Home Blog Page 2

চবির ঘটনায় উসকানি : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা উদয় কুসুম বড়ুয়াকে বহিস্কার

চবির ঘটনায় উসকানি : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা উদয় কুসুম বড়ুয়াকে বহিস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়াকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ দলের নির্দেশনা অমান্য করে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য গঠনতন্ত্রের বিধান মোতাবেক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়াকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করেছেন।
এর আগে জোবরা এলাকাবাসীর উদ্দেশে দেওয়া সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়ার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে গ্রামবাসীর ওপর হামলার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে এলাকার জনগণ নিয়ে বিশ^বিদ্যালয় ঘেরাও করার হুমকি দেন তিনি। একই সঙ্গে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে উদ্ভুত সমস্যার সমাধান না হলে রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধের ঘোষণাও দেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
এদিকে বহিস্কারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে নিজের ফেসবুক আইডিকে সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া লিখেছেন- দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমি অনুগত। তবুও এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠিত হউক, মানুষের জান মাল নিরাপদ থাকুক।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থী দেরি করে ফেরার কারণে বাসার দারোয়ানের সাথে বাকবিতন্ডা এবং এক পর্যায়ে দারোয়ান কর্তৃক ওই শিক্ষার্থী প্রহৃত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে ও রবিবার দুপুর পর্যন্ত গ্রামবাসীর সাথে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি, প্রক্টরসহ অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাওয়ায় রোববার দুপুর দুইটা থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

জাপা নিষিদ্ধে গণ অধিকারের দাবির সঙ্গে একমত জামায়াত

2
জাপা নিষিদ্ধে গণ অধিকারের দাবির সঙ্গে একমত জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে কাজ করা জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। সেই দাবির সঙ্গ একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার সন্ধ্যায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. মোহাম্মদ তাহেরসহ ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এসময় তিনি নুরের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন ।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জামায়াতের এই নায়েবে আমীর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নুরের ওপর হামলার এই ঘটনার পিছনে কোন দুরভিসন্ধি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং সরকারকেই এটি উদঘাটন করতে হবে।

তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুমিকা দেখলাম, এটি আগের সরকারের আমলের অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা নুরকে চিনেই আক্রমণ করেছে। এতে আগের প্রস্তুতি ও ষড়যন্ত্র ছিল। অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা তা সরকারের দেখতে হবে। এই ঘটনার মদদদাতাদের বিরুদ্ধে যেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল তা সরকারের পক্ষ থেকে দেখছি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাচ্ছি। গণঅধিকার পরিষদ যে দাবি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সহযোগীদের নিষিদ্ধের ব্যপারে, আমরা তার সাথে সহমত।

ডা. তাহের বলেন, ভারতের দালালদের আমরা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, এখন যদি সেরকম করতে হয় তাহলে এ সরকারকে অনেক সমস্যা পোহাতে হবে। হামলার এই ঘটনার বিষয়ে আমরা আলোচনা করে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করব।

আহত নুরকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানো আহ্বান জানান তিনি।

 

 

 

 

সুন্নীপন্থী রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ

সুন্নীপন্থী রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুন্নি মতাদর্শী ৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বি এস পি) এর সমন্বয়ে ‘বৃহত্তর সুন্নি জোট’ নামে নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে নবগঠিত এই জোটের ১৭ দফা দাবি ও ২১ দফা ঘোষণাপত্র উপস্থাপনের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জোটের অন্যতম শরীক দল ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহসচিব আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন, বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। যার সীমান্তে অন্য কোন মুসলিম দেশের অবস্থান নেই। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হলেও এটি আউলিয়ায়ে কেরাম এবং সুফি সাধকদের শত শত বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ফসল। ৯২ শতাংশ মুসলমানের আবাসভূমি এদেশের অধিকাংশই সূফিবাদী আদর্শে উজ্জীবিত সুন্নী মুসলমান। যে দেশের মানুষের সার্বিক জীবনাচরণ, কৃষ্টি- সভ্যতার প্রতিটি পরতে- পরতে দৃশ্যমান হয়ে থাকে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন। তথাপি ইসলামে কোন রাজনীতি নেই এমনটি বলতেও অনেকেই কুন্ঠাবোধ করে না। অনেকেই ইসলামী রাজনীতিকে সাম্প্রদায়িকতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতা বলেই অভিহিত করে। মূলতঃ এধরণের অবান্তর, উদ্ভট ও কূপমণ্ডূক ধ্যান-ধারনার প্রচার- প্রসার অব্যাহত রেখে এদেশে মুসলিম উম্মাহকে পশ্চাৎপদ রাখার সুগভীর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে ইসলাম বিদ্বেষী একটি অপশক্তি। অথচ এদেশের সর্বত্র ইসলামী রাজনীতির অনুকূল পরিবেশ পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। ঐতিহাসিকভাবেই এদেশ হচ্ছে ইসলামী রাজনীতির উর্বর ক্ষেত্র। তাই দেশ ও জাতিকে সর্বপ্রকার মানবগড়া মতবাদের অক্টোপাস থেকে মুক্ত করে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গিকারে সূন্নী মতাদর্শী  ৩ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যথাক্রমে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, নিবন্ধন নং- ০৩০, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, নিবন্ধন নং- ০৩৫ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, নিবন্ধন নং- ০৪৯ এর সমন্বয়ে “বৃহত্তর সূন্নী জোট” এর আত্মপ্রকাশ।

