা, তার সরকার এবং ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের অপরাধের প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।’
ড. ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং আশা করছি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটি অবশ্যই করা হবে, অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’
‘দ্য ন্যাশনাল’ পত্রিকাকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমিরাতের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। যখন আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হলাম, তখন আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করি। আমি তাকে ব্যাখ্যা করি যে, তারা শুধু বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছিল।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের কাছে অনুরোধ করেছি যে, তিনি যেন তাদের ক্ষমা করে মুক্তি দেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমা করায় আমি অত্যন্ত খুশি হই। এটি একটি অসাধারণ পদক্ষেপ ছিল এবং পুরো বাংলাদেশ সেটি উদযাপন করেছে।’
তিনি উল্লেখ করেছেন,  ‘আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই, কারণ সেখানে ১২ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
-বাসস

পবিত্র শবে বরাত আজ

পবিত্র শবে বরাত আজ

আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবে-বরাত পালিত হবে।
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানরা শবে-বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।
পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ছুুটি থাকবে।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।
তিনি বলেন, এই সৌভাগ্যময় রজনী মানব জাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদান ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।
পবিত্র এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই মহিমাময় রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফিরাত।’
পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’
এ রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে আজ শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
ইফা আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বারাআতের শিক্ষা ও করণীয় বিষয়ে ওয়াজ করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটাবেন।
মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত করবেন।
-বাসস

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিএনপি

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁর দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় না। এ ছাড়া বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থার পক্ষে নয় বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকাস্থ ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন  চাই না। যদি হয় তাহলে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশটাকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাবে। যত দ্রুত নির্বাচন হবে, তত দ্রুত দেশের পরিস্থিতি সহজ হবে।
জামায়াতের আনুপাতিক হারে নির্বাচন ব্যবস্থা ও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটার সঙ্গেও আমরা একমত নই।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আয়নাঘরের পরিদর্শন বিষয়ে করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি এই বিষয়টাকে ভিন্নভাবে দেখি। গুম করা, হত্যা করা এটাতে কোনো দলের কথা আমি বলতে চাই না। এখানে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকে গুম করা হয়েছে। এই কথাগুলো আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি। যখন আলজাজিরায় প্রথম রিপোর্ট করা হয়, তখনো সরকার সম্পূর্ণভাবে এটিকে ডিনাই করেছে। কিন্তু প্রথম থেকেই এইভাবে চলে আসছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি যে, সত্য ঘটনাই উদ্‌ঘাটন হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে—জাতিসংঘ যখন বলে তখন আমরা বিশ্বাস করি; যখন আমরা রাজনৈতিক দলগুলো বলি, অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। আমরা ধন্যবাদ জানাব যে, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ কমিটি এসেছেন, তারা রিপোর্টটা সঠিকভাবে করেছেন। সেজন্য ধন্যবাদ জানাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই এসব ঘটনা হয়েছে। যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার নির্দেশেই হয়েছে। যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, তার নির্দেশেই হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া, ইনস্টিটিউশনগুলো ধ্বংস করে দেওয়া; এসব তার নির্দেশেই হয়েছে। এক কথায় সেগুলো রিপোর্টে উঠে এসেছে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট, তিনি গণহত্যা করেছেন, মানুষের ওপর নির্যাতন করেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজকে চাইবো ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে ফেরত দেবে। তাকে এবং তার সঙ্গে যারা ছিল, তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। এতে ছয়টি পৃথক সংস্কার কমিশনের প্রধানরা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। কমিশনটি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা
হয়েছে, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের কার্যক্রম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন সাপেক্ষে পরিচালিত হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, আর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী; পুলিশ সংস্কার কমিশন, প্রধান সফর রাজ হোসেন; নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার; বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক; দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এই কমিশনের মূল দায়িত্ব হবে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ পর্যালোচনা, প্রয়োজনীয় সংশোধন প্রস্তাব করা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে তা বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি করা।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াস

