Home Blog Page 3

দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যের মূল অংশ চট্টগ্রাম  : বিডা চেয়ারম্যান 

দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যের মূল অংশ চট্টগ্রাম  : বিডা চেয়ারম্যান 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ -বিডা ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ—বেজা এর নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য চট্টগ্রাম একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম  সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন। এসময়  প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের  প্রশ্নের জবাবে বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বাজেট সাপোর্টের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব বৈদেশিক সাহায্য কমিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, ঢাকা রাজনৈতিক রাজধানী আর চট্টগ্রাম হবে আমাদের বাণিজ্যিক রাজধানী।বাংলাদেশের যে সম্পূর্ণ উন্নয়ন লক্ষ্যের দিকে সরকার  এগোচ্ছে, তার মূল অংশ চট্টগ্রাম।

আশিক চৌধুরী বলেন, সরকারের  লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য, বিশেষ করে চট্টগ্রামের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা। অর্থনৈতিক উন্নয়ন সব সরকারের প্রথম এজেন্ডা দেওয়া উচিত আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বে টার্মিনালকে আমরা যত বেশি বিশ্বমানের করতে পারব, তত বেশি ব্যবসার জন্য কন্ট্রিবিউশন করা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে  ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার,  বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, সরকারি কর্মকর্তা এবং উদ্যোক্তা ও ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মত বিনিময় সভা

এর আগে হোটেল রেডিসন ব্লুতে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন,  চট্টগ্রাম বে টার্মিনালে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এসময় তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।  তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বন্দরসমূহের উন্নয়ন জরুরি। এজন্য বিশ্বসেরা বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমাদের কাজ করতে হবে।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার চট্টগ্রাম বন্দরকে ২০২৪ সালে লালদিয়া টার্মিনালে কার্যক্রম শুরু করে এপিএম টার্মিনালস। শুরুতে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা থাকলেও আজ বেজা চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ৮০০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। আশা করছি এ টার্মিনাল আরো বেশি যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।এতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন,অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও ভবিষ্যতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে, বাংলাদেশকে গ্লোবাল ফ্যাক্টরি বানাতে হবে যাতে বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য সরবরাহ আরো দ্রুত সময়ে দিতে হবে যাতে বিদেশি বিনিয়োগ কারীদের আগ্রহ বাড়ে।  চট্টগ্রাম বন্দরেকে পর্যাপ্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন ও সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনতে হবে।

বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার,বিভাগীয় কমিশনার ড.মোঃ জিয়াউদ্দীন, সরকারি কর্মকর্তা এবং উদ্যোক্তা , ব্যাবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা, পাল্টা হামলা পাকিস্তানের

পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা, পাল্টা হামলা পাকিস্তানের

 নিউজমেট্রো ডেস্ক :

পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের ওপর ক্ষেপনাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ভারত। মধ্যরাতে পাকিস্তানের মোট নয়টি জায়গায় হামলা চালানাে হচ্ছে বলে ভারতের সরকার দাবি করেছে।

এদিকে, ভারতের সেনাবাহিনী তাদের এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া এক পােস্টে দাবি করেছে, ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকার ভিম্বার গলিতে কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। এর আগে ভারতের দুইটি বিমান এবং একটি ড্রােনকে ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। খবর বিবিসির।

গত ২২শে এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ হামলা হলাে।

সবশেষ খবরে জানা যাচ্ছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকা থেকে বিস্ফােরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, দেশটির তিনটি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারত, এবং হামলায় দুইজন শিশুসহ এ পর্যন্ত মোট সাতজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নাম দিয়ে চালানাে এই হামলায় ‘সন্ত্রাসী স্থাপনা’কে নিশানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত।

যেসব স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, সেখান থেকে ভারতের ওপরে ‘সন্ত্রাসী’ হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে ভারতের সরকার দাবি করেছে।