তিনি বলেন, বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪ ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে। এ অভ্যুত্থানে জাতি,ধর্ম, বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে প্রায় সকলই সমর্থন এবং অংশগ্রহণ করে। যেখানে আত্মাহুতি দিয়েছে অসংখ্য তরতাজা অমূল্য প্রাণ। ছাত্র- জনতার এহেন অমূল্য আত্মত্যাগের প্রতি রইলো আমাদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।  ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত আন্দোলন- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গঠিত হয় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। অতঃপর আশার সঞ্চার হয় জনমনে। কিন্তু দূঃখজনক হলেও সত্য যে, অন্তর্র্বতী সরকারের ১ বছর অতিবাহিত হতে চললেও অদ্যাবধি জাতীয় জীবনে কোনরূপ সুস্থতা ও স্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না, বরং সর্বত্রই অনুভূত হচ্ছে এক বিষ্ফোরোন্মুখ পরিস্থিতি। জ্যামিতিক হারে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে লুটতরাজ, মব ভায়োলেন্স, চাঁদাবাজি তথা অবাঞ্ছিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। থামছেই না মসজিদ, মাদরাসা ও মাজারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, ভাংচুর তথা অগ্নিসংযোগের মতো গর্হিত অপরাধ প্রবনতা। সন্দেহের বশিভূত হয়ে গণপিটুনিতে হত্যার মতো অপরাধ ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। ধর্মীয় আচার- অনুষ্ঠান তথা বিবিধ পালা-পার্বনে অযাচিত হামলার ঘটনা ঘটছে অবলীলায়। বিশেষতঃ গত বছর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন শোভাযাত্রায় নির্বিচারে হামলা ও হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। উপরন্তু বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার সম্মানীয় শিক্ষক,  মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের উপর চড়াও হয়ে তাঁদের ফিল্মি স্টাইলে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার মতো নির্মম ঘটনাও ঘটেছে দেশের অসংখ্য জায়গায়। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো, প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অযাচিত ঘটনা সংঘটিত হলেও প্রশাসনের নির্বিকার ও নিস্ক্রিয় ভূমিকা আমাদের জাতীয় জীবনে একটি কলংকিত অধ্যায়।  ফলে জনমনে ক্রমাগত উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের প্রতি জনগণের চরম আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ কঠিন পরিস্থিতি থেকে দেশ-জাতির  উত্তরণ খুবই জরুরি।

ইতোমধ্যে অন্তর্বতী সরকার কর্তৃক আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর সময় ঘোষনা করা হয়েছে। আমরা মনে করি আসন্ন এ নির্বাচন জাতীয় জীবনে অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। ‘বৃহত্তর সুন্নি জোট’ এর অন্তর্ভুক্ত ৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রত্যাশী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা স উ ম আবদুস সামাদ। নবগঠিত জোটের তিন শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান ছৈয়দ সাইফুদ্দীন আল হাসানী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, আল্লামা আবু সুফিয়ান আবেদী আলকাদেরী, এডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, এম সোলায়মান ফরিদ, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী, মাওলানা আশেকুর রহমান হাশেমী, মাওলানা বাকি বিল্লাহ আজহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, স ম হামেদ হোসাইন, এইচ এএম মুজিবুল হক শাকুর, এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ প্রমুখ।

