Home Blog Page 37

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি বহাল

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি বহাল
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ আসামীর বিরূদ্ধে বিচারিক আদালতের দেয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর।
একই সঙ্গে আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানকে বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৪ বছরের দণ্ডিত আসামি আনিসুল ইসলামের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারসমাবেশের জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন। রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতের ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
আদালতে ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মোহাম্মদ শাহীন মৃধা এবং পলাতক আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন অমূল্য কুমার সরকার অংশ নেন। অন্য  আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান, মোহাম্মদ আহাসান, ইমাদুল হক ও নাসির উদ্দিন অংশ নেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন সরাতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ

আল জাজিরার প্রতিবেদন সরাতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি :
‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ শিরোনামে বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রতি আলজাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকে সরানোর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে‍ুবুধবার এই আদেশ দেয়া হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরায়  বাংলাদেশ ও সেনাবাহিনী প্রধান নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।
এ প্রতিবেদনকে বিদ্বেষমূলক ও মানহানিকর উল্লেখ করে দেশে আলজাজিরার সম্প্রচার ও ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির হাইকোর্টে একটি রিট করেন। রিটের গ্রহণযোগ্যতাসহ কয়েকটি বিষয়ে মতামত দিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালত ছয় আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন।
এদের মধ্যে পাঁচ এমিকাস কিউরি আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে সোমবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চে মত দেন পাঁচ অ্যামিকাস কিউরি। এরা হলেন- এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিক। অপর অ্যামিকাস কিউরি আবদুল মতিন খসরু আদালত ওই তথ্যচিত্র অপসারণের নির্দেশনা দিতে পারেন বলে মত দেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রিটেরে শুনানিতে বলেন, রিট আবেদনকারীর মামলা করার অধিকার আছে। একই সঙ্গে দেশের সীমানায় কনটেন্ট আটকানোর কর্তৃত্ব বিটিআরসির রয়েছে বলে অভিমত দেন তিনি।

একনেকে অনুমোদন পেল ১৯,৮৪৪ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প

একনেকে অনুমোদন পেল ১৯,৮৪৪ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ১৯ হাজার ৮৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ৯টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৬ হাজার ৫৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে ঋণ ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার গণভবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বিটিসিএল এর ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ – ১ম সংশোধিত’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প; তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ বেতার, সিলেট কেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ডিজিটিাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন – ১ম সংশোধিত’ প্রকল্প; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প – ১ম পর্যায়’ প্রকল্প; ‘চট্টগ্রাম জেলাধীন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় হালদা নদীর উভয় তীরের ভাঙন হতে বিভিন্ন এলাকা রক্ষাকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ – ২য় সংশোধিত’ প্রকল্প এবং ‘ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলাধীন দৌলতখান পৌরসভা ও চকিঘাট এবং অন্যান্য অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা’ প্রকল্প; কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প এবং ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#তথ্য বিবরণী

সেনাবাহিনীকে নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রণোদিত : আইএসপিআর

