Home Blog Page 50

করোনায় দেশে ২৪ ঘন্টায় আরো ২০ জনের মৃত্যু

করোনায় দেশে ২৪ ঘন্টায় আরো ২০ জনের মৃত্যু

নিউজ মেট্রো ডেস্ক

কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সনাক্ত হয়েছে আরো ৯৯১ জন রোগী। দেশের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত  চব্বিশ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৪৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নতুন করে ৯৯১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ জনে। আর মারা গেছেন ৭ হাজার ৬৭০ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী মারা যায়।

১০ বছর পর আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেন পুঁজিবাজারে

১০ বছর পর আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেন পুঁজিবাজারে

নিউজ মেট্রো রিপোর্ট

দীর্ঘ দশ বছর পর একদিনে আড়াই হাজার কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এ লেনদেন হয়।

ডিএসই সূত্র জানায়, দশ বছর আগে ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর  ডিএসইতে ২হাজার ৭১০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এরপর থেকে লেনদেন আর আড়াই হাজারের কোটা অতিক্রম করতে পারেনি। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৪৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার।

ডিএসই’র বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৪২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ১৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩২ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১২৭৮ ও ২০৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে ৩৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৩টি কোম্পানির, কমেছে ১৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির দর।

এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো— রবি, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, লার্ফাজহোলসিম, লংকাবাংলা, সিটি ব্যাংক, এনবিএল, কেপিসিএল ও একটিভ ফাইন।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সিএসইতে ১৫৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৪ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। মঙ্গলবার সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৩৪ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ১৪৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির কোম্পানির শেয়ারের দর।

বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ : রাষ্ট্রদূত মিশ্রা

বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ : রাষ্ট্রদূত মিশ্রা

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্রা বলেছেন, উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও তার সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদী রোড ম্যাপ প্রণয়ন, আকাশ পথে বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি, সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন, চিলমারীর মাধ্যমে রেল সংযোগ স্থাপন, নদী পথে ভারতের গঙ্গা হয়ে বাংলাদেশের পদ্মা নদী দিয়ে পণ্য পরিবহন, বর্ষা মৌসুমে পানি হতে উৎপন্ন বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা এবং শীত মৌসুমে একইভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা, গ্রীষ্মের সময় নেপালে উৎপাদিত সবজি, ফলমূল ইত্যাদি বাংলাদেশ কর্তৃক আমদানি ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে।

সোমবার সন্ধ্যায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলমের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম, চেম্বারের কর্মকান্ড এবং নেপালের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি আগামী ফেব্রæয়ারি মাসে সম্ভাব্য পিটিএ স্বাক্ষর উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তবে কাংখিত অগ্রগতি অর্জনে চেম্বার সভাপতি শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূরীকরণ, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজীকরণ, সীমান্তে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা, সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মিরসরাই ইকনোমিক জোনে নেপালী বিনিয়োগ আকর্ষণে রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করেন।

এ সময় চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ আবদুল মান্নান সোহেল, তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী ও সাকিফ আহমেদ সালাম, রাষ্ট্রদূতের সেক্রেটারী রিয়া সেট্রি (জবুধ ঝবধঃৎু) এবং চেম্বার সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পিকে হালদারের বিরূদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন ইন্টারপোলে

পিকে হালদারের বিরূদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন ইন্টারপোলে

নিউজ মেট্রো প্রতিনিধি

কানাডায় অবস্থানরত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমারের (পিকে হালদার) বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন পাঠানো হয়েছে ইন্টারপোল সদর দপ্তরে। আইজিপি অফিস থেকে এ আবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। আজ সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

রিলায়েন্স ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় আত্মীয়-স্বজনের নামে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন পিকে হালদার। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানী থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরূদ্ধে। এসব অর্থ নিয়ে তিনি পাড়ি জমান কানাডায়। গত অক্টোবর মাসে দেশে ফিরতে চান তিনি। কিন্তু দেয় দেশে ফিরলে যেন তাকে এয়ারপোর্টে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে তিনি আর দেশে ফেরেননি।

প্রসঙ্গত, পিকে হালদারের বিরূদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর  স্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