বৃহত্তর সুন্নি জোটের ১৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জাতীয় নীতি নির্ধারনে সকল নিবন্ধিত দলের অংশগ্রহণ ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করণ, সরকারের দেয়া ২০২৬ সালের  ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা বাস্তবায়নের পাশাপাশি একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও সকল নিবন্ধিত দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে সরকারের প্রভাবমুক্ত রেখে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা, জুলাই আন্দোলনে বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া এবং সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা, অবৈধ অর্থ পাচার রোধ এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা, নির্বাচনের পূর্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা, দুর্নীতিবাজ, আদালতের রায়ে দণ্ডিত সন্ত্রাসী, ঋণখেলাফি, বিদেশে অর্থ পাচারকারী ও কালো টাকার মালিকদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা। মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে হত্যাকান্ড, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বিভিন্ন সেক্টর থেকে লোকজনকে পদত্যাগে বাধ্য করার মতো গর্হিত কাজ বন্ধ করা, এ সবধরণের গুম, খুনসহ বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করা, বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা থেকে ছাঁটাই বন্ধ করা ও ইতিমধ্যে ছাঁটাইকৃতদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করা, নারী কমিশন প্রদত্ত রিপোর্ট বাতিল করা, কোরান সুন্নাহ বিরোধী আইন প্রণয়ন থেকে বিরত থাকা, জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, পুনর্বাসন ও আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, জনগণের সর্বশেষ আস্থার ঠিকানা সেনাবাহিনীকে কোন বিতর্কে না জড়িয়ে এ বাহিনীর গৌরবময় ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন করা, গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি ইস্ট ইন্ডিয়া মার্কা কোম্পানীর হাতে তুলে না দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে পরিচালনা করা, মানবিক করিডোরের নামে আরাকানী সন্ত্রাসী গোষ্টিতে দেশের ভূ-খন্ড ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়া, গত এক বছরে ভাংচুরকৃত শতাধিক, মসজিদ, মাদ্রাসা, মাজার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পুনঃনির্মাণে রাষ্ট্রীয় উদোগ গ্রহণ করা ও হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করা।

 

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রধমার্ধেই নির্বাচন

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রধমার্ধেই নির্বাচন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শনিবার (৩০ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের জনগণের প্রতি এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একনিষ্ঠ অঙ্গীকার। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার সকল ষড়যন্ত্র, বাধা অথবা প্রচেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের গণতন্ত্রপ্রেমী দেশপ্রেমিক জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে। জনগণের ইচ্ছা জয়ী হবে, কোনো অশুভ শক্তিকে গণতন্ত্রের পথে আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দেওয়া হবে না।’

বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা নুরুল হক নুরের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সরকার। সরকার বলছে- কেবল নুরের ওপরই নয়, এই ধরনের সহিংসতা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ঐতিহাসিক সংগ্রামে জাতিকে একত্রিত করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্পিরিটের ওপরেও আঘাত বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার।

এই নৃশংস ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে সম্পন্ন করা হবে বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রভাব বা পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, জড়িত কোনো ব্যক্তি জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পাবে না। স্বচ্ছতা এবং দ্রুততার সাথে এর বিচার সম্পন্ন করা হবে।

বিবৃতে আরও বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে নুরুল হক নুর এবং তাঁর দলের অন্যান্য আহত সদস্যদের চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রয়োজনে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে পাঠানো হবে।

এই সংকটময় সময়ে নুর এবং তাঁর দলের আহত সদস্যগণ ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে পুরো জাতির প্রার্থনা এবং সংহতি রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

২০১৮ সালে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলনে  নুরুল হক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন উল্লেখ করে বিবৃতে সরকার বলেছে- একজন ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি তরুণদের সংগঠিত করেছিলেন, বিভিন্ন মত ও কণ্ঠকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। চব্বিশের জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং হেফাজতে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। নুরের ভূমিকা একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য আমাদের জনগণের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তাঁর সাহস ও আত্মত্যাগ চিরকাল আমাদের জাতির ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।

জনবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় আহ্বান জানিয়েছে সরকার। বিবৃতে বলা হয়-‘এই সংকটকালীন সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় আহ্বান জানায়। আমাদের সংগ্রামের অর্জন রক্ষা করতে, জনবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রে আমাদের সফল উত্তরণ নিশ্চিত করতে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য।’

 

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

2
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আগামীকাল মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।

আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় রাষ্ট্রীয় শোক পালনের বিষয়টি জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, শোক পালনের উদ্দেশ্যে দেশের সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি সকল সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

এছাড়াও আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

 

উত্তরায় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২০,আহত ১৭১

উত্তরায় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২০,আহত ১৭১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো ১৭১ জন। নিহতদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। সোমবার (২১ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন কলেজের ক্যান্টিনের ছাদে এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

এদিকে জানা গেছে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ প্রত্যেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, আহত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। তাদের বার্ন ইন্সটিটিউট, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও উত্তরার আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ৮ জন, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৭০ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩জন, ঢাকা সিএমএইচে ১৭ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালে ১ জন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ১১ জন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে ৬০ জন, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 

 