সেনাবাহিনীকে নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রণোদিত : আইএসপিআর
সম্প্রতি আল জাজিরা নামক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত “অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান“ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সেনাসদরের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তথ্যচিত্র আকারে পরিবেশিত প্রতিবেদনটিতে আল জাজিরা কর্তৃক বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে অসংখ্য ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, এর ফলে জনমনে বিভ্রান্তির  সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত প্রতিবেদন দৃষ্টে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা সেনাবাহিনী প্রধানকে বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্বের দরবারে বিতর্কিত, অগ্রহণযোগ্য ও হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার সাথে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে অন্যান্য অসত্য, বানোয়াট, মনগড়া, অনুমান নির্ভর ও অসমর্থিত তথ্য সংযুক্ত করে এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
 প্রথমত, পরিবেশিত তথ্যচিত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ইসরাইল হতে স্পাইওয়্যার ক্রয় করা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সেনাবাহিনী প্রধানের ভাইকে সম্পৃক্ত করে কিছু মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯৮৮ সাল থেকে সফলভাবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে এবং বর্তমানে (৩১ আগস্ট ২০২০ হতে অদ্যাবধি) ১২০টি দেশের মধ্যে জাতিসংঘে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হবার গৌরব অর্জন করেছে। বিশ্ব শান্তিরক্ষার এই মহান দায়িত্ব পালনকালে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১২৪ জন সেনাসদস্য আত্মোৎসর্গ করেন এবং ২২২ জন সেনাসদস্য আহত হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত সুনাম, পারদর্শিতা, সক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই জাতিসংঘের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শান্তিরক্ষী দল প্রেরণের জন্য সদা প্রস্তুত থাকে। বর্তমানেও ইউনাইটেড ন্যাশনস্ পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেমের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬টি কন্টিনজেন্ট পর্যায়ক্রমে পুরাতন ইউনিটসমুহের প্রতিস্থাপক এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নতুনভাবে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত আছে যা শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমুহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে জাতিসংঘের ইউএনডিপিও কর্তৃক বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ‘সিগন্যাল ইউনিটের পরিবর্তে একটি সিগন্যাল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট’ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে মোতায়েন করতে সক্ষম কিনা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি, উল্লেখিত ইউনিটের প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদির তালিকা  জাতিসংঘ কর্তৃক প্রেরণ করা হয়। ঐ তালিকা অনুযায়ী উক্ত সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের জন্য সেসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কিছু সরঞ্জামাদি মজুদ না থাকায় এবং সেগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করার প্রয়োজন হওয়ায়, বাংলাদেশ কর্তৃক সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটটি সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালের পরে প্রেরণ করা সম্ভব বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে জাতিসংঘকে অবহিত করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কর্তৃক যথাযথ সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হাঙ্গেরি থেকে ডিসেম্বর ২০১৭-তে একটি প্যাসিভ সিগন্যাল ইন্টারসেপ্টর ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা জুন ২০১৮-তে সম্পন্ন হয়। এই সরঞ্জামটি জাতিসংঘের চাহিদা মোতাবেক ক্রয় করা হলেও পরবর্তীতে জাতিসংঘ তানজানিয়ার একটি সিগন্যাল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে মোতায়েন করায় উক্ত সরঞ্জামটি অদ্যাবধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছেই অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে এবং ভবিষ্যতে জাতিসংঘের চাহিদার প্রেক্ষিতে দ্রæততম সময়ের মধ্যে প্রেরণ করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, আল জাজিরা কর্তৃক উক্ত সিগন্যাল সরঞ্জামটি ইসরাইল এর তৈরি বলে যে তথ্য প্রচার করা হয় তা আদৌ সত্য নয় এবং সরঞ্জামটির কোথাও ইসরাইল-এর নাম লিখা নাই। আরো উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনীতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় এবং অনেকগুলো পর্যায় অনুসরণ করে সরঞ্জামাদি ক্রয় করা হয়। এখানে দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই।
