Home Blog Page 13

সংস্কারের গল্প আমাদেরকে বলার দরকার নেই : আমীর খসরু

সংস্কারের গল্প আমাদেরকে বলার দরকার নেই : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংস্কারের গল্প আমাদেরকে বলার দরকার নেই। এই গল্প যারা নতুন নতুন সংস্কার শিখেছে, তাদের মধ্যে আর আপনাদের মধ্যে রেখে দিন। ৩১ দফা সংস্কার আকাশ থেকে পড়েনি। এটি প্রণয়নের পেছনে অনেক বিতর্ক, আলোচনা ও প্রস্তাবনা এসেছে। সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতেই আমরা ৩১ দফা প্রণয়ন করেছি। বাংলাদেশের মানুষের আগামী দিনের পরিবর্তনের বার্তা এই ৩১ দফার মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে। এই বার্তা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছি এবং সংস্কারের জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চত্বরে অমর একুশে বইমেলার মঞ্চে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বই মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রকাশক শাহাবুদ্দিন হাসান বাবুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিছ মিয়া, সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

আমীর খসরু বলেন, কোনো ব্যক্তির ভিশন বা কোনো গোষ্ঠীর মিশনের ভিত্তিতে সংস্কার হবে না। বাংলাদেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। ৩১ দফার জন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যখন এসব দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভোট দেবে, তখন আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে পারব।

বিএনপির ৩১ দফা ও অন্যান্য সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, এখন যারা সংস্কারের কথা বলেন, তাদের কাছে কোনো ম্যান্ডেট আছে? তাদের পক্ষে কার সমর্থন আছে? তাদেরকে কে বলেছে? হ্যাঁ, প্রণয়ন করুন, কমিশন হয়েছে, ভালো কথা। এগুলো সব আমরা আগামী সংসদে প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করবো। আপনারা কষ্ট করে করেছেন, অনেক ধন্যবাদ। এগুলো আমরা আগামী সংসদে পেশ করব। ৩১ দফা সংসদে আলোচনা হবে। আমরা বলেছি, হয়ে যাবে, তা নয়, সংসদে আলোচনা হবে। অন্য কোনো দলের যদি কোনো প্রস্তাব থাকে, সেটাও সংসদে উপস্থাপন করুক। কারণ, আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাই। জনগণের চিন্তার প্রতিফলন রাষ্ট্র পরিচালনায় ও দৈনন্দিন জীবনে ঘটাতে হবে।

তিনি বলেন, যে নতুন পথ তারেক রহমান দেখিয়েছেন, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, অন্যের প্রতি সহনশীলতা ও সহানুভূতি দেখানো। অন্য মত হলেও সেটি গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে হবে। শুধুমাত্র সংস্কার করলেই হবে না, রাজনৈতিক সংস্কারের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে কেউ বললেও তাকে সম্মান জানাতে হবে, তার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে। দ্বিমত পোষণ করবো, কিন্তু সম্মান দিতে হবে। আপনারা দেখেছেন, তারেক রহমানকে একটি পত্রিকায় কার্টুনের মাধ্যমে সমালোচনা করা হয়েছিল। পরে তিনি বলেছেন, এটার জন্যই তো আমরা যুদ্ধ করেছি, এ স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য। এ স্বাধীনতা পাওয়ার জন্যই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি।

‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন’ কনসার্ট স্থগিত

‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন’ কনসার্ট স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাত্র একদিন আগে স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট ‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন’। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আয়োজকরা।
রাজধানীর আগারগাঁও পুরানো বাণিজ্য মেলা মাঠে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।
নির্ধারিত তারিখের মাত্র একদিন আগে স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আয়োজকরা জানান, দেশের বর্তমান নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে কনসার্ট আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই নতুন তারিখসহ বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এই কনসার্টের প্রধান আকর্ষণ ছিল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নগর বাউল জেমস। এছাড়া চিরকুট, আর্টসেল, সোনার বাংলা সার্কাস, বেঙ্গল সিম্ফনি, বাংলা ফাইভ, ক্রিপটিক ফেইট, কুঁড়েঘর, কাকতাল, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানসহ জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথাছিল।

ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ

ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।

রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদেদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ববাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায়  সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

তাদের এই আত্মদান নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম তার ‘বায়ান্নর ও আগে’ এক প্রবন্ধে লিখেছেন ‘বরকত, সালামকে আমরা ভালবাসি। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা বরকত সালাম আমাদের ভালবাসে। ওরা আমাদের ভালবাসে বলেই ওদের জীবন দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করেছেন। ওরা আমাদের জীবনে অমৃতরসের স্পর্শ দিয়ে গেছে। সে রসে আমরা জনে-জনে, প্রতিজনে এবং সমগ্রজনে সিক্ত।’

‘এদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে আমরা অমরতা পেয়েছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ আমরা বলতে পারি দস্যুকে, বর্বরকে এবং দাম্ভিককে : তোমরা আর আমাদের মারতে পারবে না। কেননা বরকত সালাম রক্তের সমুদ্র- মন্থন করে আমাদের জীবনে অমরতার স্পর্শ দিয়ে গেছেন।’

বরেণ্য শিক্ষাবিদ আবুল ফজল একুশ নিয়ে তার এক লেখায় লিখেছেন ‘মাতৃভাষার দাবি স্বভাবের দাবি। ন্যায়ের দাবি, সত্যের দাবি—এ দাবির লড়াইয়ে একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদরা প্রাণ দিয়েছেন। প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করেছেন, স্বভাবের ব্যাপারে, ন্যায় ও সত্যের ব্যাপারে কোন আপোষ চলে না, চলে না কোন গোঁজামিল। জীবন-মৃত্যুর ভ্রকুটি উপেক্ষা করেই হতে হয় তার সম্মুখীন।’

একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি। এদিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কদ্বীপ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা জনক স্থানগুলোতে বাংলা ভাষার বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং অন্যান্য স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে  একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। এছাড়া, বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করছে।

 

কুয়েটে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা #তদন্ত কমিটি গঠন

কুয়েটে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা #তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ছাত্র সংঘর্ষের জের ধরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। এদিকে, কুয়েটে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা পেরে শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিস্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ছাত্রদলের সদস্য ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক আহত হন। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্চিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদ।

কুয়েট সূত্র জানায, এ পরিস্থিতিতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট জরুরী সভা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সভায় ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম. এম. এ. হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া মঙ্গলবারের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাব্য য় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করা ও ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।

‘স্বপ্ন বাস্তবায়নে ড. ইউনূসের দৃঢ়তার ছাপ নেই’

‘স্বপ্ন বাস্তবায়নে ড. ইউনূসের দৃঢ়তার ছাপ নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে না পারলে অন্তবর্তী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ড. ইউনুস আমাদেরকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর দৃঢ়তার ছাপ নাই। আমরা তাঁর কাছ থেকে আরও সাহসী পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি।
সোমবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে ‘দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতি’ কেমন হওয়া চাই? শীর্ষক মতবিনিময় ও সংগঠক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার আত্মপ্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ অবস্থান না নিলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের স্বপ্ন ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে না পারলে অন্তর্র্বর্তী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারকে বলিষ্ট হতে হবে। এই সরকার এখন পর্যন্ত পুলিশের ওপর কিংবা প্রশাসনের ওপর কোন ধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। কয়েকদিন আগেও দেখেছি সেনাবাহিনী থানা পাহারা দিচ্ছে। এই দৃশ্য জীবনে দেখি নাই যে পুলিশকে সেনাবাহিনীর পাহারা দিতে হয়।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে এবি পার্টি প্রধান বলেন, আপনারা সে সুযোগ পেয়েছেন সেটাকে কাজে লাগান। কে কত বড় দল, কার মিছিল কত বড়, কার বিশাল সমাবেশ- এগুলোতে আপনি বিচলিত হবেন না। এই দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আপনার সাহসী পদক্ষেপ দরকার।
উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, মারামারি, গন্ডগোল, দলীয়করণে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি কেউ কারো চেয়ে কম যায়না-এটা মানুষ দেখেছে। সরকার বদল হয় কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদী চাঁদাবাজের জায়গায় জাতীয়তাবাদী চাঁদাবাজ বা ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ চাঁদাবাজের দৌরাত্ম শুরু হয়। এর ফলে একটি ব্ল্যাক চ্যাপ্টারের পরে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ আমাদের ওপর চেপে বসে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের কথা শুনে আমাদের রাগ ক্ষোভ জ¦লজ¦ল করে উঠতো। আর এখন দেখছি- এ কোন হানাদার? আমার চেহারার, আমার প্রতিবেশি আমার ধর্মের লোক- সে আমার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, আমাকে হত্যা করছে, গুম করছে, নারীর সম্ভ্রম কেড়ে নিচ্ছে। এর পরিবর্তনের জন্য আজ আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছি।
নগরীর কাজির দেউরীস্থ সিজেকেএস শপিং কমপ্লেক্সে রোটারি ক্লাব অব চট্টগ্রাম এর হল রুমে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট গোলাম ফারুক এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আবুল কাশেম এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার যায়েদ হাসান চৌধুরীর সঞ্চালনায় মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) মোঃ দিদারুল আলম, জাতীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার লোকমান, আশরাফ মাহমুদ রুমেল, হায়দার আলী চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম বাবুল, জিয়া চৌধুরী, আব্দুর রহমান মনির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ শ্লোগান নিয়ে আসছে নতুন ছাত্র সংগঠন 

‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ শ্লোগান নিয়ে আসছে নতুন ছাত্র সংগঠন 
  1. নিজস্ব প্রতিবেদক :
    স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ শ্লোগান নিয়ে শীঘ্রই নতুন ছাত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। তবে এই সংগঠন কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি করবে না বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
    নতুন এই ছাত্রসংগঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। তারা জানিয়েছেন, দুই দিনের জনমত জরিপ করে সংগঠনের বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে।
    তারা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিন অনলাইন ও অফলাইনে জনমত জরিপের মাধ্যমে নতুন ছাত্রসংগঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
    সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    আবু বাকের মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের কাঙ্ক্ষিত সংগঠনের নাম ও আত্মপ্রকাশের তারিখ সম্পর্কে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। দুই দিন অনলাইন ও অফলাইনে জনমত জরিপের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
    তিনি বলেন, এই সংগঠন কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি করবে না। এর স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’।
    নতুন এই ছাত্র সংগঠনের বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য নতুন ছাত্ররাজনীতি দরকার। এজন্য নতুন ধারার লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্ররাজনীতিকে আমরা স্বাগত জানাই। যারা নতুন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত হবে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করে যাবে।’

রাজনৈতিক সংলাপের মধ্য দিয়ে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু : প্রধান উপদেষ্টা

রাজনৈতিক সংলাপের মধ্য দিয়ে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু : প্রধান উপদেষ্টা

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তবর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।
শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্ব করেন।
গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ সার্থক করতে ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, প্রতিজ্ঞা করি আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই। যে কারণে তারা আত্মত্যাগ করেছিল সেটা যেন পরবর্তী সব প্রজন্ম মনে রাখে, তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, তাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করার জন্য আমরা সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করবো, তাদের সে স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, তারা এ ত্যাগ না করলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও জবাব খোঁজার আমাদের কোনো সুযোগ থাকতো না। প্রশ্ন আমাদের মনে যতটুকু ছিল, বহু বছর ধরে ছিল, সুযোগ পাইনি। অসংখ্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সে সুযোগ পেয়েছি।