করোনার বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে আড়াই লাখ টিইইউস

করোনার বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে আড়াই লাখ টিইইউস

করোনার বছরে ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় আড়াই লাখ টিইইউস (টুয়েন্টি ফিট ইক্যুইভেলেন্ট ইউনিটস) কন্টেইনার কম হ্যান্ডলিং হয়েছে। ফলে এক বছর আগে উঠে আসা থ্রি মিলিয়নিয়ার ক্লাব থেকে ছিটকে পড়েছে বন্দর। তবে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমে গেলেও বিশে^র শীর্ষ কন্টেইনার পোর্টের তালিকায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই বন্দর কর্মকর্তাদের।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানি ও আমদানি মিলে মোট ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ নেমে আসে ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ টিইইউসে। বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আমদানি-রপ্তানি মিলে মোট ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৯ টিইইউস কন্টেইনার ওঠানামা হয়। বাকি ১১ মাস একই হার বজায় থাকলে বছর শেষে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ দাঁড়াত ৩৪ লাখ টিইইউস। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই ধারাবাহিকতা আর রক্ষা হয়নি। সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা গেছে এপ্রিলে। ওই মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে মাত্র এক লাখ ৩২ হাজার ৯২১ টিইইউস। এর মধ্যে আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ছিল ৭৩ হাজার ৯১৬ টিইইউস আর রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার শিপমেন্ট হয়েছে ৫৯ হাজার ৬০৪ টিইইউস। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৪১ হাজার ৯৪০ টিইইউস, মার্চে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬৯ টিইইউস, মে মাসে ২ লাখ ৪ হাজার ৮০১ টিইইউস, জুনে ২ লাখ ১৯ হাজার ১৫০ টিইইউস, জুলাইয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৩ টিইইউস, আগস্টে ২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৭ টিইইউস, সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬২ টিইইউস, অক্টোবরে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৭ টিইইউস, নভেম্বরে ২ লাখ ৫৮ হাজার ২২ টিইইউস ও ডিসেম্বরে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬৬ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে গত ২৬ মার্চ দেশে সাধারণ ছুটি শুরু হলেও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হয় চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। এ সময় বন্দরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এর মধ্যে বন্দর চেয়ারম্যানের পিএসহ বেশ কয়েকজন মারা যান। বিশ^জুড়ে মহামারী করোনার প্রভাবে আমদানি-রপ্তানি কমলে এর প্রভাব পড়ে চট্টগ্রাম বন্দরেও। ফলে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংও কমে যায়। এ কারণে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৩০ লাখ ৮৮ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে থ্রি মিলিয়নিয়ার ক্লাবে উন্নীত হলেও বছর না যেতেই তা থেকে ছিটকে পড়ে।

লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম লয়েডস লিস্টের প্রকাশিত জরিপে ২০১৯ সালের হিসাবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে লয়েডস লিস্টের তালিকায় ছয় ধাপ এগিয়েছিল। বিশে^র শীর্ষ ১০০ কন্টেইনার পোর্টের তালিকায় উঠে আসে ৫৮তম স্থানে। আগের বছর ২৯ লাখ ৩ হাজার ৯৯৬ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে ওই তালিকায় এ বন্দরের স্থান ছিল ৬৪তম। কিন্তু করোনার কারণে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমে গেলেও শীর্ষ বন্দরের তালিকায় পিছিয়ে পড়বে না বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তারা। তাদের মতে, করোনার থাবা চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর যেভাবে পড়েছে বিশে^র অন্য বন্দরগুলোর ওপরও একইভাবে পড়েছে। তাই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে সব জায়গায় একই ধরনের প্রভাব পড়বে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক দেশ রূপান্তরকে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর চট্টগ্রাম বন্দরের কার্গো, হ্যান্ডলিং, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং, শিপ হ্যান্ডলিং ইত্যাদির প্রবৃদ্ধি নির্ভর করে। করোনা পরিস্থিতি সারা বিশে^র অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশে^র সেরা বন্দরগুলোর ওপরও। চট্টগ্রাম বন্দরও এর বাইরে নয়। তাই বিদায়ী বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। এখন পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তিনি বলেন, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমে যাওয়ার কারণে শীর্ষ বন্দরের তালিকায় পিছিয়ে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ করোনা মহামারীর কারণে সব বন্দরের একই অবস্থা। বরং আগের বছরের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দর আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে বলেই আমাদের ধারণা।

সূত্র : দেশ রূপান্তর

ডিন’স অ্যাওয়ার্ড পেলেন সিভাসু’র ২১ শিক্ষার্থী

ডিন’স অ্যাওয়ার্ড পেলেন সিভাসু’র ২১ শিক্ষার্থী

নিউজমেট্রো ডেস্ক
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের সেরা ২১ জন শিক্ষার্থীদেরকে প্রদান করা হয়েছে ডিন’স অ্যাওয়ার্ড। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে সম্মানজনক এ ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। সভাপতিত্ব করেন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. জান্নাতারা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড প্রসেসিং এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জাকিয়া সুলতানা জুথি।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. নুরুল আবছার খান এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল আহাদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দীন, প্রক্টর প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ এবং পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ১ম ব্যাচের মো: আলতাফ হোসেন, ৬ষ্ঠ ব্যাচের নাহিদুর রহমান।
ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ১ম ব্যাচের মো: আলতাফ হোসেন, মাসুমা আফরিন এ্যানি, আব্দুল মতিন, ২য় ব্যাচের নাজমুল সারোয়ার, শামীমা আহমেদ, তাসলিমা আহমেদ, ৩য় ব্যাচের মেহের নাহিদ, মো: শওকত হোসেন, সুস্মিতা ঘোষ লিজা, ৪র্থ ব্যাচের সৈয়দা নববী ইসলাম, মো: রহিম বাদশা, সুলতানা নাজিয়া, ৫ম ব্যাচের কানিজ ফাতেমা নিশান, সুলতান মোহাং আদনান, ফাহমিদা সুলতানা, ৬ষ্ঠ ব্যাচের নাহিদুর রহমান, তৃষ্ণা রায়, দেবপ্রিয় মজুমদার এবং ৭ম ব্যাচের একা মজুমদার, সুস্মিতা চৌধুরী, সুলতানা জান্নাত পমি।
ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, গবেষণা ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যারা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহে ভ‚মিকা রাখতে পারবে। এ বিশ^বিদ্যালয়ের উদ্যোগে একটি ফুড প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।

সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে আইএসডিই’র স্কুল ড্রেস বিতরণ

সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে আইএসডিই’র স্কুল ড্রেস বিতরণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাচঁলাইশের রউফাবাদ বিহারী কলোনীতে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের জন্য স্কুল ড্রেস ও ব্যাগ বিতরণ করেছে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ। যুক্তরাস্ট্রের দাতব্য প্রতিষ্ঠান ডুপিস ইউএসএ এর সহযোগিতায় ৪ জানুয়ারি কাজী নজরুল লার্নিং সেন্টার, খাজা এবং আনিসা লানিং সেন্টার ও বিলকিস লানিং সেন্টারের শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী চৌধুরী জসিমুল হক, আইএসডিই’র কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কর্মসূচি কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম, ক্যাব পাঁচলাইশের মুক্তা শেখ মুক্তি, লানিং সেন্টারের শিক্ষিকা রহিমা আক্তার, হোসনে আরা, বেবী আকতার, মুনমুন বেগম, জয়ন্তী সাহা, আফিফা তাবাস্সুমসহ অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড ও এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া শুরু

যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড ও এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া শুরু

যুক্তরাজ্যে আজ থেকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।

অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি অন্যান্য করোনাভাইরাস টিকার চেয়ে সহজে সংরক্ষণ ও বহন করা যায়, আর দামেও সবচেয়ে সস্তা – তাই এটির ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এর মধ্যেই এ টিকার জন্য সব মিলিয়ে ৩০০ কোটিরও বেশি ডোজের অর্ডার পাওয়া গেছে। বাংলাদেশও এ টিকাটিই কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এই প্রথম পৃথিবীর কোন দেশে এ টিকাটি দেয়া শুরু হলো।
অক্সফোর্ড শহরের চার্চিল হাসপাতালে সোমবার সকালে ৮২ বছর বয়স্ক কিডনির রোগী ব্রায়ান প্লিংকারের বাহুতে টিকা দিয়ে এই টিকার উদ্বোধন করা হয়।
ব্রিটেনে অবশ্য এর আগেই ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হয়ে গেছে।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা দেয়ার সূচনাকে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে আখ্যায়িত করেন। বেশ কয়েকটি কাউন্টিতে একযোগে এই টিকা দেয়া শুরু হলো এবং কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫ লক্ষেরও বেশি ভ্যাকসিন এখন দেবার জন্য তৈরি।
বাংলাদেশও এই টিকাটি কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ভারতে এই টিকাটি উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট, যাদের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ।
তবে অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অনুমোদন দেয়ার ফলে টিকাদানের গতি বেশ খানিকটাই বেড়ে যাবে কারণ এই টিকাটি স্বল্পমূল্যের এবং সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেয়া যায়।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এই টিকাটি সাধারণ ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা যায়, যেখানে ফাইজার-বায়োঅ্যানটেকের টিকাটি সংরক্ষণ করতে হয় -৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নিলেন মমিনুর রহমান

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নিলেন মমিনুর রহমান

চট্টগ্রামে নতুন জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। ৩ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন তাঁর কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেছেন।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের স্থানে ও বিকেলে ডিসি হিলস্থ বাংলোতে পুলিশের চৌকষদলের সালাম গ্রহন করেন বিদায়ী ও নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি)। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আবু হাসান সিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) ড. বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস.এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোছাম্মৎ সুমনী আক্তার, জেলা প্রশাসনের অধীন নগরীর সকল সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি), সকল সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সময় মতোই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সময় মতোই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজ মেট্রো ডেস্ক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের চুক্তি করেছে। ভারতের হাই কমিশনারও ভ্যাকসিন প্রদানে আশ্বাস দিয়েছেন। সব কিছু মিলে সরকার সময় মতোই ভ্যাকসিন পাবে।
আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সাম্প্রতিক বিষয়াদি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ভারত সরকার তাঁদের দেশে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমতি দিয়েছে। তবে, ভ্যাকসিন প্রয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। এসব কারনে ওদের দেশেও ভ্যাকসিন প্রয়োগে আরো কিছুটা সময় লাগবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন আনা সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে। ভারত সরকারও চুক্তি মোতাবেক আমাদেরকে সময় মতো ভ্যাকসিন প্রেরণ করবে বলে অবগত করা হয়েছে। সুতরাং ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হবার কারন নেই।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ভারত সরকার কেবল কমার্শিয়াল কর্মকান্ডের উপর ভ্যাকসিন প্রেরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সাথে হওয়া চুক্তির উপরে ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলেই জানা গেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ভ্যাকসিন হাতে পেতে হয়তো বড়জোর ফেব্রুয়ারি মাস লাগতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহাবুবুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর-এর মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।