Home Blog Page 17

প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যা ও অন্যান্য অপ্রীতিকর ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “হত্যাকান্ডসহ যে সকল অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু বিচারের ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সে সকল বিষয়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন,“আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকান্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া তাঁর এক টেলিভিশন ভাষণে একথা বলেন। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তিনি এই ভাষণ প্রদান করেন।
তিনি তাঁর ভাষণে সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য সবাইকে বিশেষ অনুরোধ জানান এবং আদালতে ছাত্রসমাজ ন্যায় বিচারই পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন
তিনি বলেন, “সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস আমাদের ছাত্র সমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায় বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না।”

প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট ঘটনাকে খুবই বেদনাদায়ক ও দু:খজনক আখ্যায়িত করে প্রাণহানীর ঘটনায় গভীর দু:খ প্রকাশ করেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি তাঁর সমবেদনা ব্যক্ত করেন এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনাকাঙ্খিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। এরফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে সকল ঘটনা ঘটেছে তা খুবই বেদনাদায়ক ও দু:খজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।
শেখ হাসিনা বলেন,“আপনজন হারাবার বেদনা যে কত কষ্টের তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে? যারা মুত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। যারা হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়েছে তাদের পরিবারের জীবনজীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা দরকার তা আমি করব।”
তিনি আন্দোলনরত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা যেকোনো সময়ে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করে তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে।
‘তাই শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রতি আমার আবেদন, তারা যেন তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকেন। একইসাথে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে বিশেষভাবে নজর রাখেন’।
জাতির পিতার কন্যা বলেন, আমি বিশ্বাস করি যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত তাদের সাথে এই সকল সন্ত্রাসীদের কোন সম্পর্ক নেই। বরং সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, আমি দ্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকা-, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছে এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমি আরও ঘোষণা করছি, হত্যাকান্ডসহ যে সকল অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু বিচারের ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সে সকল বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
সরকার প্রধান বলেন, কাদের উস্কানিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো, কারা কোন উদ্দেশ্যে দেশকে একটি অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিল, তা তদন্ত করে বের করা হবে।
সরকারি চাকরীতে কোটার বিষয়ে সরকার প্রধান বলেন, ২০১৮ সালে ছাত্র সমাজের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সরকারি চাকুরিতে কোটা প্রথা বাতিল করে একটা পরিপত্র জারি করে। পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা বহাল রাখার পক্ষে উচ্চ আদালত সরকারের জারি করা পরিপত্র বাতিল করে দেয়।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পরিপত্র বহাল রাখার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হয় এবং আদালত শুনানির দিন ধার্য করে। আদালত শিক্ষার্থীদের কোন বক্তব্য থাকলে তা শোনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে। এ সময় আবার ছাত্ররা কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে।
সরকার প্রধান বলেন, এটি আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতিকারীদের সংঘাতের সুযোগ করে দেবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সরকার যথেষ্ট ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে। বরং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করে। রাষ্ট্রপতির কাছে যখন আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি প্রদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, সে ক্ষেত্রেও তাদের সুযোগ করে দেয়া হয় এবং নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেয়া হয়। শেখ হাসিনা বলেন, আমি প্রতিটি হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই। যে সকল ঘটনা ঘটেছে তা কখনই কাম্য ছিল না। চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। অনেক ছাত্রের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের উপর লাঠিপেটা এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে, একজন মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঢাকা, রংপুর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবন ও ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়।
তিনি বলেন, সাধারণ পথচারী, দোকানীদের আক্রমণ, এমনকি রোগীবাহী এম্বুলেন্স চলাচলে বাধা প্রদান করা হয়। মেয়েদের হলে ছাত্রীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আবাসিক হলে প্রভোস্টদের হুমকি দেয়া হয় এবং আক্রমণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের উপর চড়াও হয়ে তাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতার শুরুতে পবিত্র আশুরার বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা এবং মুক্তিযদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও নির্যাতিতা ২লাখ মা-বোনকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আজকে অত্যন্ত বেদনা-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ যখন একটু স্বস্তি-শান্তিতে ফিরে, তখন মাঝে-মধ্যে এমন কোন ঘটনা ঘটে যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
তিনি বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বিগত ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্যবহার এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার ব্যবস্থা করে জনগণকে উন্নত জীবন দেয়ার যাত্রা শুরু করেছি। অনেক সাফল্যও অর্জন করেছি। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে।
তিনি আবারও এই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করে পরিবারের সদস্যদেও প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আামাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সকলের সহযোগিতায় স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন।