এই সিগন্যাল সরঞ্জামটির ক্রয় প্রক্রিয়া বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এর দায়িত্ব গ্রহণের অনেক পূর্বেই শুরু হয়। ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে পূর্বতন সেনাবাহিনী প্রধান এর সময়কালে সেনাসদরের ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং সরকার হতে অনুমোদন গ্রহণপূর্বক প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর (ডিজিডিপি) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে জুন ২০১৮-তে চুক্তি সম্পাদন করে। অতএব উক্ত সিগন্যাল সরঞ্জামটির ক্রয় নিয়ে বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান বা হাঙ্গেরিতে বসবাসকারী তাঁর ভাইয়ের কোন যোগসুত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা যে সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, তাতে কোন সন্দেহ নেই। উপরন্তু  শুধুমাত্র সেনাবাহিনী প্রধান এর ভাইয়ের দীর্ঘ সময় ধরে হাঙ্গেরিতে বসবাসের বিষয়টিকে পুঁজি করে এই তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। এখানে বলা আবশ্যক যে, সেনাবাহিনী প্রধানের কোন ভাই বা আত্মীয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কোন ধরণের অস্ত্র, গোলাবারূদ বা সরঞ্জামাদি সরবরাহ অথবা ক্রয় প্রক্রিয়ার সাথে কখনোই সম্পৃক্ত ছিলেন না। এটি সহজেই অনুমেয় যে এই তথ্যচিত্রটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতো একটি স্বনামধন্য এবং সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং তাঁর পরিবারের উপর কালিমা লেপনের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর মতো একটি স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানকে আক্রমন করে দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করার অপপ্রয়াস মাত্র।
গত ২৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে সেনাবাহিনী প্রধানের ছেলের বিবাহোত্তর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান হয় যেখানে বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অথচ তার পূর্বেই সেনাবাহিনী প্রধান এর ভাইগণ (আনিস এবং হাসান) তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক, পরিকল্পিতভাবে দায়েরকৃত সাজানো ও বানোয়াট মামলা হতে যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই অব্যাহতি পান। ফলে ২৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে সেনাবাহিনী প্রধানের ছেলের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে তার কোন ভাই কোন দন্ডপ্রাপ্ত বা পলাতক আসামী অবস্থায় ছিলেন না, বরং সম্পূর্ন অব্যাহতিপ্রাপ্ত হিসেবেই তারা ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন এবং উক্ত সময়ে তাদের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা অনিষ্পন্ন অবস্থায় বা চলমানও ছিল না। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান এপ্রিল ২০১৯ এ সরকারী সফরে সিঙ্গাপুর ভ্রমণ শেষে ব্যক্তিগত সফরে মালয়েশিয়া গমন করেন এবং বড় ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করেন। অতএব বিষয়টি স্পষ্ট যে, প্রতিবেদনে দেখানো সেনাবাহিনী প্রধানের তাঁর প্রবাসী ভাইয়ের সাথে বিবাহ অনুষ্ঠানে এবং মালয়েশিয়াতে সাক্ষাত এর ঘটনাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পলাতক আসামীর সাথে সাক্ষাত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা একটি নির্লজ্জ অপপ্রচার মাত্র।
এখানে উল্লেখ্য যে, আল জাজিরার প্রতিবেদনটিতে সামি নামের যে ব্যক্তির বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তার প্রকৃত নাম সামিউল আহমেদ খান’ পিতাঃ লেঃ কর্ণেল মরহুম আব্দুল বাসিত খান (অবঃ)। উক্ত সামি-কে ইতিপূর্বে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মিলিটারি পুলিশ কর্তৃক চুরি, সেনাবাহিনীর অফিসারের পোষাক এবং ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রতারণার অপরাধে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এসকল অপরাধের দায়ে ২০০৬ সালে তাকে বাংলাদেশের সকল সেনানিবাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। উল্লেখিত সামিউল আহমেদ খান’ বর্তমানে জুলকারনাইন সায়ের খান’ (বর্তমান পাসপোর্ট নম্বর ইজি০০৯২৯০২, পূর্বের পাসপোর্ট নম্বর বিজে০৫২০২৬০, এসি৫০৭৫৬৪৭, এবং বি১৭৬৫৬৪৯) নাম ধারণ করে এবং তার পিতার নাম কর্ণেল ওয়াসিত খান’ ব্যবহার করে ভুয়া পরিচয়ে পলাতক অবস্থায় হাঙ্গেরিতে বসবাস করছে। উল্লেখ্য যে, এই প্রতারক অর্থলোভী এবং জালিয়াত সামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারনার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় গত ০৫ মে ২০২০ তারিখে একটি মামলা (নম্বর ২/৫/২০২০) দায়ের করা হয়, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
মূলত, এই প্রতিবেদনটি দৃষ্টে দেখা যায় বিভিন্ন সময়ের কিছু খন্ড খন্ড ছবি বা দৃশ্য সংযোজন করে একটি অনুমান নির্ভর, অগ্রহণযোগ্য ও প্রমানবিহীন তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি তথ্যচিত্র সম্পাদনার কাজ করা হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনের প্রায় সম্পূর্ণ বিষয় অসমর্থিত শোনা কথা (হিয়ার সে) নির্ভর এবং তথ্য প্রদানকারীকে অপরপক্ষ কর্তৃক কোন প্রশ্ন বা জেরার মুখোমুখিও করা হয়নি। এছাড়া সামির মতো একজন প্রতারক ও পলাতক ব্যক্তির নিকট হতে একতরফাভাবে প্রাপ্ত ও সাক্ষ্য হিসেবে অনির্ভরযোগ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন তথ্যচিত্র তৈরী করার কারণে এই প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্যতা, প্রাসঙ্গিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানে আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান ও তাঁর পরিবারকে সরাসরি মাফিয়া পরিবার হিসেবে উল্লেখ ও উপস্থাপনের প্রয়াস নেয়া হয়েছে। একটি স্বাধীন ও গনতান্ত্রিক দেশের সরকার কর্তৃক আইন অনুযায়ী নিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে সাংবাদিকতার রীতি ও নীতি গর্হিতভাবে এরূপ অপবাদ ও মিথ্যাচার চূড়ান্তভাবে অনভিপ্রেত ও অনাকাংক্ষিত এবং আল জাজিরার মতো একটি সংবাদ মাধ্যমের নিকট হতে যা আদৌ কাম্য নয়।
পেশাগতভাবে অত্যন্ত দক্ষ, সকলের কাছে অতি গ্রহণযোগ্য সেনাবাহিনী প্রধানকে কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া আল জাজিরা কর্তৃক অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিকভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িত করার অপপ্রয়াস যা সেনাবাহিনী ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।
আইএসপিআর

চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুণ : ১জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুণ :  ১জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম নগরীর সিইপিজেড এলাকায় একটি বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু ঘটেছে। পুড়ে গেছে অন্তত অর্ধশত বস্তিঘর। মঙ্গলবার ভোররাতে এ আগুণের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া বৃদ্ধার নাম  নওশা (৮২)। আগুণ লাগার পর ঘর থেকে বের হতে না পারায় ঘরের মধ্যে পুড়ে মারা যান তিনি। পরে সেখান থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ইপিজেডের পাশে রেলওয়ে কলোনিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ৯টি গাড়ি সেখানে গিয়ে আগুণ নেভানোর কাজে অংশ নেয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় বেশ কিছু বস্তি ঘর পুড়ে যায় ও সেখান থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুণের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপনের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

সৌদিতে বাংলাদেশি গৃহকর্মী হত্যার দায়ে গৃহকত্রীর মৃত্যুদন্ড

সৌদিতে বাংলাদেশি গৃহকর্মী হত্যার দায়ে গৃহকত্রীর মৃত্যুদন্ড
নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
সৌদি আরবে এক বাংলাদেশি গৃহকর্মীকে হত্যার দায়ে গৃহকত্রীর মৃত্যুদন্ড ও গৃহকর্তার ৩বছর কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন রিয়াদের একটি আদালত।পাশাপাশি গৃহকর্তার ওপর ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানারও আদেশ দেন আদালত। গত রোববার এ রায় ঘোষণা করা হয়। সোমবার দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গৃহকত্রীর নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশি গৃহকর্মির নাম আবিরন বেগম।তিনি খুলনা জেলার পাইকগাছা এলাকার বাসিন্দা। ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ রিয়াদের আজিজিয়ায় আবিরন বেগম মারা যান। যা পরে হত্যাকাণ্ড বলে ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়।
রিয়াদের ক্রিমিনাল কোর্ট প্রদত্ত মামলার রায়ে প্রধান আসামি  গৃহকর্ত্রী নাম আয়েশা আল জিজানীর বিরূদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার দায়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।এছাড়া আবিরন বেগমকে নিজ বাসার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় কাজে পাঠানো ও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায এবং আলামত ধ্বংসের পৃথক পৃথক অভিযোগে মোট ৩ বছর ২ মাস কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হয়।
আদালত অন্য আসামি সৌদি দম্পতির কিশোর পুত্র ওয়ালিদ বাসেম সালেমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার প্রমাণ পাননি বলে জানান। তবে আবিরন বেগমকে বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা করায় তাকে সাত মাসের কিশোর সংশোধনাগারে থাকার আদেশ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ রয়েছে বলে আদালত জানান।
রিয়াদের ক্রিমিনাল কোর্টের ৬ নম্বর আদালতে আবিরন বেগমের মামলা পরিচালনার জন্য রোববার দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব মো. সফিকুল ইসলাম ও আইন সহায়তাকারী সোহেল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

নগরকে সুন্দর করতে নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে : নওফেল