গাইবান্ধার সাবেক ৬এমপি সহ ১৫০জনের বিরূদ্ধে হত্যা মামলা

গাইবান্ধার সাবেক ৬এমপি সহ ১৫০জনের বিরূদ্ধে হত্যা মামলা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

দশ মাস আগের ঘটনায় জাতীয় সংসদের গাইবান্ধার বিভিন্ন আসনের সাবেক ছয় এমপিসহ মোট ১৫০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৮৫জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) গাইবান্ধা সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধার সদস্য সচিব বায়োজিদ বোস্তামি জীম বাদী হয়ে ঘটনার ১০ মাস পর এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন- গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি নাহিদ হাসান নিগার সুলতানা, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক এমপি শাহ সরোয়ার কবির ও সাবেক এমপি ও হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সাবেক এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের  সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সাবেক এমপি মাহমুদ হাসান রিপনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের মোট ৮৫ জনকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন- গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠে ছাত্র-জনতার কর্মসূচি চলাকালে বিগত ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ আসিফ সরকারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে লোহার রড, হকিস্টিক ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এছাড়া, একই বছরের ৪ আগস্ট বেলা ২টার দিকে বায়োজিদকে গাইবান্ধা ডিসি অফিসের সামনে থেকে পুনরায় ধরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গেটের সামনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পরে হামলাকারীরা “জয় বাংলা” শ্লোগান দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। এছাড়া এসময় তার দিকে তাক করে রাবার বুলেটও ছোড়া হয়।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহীনুর ইসলাম তালুকদার জানান, গাইবান্ধার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব বায়োজিদ বোস্তামি জীম বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার এই মামলাটি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।মামলায় উল্লেখিত অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কী কথা নাহিদের!

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কী কথা নাহিদের!

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। তবে তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এমন সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন যখন নানা ইস্যুতে উত্তপ্ত দেশে রাজনীতির মাঠ। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এনসিপি’র একাধিক সূত্র জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম যমুনায় প্রবেশ করেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রায় আধ ঘন্টা আলাপ করেন।

তবে কী বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলাপ হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি কোন সূত্র। সাক্ষাতের বিষয়টি স্বীকার করলেও কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা বলতে চাননি নাহিদ ইসলাম। এর আগে দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

 সার্কিট হাউজ মাঠে ‘গ্রিন পার্ক’ করতে চান মেয়র শাহাদাত

 সার্কিট হাউজ মাঠে ‘গ্রিন পার্ক’ করতে চান মেয়র শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের পুরাতন সার্কিট হাউজের মাঠে গ্রিন পার্ক করতে চান চট্টগ্রাম  সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঠের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।
ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের মাঠকে জনগণের মুক্তাঙ্গন ঘোষণার দাবিতে’ সমাবেশ ও মানববন্ধন আয়োজন করে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম। এর সঙ্গে সংহতি জানায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), চট্টগ্রাম।
সমাবেশে অংশ নিয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা একটি পরিকল্পিত চট্টগ্রাম নগরী চাই। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে মাস্টারপ্ল্যান আছে সেখানেও এটা একটা সবুজ মাঠ আছে। সব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা ‘ইটের পরে ইট মাঝে মানুষ কীট’- এ ধরণের চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এর আগেও দেখেছি, সিআরবিতে একটা হাসপাতাল করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। আমরা এখানে যারা আছি সবাই সেদিন প্রতিবাদ করেছিলাম। আমরা চাই রেলওয়ে হাসপাতাল (সিআরবিতে) একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হোক, যেটা এখান থেকে মাত্র এক মিনিটের রাস্তা। সেখানে সর্বস্তরের চট্টগ্রামবাসী চিকিৎসা নিতে পারবে।
সার্কিট হাউজের মাঠটির জন্য ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উপদেষ্টাকে চিঠি লিখেছেন জানিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, মাঠটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে দিয়ে দিন, আমরা একটা গ্রিন পার্ক করব এখানে। মানুষ সেখানে আসবে হাঁটবে, ঘুরবে। এ ধরনের চিন্তাভাবনা নিয়ে আমি তাদেরকে চিঠি লিখেছিলাম কিন্তু অদ্যাবধি কোনো সাড়া দেননি। কিন্তু এখন শুনছি এখানে হাসপাতাল হবে। আমি তাদের অনুরোধ করছি, আমার (সিটি করপোরেশনের) কালুরঘাটে ৯ একর জায়গা আছে। ওই ৯ একর জায়গা নিয়ে ওখানে হাসপাতাল করুন, আমাকে এই জায়গাটা দিয়ে দেন, সবুজ পার্ক করব এখানে। আমি আপনাদের প্রস্তাব দিচ্ছি। এর থেকে ভালো প্রস্তাব হতে পারে না।  আপনারা হাসপাতাল করলে সেখানকার অবহেলিত মানুষ সেবা পাবে।
তিনি বলেন, এখানে অনেক হাসপাতাল, কাছেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, আশেপাশে এত প্রাইভেট হাসপাতাল, এখানে আর হাসপাতাল প্রয়োজন নাই।
চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে। চট্টগ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করেছে। এখন মাঠ সিজেকেএসের থাকবে। চট্টগ্রামের সমস্ত খেলোয়াড় এখানেই খেলবে। এ শহরকে আমাদের বাঁচাতে হবে। এই শহরকে যদি না বাঁচাই তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।
সমাবেশে কবি সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্বের একটি ব্যতিক্রম নগরী। এই নগরীকে রক্ষা করতে না পারলে উত্তর প্রজন্ম আমাদের দায়ী করবে। একে বলা হয় বাণিজ্যিক রাজধানী, কিন্তু এখানে একটিও পার্ক নেই, মাঠ নেই। শহরে ৫-৬ টা মাঠ ছিল। অথচ এখন শিশু কিশোররা খেলার মাঠ পায় না। এই মাঠটি আমরা সবাই মিলে রক্ষা করব। এর পিছনে যে পুরাতন সার্কিট হাউজ, সেটি একটি ব্রিটিশ বার্মিজ স্থাপনা। এখানে এরকম আর একটি স্থাপনাও নেই। সেটি এখন জাদুঘর, আর সামনের মাঠটি এর ল্যান্ডস্কেপ হিসেবে আছে। এখানে কোন স্থাপনা হতেই পারে না।
মানববন্ধনে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি বর্ষীয়ান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দর খান বলেন, এই মাঠটি এতদিন যেমন উন্মুক্ত ছিল তেমন সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।
অন্যদের মধ্যে স্থপতি জেরিনা হোসেন, অধ্যাপক ড. শফিক হায়দার, বিজয় মজুমদার ও অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া সমাবেশে বক্তব্য দেন। এছাড়া প্রকৌশলী এবিএম বাসেত, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, স্থপতি শাহীনুল ইসলাম খান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন।