-বাসস

পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ বিএফইউজের

পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রতিক্রিয়ায়  উদ্বেগ বিএফইউজের

সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রতিক্রিয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের পেশাজীবী সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠন বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সংশিষ্ট সকল মহল স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘিœত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতৃবৃন্দ বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার সংবিধানেই স্বীকৃত রয়েছে। শত হুমকি ও ধমকের মুখেও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য, দলিল যাচাই বাছাই করে, প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোই প্রকাশ করছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু এসকল সংবাদ প্রকাশের পর কোনো কোনো নেতা এবং কোনো কোনো সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি।
বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারি বিবৃতি, ভাষ্য, ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্য বা সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া সব তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য থেকেই সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে, প্রভাবশালীরা যে তথ্য গোপন রাখতে চান তা অনুসন্ধান করে বের করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে জনগণকে বিস্তারিত জানানো। আশার কথা, ইতোমধ্যে প্রভাবশালী মহল সম্পর্কে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এতে কারো উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এক্ষেত্রে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন তাদের দায়িত্ব এ সকল বিষয় প্রমাণ করা এবং যাদের নামে প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক নয় তা প্রমাণ করা।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দায়িত্ব প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তদন্ত করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা। এসকল বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা কোনো শোভন কাজ হতে পারে না। তারপরও কেউ সংক্ষুদ্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, কোনো বাহিনীর বিষয় নয় বলে মনে করেন বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতৃবৃন্দ।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কলেজে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল আজ

0
কলেজে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল আজ

নিউজমেট্রো রিপোর্ট :

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল আজ রোববার প্রকাশ করা হবে। প্রথম পর্যায়ের আবেদনকারীরা কে কোন কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে তা ফলাফলে জানা যাবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার রাত ৮টায় প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রথম ধাপে সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। মোট তিন ধাপে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম চলছে। সব ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারা দেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের নিশ্চয়ন করতে হবে। নিশ্চয়ন প্রক্রিয়া শেষ হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর টানা চারদিন চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চয়ন প্রক্রিয়া।
৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চয়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ ২৩ জুন। এদেশের বৃহত্তম ও সর্ব প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটি এ উপলক্ষ্যে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করবে।

গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। দীর্ঘ এই পথচলায় সংগঠনটি বাঙালি জাতির অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে সফলতার মুকুটে সংযুক্ত করেছে একের পর এক পালক। পৃথিবীর খুব কম সংগঠন আছে যারা ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। অনুরূপভাবে গৌরব, সাফল্য ও অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ তার প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী ও সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী। দিবসটি উপলক্ষে দলটির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ভূখন্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন। এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তুপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
আওয়ামী লীগ দেশের অন্যতম পুরনো, অসাম্প্রদায়িক, সর্ববৃহৎ ও বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল। আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কাজ প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরআগে বঙ্গবন্ধু শুরুতেই পাকিস্তানে একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গঠনের কথা ভাবছিলেন। তিনি মনে করতেন পাকিস্তান হয়ে যাওয়ার পর সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আর দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে।
এই ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আতœজীবনী’তে লিখেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে। যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে। ভাবলাম, সময় এখনও আসে নাই। তাই যারা বাইরে আছেন তারা চিন্তাভাবনা করেই করেছেন।’
’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হলেও দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ২৩ জুন দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে এবং সেই থেকে টানা ৪ বার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এবং রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও গত ১৫ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নব উদ্যোমে সংগঠিত হয়। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে শেখ হাসিনা গত ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এই দলের নেতাকর্মীদের প্রেরণার উৎস এবং তা সংগঠনকে করেছে সমৃদ্ধ। শেখ হাসিনার আপসহীন, সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের চৌহদ্দি পেরিয়ে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল বাংলার জনগণ। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অনেক অশ্রু, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় ‘ভাত ও ভোটের অধিকার’; দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ, শক্তির উৎস সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের শুভ জন্মদিন ঐতিহাসিক ২৩ জুন অঙ্কুরিত হয়েছিল ‘স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নসূত্র’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা শত প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজ মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছে।
আওয়ামী লীগের লক্ষ্য-দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ এবং বাঙালি জাতিকে বিশে^র বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। ৭৫ বছরে দেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সাফল্যের জয়গানে মুখরিত। অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ কেবল অতীত বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নির্মাতা।
৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ  ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, রোববার সূর্য উদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭ টায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এছাড়াও সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর দুপুর ২ টা ৩০মিনিটে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করনে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, পৌর/ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

-বাসস

বাঁশখালী লোহাগাড়ায় দুই খোরশেদ জয়ী

বাঁশখালী লোহাগাড়ায় দুই খোরশেদ জয়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলায় দুই খোরশেদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (৫জুন) রাতে ভোটের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন দুই উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার।

বাঁশখালীতে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম। তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫১১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. এমরানুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৭৯ ভোট।

লোহাগাড়ায় ৩০ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খোরশেদ আলম চৌধুরী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৯৩ ভোট।

এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় দুই উপজেলায়।

পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন

পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন

পোশাক শিল্পে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব ও দক্ষতা বিকাশের লক্ষ‌্যে শনিবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস: অ্যাডভান্সিং উইমেন লিডারশিপ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাক্টিভিটি ইন দ্য সাপ্লাই চেইন” নামের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএও) ও আন্তর্জাতিক ফাইন‌্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) পরিচালিত ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস‘ বা গিয়ার-এর  ‍উদ‌্যোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা  হয়। বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত গিয়ার  ‍উদ‌্যোগটি ২০১৬ সাল থেকে ৮০০  জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, যার মধ্যে ৫২৮ জন সুপারভাইজরের ভূমিকায় উন্নীত হয়েছেন। গিয়ার পোশাক খাতের নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের কর্মজীবনে নেতৃত্বমূলক পদে যেতে সহায়তা করে ।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গিয়ারের ফলে শ্রমিকদের লাইন দক্ষতা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের থেকে নারীরা ৩৯ শতাংশ বেশি মজুরি পান গিয়ারের সাথে যুক্ত হয়ে।

বাংলাদেশের জন‌্য পোশাক খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেখানে ৪.২ মিলিয়ন মানুষ কাজ করেন। এই খাতে কর্মরত ৫৫ শতাংশই নারী। যাদের মাত্র ৫ শতাংশ সুপারভাইজর বা নেতৃত্বদানকরী ভূমিকায় আছেন।  যে পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করছে গিয়ার।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কারখানার মালিক, ক্রেতা, উন্নয়ন অংশীদার, জাতিসংঘ সংস্থা এবং সুশীল সমাজসহ সবাইকে একসাথে কাজ করা প্রয়োজেন একটি অন্তভুক্তিমূলক পোশাক খাত তৈরিতে।

বাংলাদেশে আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়াইনেন লিঙ্গ সমতার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক খতে আমার ভাল অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি । এই খাতকে আরো টেকসই উন্নয়নে লিঙ্গ সমতা, নারীর দক্ষতা ও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। “