তবে, পাকিস্তানের কোনও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয় নি বলে দাবি করেছে ভারত।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সময়মতো এ হামলার জবাব দেবে। তাদের বিমান বাহিনীর জেট বিমানগুলি ইতিমধ্যেই আকাশে রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে যে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করছে যে পাকিস্তান থেকেও ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি অঞ্চলের ভিম্বর গলিতে গুলি চালানো হচ্ছে।

সাত জন নিহত, দাবি পাকিস্তানের

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র আহমেদ শরিফ জানিয়েছেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই শিশু সহ সাত জন নিহত হয়েছেন।

একটি মসজিদ সহ একাধিক জায়গায় এ হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি আরও দাবি করেছেন যে, দুটি ভারতীয় বিমান এবং একটি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ আগে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন “শত্রুরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পাঁচটি জায়গায় এক কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে। এই আগ্রাসনের ঘটনা ছেড়ে দেওয়া হবে না।

বিনা প্ররোচনায় ভারতের এই হামলার চূড়ান্ত জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা

ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, হামলার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেছেন।

পরে হোয়াইট হাউজে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই অভিযানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, “এটা লজ্জর ঘটনা”।

হোয়াইট হাউজে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমি শুধু চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সংঘাত শেষ হোক।”

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতের সামরিক অভিযানে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেছেন, “মহাসচিব দুই দেশকেই সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ভারত-পাকিস্তানের আরও একটি সামরিক সংঘাতের ভার বিশ্ব বহন করতে পারবে না।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা যা বলছেন

যেসব এলাকায় ভারতীয় হামলা হয়েছে, সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে বিবিসি কথা বলতে পেরেছে।

পাকিস্তানের মুজাফফরাবাদের বাসিন্দা শাহনওয়াজ বলেন, ‘আমরা তখন বাড়িতে গভীর ঘুমের মধ্যে ছিলাম, বিস্ফোরণের শব্দে আমরা কেঁপে উঠি।

এখন আমরা আমাদের পরিবার, নারী ও শিশুদের নিয়ে কোনও একটা নিরাপদ স্থানের খোঁজে ঘুরছি।”

শহরে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে, আরও হামলার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

মুজাফফরাবাদের বিলাল মসজিদের পাশে যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে, সেখানকার এক বাসিন্দা মোহাম্মদ ওয়াহিদ বলেন, “প্রথম বিস্ফোরণে আমার বাড়ি যখন কেঁপে ওঠে, তখন আমি গভীর ঘুমের মধ্যে ছিলাম।

“আমি পরিস্থিতিটা ঠিক বুঝে উঠতে পারার আগেই আরও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ল,” বলছিলেন মি. ওয়াহিদ।

গত ২২ শে এপ্রিল পহেলগাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত বৈসারণে পর্যটন স্পটে বন্দুকধারীদের হামলায় মোট ২৬জন নিহত এবং ১৭জন আহত হয়েছিলেন।

 

চট্টগ্রাম দ. জেলা বিএনপির ৫৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

1
চট্টগ্রাম দ. জেলা বিএনপির ৫৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক কমিটিতে ঘোষণা করে বিএনপি। ওই কমিটিতে মো. ইদ্রিস মিয়া আহ্বায়ক, লায়ন হেলাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব, আলী আব্বাসকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, লিয়াকত হোসেন ও মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে লিয়াকতকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে নতুন যুক্ত হয়েছেন- আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, জামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, রেজাউল করিম চৌধুরী নেছার ও সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু। সদস্য হিসেবে যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন- শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ খান, এনামুল হক এনাম, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, আমিনুর রহমান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মাস্টার মোহাম্মদ লোকমান, শওকত আলম চৌধুরী, ছলিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মাস্টার মোহাম্মদ রফিক, রাজীব জাফর চৌধুরী, সাজ্জাতুর রহমান চৌধুরী, সরওয়ার হোসেন মাসুদ, জাহাঙ্গীর কবির, মোহাম্মদ ওসমান, জাগির আহমদ, আমিনুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক বেলাল, জসীম উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, ফজলুল কবির ফজু, মোহাম্মদ শাহীনুর শাহীন, মোহাম্মদ ঈসমাইল, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, দিল মোহাম্মদ মঞ্জু, এম মনছুর উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, সালেহ জহুর, দেলোয়ার আজীম, শাহাদাত হোসেন সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন।