নগরকে সুন্দর করতে নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে : নওফেল
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, নগরকে সুন্দর করতে নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। নয়তো নবনির্বাচিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সফল হতে পারবেন না। তিনি নবনির্বাচিত মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে সৃষ্টিশীল রাজনৈতিক কর্মী উল্লেখ করে সফলতা কামনার পাশাপাশি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাঁর মধ্যে কর্মনিষ্ঠা প্রত্যাশা করেন। নওফেল দায়িত্ব গ্রহনের পূর্বে চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনদের পরামর্শ মতামত নিতে সুধী সমাবেশ ডাকায় নতুন মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। নবনির্বাচিত মেয়র প্রিয় এই নগরকে সন্ত্রাস, জলাবদ্ধতামুক্ত পরিচ্ছন্ন রূপে সাজাবেন এটাই প্রত্যাশা করি। তিনি আজ সোমবার সকালে নগরীর ইনিঞ্জনিয়ার্স ইনস্টিটিউাশন হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীর দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নবনির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি, চন্দনাইশ সাতকানিয়া (আংশিক) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও (আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দীন আহম্মেদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কাজী মুহাম্মদ মোজম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সভাপতি প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের মধ্যে সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর ভাইস চ্যান্সেলর ড. রফিকুল আলম, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন বাবুল, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহাম্মেদ।
সুধী সমাবেশের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী বিকেল ৩টায় টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী অফিসে গিয়ে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে কর্পোরেশনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম হবে আদর্শ শহরের মডেল- মেয়র রেজাউল

পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম হবে আদর্শ শহরের মডেল- মেয়র রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, তার মেয়াদের পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম আদর্শ শহরের মডেল হিসেবে দাঁড়াবে। এ বিষয়ে কারও পরামর্শ নিতে সংকীর্ণতা নেই বলে উল্লেখ করেন  মেয়র ।

আজ সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে চসিকের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।  শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,তার কথা ইশতেহারে বলে দিয়েছেন। অনেকে মনে করে, চট্টগ্রাম শুধু মেয়রের। তিনি সেই পুরনো ধারণা ভেঙে দিতে চান । এ চট্টগ্রামে অনেক জ্ঞানী, সাংবাদিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ আছেন। তাদের মেধা তিনি কাজে লাগাতে চান। রাস্তার যানজট থেকে বিভিন্ন সমস্যা মেয়রের ওপর এসে পড়ে। এ শহর আমার আপনার সবার। তাই সবার সঙ্গে পরামর্শ করতে চান, মেধা কাজে লাগাতে চান। চট্টগ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে চান। কারণ ব্যক্তির চিন্তা চেতনায় ভুল থাকতে পারে। সামষ্টিক চিন্তায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি শুধু মুখপাত্র, প্রতিনিধি। ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে গেছি ৷ আগামী পাঁচ বছরও সবার সঙ্গে পরামর্শ করে এগিয়ে যাবো। আমি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি পেশার সবার সহযোগিতা চাই। আমার পরিষ্কার কথা হচ্ছে, যে সেবা সংস্থা গাফিলতি করবে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। অনেক সমম্বয় সভা হয়েছে, কিন্তু কার্যকর সেবা পায়নি। মেয়রের নির্বাহী ক্ষমতা থাকা উচিত। জনভোগান্তি যেমন কমবে টাকারও অপচয় হবে না।

জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে চট্টগ্রামের উন্নয়নভার নিয়েছেন। টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে। আমি জননেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। জনগণ জননেত্রীর উন্নয়নের ওপর আস্থা রেখেছেন বলে নৌকাকে জয়ী করেছেন। চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। সফলতা আমাদের আসবে। চট্টগ্রাম আদর্শ শহরের মডেল হিসেবে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, প্রথমে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবো। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলায় আনবো। মানুষ শান্তি চায়। ১০০ দিনে সব রাস্তা হয়ে যাবে তা আবেগের কথা। যান চলাচলের উপযুক্ত করার চেষ্টা করবো। যেকোনো মূল্যে খাল উদ্ধার করবো। পাঁচ বছরে শহর জলাবদ্ধতামুক্ত হবে। আসুন চট্টগ্রামকে গড়ে তুলি।

 অনুস্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, নগর মহিলা লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চুয়েট উপাচার্য ড. রফিকুল আলম, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কেএম ফজলুল্লাহ, নগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলররা।