Home Blog Page 22

পূর্ণাঙ্গ অনলাইন চা নিলাম এখন সময়ের দাবি

পূর্ণাঙ্গ অনলাইন চা নিলাম এখন সময়ের দাবি

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি বলেছেন, দেশের চা নিলাম ও চায়ের বিপণন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইন চা নিলাম সিস্টেম চালুর কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এটা বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিটিএবি) কে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এর মাধ্যমে ক্রেতারা ঘরে বসেই চা ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়া বাগান মালিকরাও নিলাম চলাকালীন চায়ের দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।  সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রের নিলাম কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে টিটিএবি এবং চা ব্রোকার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কোভিড পরিস্থিতিতে অনলাইন চা নিলাম সিস্টেম চালুর প্রতি গুরুত্বারোপ করে চা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন চা নিলাম চালু হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইন চা নিলাম শুরু হোক। এজন্য প্রয়োজনীয় কারিগরী সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে টিটিএবিকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও সামগ্রিকভাবে চা শিল্পের উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই PQP (Production-Quality-Price) এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করার জন্য তিনি সকল অংশীজনকে আহবান জানান।

টিটিএবি’র সভাপতি  ওমর হান্নান সভায় বলেন, চা বোর্ডের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে টিটিএবি কর্তৃক চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন নিলাম কার্যক্রম চালু রয়েছে। পূর্ণাঙ্গরূপে অনলাইন চা নিলাম চালুর বিষয়ে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের সাথে টিটিএবি-র নিবিড় যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

সভায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী অনলাইন চা নিলামের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ চা বোর্ডের ইতিবাচক ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন।

নিলাম কেন্দ্র পরিদর্শন ও চা ব্রোকার হাউজ পরিদর্শন শেষে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান চায়ের বন্ডেড ওয়ারহাউজ পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চা বোর্ডের সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মাদ রুহুল আমীন, জনসংযোগ ও শ্রমকল্যাণ কর্মকর্তা মো: রাজিবুল হাসান, বিপণন কর্মকর্তা  আহসান হাবিব, টিটিএবি’র সাবেক সভাপতি  শাহ মঈনুদ্দীন হাসান, ব্রোকারদের প্রতিনিধিসহ চা ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
তিন দফা জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ড. গাজী সালেহ উদ্দীন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দিন (৭৪) করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রাজধানী ঢাকার সিকদার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন-গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
শনিবার সকাল ১০টায় নগরী পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা রোডের বনিক পাড়াস্থ বাসার সামনে তাঁর প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১১টায় নগরীর পাহাড়তলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে। জানাজা শেষে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নেতৃতে মেট্টোপলিটন পুলিশের একটি চৌকষ দল ড. গাজী সালেহ উদ্দীনকে রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন। একই সাথে সিএমপি কমিশনারের পক্ষে মরহুমের একমাত্র পুত্র ও সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব সালেহীন তানভীর গাজীর হাতে একটি শোক ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.বেনু কুমার দে সহ শিক্ষকবৃন্দ। পরে তাঁর মরদেহ নোয়াখালির সোনাইমুড়ি উপজেলার বদরপুরস্থ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তৃতীয় দফা জানাযা থেকে বাদে আছর তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রধানমন্ত্রীর শোক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজতত্ত¡ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

চট্টগ্রামে ৯৩% করোনা রোগীর শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

চট্টগ্রামে ৯৩% করোনা রোগীর শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের ৯৩ শতাংশের নমুনায় মিলেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

সিভাসু সূত্র জানায়, গত ১ থেকে ১৯ জুলাই মোট ৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনার ওপর যৌথভাবে গবেষণা চালায় প্রতিষ্ঠান দুটির গবেষক দল। এর মধ্যে ১৫টি নমুনা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার রোগী থেকে এবং ১৫টি উপজেলা এলাকার রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। নমুনা সংগ্রহ করা রোগীদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী। এসব রোগীর বয়স ছিল ২১ থেকে ৭৪ বছর। গবেষণায় ৩০টি নমুনার মধ্যে ২৮টিতেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এতে চট্টগ্রামের করোনা রোগীদের ৯৩ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছে প্রতীয়মান হয়। অবশিষ্ট দুটি নমুনার মধ্যে একটিতে আলফা ভ্যারিয়েন্ট এবং অপরটিতে ‘লাইনেজ-এ’ শনাক্ত হয়েছে।

সিভাসুর উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন’ শীর্ষক ধারাবাহিক গবেষণার অংশ হিসেবে এ গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। সিভাসুর প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদিব দাশ, ডা. প্রনেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী, বিসিএসআইআরের গবেষক ড. মো. সেলিম খান ও ড. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় অংশ নেন।