বাংলাদেশে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, “ গিয়ারেরমত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলির সাথে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এখানে লিঙ্গ সমতার অগ্রগতি অনেককে অনুপ্রাণিত করছে।”

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাচে লীনা খান বলেন, “গিয়ার প্রোগ্রামে যারা অংশ নিয়েছেন তারা নিজের উন্নতির পাশাপাশি, ব‌্যবসায়েরও উন্নতি করছেন। পোশাক শিল্পে কর্মীদের অধিকার উন্নত করতে এবং খাতটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সরকার, মালিক, শ্রমিক এবং ব্র্যান্ডগুলির সাথে প্রোগ্রামটি খুব ভালভাবে কাজ করছে।“

অনুষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্পের জন্য কৌশলগত আলোচনা, সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং নীতি বিষয়ক একটি আলোচনার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করেছে। গিয়ার প্রগ্রামের অংশগ্রহনকরীদের নিয়ে পরিচালিত একটি ফ্যাশন শো দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয় । প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিপ্লব উদ্যানে সবুজ ধ্বংস করে স্থাপনা নয়

বিপ্লব উদ্যানে সবুজ ধ্বংস করে স্থাপনা নয়

চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেট এলাকায় প্রীতিলতার স্বরণে তৈরিকৃত বিপ্লব উদ্যান দখল করে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে ঘন্টা ব্যাপি অবস্থান ধর্মঘট করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম। আজ শনিবার সকাল ১১টায় আয়োজিত উক্ত সমাবেশে বক্তরা বলেন, বিপ্লব উদ্যানে সবুজ অংশকে ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে। উদ্যানের মাঝখানে নতুন করে নির্মিত হচ্ছে দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনা। এই উদ্যান দখল করে চলমান ইট পাথরের ঢালাই কাজ দ্রæত বন্ধ করা না হলে লাগাতার সামাজিক আন্দোলনসহ উচ্চ আদালতে রিট মামলা করে কাজ বন্ধ করা হবে।

বক্তারা বলেন, ইতোপূর্বে উন্নয়নের নামে চট্টগ্রাম মহানগরীর জাম্বুরি মাঠ, মহসিন কলেজ মাঠ, প্যারেড ময়দান, জাতিসংঘ পার্ককে ধ্বংস করা হয়েছে। নগরীর বিপ্লব উদ্যানের ছোট্ট সবুজ চত্বরকে ইতোমধ্যে ধ্বংস করে সেখানে কনক্রিটের স্থাপনা বির্মান করা হচ্ছে। গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা থেকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও কাজ থেমে নাই। গত কয়েকদিনে পুরো মাঠে ইট কনক্রিটের ঢালাই দেয়া হয়েছে। যা চট্টগ্রাম বাসির জনস্বার্থ বিরোধী। সিটি মেয়র জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না একটি বিশেষ শ্রেনীর সুবিধার জন্য পুরো মাঠে লোহা ও কনক্রিটের স্থাপনা নির্মানের যে আদেশ দিয়েছেন তার জবাবদিহিতা একদিন জনগণের আদালতে করতে হবে।

অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বেলার নেটাওয়ার্ক মেম্বার আলীউর রহমান, বেলা চট্টগ্রাম অফিসের সমন্বয়ক মনিরা পারভিন রুবা, গ্রিন ফিঙ্গার এর কো ফাউন্ডার রিতু ফারভিন, প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী চৌধুরী জসীমুল হক, বিপ্লবী তারকেশ্বর পরিশনের সভাপতি চিংময় ভৌমিক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাকলিয়া থানা কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী আকবর প্রমুখ।

প্রসঙ্গত গত ৩০ মে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা চসিক মেয়র গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিডিএ চেয়ারম্যান, চসিক সিইও, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিফর্ম কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের এমডি ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে বিপ্লাব উদ্যানে স্থাপনা বন্ধ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংকুচিত

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংকুচিত

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিশ্বের প্রতিটি কর্নারে আক্রমণের মধ্যে রয়েছে। সাংবাদিকদের ক্রমাগত হয়রানি, কারাগারে পাঠানো এবং হত্যা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এবং মিডিয়া আউটলেটগুলো মঙ্গলবার সতর্ক করে একথা জানিয়েছে।
বুধবার বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম দিবসের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক এবং মিডিয়ার জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘আমাদের সমস্ত স্বাধীনতা নির্ভর করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি এক ভিডিও বার্তায় এটিকে ‘গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি’ এবং ‘মানবাধিকারের প্রাণশক্তি’ বলে অভিহিত করেছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এক সম্মেলনে গুতেরেস আরো বলেন, ‘তবে বিশ্বের প্রতিটি কোণে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আক্রমণের মুখে রয়েছে।’
সমস্যাটি তুলে ধরে ইউনেস্কো তার ২০২৩ সালের বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম পুরষ্কার প্রদান করেছে তিন ইরানি নারী, দুই সাংবাদিক এবং একজন মানবাধিকার কর্মীকে। যারা এখনো কারাগারে বন্দী।
যদিও গুতেরেস সুনির্দিষ্ট কোন দেশগুলোর উপর দোষারোপ করেননি, অন্যান্য বক্তারা স্বতন্ত্র কেসগুলো হাইলাইট করেছেন। যেমন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টার ইভান গারশকোভিচ রাশিয়ায় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক। তিনি এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রকাশক আলমার লাটোর ফোরামে বলেছেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার লড়াই হচ্ছে, ইভানের মুক্তির লড়াই, প্রত্যেকের স্বাধীনতার লড়াই।’
যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইভানের কারাবাসকে ‘সম্পূর্ণ অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছেন তখন কয়েক ডজন সংবাদ সংস্থা গার্শকোভিচের বিরুদ্ধে অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে নিন্দা করেছে।
অন্যান্য সাংবাদিকরা বলেছেন, পেশার উপর ক্রমবর্ধমান বিপদের আঘাত বাড়ছে।
প্রবাসে বসবাসরত ইরান-আমেরিকান সাংবাদিক মাসিহ আলিনেজাদ বলেছেন, ‘আমি এমন একটি দেশ থেকে এসেছি যেখানে সাংবাদিক হওয়া একটি অপরাধ। আপনাকে কারাগারে পাঠাতে পারে, আপনাকে হত্যা করতে পারে, আপনাকে নির্যাতন করতে পারে’।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের মতে, ২০২২ সালে দায়িত্ব পালনকালে ৫৫ জন সাংবাদিক ও চারজন গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।
গুতেরেস বলেছেন, ‘সত্যকে বিভ্রান্তি এবং ঘৃণামূলক বক্তব্যের দ্বারা হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যা ফ্যাক্ট এবং কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান এবং ষড়যন্ত্রের মধ্যে পার্থক্যের সীমারেখা অস্পষ্ট করতে চাইছে।’
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদেরকে ‘নিয়মিতভাবে হয়রানি করা হয়, ভয় দেখানো হয়, আটক করা হয় এবং কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়।’
এই উপলক্ষে ইউনেস্কোর প্রধানের সাথে বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্টানে অন্যরা একই ধরনের কথা বলেছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অড্রে আজৌলে বলেন, ডিজিটাল যুগ পুরো তথ্যের ল্যান্ডস্কেপকে বদলে দিচ্ছে-‘পেশাদার, মুক্ত, স্বাধীন সাংবাদিকতা’কে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজনীয় করে তুলছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভয় দেখানো অগ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি নতুন মোড়ে নিজেদের খুঁজে পাই।’ ‘আমাদের বর্তমান পথ আমাদেরকে সচেতন পাবলিক বিতর্ক থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। আরও মেরুকরণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশক এজি সুলজবার্গার বলেছেন, এটি শুধুমাত্র সরাসরি দমন-পীড়ন নয়, যা সাংবাদিকদের এবং তথ্যের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট ভুল তথ্য, প্রোপাগান্ডা, পন্ডিট্রি এবং ক্লিকবাইটের তুষারপাতকেও মুক্ত করেছে যা এখন আমাদের তথ্য বাস্তুতন্ত্রকে আচ্ছন্ন করে। সামাজিক বিশ্বাসের পতনকে ত্বরান্বিত করে।’
তিনি বলেছেন, ‘যখন মুক্ত সংবাদ ক্ষয় হয়, তখন গণতান্ত্রিক ক্ষয় প্রায় সব সময় তাকে অনুসরণ করে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, সেন্সরশিপ আরও সাধারণ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে সেন্সরশিপ তাদের সমাজের জ্ঞান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনেক সরকারের ত্রুটি থাকে।’
ইউনেস্কো পুরস্কারের প্রাপ্ত ছিলেন ইরানী সাংবাদিক এলাহেহ মোহাম্মদী এবং নিলোফার হামেদি। তারা গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মাহসা আমিনির হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশে সহায়তা করেছিলেন।