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে

নিউজ মেট্রো ডেস্ক :
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘যদি তাদের অপরাধের বিচার না করা হয়, তাহলে দেশের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমা করবে না।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য ন্যাশনাল’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেছেন। দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটের (ডব্লিউজিএস) এক ফাঁকে অধ্যাপক ইউনূস এই সাক্ষাৎকার দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমরা তাকে (হাসিনা) বিচারের আওতায় আনবো। এটি অবশ্যই করা হবে, অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’ তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের মুখোমুখি করা হবে।’
গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং দেশত্যাগ করেন। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের একদলীয় শাসনের অবসান হয়। এরপর গতবছর ৮ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে পুলিশ ও শেখ হাসিনার দলের লোকজন প্রায় ১,৪০০ জনকে হত্যা করে এবং আহত হয় ১১ হাজার।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং এখনো তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।
হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে ভারতকে নোটিশ :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ‘দ্য ন্যাশনাল’ পত্রিকার ওই সাক্ষাৎকারে আরো বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কাছে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার বিপুল পরিমাণ প্রমাণ আছে। যার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত। জাতিসংঘ এটিকে নথিভুক্ত করেছে এবং আমাদের কাছে শেখ হাসিনা, তার সরকার এবং ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের অপরাধের প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।’
ড. ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং আশা করছি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটি অবশ্যই করা হবে, অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’
‘দ্য ন্যাশনাল’ পত্রিকাকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমিরাতের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। যখন আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হলাম, তখন আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করি। আমি তাকে ব্যাখ্যা করি যে, তারা শুধু বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছিল।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের কাছে অনুরোধ করেছি যে, তিনি যেন তাদের ক্ষমা করে মুক্তি দেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমা করায় আমি অত্যন্ত খুশি হই। এটি একটি অসাধারণ পদক্ষেপ ছিল এবং পুরো বাংলাদেশ সেটি উদযাপন করেছে।’
তিনি উল্লেখ করেছেন,  ‘আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই, কারণ সেখানে ১২ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
-বাসস

পবিত্র শবে বরাত আজ

পবিত্র শবে বরাত আজ

আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবে-বরাত পালিত হবে।
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানরা শবে-বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।
পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ছুুটি থাকবে।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।
তিনি বলেন, এই সৌভাগ্যময় রজনী মানব জাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদান ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।
পবিত্র এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই মহিমাময় রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফিরাত।’
পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’
এ রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে আজ শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
ইফা আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বারাআতের শিক্ষা ও করণীয় বিষয়ে ওয়াজ করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটাবেন।
মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত করবেন।
-বাসস

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিএনপি

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁর দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় না। এ ছাড়া বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থার পক্ষে নয় বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকাস্থ ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন  চাই না। যদি হয় তাহলে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশটাকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাবে। যত দ্রুত নির্বাচন হবে, তত দ্রুত দেশের পরিস্থিতি সহজ হবে।
জামায়াতের আনুপাতিক হারে নির্বাচন ব্যবস্থা ও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটার সঙ্গেও আমরা একমত নই।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আয়নাঘরের পরিদর্শন বিষয়ে করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি এই বিষয়টাকে ভিন্নভাবে দেখি। গুম করা, হত্যা করা এটাতে কোনো দলের কথা আমি বলতে চাই না। এখানে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকে গুম করা হয়েছে। এই কথাগুলো আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি। যখন আলজাজিরায় প্রথম রিপোর্ট করা হয়, তখনো সরকার সম্পূর্ণভাবে এটিকে ডিনাই করেছে। কিন্তু প্রথম থেকেই এইভাবে চলে আসছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি যে, সত্য ঘটনাই উদ্‌ঘাটন হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে—জাতিসংঘ যখন বলে তখন আমরা বিশ্বাস করি; যখন আমরা রাজনৈতিক দলগুলো বলি, অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। আমরা ধন্যবাদ জানাব যে, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ কমিটি এসেছেন, তারা রিপোর্টটা সঠিকভাবে করেছেন। সেজন্য ধন্যবাদ জানাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই এসব ঘটনা হয়েছে। যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার নির্দেশেই হয়েছে। যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, তার নির্দেশেই হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া, ইনস্টিটিউশনগুলো ধ্বংস করে দেওয়া; এসব তার নির্দেশেই হয়েছে। এক কথায় সেগুলো রিপোর্টে উঠে এসেছে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট, তিনি গণহত্যা করেছেন, মানুষের ওপর নির্যাতন করেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজকে চাইবো ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে ফেরত দেবে। তাকে এবং তার সঙ্গে যারা ছিল, তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।