ফিরলেন খালেদা জিয়া : উচ্ছসিত বিএনপি নেতাকর্মিরা

ফিরলেন খালেদা জিয়া : উচ্ছসিত বিএনপি নেতাকর্মিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দলীয় প্রধান দেশে ফেরায় উচ্ছসিত বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১১টা ২০ মিনিটে পৃথক একটি গাড়িতে উঠে হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে বের হয়ে বাসভবন গুলশানের দিকে রওনা হন তিনি। এসময় সড়কের পাশে অবস্থান নেওয়া হাজার হাজার নেতাকর্মী জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানায়। বিএনপি নেত্রী গাড়ি থেকে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।

এসময় নেতাকর্মীরা ‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা, জিয়া’, ‘তারেক রহমান’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। বেলা ১টা ২৫ মিনিটে তাকে বহনকারী গাড়ি খিলক্ষেত, কুর্মিটোলা, নৌসদর দপ্তর হয়ে ফিরোজায় পৌঁছায়।

ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে থেকে সাদা রঙের পাজেরো জিপে করে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান বিএনপির চেয়ারপার্সন। বিমানবন্দর থেকে ফিরোজায় যাওয়ার সময় পথে পথে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।বেলা সোয়া ১১টায় তিনি বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিলো দশেকের পথে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে তার বাসায় পৌঁছাতে লেগে যায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময়।

ফিরোজায় খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তার মেজ বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, শামীমের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দু এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া বিএনপি নেত্রীর মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এফ এম সিদ্দিক, বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ছিলেন সেখানে। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসভবনে প্রবেশের পর দুপুর আড়াইটায় সেখানকার মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সুস্থ ও মানসিকভাবে দৃঢ় রয়েছেন। তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করায় তিনি নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।’

এছাড়া ৭ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত লন্ডনে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর ত্যাগ করে। পথে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। দোহা থেকে রওনা দিয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার পর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণ করে।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন থেকে আরও এসেছেন তার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদসহ ১৪ জন।

চয়নিকা চৌধুরীর বিরূদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

চয়নিকা চৌধুরীর বিরূদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিউজমেট্রো ডেস্ক :

চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। চেক ডিজঅনারের একটি মামলায় মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকার সপ্তম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. বুলবুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

আসামি চয়নিকা চৌধুরীর মাধ্যমে প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ ‘জীবন সুন্দর হোক’ নাটক নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। এ জন্য ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট তাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, চয়নিকাকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন বাদী। একই সঙ্গে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর চয়নিকা বাদী রিয়াজকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।

তবে আসামি চুক্তিবদ্ধ হয়েও নাটক নির্মাণ করেননি। আসামি চয়নিকার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নাটক নির্মাণ করতে অপরাগত প্রকাশ করেন। তখন টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৩ সালের জানুয়ারি চেক নগদায়ন করতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে একাধিকবার টাকা নগদায়ন করতে গেলে চেক ডিজঅনার হয়। টাকা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি।

২০১৩ সালের ১৪ মে মামলা করেন প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ। এ মামলার পর ২০১৪ সালে ২ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন চয়নিকা চৌধুরী। ওই বছরের ৭ আগস্ট মামলাটি বিচারের জনু ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।

২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সপ্তম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালত সুত্র জানায, মামলার বাদী প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজের জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। তবে আসামি চয়নিকা চৌধুরী আদালতে হাজির হননি। তারপক্ষে আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করেন। তবে আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পাশাপাশি এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৬ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