সিভাসু উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ  বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এর আগে আলফার (ইউ কে ভ্যারিয়েন্ট) ও বিটা (সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট) উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। যদিও আলফা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি এখনো আছে, তবে তার শতকরা হার খুবই কম। এবারের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বুঝা যায়, শহর ও গ্রামাঞ্চলে এখন সম্ভবত সমানভাবেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি  বলেন, কভিড সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে আমাদেরও ধারণা ছিল দেশে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। সিভাসু ও বিসিএসআইআরের গবেষণাতেও সেটার প্রমাণ মিলেছে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের এ ধরনটি অত্যন্ত সংক্রমক, যা দ্রুত অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চট্টগ্রাম নগরী ও নগরীর বাইরে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সী মানুষই এর শিকার।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট ৮৮ হাজার ৬৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৮১২ জন মহানগর এলাকায় এবং ২২ হাজার ৮৪৮ জন উপজেলা এলাকায়। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ৩৬ জন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ৩ হাজার ৭৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এদের মধ্যে ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদিন মারা যায় ১৭ জন। নগরীর বাইরে হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়িতে করোনা আক্রান্তের হার অন্যান্য উপজেলা থেকে বেশি বলে স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য থেকে জানা গেছে।

সূত্র- দেশ রূপান্তর

দেশজুড়ে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু

দেশজুড়ে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে টিকা নিচ্ছেন এক প্রতিবন্ধী্

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যক্রম। এতে ২৫ বছর তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। নির্ধারিত বয়সের নারী-পুরুষরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা নেয়ার জন্য ভিড় করছেন।

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে টিকা দেয়া হচ্ছে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকর্মী ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন

করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য এরইমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক কোভিড১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত নির্দেশনা পরিচালক (স্বাস্থ্য), বিভাগীয় কমিটির সদস্য, সিটি করপোরেশন কমিটির সদস্য সচিব, জেলা কমিটির সদস্য সচিব, উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা সব পৌরসভার মেডিকেল কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়

শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার সম্প্রসারিত আকারে শনিবার দেশব্যাপী ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী আগস্ট ২৫ বছর তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে আমরা টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হবে। আগস্ট ইউনিয়ন পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে এবং থেকে আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি চলবে। দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলে আগস্ট ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম চালু থাকবে। ১০ থেকে ১২ আগস্ট জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড১৯ ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে

টিকাগ্রহণ টিকা নেয়ার পর করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো

. আগামী আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোভিড১৯ টিকা দেয়া হবে।
. সিটি করপোরেশন পৌরসভা এলাকায়ও প্রতি ওয়ার্ডে থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে।
. যাদের বয়স ২৫ বা তদূর্ধ্ব তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
. প্রথম দুই ঘণ্টা শুধু নারী ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল পুরুষকে টিকা দেয়া হবে।
. যারা ইতোমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন তাদের নিবন্ধনের সময় উল্লিখিত টিকাকেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে

টিকা নেয়ার পরে করণীয়

. টিকা নেয়ার পর টিকাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
. টিকা নেয়ার পর যেকোনো রকম শারীরিক অসুবিধা হলে সাথে সাথে টিকাদানকর্মীকে খবর দিন। প্রয়োজনে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন

এছাড়া টিকা নেয়ার পরও জরুরি কাজে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একে অপর হতে অন্তত ছয় ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সাবান পানি দিয়ে ঘন ঘন ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুতে হবে। হাঁচিকাশির সময় হাত/রুমাল দিয়ে নাকমুখ ঢেকে নিতে হবে

চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক রাজ আটক

চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক রাজ আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বহুল আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) এর সদস্যরা। বুধবার রাজধানীর বনানী এলাকায় উভয়ের বাসায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানকালে দু’জনের বাসা থেকে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার বিকেল চারটার দিকে বনানীতে নায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযান চালাতে যায় র‌্যাবের একটি টিম। র‌্যাব সদস্যরা তাঁর বাসার দরজা খুলতে বললে তিনি দরজা না খুলে ফেসবুক লাইভে গিয়ে বলতে থাকেন সাদা পোশাকে অজ্ঞাত পরিচয় লোকজন তাঁর বাসার মূল গেট ভেঙ্গে উপরে উঠে এসে বাসার দরজা ধাক্কাচ্ছে। এসময় তিনি বনানী থানায় ফোন করে পুলিশের কোন সাহায্য পাচ্ছেনা বলেও অভিযোগ করেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাসার দরজা খুলে দেয়া হয়। বাসায় ঢুকেই র‌্যাব সদস্যরা পরীমনির ফেসবুক লাইভ বন্ধ করে দিয়ে তাঁর মোবাইলে নিজেদের কাছে নিয়ে নেন। পরে ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ, ভয়ঙ্কর মাদক আইস, এলএসডি ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। রাত সোয়া আটটার দিকে তাঁকে বাসা থেকে আটক করে কঠোর প্রহরায় র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে পরীমনিকে আটকের পরপর বনানীর ৭নম্বর রোডে চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই বাসায় অভিযান শুরু হয় এবং রাত সাড়ে দশটার দিকে তাঁকে বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায়। ওই বাসাতেও বিভিন্ন ধরণের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা।
র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন,  সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমণি ও রাজের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় তাঁদের বিরূদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ১হাজার ছাড়াল

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ১হাজার ছাড়াল
নিজস্ব প্রতিবেদক :

সরকারের কঠোর বিধি নিষেধেও থামছেনা চট্টগ্রামে করোনার উর্ধ্বগতি। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বুধবার সকালে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, মঙ্গলবার একদিনেই চট্টগ্রামের করোনা আক্রান্ত ১৬জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ১০ জন বিভিন্ন উপজেলায় এবং ৬ জন মহানগর এলাকায়। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১হাজার ১০জনে।

এদিন বিভিন্ন ল্যাবে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার মোট ৩হাজার ৬৭৯টি জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তন্মধ্যে ১ হাজার ২৮৫ জনের নমুনায় কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তের হার ৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, নগরীর বাইরে হাটহাজারীতে ৮০জন, রাউজানে ৭৮জন, সীতাকুন্ডে ৫১জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৫৩জন, বোয়ালখালিতে ৪২জন, পটিয়ায় ৩০ জন, বাঁশখালীতে ২০জন, লোহাগাড়ায় ২০জন, সন্দ্বীপে ১৮ জন, মিরসরাইয়ে ১৪ জন, সাতকানিয়ায় ১০ জন, আনোয়ারায় ৮ জন ও চন্দনাইশে ২জন আক্রান্ত হয়েছেন।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি  জানান, এখানে করোনায় মৃত্যু এক হাজার ছাড়িয়ে যাওয়া এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত এলার্মিং। টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে অনেকে এখনো উদাসীন। যার প্রতিফলন ঘটছে এখানে। তিনি জানান, প্রথম দিকে নগরীর তুলনায় গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কম হলেও এখন গ্রামাঞ্চলেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১হাজার ১০জনের মধ্যে ৫৯৭ জন মহানগরীর এবং ৪১৩ জন রয়েছে নগরীর বাইরের।

মাস্ক এর জন্য জরিমানার ক্ষমতা দেয়ার চিন্তা পুলিশকে

মাস্ক এর জন্য জরিমানার ক্ষমতা দেয়ার চিন্তা পুলিশকে

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি   :

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাস্ক না পারলে পুলিশও যাতে জরিমানা করতে পারে, সেই বিধান চালু করতে যাচ্ছে সরকার। অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সুযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মূলত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই জরিমানা করে থাকেন।
করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে চলমান বিধিনিষেধ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ১১ আগস্ট থেকে গণপরিবহন, দোকানপাট, অফিসসহ সবকিছু সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে ৭ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বয়স্ক মানুষ অগ্রাধিকার পাবেন। একই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষ, দোকানদার, গণপরিবহনের কর্মীদের নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে টিকা নিতে হবে। টিকা না নিয়ে কেউ কোনো কর্মস্থলে আসতে পারবেনা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যদি এটিকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে পুলিশকেও ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

যারা মাস্ক পরবে না, যাতে তাদের কিছুটা হলেও জরিমানা করতে পারে। এ বিষয়ে অধ্যাদেশ লাগবে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। হয়তো বা আমরা সেদিকেও যাব। ’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের হাতে এখন প্রায় সোয়া কোটি টিকা আছে। তা ছাড়া এ মাসে আরও প্রায় এক কোটি টিকা হাতে এসে পৌঁছাবে। স্থানীয়ভাবেও টিকা উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। ইতিমধ্যে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কোম্পানি মিলে স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের কাজও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিও পাওয়া গেছে।

মশক নিধনে বুধবার থেকে চসিকের মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম

মশক নিধনে বুধবার থেকে চসিকের মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া সংক্রমণে প্রতিরোধে চট্টগ্রাম মহানগরীতে মশক নিধনে বুধবার থেকে মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এসময় অত্যাধুনিক মেশিনে মশার ওষুধ ছিটানো হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৫জন স্প্রেম্যান ওষুধ ছিটাবেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান।

মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিরুপন ও প্রয়োগ পদ্ধতির  ভিন্নতা নির্ধারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত¡ বিভাগের গবেষণা প্রতিবেদনলব্ধ একটি নতুন ইতিবাচক মাত্রা যুক্ত করেছে বলে মন্তব্য করে সিটি মেয়র বলেন, এর ভিত্তিতে  ৪ আগস্ট থেকে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী  বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হবে। প্রতিদিন ৪টি করে মোট ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ দিন মশার ওষুধ ছিটানোর পর আবার পুন:কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে একমাসে তিনবার ওষুধ ছিটানো হবে। এর বাইরে নিয়মিত কার্যক্রমও চলবে। এভাবে মাসব্যাপী কার্যক্রমে ১০০জন জনবল সম্পৃক্ত থাকবে। একই সাথে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক প্রচার কার্যক্রম চলবে। তিনি জানান, মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের সাথে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১হাজার ৫শত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৫জন স্প্রেম্যান ওষুধ ছিটাবেন।

মেয়র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত¡ বিভাগ এর গবেষণালব্ধ প্রতিবেদনকে অত্যন্ত ফলপ্রসু প্রস্তাবনা হিসেবে অভিহিত করে বলেন, গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন তৈরীর জন্য চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার কে অনুরোধ জানালে তিনি তাতে সাড়া দিয়ে গুরুত্বের সাথে গবেষণা কর্ম সম্পাদনে সচেষ্ট ছিলেন এবং তাঁর তত্ত্বাবধানে কীটতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকগণ যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তা সত্যিই নগরবাসীর জন্য বড় প্রাপ্তি। এ জন্য চবি উপাচার্যসহ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরীতে সংশ্লিষ্ট সকলকে মেয়র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মশক নিধনে এ ধরণের বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনই এই প্রথম বারের মত পেয়ে সারাদেশে মশক নিধনে দিক নির্দেশনামূলক উপায় অন্বেষণের পথ দেখিয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিণ আখতার মশক নিধনে চসিকের কার্যক্রমেকে অর্থবহ ও ফলপ্রসু  করতে গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন তৈরীর জন্য চবিকে দায়িত্ব দেয়ায় সন্তোষ ও পরিতৃপ্তি জানিয়ে বলেন, এই দায়িত্বটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের এবং গর্বেরও। আমরা চেষ্টা করেছি, একটি কার্যকর ও ফলপ্রসু প্রস্তাবনা ও সুপারিশ সমৃদ্ধ গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে। এতে মেধা, যোগ্যতা ও সামর্থকে উজার করে দিয়েছি। এতে যদি মশক নিধন সফল হয় আমাদের শ্রম সার্থক হবে। তিনি জানান, প্রতিবেদন তৈরীতে বিশেষজ্ঞ টিম ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে ৫৭ টি স্পট থেকে লার্ভা সংগ্রহ করা হয়। এ সংগৃহীত লার্ভার মধ্যে ১৫টি স্পটে লার্ভার শতভাগই ছিলো এডিস, এনাপলিস ছিলো ৩৯টিতে। প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয় যে, ফগার মেশিনের চেয়ে স্প্রে-মেশিনে ওষুধ ছিটানো হলে তার কার্যকারিতা ফলপ্রসূ হবে। তবে ফগার মেশিনে ছিটানো ওষুধের ভিন্নতা আনলে এর কার্যকারিতা পূর্ণতা পাবে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে প্রাকৃতিক ভাবে মশা প্রজনন প্রতিরোধ সম্ভব। এ ধরণের মাছ লার্ভা খেয়ে বিনাশ করে। এ ছাড়া পুদিনা পাতা, লেবু পাতা, তুলসী পাতা, নিমপাতার, তেজপাতার ঘ্রাণ মশা প্রজনন প্রতিরোধ করে। চবি ভিসি এ প্রসঙ্গে সুপারিশ করেন যে, সিটি কর্পোরেশনের যে সকল আইল্যান্ড আছে সেখানে এ ধরণের উদ্ভিদের চারা রোপন করা হলে মশা নিধন অনেকটা সহজ সাধ্য হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রতিবেদন উপস্থাপন সভায় বক্তব্য রাখেন-বিশেষ অতিথি চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর  মো. মোবারক আলী, শৈবাল দাশ সুমন, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, চবি গবেষণা টিমের আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক রবিউল হাসান, ড. মো. ওমর ফারুক, ড. তাপসী বোস, ড. এইচ.এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ। চবি গবেষণা টিমের আহবায়ক অধ্যঅপক রবিউল হাসান প্রতিবেদনটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন করেন।

 

বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেল কোভ্যাক্সিন

বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেল কোভ্যাক্সিন

নিউজ মেট্রো ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের নিজস্ব উদ্ভাবিত টিকা কোভ্যাক্সিন বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এ অনুমোদন দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগেই কোভ্যাক্সিন টিকা দেশে ট্রায়ালের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং যুক্তির ওপর ভিত্তি করে আমরা এ অনুমোদন দিয়েছি। এই টিকার ট্রায়ালে আর কোনো বাধা নেই।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বেশ কয়েক মাস আগে এই টিকা ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির কাছে অনুমতি চেয়েছিলো। আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী কে জামান এ ট্রায়ালের প্রধান গবেষক। তবে কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে, সেই বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

করোনা মোকাবিলায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি ও উদ্যোগে তৈরি প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র টিকা কোভ্যাক্সিন। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যভিত্তিক ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক এ টিকার উদ্ভাবক।

চট্টগ্রাম নগরীতে দেয়া হবে দিনে দেড় লাখ ডোজ টিকা

চট্টগ্রাম নগরীতে দেয়া হবে দিনে দেড় লাখ ডোজ টিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আগামী ৭ আগস্ট থেকে পরবর্তী ছয় দিনে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৬শ ডোজ করে দেড় লক্সাধিক ডোজ মর্ডানা কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে বলেন, সরকার সামর্থ্য ও সক্ষমতার সর্বশক্তি দিয়ে কোডিভ-১৯ সংক্রমণ রোধে টিকাকে সর্বসাধারণের দ্বোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে পেরেছে। এর আওতায় নগরীতে যারা টিকা নিতে ১৮ বছরের উর্দ্ধে যৌগ্য বা আগ্রহী  তারা কেউ বাদ পড়বে না। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর উর্দ্ধগতি হারের মধ্যেও এটা শুভ ও স্বস্তিদায়ক বার্তা। তিনি আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউ হলে অনুষ্ঠিত মর্ডানা (কোভিড-১৯) ভ্যাক্সিনেশন গ্রহণ ও প্রয়োগ সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের প্রায়োগিক কর্মপদ্ধতি তুলে ধরে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথে প্রতিদিন ২শ করে কমপক্ষে ৬শ ডোজ টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি বুথে ২জন প্রশিক্ষিত ভ্যাক্সিনেটর ও ৩জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সিনিয়র সিটিজেন, নিবন্ধনকৃত নাগরিক, আবেদনকৃত নাগরিক ও কাউন্সিলরদের কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীরা টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, সোমবার থেকে স্বা স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে সরবরাহকৃত ফর্মে যে-কেউ আবেদন করতে পারবেন।
মেয়র কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেনিং কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ মুখ্য বিষয়। কারণ তারা এলাকাবাসীর ভাল-মন্দ ও সুবিধা-অসুবিধার সাথে সরাসরি যুক্ত। ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনিং কার্যক্রম সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের জন্য একটা বড় ধরণের সুযোগ। তারা এলাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে এই কাজটি ভাল ভাবে সম্পাদন করতে পারলে সকলের বিশ^াস ও আস্থাভাজন হতে পারবেন। চসিক নগরীতে প্রথম পর্যায়ে ভ্যাক্সিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা সফল ভাবে পূরণ করতে পেরেছে।
তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের উর্দ্ধগতির পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া বিস্তারের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। তবে এর বিস্তার ঢাকার মত এখনো প্রকট না হলেও এখন থেকে তা প্রতিরোধে সতর্ক হতে হবে। নগরীরর কোথাও, বাসা-বাড়ি, খোলা জায়গায় পরিষ্কার পানি যাতে জমতে না পারে সে দিকে কাউন্সিলদের দেখভাল ও তদারকী করতে হবে।
তিনি মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে ছিটানো ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় ও সরঞ্জামগত অপ্রতুলতা থাকলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করা হচ্ছে। মশার ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই-বাছাইয়ে চবি’র প্রাণ রসায়ন, অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের বিশেষজ্ঞদের একটি টিমের গবেষণা প্রতিবেদন আগামীকাল মঙ্গলবার আমাদের কাছে আসবে। এর ভিত্তিতে মশক নিধনে ৩০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হবে।
স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর সভাপতিত্বে ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। সভায় ক্যাম্পেন প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করেন ডা. সরওয়ার আলম। সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।