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াস

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পটিয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ই্লিয়াস উদ্দিন আহমদকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তা ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিজ বেতন ও বেতনক্রমে পদায়ন করা হলো। তিনি পদ সংশ্লিষ্ট ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিনা ভাড়ায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করলে তিনি কোনো বাড়ি ভাড়া ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন না। সরকারি বাসায় বসবাস করলে বাড়ি ভাড়াসহ যাবতীয় সরকারি পাওনা নিজ দায়িত্বে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট খাতে জমা প্রদান করবেন। তিনি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বাধ্যতামূলক ভবিষ্যৎ তহবিল, গোষ্ঠী বীমা ও অন্যান্য তহবিল চাঁদা প্রদান করবেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী তাঁর লিড স্যালারি ও পেনশনের চাঁদা প্রদান করবেন। সরকারের প্রচলিত ও প্রণীত বিধি-বিধান ও আদেশ অনুসারে তাঁর চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
প্রসঙ্গত,  ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিমের অবসরোত্তর ছুটির পর পদটি শূন্য হয়। পদাধিকারবলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বোর্ড সচিব অধ্যাপক ড. এ.কে.এম সামছু উদ্দিন আজাদ।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ইলিয়াছ ১৪তম বিসিএসে যোগ দিয়ে ১৯৯৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই পটিয়া সরকারি কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন তিনি। সর্বশেষ তিনি ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আয়নাঘর নিয়ে উপদেষ্টা নাহিদের স্মৃতিচারণ

আয়নাঘর নিয়ে উপদেষ্টা নাহিদের স্মৃতিচারণ

নিউজমেট্রো ডেস্ক :

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে আওয়ামী লীগের আমলে আয়নাঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে আয়নাঘরে তুলে নেওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে একদিন রাতের অন্ধকারে খিলগাঁও থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যায় তৎকালীন সরকারি বাহিনী। চোখে কালো কাপড় পেঁচিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসিনার কুখ্যাত আয়নাঘর নামক বন্দিশালায়।

শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে গত ১৫ বছরে হাসিনার বাহিনীর হাতে গুমের শিকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ।

আমরা গুম এবং আয়নাঘরে বিনা বিচারে বন্দিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবই। আমরা এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণ করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো দিন বাংলাদেশের মাটিতে এমন ঘৃণ্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি না হয়।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয় উপদেষ্টা কয়েকটি গণমাধ্যমকে নিয়ে বুধবার রাজধানীর তিনটি এলাকায় র‌্যাব ও ডিজিএফআইয়ের কয়েকটি টর্চারসেল বা আয়নাঘর পরিদর্শনে যান।

কচুক্ষেতে ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘরে গিয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম একটি কক্ষ শনাক্ত করেন, জুলাই আন্দোলনের সময় যেখানে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ১৪০০ মানুষ নিহত

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ১৪০০ মানুষ নিহত

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানে প্রায় এক হাজার ৪০০ জন মানুষ নিহত হয়েছে বলে উঠে এসেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে ওএইচসিএইচআর এ তদন্ত পরিচালনা করে।

তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংগঠিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে।

সেসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জড়িত ছিল বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “তৎকালীন সরকার এবং তার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা, আওয়ামী লীগ, এর সহিংস গোষ্ঠী ও সংগঠনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ছিল। যার মধ্যে রয়েছে কয়েকশ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গুরুতরভাবে শারীরিক নিপীড়ন ও বলপ্রয়োগ, ব্যাপক হারে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতনসহ অন্যান্য ধরনের নিপীড়ন।”

“ওএইচসিএইচআর যুক্তিসঙ্গত কারণে বিশ্বাস করে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং নিরাপত্তা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিকল্পনা, সমন্বয় এবং নির্দেশনায় এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো ঘটেছিল।”

প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে: “ওএইচসিএইচআরের অনুমান, বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই মিলিটারি রাইফেল এবং প্রাণঘাতি মেটাল প্যালেটস লোড করা শটগানে নিহত হয়েছেন। এই ধরনের শটগান সাধারণত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন, কেউ কেউ স্থায়ীভাবে আজীবনের জন্য কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন।”

এতে আরও বলা হয়, সেসময় ১১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার এবং আটক করা হয়েছিল। আন্দোলনে নিহতদের মধ্যে প্রায় ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী শিশুদের টার্গেট করে হত্যা করেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে পঙ্গু করেছে, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অমানবিকভাবে আটক-নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিপীড়ন করেছে।

“বিশেষ করে, শুরুর দিকে বিক্ষোভের সম্মুখসারিতে থাকা নারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মারাত্মকভাবে আক্রমণ করেছে। নারীরা যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ছিল লিঙ্গ-ভিত্তিক শারীরিক সহিংসতা ও ধর্ষণের হুমকি। কয়েকটি ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে।”

-বিবিসি

সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল গ্রেফতার

সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একজন ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের  চান্দগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ রইছ উদ্দিন জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ঢাকায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা আছে। তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২০তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে সাইফুল ইসলাম সিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ঢাকার মেট্রো রেলে (এমআরটি) উপ-মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের পরিবার নিয়ে আয়নাঘরে প্রধান উপদেষ্টা

সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের পরিবার নিয়ে আয়নাঘরে প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বহুল আলোচিত আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের পরিবার।
জানা গেছে, আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। আর তখন বন্দিদের সেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত। কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।

কারামুক্ত হয়েই পুলিশের বিরূদ্ধে বিএনপির বহিস্কৃত নেতার মামলা

কারামুক্ত হয়েই পুলিশের বিরূদ্ধে বিএনপির বহিস্কৃত নেতার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রায় তিন মাস কারাবাসের পর জামিনে এসে এক ওসি, তিন এসআইসহ আটজনের বিরূদ্ধে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এক বহিস্কৃত নেতা। আদালত মামলা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বাদী মামুন আলী ওরফে কিং আলী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা। প্রায় তিন মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি তিনি আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন। আসামীরা হলেন- সিএমপির পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক ঘোষ, বন্দর থানার এসআই আসাদুল হক, কিশোর মজুমদার, এসএস ট্রেডিংয়ের মালিক সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্যবস্থাপক আরিফ মঈনুদ্দিন, উপ ব্যবস্থাপক মো. আমান ও সুপারভাইজার দিদার হোসেন সজিব।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, নগরের বন্দর এলাকার জিএইচ এন্টারপ্রাইজ থেকে গত বছরের ১০ অক্টোবর ২০ হাজার টন পাথর কেনেন মামুন আলী। পাথরের দামের ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করে। নগরের পাহাড়তলীর টোল রোডের কিং আলী গ্রুপের ডিপোতে পাথরগুলো এনে রাখেন। একই বছরের ১৭ অক্টোবর অভিযুক্তরা ডিপোর কার্যক্রমে বাধা দেন। প্রতিবাদ করলে পাহাড়তলী থানার এসআই মানিক ঘোষ ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সন্ধ্যায় বাদী ওসির কাছে গেলে পাথর কেনার রশিদ ও তার সব জায়গার মূল্য ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে ১ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ওইদিন রাত ১০টার দিকে এসআই মানিক ঘোষ তাকে দ্রুত থানায় গিয়ে চাঁদার টাকা দিতে বলেন। একইসাথে বাদীর করা আগের একটি মামলা থেকে হালিশহর থানার সাবেক ওসি প্রণব চৌধুরীর নাম বাদ দিতে বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে থানায় আটক রেখে তিন পুলিশ সদস্য মারধর করেন। পরদিন তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৩০টি ট্রাক নিয়ে গিয়ে গত ২৪ অক্টোবর ডিপোর কেয়ারটেকারকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার পাথর, মাটি, ১০ লাখ টাকার স্কেলসহ ডিপোতে রাখা বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেন অভিযুক্তরা।

বাদীর আইনজীবী আশরাফুর রহমান জানান, এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পুলিশের তিন উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) আটজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।