চুয়েটে বিএমই বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত

2
চুয়েটে বিএমই বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে জীবনধারায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। এ অবস্থায় মানবিক মূল্যবোধ বজায় রেখে প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। আগের তিনটি শিল্পবিপ্লব মানুষের জীবন ও জীবিকা সহজ করেছে। এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যে প্রেক্ষিত সামনে এসেছে তাতে নানামুখী চিন্তা, উদ্ভাবন ও সম্ভাবনার সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অনেক কর্মক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক উপস্থিতির ফলে উৎপাদন আরও বাড়বে। তবে মানুষের কাজের পরিবর্তিত ক্ষেত্র ও চাহিদা পূরণ করতে হবে। এতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও নতুন ধারণার প্রয়োজন হবে। তাই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগ খুবই জরুরি। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণা এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা দরকার।
মঙ্গলবার (০৬ মে) সকাল ১১টায় যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার কক্ষে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ”Research, Collaboration and Career Prospects in Biomedical Engineering” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন।  আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ অনিরূদ্ধ ঘোষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ এম. এ. রহিম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ রবিউল আলম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি) এর পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ গিয়াস উদ্দিন, বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তারিক আরাফাত, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রাকিবুল হাসান, চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব মোঃ তৌহিদুজ্জামান রিয়াদ এবং জি ই হেলথ কেয়ারের সার্ভিস স্পেশালিস্ট আরিজিত রায়। এছাড়া বক্তব্য রাখেন চুয়েটের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাশ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন বিএমই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোসারাত হাবিব।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রামে ছাত্রসেনার কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ

চট্টগ্রামে ছাত্রসেনার কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ছাত্রসেনা নেতা রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে ৫মে’র অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রসেনা। সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বিকেল চারটায় কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য এম সোলায়মান ফরিদ বলেছেন, ছাত্রসেনার ৪৫ বছরের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের কোন রেকর্ড নেই। কিন্তু সোমবার মুরাদপুর বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচীতে সন্ত্রাসী হামলার পর সেখান থেকে আটক সেনাকর্মীদের বিরূদ্ধে নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত জঘন্য ও দুঃখজনক। তিনি অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির আহŸান জানান। একই সঙ্গে ছাত্রসেনা নেতা রইস উদ্দিনের খুনিদের দ্রæত গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি।

মুহাম্মদ ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল আলম।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগের সকারের সময়ে পুলিশের সাথে যেমন হেলমেট বাহিনী থাকত – ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও সেই বাহিনীর মত উগ্রগোষ্ঠী গতকাল পুলিশের ছত্রছায়ায় নিরীহ, নিরস্ত্র ছাত্রসেনা কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে।

সমাবেশ থেকে মাওলানা রইস উদ্দিনের খুনিদের গ্রেফতার ও  চট্টগ্রামে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী শুক্রবার  বাদে জুমা আহলে সুন্নত ও ছাত্রসেনার ব্যানারে প্রত্যেক উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা করা হয়। পরে তারা কালো পতাকা মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুন নবী আলকাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা এনাম রেজা, শাহজাদা নিজামুল করিম সুজন, মুহাম্মদ আলমগীর বঈদী, এইচ এম শহীদুল্লাহ, এনামুল হক সিদ্দিকী, মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলীল, আমান উল্লাহ, মঈনুদ্দীন কাদেরী, মুহাম্মদ নুরুদ্দীন কাদেরী, মুহাম্মদ বাহাউদ্দীন কাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ তারেক, শফিউল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক হোসাইন, মোজাম্মেল হক শাহেদ, এনামুল হক মুন্না, মফিজুল আলম প্রমুখ।

ঢাকা ও চট্টগ্রামে মঙ্গলবার ছাত্রসেনার কালোপতাকা মিছিল

ঢাকা ও চট্টগ্রামে মঙ্গলবার ছাত্রসেনার কালোপতাকা মিছিল

 নিজস্ব প্রতিবেদক :