বিনি সুতার মালা’র বন্ধনে শুরু তিনদিনের সাম্পান খেলা

3
বিনি সুতার মালা’র বন্ধনে শুরু তিনদিনের সাম্পান খেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিনি সুতার মালার বন্ধনে বৃহস্পতিবার থেকে কর্ণফুলী নদীতে শুরু হয়েছে তিন দিনের সাম্পান খেলা ও চাঁটগাইয়া সংস্কৃতি মেলা।

সকাল নয়টায় নগরীর সদরঘাট থেকে এই অনুষ্ঠান মালার শুরু হয়। ভাসমান মঞ্চে সদরঘাট থেকে পটিয়া বোয়ালখালী ও কালুরঘাট এলাকার এক ঘাট থেকে অন্যঘাটে ঘুরে ঘুরে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পীদের গান আবৃত্তি দিয়ে ৫০ কিলোমিটার ব্যাপী উভয় তীরের নদী তীরের বাসিন্দা ও নদী ব্যবহারকারীদের সচেতনতা ও প্রীতির বন্ধনে গাথা হয় বিনি সুতার মালা।

চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ¦ মোঃ আলী আব্বাস।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গবেষক আলীউর রহমান বলেন, কর্ণফুলী নদী দূর্বৃত্তদের কাছে সোনার ডিম পাড়া রাজ হাস। এই পর্যন্ত দখলদারদের পাঁচটি রিট মামলার রায়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা বহাল রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা এতো প্রভাবশালী একই বিষয়ে বার বার রিট করেই চলেছে। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাববিস্তারকারী কিছু আইনজীবি। এই অবস্থা চলতে থাকলে কর্ণফুলী একদিন বুড়িগঙ্গায় পরিণত হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের মহানগর শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ফরহাদ উদ্দীন সোহাগ, ছাত্র সমন্বয়ক মোঃ জুবায়ের আলম মানিক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কর্ণফুলী উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক  ইঞ্জিনিয়ার  মোঃ হারুন রশীদ,  দক্ষিণ জেলা বি এন পির সদস্য মীর্জা মোঃ ইসমাইল, চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন বি এন পির সাবেক সভাপতি  ডাঃ গিয়াসউদ্দিন ফারুকী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহার উদ্দিন, বি এন পির নেতা হাজি আব্দুর রাজ্জাক, চরপাথর ঘাটা ইউনিয়ন বি এন পির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মির্জা ইসমাইল প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।