-বাসস

রক্তবিহীন কোন সংগ্রাম কখনো সফল হয়নি : নোমান

রক্তবিহীন কোন সংগ্রাম কখনো সফল হয়নি : নোমান
মহান মে দিবসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের র‌্যালী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তাঁকে মোকাবেলা করার সাহস আওয়ামী লীগে নেই। তাই তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। লড়াই করে রক্ত দিয়ে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। রক্তবিহীন কোন সংগ্রাম কখনো সফল হয়নি।
তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো প্রতিবছর শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে সমস্যার সমাধান করে। কিন্তু বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো শ্রমিকদের আটঘন্টা শ্রমের দাবি এখনো পূরণ করে নাই। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই শ্রমিকদের ৮ ঘন্টা শ্রমের দাবি আদায় করতে হবে।
মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের র‌্যালী ও শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জনগণের কোনো মূল্য নেই। তাই তারা জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করছে না। নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। শ্রমজীবি মানুষ আজ পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা। জনগণের কোনো মূল্য আওয়ামী লীগের কাছে নেই, কারণ তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। যদি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে হয়, তাহলে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যরিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।###

মে দিবসে সিইউজের র‌্যালী ও আলোচনা সভা

মে দিবসে সিইউজের র‌্যালী ও আলোচনা সভা
সিইউজের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী
মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) উদ্যোগে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১মে সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে র‌্যালী শুরু হয়ে জামালখানের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
র‌্যালী  শেষে দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
সিইউজের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খান।
মে দিবসে সিইউজের র‌্যালী
সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, সিইউজের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের, সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহরম হোসাইন, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিইউজের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দীন হোসেন দুলাল, দৈনিক পূর্বদেশ ইউনিট প্রধান জীবক বড়ুয়া, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ ইউনিট প্রধান স ম ইব্রাহিম ও প্রতিনিধি ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সোহেল সরওয়ার, টিভি ইউনিটের ডেপুটি চিফ তৌহিদুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আহবমান কাল ধরে শ্রমিক শ্রেণির সংগ্রাম চলে আসছে। শ্রমিক শ্রেণির এই সংগ্রাম চলবেই। শ্রমিকদের মধ্যে বিভাজন করতে পারলেই মালিকপক্ষ সফল। শ্রমিক শেণি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে মালিকপক্ষ বিভাজন তৈরি করতে পারবে না।
জীবনধারণে সাংবাদিকদের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, যুগে যুগে সাংবাদিকরা তাদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে আসছে। ঐক্যের মধ্যে আলাদা শক্তি আছে। ঐক্য, সহমর্মিতা অধিকার আদায়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
আলোচনা সভায় মে দিবস নিয়ে আবৃত্তি সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তিকুঞ্জের সদস্যরা বৃন্দ আবৃত্তি ‘ক্ষুধা’ পরিবেশন করেন।

#প্রেস বিজ্ঞপ্তি