সংগঠনের নেতা মাওলানা রইস উদ্দিনের খুনিদের গ্রেফতার দাবিতে অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকা চট্টগ্রামে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচী দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা। সোমবার চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল আলম কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচীর প্রতি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সমর্থন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাতীয় প্রেস ক্লাব চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় কালো পতাকা  মিছিল শুরু হবে। এছাড়া বিভিন্ন মহানগর, জেলা উপজেলা সদরেও কর্মসূচী পালিত হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মাওলানা রইস উদ্দিনের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার ইসলামী ছাত্রসেনার আহ্বানে সারাদেশে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচী চলাকালে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশী বাধা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন অবরোধকারীরা। সোমবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রসেনা।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল আলম বলেন, আমাদের কর্মসূচী ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এই কর্মসূচী চলাকালে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর, অক্সিজেন মোড়, বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এছাড়া কর্মসূচী চলাকালে চট্টগ্রাম, নরসিংসদী, বি বাড়িয়া, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রসেনার অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদ্রাসায়ও পুলিশের ছত্রছায়ায় জামাতশিবিরের সন্ত্রাসীরা ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে রইস উদ্দিনের খুনিদের গ্রেফতার, অবরোধ কর্মসূচী  চলাকালে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি অবরোধ কর্মসূচীতে হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্য সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মিডিয়া সেলের প্রধান এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

 

ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণের পেছনে ইসরায়েল!

ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণের পেছনে ইসরায়েল!

নিউজমেট্রো ডেস্ক :

ইরানের শহিদ রাজি বন্দরে শনিবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণ কোন সাধারণ দুর্ঘটনা নয় মন্তব্য করে এর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন তেহরানের এমপি মোহাম্মদ সেরাজ। তাঁর দাবি, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কনটেইনারে বিস্ফোরণ রাখা হয়েছিল এবং দূর থেকে সম্ভবত স্যাটেলাইট বা টাইমারের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে।

 গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত নিহত বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই

তবে, ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্কান্দর মোমেনি বলেছেন, শনিবার দুপুর ১২টা ৪ মিনিটে ছোট একটি আগুন দেখা যায়, তবে এই আগুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। এক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে ধোঁয়া এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আশেপাশের কনটেইনারে পৌঁছায় এবং বিস্ফোরণ ঘটে।

তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখপাত্র হোসেন জাফারি জানিয়েছেন, নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বার্তাসংস্থা আইএলএনএ-কে জানিয়েছেন, কনটেইনারের ভেতর থাকা রাসায়নিক বস্তুর কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে সেখানে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রকৃত হতাহতের তথ্য জানা যাবে। তিনি জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও তা অনুভূত হয়েছে।

এদিকে ওয়াশিংটন ইন্সটিউটের সিনিয়র প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফারজিন নাদিমি বলেছেন, নাশকতার হয়নি-এমন তথ্য এখনে উড়িয়ে দেওয়া যায়না।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে আশেপাশের ভবনের ছাদ, জানালা উড়ে গেছে। পুড়ে গেছে গাড়ি। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের বাসিন্দারাও এই বিস্ফোরণের আঁচ পেয়েছেন।

যেতে হচ্ছে কুয়েট ভিসিকে

যেতে হচ্ছে কুয়েট ভিসিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচী থেকে সরাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত  সরানো হচ্ছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে। ইতিমধ্যে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। সেই সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরিফুল ইসলামকেও সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভুত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।

অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল-যুবদল ও এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় অর্ধশতাধিক। এ পরিস্থিতিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা না মেনে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এরপর আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ভিসির অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। দাবি আদায়ে গত ২২ এপ্রিল বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ২৯ শিক্ষার্থী। বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করতে থাকে।

শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ বলেছিলেন, তাঁকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সরকার না সরানো পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করবেন না। অবশেষে সরকারই তাঁকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।